ভৌতিক গল্প || তেঁতুল গাছের ভয়ংকর গল্প(শেষ পর্ব)
আজ আবারও নতুন একটি পোস্ট নিয়ে চলে এসেছি। সবসময় নতুন পোস্ট শেয়ার করতে খুব ভালো লাগে। বিশেষ করে যখন আমি জেনারেল রাইটিং ও গল্প শেয়ার করি তখন বাস্তবে ঘটে যাওয়া ঘটনা তুলে ধরার চেষ্টা করি। তেমনি আজ একদম বাস্তবের ঘটনা শেয়ার করতে চলে এসেছি। আশা করি আমার এই গল্প আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
আজ গল্পের বাকি অংশ শেয়ার করতে চলে এসেছি। যখন সবাই গাছ কেটে ফেলার জন্য বলছিলো তখন লোকটি বাধ্য হলো তেঁতুল গাছ কাটতে। লোকটি বারবার বলছিলো এই তেঁতুল গাছ অনেক পুরোনো কাটলে সমস্যা হতে পারে। কিন্তু মানুষ কাটতে বাধ্য করে ছাড়লো। যেদিন তেঁতুল গাছ কেটেছে, তারপর দিন থেকেই যেই লোকের গাছ, সেই লোকের পরিবারের একেক জন সদস্য অসুস্থ হওয়া শুরু করে দিলো। লোকটি এই সমস্যা দেখে খুব চিন্তিত হয়ে পড়লো।
লোকটি কি করবে বুঝতে পারছে না। একদিন দু'দিন পর পরই কেউ না কেউ অসুস্থ হয়ে পড়ছে। এরপর লোকটি এক কবিরাজ নিয়ে আসে। সেই কবিরাজ বাড়িতে এসেই বুঝতে পারে এই বাড়িতে জ্বীনের বসবাস রয়েছে। এরপর কবিরাজ রাত ১২ টা বাজে ঐ লোকের বাড়ির উঠানে মোমবাতি জ্বালিয়ে জ্বীন কে ডাকে। প্রথমে জ্বীন আসতে চাচ্ছিলো না। এরপর অনেকক্ষন ডাকার পর এসে হাজির হয়। তার কাছে জানতে চাওয়া হলো কেন এভাবে মানুষের ক্ষতি করা হচ্ছে?
এরপর জ্বীন রেগে গিয়ে বলে আমাদের থাকার জায়গা নষ্ট করে দিয়েছে তাই তাদের শাস্তি দেওয়া হচ্ছে। এই শাস্তি সারাজীবন তারা পাবে। তখন হুজুর বললো এই শাস্তি থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় নেই। তারপর জ্বীন বললো আছে যদি আরেকটি তেঁতুল গাছ লাগানো হয় তাহলে আর তারা শাস্তি পাবে না। এরপর হুজুর বলে ঠিক আরেকটি গাছ লাগানো হবে কিন্তু শর্ত আছে আপনারা আশেপাশের বাড়ির মানুষদের ভয় দেখাতে পারবে না। তখন জ্বীনেরাও এই কথা মেনে নেয়।
এরপর জ্বীন চলে যায় আর ঐ লোকটি সকালেই একটি তেঁতুলের চারা এনে লাগিয়ে দেয়। তারপর থেকে আর কেউ অসুস্থ হয়না। এখন সেই গাছ আবারও অনেক বড় হয়ে গিয়েছে। কিন্তু জ্বীনেরাও তাদের কথা রেখেছে। তারা কাউকে ভয় দেখায় না। এভাবেই সারাজীবন এই তেঁতুল গাছ সেখানে থাকবে আর যদি গাছ মরে যায় তাহলে আবার নতুন করে লাগাতে হবে। যাই হোক আমার গল্প আজ এখানেই শেষ করলাম। আজ এই পর্যন্তই আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্টের মাধ্যমে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি তানজিমা। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার মাতৃভাষা বাংলা বলে আমি নিজেকে নিয়ে অনেক গর্ববোধ করি। আমি ফিন্যান্স বিভাগ থেকে বিবিএ শেষ করেছি।
আমি ছবি আঁকতে, পড়তে, লিখতে ফটোগ্রাফি, রেসিপি এবং ডাই বানাতে খুব পছন্দ করি। আবার আমি ভ্রমণ বা ঘুরাঘুরি করতে খুব পছন্দ করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে খুব পছন্দ করি। আমি চেষ্টা করি সব সময় যেন নতুন কোনো কিছু করা যায়।
এজাতীয় গল্পগুলো আগে যখন শুনতাম খুবই ভয় লাগতো আমার। তবে এখন আর ভয় মনে হয় না। আজকে আপনি আমাদের মাঝে বেশ ভীতি কর একটি গল্প শেয়ার করেছেন। তেঁতুল গাছের কথা মনে আসলেই ভয় লাগে ছোটবেলায় এই নিয়ে অনেক গল্প শুনতাম। ঠিক তেমনি আপনার আজকের এই ভয়ানক কাহিনী। আমি ছোটবেলায় শুনেছি জিন পরী রা বটগাছ তেঁতুল গাছে থাকে।
এ ধরনের গল্প শুনে আগে ভয় পেতেন কিন্তু এখন ভয় পান না জেনে ভালো লাগলো। ভয় না পাওয়াই ভালো। যাই হোক আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। ধন্যবাদ।
প্রথম পর্ব পড়েছিলাম এই তেঁতুল গাছের ভুতের কেচ্ছা কাহিনি আর আজ এই পর্ব পড়লাম।আসলে সবাই বাধ্য করার কারণে লোকটি গাছ কেটেছে এবং তার পরিবার অসুস্থ হয়েছে কারণ জিন তার থাকার জায়গা হারিয়ে ওই লোকের বাড়িতে বসবাস শুরু ও ঐ পরিবারের ক্ষতি করা শুরু করেছিলো।পরবর্তীতে কবিরাজ এসে জিনকে ডেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক পর্যায়ে এনেছে জেনে ভালো লাগলো।ধন্যবাদ পোস্ট টি আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য।
হ্যাঁ আপু কবিরাজ জ্বীনকে ডেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে নিয়েছে বলে এখন পর্যন্ত সবাই খুব ভালোভাবে বসবাস করতে পারছে আর কখনো কোন সমস্যা হয়নি। আপনার সুন্দর মতামতের জন্য ধন্যবাদ।
জ্বিনে ডেকে এনে তাদেরকে জিজ্ঞেস করে তাদের চাওয়া পূরণের ব্যাপারটা আমার কাছে অদ্ভূত লাগতো। আমি দেখেছি আমাদের গ্রামে এমন ঘটনা। একটা দেখেছিলাম, জ্বিনের চাওয়া ছিল একটা ছাগল! যাইহোক, আরেকটি তেতুল গাছ লাগানোতে এখন জ্বিন কাউকে ভয় দেখায় না জেনে ভালো লাগলো।
হ্যাঁ ভাইয়া তারা এই সমস্যার সমাধান করার জন্য জ্বীনকে ডেকে এনেছে। এমনকি এখন পর্যন্ত আর কোন সমস্যা হয়নি। ধন্যবাদ।
এরকম গল্প পড়তে খুবই ভালো লাগে৷ এই গল্পের প্রথম পর্বটি আমি পড়েছিলাম৷ আজকে এর দ্বিতীয় পর্ব পড়ে খুবই ভালো লাগলো৷ আসলে তেঁতুল গাছে ভূত থাকে এরকম ঘটনা সম্পর্কে আমরা অনেকেই অবগত রয়েছি৷ আর এই ব্যক্তি যখন তেঁতুল গাছটি কেটে ফেললো তখন সেই জিন তার থাকার জায়গা হারিয়ে ফেলল এবং সে ওই ব্যক্তির বাসায় চলে গেলে৷ তার বাসার সকলের ক্ষতি করা শুরু করলো৷ পরবর্তীতে কবিরাজ তাকে ডেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক পর্যায়ে এনেছিল শুনে খুব ভালো লাগলো৷ ধন্যবাদ এই গল্পটি শেয়ার করার জন্য৷
আপনার কাছে এই গল্প ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। ধন্যবাদ।
এত সুন্দর গল্প পড়লে ভালো লাগবেই।
এরকম ভৌতিক গল্প আগেও অনেক শুনেছি আপু, যে তেঁতুল গাছে ভূত বা জ্বীন থাকে। তারপর সেই তেতুল গাছ কেটে ফেললে তাদের উপর অত্যাচার শুরু করে। তবে এখানে যে পরবর্তীতে কবিরাজ এসে জ্বীনকে ডেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক পর্যায়ে এনেছে, এটাই সব থেকে বেশি দরকার ছিল। তবে জ্বীনেরা যেহেতু প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যে, নতুন করে তেতুল গাছ লাগালে তাদের ক্ষতি করবে না, তার মানে আর হয়তো কোন সমস্যা হবে না ভবিষ্যতে।
হ্যাঁ ভাইয়া তারা প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাদের এই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছে। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত আর কোন সমস্যা হয়নি। যাই হোক আপনার সুন্দর মতামতের জন্য ধন্যবাদ।
এখন পর্যন্ত যদি আর কোন সমস্যা না হয়, তাহলে তো খুব ভালো ব্যাপার আপু।