গরমে চা প্রেমীদের জন্য মশলা পুডিং চা
আসসালামু আলাইকুম। হ্যালো বন্ধুরা,সবাই কেমন আছেন? আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি।
আজ একদম ভিন্ন ধরনের রেসিপি পোস্ট নিয়ে চলে এসেছি। আজ কয়েকদিন ধরেই ভাবছিল বানাবো কিন্তু সময় বের করতে পারছিলাম না। বাড়তি কিছু তৈরি করতে আলাদা একটা সময় লাগে। আজ একটু সময় পেয়েই বানিয়ে নিলাম। এতক্ষণে আমার টাইটেল দেখে নিশ্চয়ই বুঝে গিয়েছেন কি রেসিপি নিয়ে এসেছি আর দেখে নিশ্চয়ই অবাক হয়েছেন। হ্যাঁ,আজ চা প্রেমীদের জন্য মশলা পুডিং চা নিয়ে এসেছি। আমি চা খেতে খুবই পছন্দ করি কিন্তু গরমের জন্য খেতে পারি না। আমার কাছে মনে হয় গরমে চা খেলে আরও বেশি গরম লাগে। সেজন্য এই কয়দিন যখন ঠান্ডা ছিল তখন চা খেয়েছি। এখন আবার গরম শুরু হয়েছে আর সেজন্য তো চা বন্ধ থাকতে পারে না। তারজন্যই বরং আজ ভিন্ন পদ্ধতিতে পুডিং চা তৈরি করেছি।
এটি দেখতে পুডিং হলেও এর মধ্যে কিন্তু চায়ের ফ্লেভার পাওয়া যাবে। ঠান্ডার মধ্যে গরম চা খেয়ে আমরা শরীর গরম করি আর এখন এই পদ্ধতি অবলম্বন করে গরমের মধ্যে ঠান্ডা পুডিং চা খেয়ে শরীর ঠান্ডা করবেন। তাহলে আপনি সবসময়ই চা খেতে পারেন। মশলা দিয়ে বানিয়েছি বলে এটা ভাববেন না,হলুদ,মরিচ দিয়ে বানিয়েছি😃। এটা হচ্ছে দারচিনি,এলাচ এই মশলা। তবে যাই বলেন আমার যারা মতো রয়েছেন তাদের জন্য খুবই ভালো হবে। এই চা বিভিন্ন ধরনের মশলা দিয়ে বানিয়েছি বলে মুখে দিলেই সেই ফ্লেভার পাওয়া যায়। আমার ছেলে খেয়ে খুব মজা পেয়েছে আর বলছে আম্মু দারুন মজা হয়েছে। তাহলে চলুন ধাপগুলো দেখে নেওয়া যাক।
প্রয়োজনীয় উপকরণ
নাম | পরিমাণ |
---|---|
তরল দুধ | এক কাপ |
গুঁড়া দুধ | চার টেবিল চামচ |
চিনি | মিষ্টি অনুযায়ী |
চা পাতি | পরিমাণ মতো |
বাদাম | অল্প পরিমাণ |
দারচিনি | ১টি |
এলাচ | ২ টি |
লং | কয়েকটি |
তেজপাতা | ২টি |
আগারআগার পাউডার | ৩ চামচ |
রন্ধন প্রক্রিয়ার ধাপসমূহ
😋১ম ধাপ😋
প্রথমে একটি পাতিলে অল্প পরিমাণ পানি আর আদা দিয়ে দিলাম। এরপর অন্য একটি পাতিলে এক কাপ দুধ ঢেলে নেবো। তারপর গুঁড়া দুধ দিয়ে মিশিয়ে নেবো।
😋২য় ধাপ😋
এরপর আদা পানি ফুটে উঠলে এর মধ্যে চা পাতি দিয়ে দেবো।
😋৩য় ধাপ😋
এবার অন্যদিকে দুধের মধ্যে চিনি আর মশলা দিয়ে মিশিয়ে নেবো।
😋৪র্থ ধাপ😋
এবার যে আদা চা বানিয়েছি তা দুধের মধ্যে ছাঁকনির সাহায্য ছেঁকে ঢেলে নেবো। এরপর একটু সময় সবগুলো নেড়েচেড়ে মিশিয়ে মশলা গুলো তুলে নেবো।
😋৫ম ধাপ😋
একটি বাটিতে তিন চামচ আগার আগার পাউডার নিয়ে নেবো। এরপর অল্প পানি দিয়ে গুলিয়ে নেবো। তারপর দুধের মধ্যে ঢেলে দেবো।
😋৬ষ্ট ধাপ😋
এবার যখন দুধ ঘন হয়ে আসবে তখন চুলা বন্ধ করে দেবো আর যেই বাটিতে সেট করবো তারমধ্যে ছাঁকনির সাহায্য ছেঁকে ঢেলে নেবো।
😋 শেষ ধাপ😋
এরপর ঠান্ডা হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করবো। যখন পুডিং ঠান্ডা হয়ে হবে তখন এটা আরও ভালো করে সেট হওয়ার জন্য নরমাল ফ্রিজে রেখে দেবো। তারপর ফ্রিজ থেকে বের করে একটি প্লেটে ঢেলে নেবো।
😋 ফাইনাল আউটপুট 😋
সবশেষে কিছু বাদাম কুচি দিয়ে পুডিং কে সুন্দর ভাবে সাজিয়ে নেবো। আশা করি আমার আজকের রেসিপি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। যদি এই রেসিপি ভালো লাগে আর এভাবে পুডিং তৈরি করে খেতে চান তাহলে এই পদ্ধতি দেখে তৈরি করে নিতে পারেন। আজ এখানেই আমার রেসিপি পোস্টের সমাপ্তি হলো। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন এবং নিরাপদে থাকবেন।
এতক্ষণ ধরে সময় নিয়ে আমার পোস্ট পড়ার জন্য আপনাদের সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই। |
---|
আমি তানজিমা। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার মাতৃভাষা বাংলা বলে আমি নিজেকে নিয়ে অনেক গর্ববোধ করি। আমি ফিন্যান্স বিভাগ থেকে বিবিএ শেষ করেছি।
আমি ছবি আঁকতে, পড়তে, লিখতে ফটোগ্রাফি, রেসিপি এবং ডাই বানাতে খুব পছন্দ করি। আবার আমি ভ্রমণ বা ঘুরাঘুরি করতে খুব পছন্দ করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে খুব পছন্দ করি। আমি চেষ্টা করি সব সময় যেন নতুন কোনো কিছু করা যায়।
মশলা পুডিং চা নাম দেখেই তো লোভ লাগছে আপু। এই ধরনের রেসিপি কখনো খাইনি। আজকে আপনার কাছে নতুন ধরনের রেসিপি দেখলাম। সত্যি আপু আপনার রেসিপি একেবারে ইউনিক হয়েছে। আমার কাছে অসাধারণ লেগেছে আপু।
আপু আমিও আগে কখনও খাইনি আর প্রথমবার খেয়ে ভালোই লেগেছে। আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
চায়ের পুডিং খুবই ভালো লাগলো দেখে। যদিও চা খেতে তেমন একটা ভালো লাগে না তবে মাঝে মাঝে ইচ্ছে হলেই খাই। মশলাপাতি দিয়ে অনেক সুন্দর ভাবে চা তৈরি করেছেন। আপনার তৈরি চা গরম গরম খেতে হয় তবে ভীষণ সুস্বাদু ছিল। তবে পুডিং খেতে কেমন লেগেছে সেটা আমার জানা নেই আশা করছি বেশ ভালো লেগেছিল।
আপনার সুন্দর মতামতের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
বাহ্ চা প্রেমীদের জন্য উপযুক্ত একটি পুডিং এর রেসিপি তৈরি করেছেন আপু। আমার কাছে একদম ইউনিক লেগেছে কখনো এ ধরনের রেসিপি দেখেনি। নিশ্চয়ই খেতে খুবই সুস্বাদু হবে। ডেকোরেশন বেশ ভালো লেগেছে। সব মিলিয়ে ইউনিক একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
হ্যাঁ আপু খেতে খুবই মজাদার ছিল, আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। আপনার সুন্দর মতামতের জন্য ধন্যবাদ।
আরে আপু আপনি তো দেখি আমার মতই চা প্রেমি। তবে আমি একটু বেশিই চা প্রেমি। যে কিনা যত গরমই হোক না কেন চা খাওয়া বন্ধ করি না। গরম হোক বা ঠান্ডা সব সময় দুই বেলা চা খেতেই হয়। তাও আবার দুধ চা। তবে আপনি যে আজকে মজার একটা রেসিপি বানিয়েছেন সেটা অনায়াসেই তৈরি করা যাবে। দারুন একটা রেসিপি শেয়ার করেছেন আপু। নামটা শুনে প্রথমে হাসছিলাম, চা আবার পুডিং,হাহাহা। এখন দেখলাম আসলেই তো দারুন একটা রেসিপি হলো এটা।
আপু বর্তমানে সবই সম্ভব,তাইতো পুডিং চা বানাতে পেরেছি। একদিন খেয়ে দেখবেন আশা করি ভালো লাগবে। ধন্যবাদ।
রেসিপিটি আমার খুবই পছন্দ হয়েছে আপু। অবশ্যই বানিয়ে দেখব ধন্যবাদ।
আপু সেই রেসিপি শেয়ার করবেন কিন্তু, অপেক্ষায় রইলাম।
সত্যি আপু ভিন্ন ধরনের রেসিপি। আপু আপনার আজ পোস্টটি অনেক ইউনিক একটি রেসিপি। এই প্রথম দেখলাম মশলা পুডিং চা। ঠিক বলেছেন আপু বাড়তি কিছু তৈরি করতে আলাদা একটা সময় লাগে। আর এই সময় নিয়ে আপনি চমৎকার একটি রেসিপি আজ আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন। এই গরমের মধ্যে মশলা পুডিং চাটি খেতে কিন্তু অনেক ভালো লাগবে।
হ্যাঁ আপু বাড়তি কিছু বানাতে সময়ের প্রয়োজন। আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। ধন্যবাদ।
আপু আপনার মশলা পুডিং চা আমার কাছে খুবই পছন্দ হয়েছে। আর আপনি খুবই সুন্দর ভাবে এটা পরিবেশন করেছেন। এভাবে তো কখনো পুডিং খাওয়া হয়নি। কিন্তুু আপনার রেসিপিটা দেখে বানিয়ে খাওয়ার ইচ্ছা জাগলো। ধন্যবাদ।
ভাইয়া তাহলে আজই বানিয়ে নেবেন। আশা করি ভালো লাগবে। ধন্যবাদ।
আপু আমি ভাবছি এই বুদ্ধিটা আপনার মাথায় কোথা থেকে আসলো এটা তো জীবনে কারো খাওয়াও দেখিনি বানানোও দেখিনি । আজ প্রথম আপনার মাধ্যমে দেখে নিলাম । জানিনা কেমন লাগবে খেতে । চা আমার কাছে কাপে করে চুমুক দিয়ে খেতেই ভালো লাগে ।এরকম ইউনিক জিনিস খাওয়ার সাহস পাচ্ছি না ।
আপু আমার কাছে তো ভালোই লেগেছে, একবার খেয়ে দেখতে পারেন। ধন্যবাদ সুন্দর মতামতের জন্য।
চা প্রেমী মানুষদের জন্য একদম পারফেক্ট একটি রেসিপি তৈরি করেছেন আপু। মশলা পুডিং চা রেসিপি আমার কাছে খুবই ইউনিক মনে হয়েছে। এই ধরনের খাবার কখনো খাইনি আপু। আমি অবশ্যই বাসায় ট্রাই করবো। নতুন একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
ভাইয়া খেয়ে আমাকে জানিয়েন কেমন লেগেছে। ধন্যবাদ।
আপু অনেক চা খেয়েছি কখনো পুডিং চা খাওয়া হয়নি। তবে চা খেতে আমার কাছে খুব ভালো লাগে। তবে আপনার মত আমার কাছেও গরমের সময় চা খেলে আরো বেশি গরম লাগে। তবে আপনার আইডিয়া অসাধারণ। মসলা দিয়ে অনেক সুন্দর করে পুডিং চা এর রেসিপি করেছেন।
আপু গরম লাগলেও চা খাওয়া বন্ধ করা যাবে না। তাই বিকল্প পদ্ধতি ব্যবহার করলাম। একবার বানিয়ে দেখবেন আশা করি ভালো লাগবে। ধন্যবাদ।
গরম যতোই হোক চা খোর দের চা খাওয়া বন্ধ হবে না তা আপনার এই মসলা পুডিং চা প্রমাণ 🙂।গরমে গরম চা খেলে গরম লাগবে তাতে কি এভাবে মসলা পুডিং চা খেলে তো আর ক্ষতি নেই বরং মন প্রাণ জুড়িয়ে যাবে এই চা খেলে।মসলা পুডিং নাম শুনে মোটেও ভাবিনি হলুূদ,লবন দেয়া চা কারণ শীতের দিনে বেশি সময় আমার মা মসলা চা বানিয়ে থাকে।তবে সে মসলা চা লাল চা হয়ে থাকে।আপনার মতো এতো লোভনীয় করে মসলা পুডিং চা কখনে খাওয়া হয়নি এবং এতো সুন্দর চা বানানোর বুদ্ধি মাথায় আসেনি কখনো।দারুণ বানিয়েছেন আপু।ধাপে ধাপে চা পুডিং তৈরি পদ্ধতি চমৎকার সুন্দর ভাবে আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর রেসিপিটি আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য।
আপু আমার কাছ থেকে যেহেতু এই বুদ্ধি পেয়েছেন তাহলে একটু কাজে লাগিয়েন। আশা করি খেয়ে ভালো লাগবে। ধন্যবাদ।