বৃষ্টি হওয়ার পরও ঢাকায় চলে আসতে হলো
আসলামু আলাইকুম |
---|
আজ দুপুর ১২ টায় ঢাকায় এসে পৌঁছালাম। গ্ৰামে গিয়ে এবারের মতো কষ্ট আর কখনও হয়নি। যার জন্য বাধ্য হয়ে ঢাকায় আসতে হলো। গ্ৰামে যেমন গরম তেমনি রয়েছে লোডশেডিংয়ের সমস্যা। ঢাকায় গরম লাগলেও লোডশেডিংয়ের সমস্যা নেই। এই দিক দিয়ে গ্ৰামে থেকে ঢাকাই ভালো। আমরা অন্য সময় গ্ৰামে গিয়ে অনেক দিন থাকি কিন্তু এবার সমস্যার জন্য ঈদের আগে পরে মিলিয়ে এক সপ্তাহ থেকে চলে এসেছি। সবদিকে কম বেশি বৃষ্টি হচ্ছিলো কিন্তু আমার শ্বশুর বাড়ির দিকে ঘূর্ণিঝড়ের পর থেকে কোনো বৃষ্টি নেই। কিন্তু আমার বাবার বাড়ি এই দিকে অনেক ভালো রয়েছে, বর্ষাকালের প্রথম থেকেই প্রতিদিন সকাল কিংবা বিকালে বৃষ্টি হয়ে পরিবেশ ঠান্ডা করে দিয়ে যাচ্ছে।
কিন্তু বাগেরহাট একদম ভিন্ন,তারা অনেক দিন যাবৎ বৃষ্টি দেখে না। সেই সময় আমরাও গিয়ে উঠলাম। সবসময় দেখবেন, গরম লাগলেও মানুষ কম থাকলে গরম একটু কম লাগে, কিন্তু যখন মানুষ বেশি থাকে তখন যেনো গরমের তাপ আরও বেড়ে যায়। আমি গিয়েছি আবার আমার ননদও এসেছে বাপের বাড়ি ঈদ করবে বলে আর এতে মানুষের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় গরম ও বেড়ে গিয়েছে। এর মধ্যে লোডশেডিংয়ের কথা আর কি বলবো। যেদিন গিয়েছি সেই আর পরের দিন ঠিক ছিল কিন্তু এরপর থেকে ১মিনিট থেকে ১ ঘন্টার জন্য চলে যায়।
আমার আর আমার ছেলের কখনও এত ঘামাচি হয়নি। এই প্রথম দু'জনের একদম পা থেকে মাথা পর্যন্ত ঘামাচিতে ভরে গিয়েছে। আমার হাজবেন্ড বলে এত সমস্যা নিয়ে থাকা যায় না, চলে যেতে হবে খুব তাড়াতাড়ি। আমার ননদ ও গরমের জন্য ঈদের পর দিনই তার শ্বশুর বাড়ি চলে যায়। কারণ তাদের টিনের ঘর আর রাত হলেই ঘর ঠান্ডা হয়ে ফ্যানের বাতাস ঠান্ডা হয়ে যায়। বর্তমানে যেই পরিমান গরম পড়েছে এতে বিল্ডিং থেকে টিনের ঘর সবচেয়ে বেশি আরামের।
মঙ্গলবার সারারাত কারেন্ট ছিলো না আর গরমে এতটাই অস্থির হয়ে পড়েছিলাম যা বুঝাতে পারবো না। এরপর আমার হাজবেন্ড সকালে ঘুম থেকে উঠেই অনলাইনে টিকেট কাটে। এরপর গতকাল দুপুর থেকেই বিকাল পর্যন্ত প্রচুর বৃষ্টি হয় আর সব কিছু ঠান্ডা হয়। বৃষ্টি হওয়ার পর আরেক সমস্যা নেট নেই আবার বজ্রপাতের কারণে কারেন্ট নেই। সব মিলিয়ে খুবই বাজে পরিস্থিতির মধ্যে দিন কাটাতে হয়েছে। আমি এই এক সপ্তাহে একদমই কাজ করতে পারিনি। এমন কি দু'দিন পর আজ পোস্ট করতে এসেছি।
একদিন পোস্ট না করলে কেমন যেনো অস্তির অস্তির লাগে আর দু'দিন ধরে পোস্ট করা হচ্ছে না। গরমে এবার ঠিক মতো খাওয়া দাওয়াও করতে পারিনি। অল্প অল্প খাবার খেয়েছি তারপরও মাঝে মাঝেই পেটের সমস্যা দেখা দিয়েছিলো। যাক অবশেষে ঢাকায় আসতে পেরেছি এটাই শুকরিয়া। গরম থাকলেও এখানেই ভালো। যাই হোক অনেক কথা বলেছি আজ আর নয়। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্টের মাধ্যমে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন এবং নিরাপদে থাকবেন।
আমি তানজিমা। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার মাতৃভাষা বাংলা বলে আমি নিজেকে নিয়ে অনেক গর্ববোধ করি। আমি ফিন্যান্স বিভাগ থেকে বিবিএ শেষ করেছি।
আমি ছবি আঁকতে, পড়তে, লিখতে ফটোগ্রাফি, রেসিপি এবং ডাই বানাতে খুব পছন্দ করি। আবার আমি ভ্রমণ বা ঘুরাঘুরি করতে খুব পছন্দ করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে খুব পছন্দ করি। আমি চেষ্টা করি সব সময় যেন নতুন কোনো কিছু করা যায়।
এইটা আপনি ঠিক বলেছেন গ্ৰামে লোডশেডিংয়ের প্রচুর সমস্যা। একবার কারেন্ট চলে গেলে আসে প্রায় দুই তিন ঘন্টা পর। তবে ঢাকাতে গরম লাগলে ও লোডশেডিংয়ের কোন সমস্যা নেই। তবে গ্ৰামে কারেন্ট না থাকলে ও প্রকৃতির যে শীতল বাতাসটা পাওয়া যায় সেটা ঢাকাতে খুব কমই পাওয়া যায়। ধন্যবাদ পোস্টটি সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
তা ঠিক বলেছেন গ্ৰামে প্রকৃতির শীতল বাতাস পাওয়া যায়। আপনার সুন্দর মতামতের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
এটা ঠিক গ্রামে লোডশেডিংটা একটু বেশীই হয়।আর নিয়মিত কাজ করতে না পারলে বিরক্তই লাগে।এই গরমে কারেন্ট না থাকলে আসলে খাওয়া-দাওয়া করে শান্তি নেই।আপনারা চলে এসে ভালো ই করেছেন। ঢাকায় তেমন লোডশেডিং হয়ও না।বাচ্চা নিয়ে কষ্ট করে আসলে থাকা যায় না।অনুভূতি গুলো খুব কষ্টেরই। ধন্যবাদ আপু শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু এই গরমে কারেন্ট না থাকলে কোনো কিছুই খেতে ইচ্ছে করে না। গ্ৰামে অতিরিক্ত লোডশেডিং রয়েছে আর সেজন্যেই চলে আসতে হলো। ধন্যবাদ।