লাইফস্টাইল: গ্ৰামে শীতের বিকালে কাটানো কিছু সুন্দর মুহূর্ত
আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সবাইকে জানাই আমার সালাম। আসসালামু-আলাইকুম। আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় সুস্থ আছি এবং ভালো আছি।
আজ একদম ভিন্ন পোস্ট নিয়ে চলে আসলাম। ঢাকায় তেমন শীত নেই বলে গ্ৰামে এসেছিলাম শীত উপভোগ করতে। কিন্তু এসে তো মনে হচ্ছে বিপদে পড়ে গেলাম। এত পরিমাণ ঠান্ডা যে কম্বলের নিচ থেকেই বের হতে ইচ্ছে করে না। সকালে মনে হচ্ছিল বৃষ্টি পড়ে বের হয়ে দেখি শিশির বিন্দু পড়ে। এত পরিমাণ কুয়াশা যেন হাত বাড়ালে হাত দেখা যায় না। এত কুয়াশার জন্য সকালের শীত উপভোগ করার সুযোগ হয়নি। বাহিরে যেতেই ভয় লাগে এছাড়া আরেকটা কারণ ছেলে। আমি ভোরবেলা উঠে একটু বাহিরে বের তার কোনো উপায় নেই। ছেলেও আমার সাথে সাথে ঘুম থেকে উঠে যায়।
তবে কষ্টের মধ্যে একটা জিনিস ভালো রয়েছে তা হলো সকাল ১০ টার পর থেকে রোদ শুরু হয় একদম বিকাল পর্যন্ত থাকে। ঢাকায় আমি শীতের রোদ খুঁজেও পাই না। আমার বারান্দায় একদমই আসে না আর বাড়িতে আসার পর থেকে প্রতিদিন রোদে বসা হয়। শীতের দিনের রোদ কিন্তু বড় ছোট সবার জন্য উপকারী। শীত যদি নাই থাকে তাহলে শীতের কোনো মজা নেই। এত সুন্দর ঝলমলে রোদ দেখে আমার শ্বাশুড়ি বলে চলো একটু হেঁটে আসি।
এরপর আমার শ্বাশুড়ি আর ননদকে নিয়ে হাঁটতে বের হয়ে গেলাম। বাড়ির একটু সামনেই ফসলি জমি আর যেহেতু ধান কাটা শেষ তাই সবার ক্ষেত খালি পরে রয়েছে। সেখানে গিয়ে শীতের দিনের গ্ৰামীণ এত সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। আমরা ঢাকায় সবসময় বন্দী থাকি বলে হয়তো হঠাৎ দেখলে খুব ভালো লাগে। কিন্তু গ্ৰামের মানুষ এই দৃশ্য সবসময় দেখে বলে তাদের কাছে ভালো লাগে না। যখন রাস্তায় দাঁড়িয়ে রয়েছি তখন অনেক দূরে একটি লোককে দেখতে পেলাম মাথায় ধানের বোঝা নিয়ে যাচ্ছে। অনেক দিন পর এই দৃশ্য দেখে খুব ভালো লাগলো।
চিন্তা করলাম এত সুন্দর দৃশ্য ক্যামেরা বন্দি না করলেই হয় না। এরপর দেখতে পেলাম একটি গাছের সব পাতা পড়ে একদম খালি হয়ে গিয়েছে আর তারপাশেই আরেকটি গাছ পাতায় ভরা। এরপর সূর্যটাকে ক্যামেরা বন্দি করার চেষ্টা করলাম কিন্তু তখনও সূর্য কিরণ দিচ্ছে বলে তেমন ফটোগ্রাফি করা হয়নি। এই দৃশ্য যেন যত দেখি ততই মুগ্ধ হয়ে যাই। একেক ঋতুতে প্রকৃতি একেক রূপে সেজে উঠে আর দেখতেও খুব সুন্দর লাগে।
এরপর দেখতে পেলাম একটি বাড়িতে গরুর গোবর দিয়ে ঘুটে দেয়া রয়েছে। এগুলো অনেক ছোট বেলায় আমাদের গ্ৰামে দেখেছিলাম আর এত বছর পর দেখে সাথে সাথে ফটোগ্রাফি করে নিলাম। তখন একটি লোক জিজ্ঞেস করে তুমি কি করো আর আমার ননদ বললো ওর কিছু কাজের জন্য ছবি তুলে। তখন লোকটি বললো আচ্ছা তাহলে বেশি করে তুলো। তার এই কথা শুনে খুব মজা পেলাম।
আমার বিয়ের পর এই প্রথম শীতে শ্বশুর বাড়ি বেড়াতে এসেছি। তবে তাদের দিকে একটা জিনিস খুব মিস করি তা হলো সরিষা ফুল। এদিকে এগুলো চাষ করা হয় না কিন্তু আমাদের দিকে আবার সরিষা ফুল প্রচুর চাষ হয়। তবে শীতকালীন সৌন্দর্য সব গ্ৰামে একই রকম আর এই সৌন্দর্য দেখতেও খুব ভালো লাগে। গ্ৰামের এই সৌন্দর্য যত দেখি ততই যেন আরও বেশি দেখতে ইচ্ছে করে। যাই হোক আজ অনেক কথা বলেছি আবার দেখা হবে অন্য একদিন। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন এবং নিরাপদে থাকবেন।
আমি তানজিমা। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার মাতৃভাষা বাংলা বলে আমি নিজেকে নিয়ে অনেক গর্ববোধ করি। আমি ফিন্যান্স বিভাগ থেকে বিবিএ শেষ করেছি।
আমি ছবি আঁকতে, পড়তে, লিখতে ফটোগ্রাফি, রেসিপি এবং ডাই বানাতে খুব পছন্দ করি। আবার আমি ভ্রমণ বা ঘুরাঘুরি করতে খুব পছন্দ করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে খুব পছন্দ করি। আমি চেষ্টা করি সব সময় যেন নতুন কোনো কিছু করা যায়।
পড়ন্ত বিকেলে প্রকৃতি পরিবেশে বেশ সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। আসলে বিকেল বেলায় প্রকৃতির পরিবেশে বাইরে ঘুরতে গেলে বেশ ভালো লাগে। শীতের মুহূর্তে প্রকৃতির পরিবেশে নিশ্চই বেশ সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছেন। শীতের সময় বিকেল বেলায় সময় কাটানোর অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
হ্যাঁ ভাইয়া শীতের বিকেলে ঘোরাঘুরি করতে ভালোই লাগে। ধন্যবাদ সুন্দর মতামতের জন্য।
শীতের আসল মজা উপভোগ করতে হলে গ্রামের পরিবেশে যাওয়া উচিত। কারণ শহরের বন্দী জীবনে আসলে কিছু দেখা যায় না। শহরের চার দেওয়ালের মধ্যে কোন কিছু উপভোগ করার মত নেই। আপনি গ্রামে গেলেন বেশ ভালো লাগলো শুনে। যেহেতু শীতের ঋতুতে আপনি গ্রামে যেয়ে অনেক আনন্দ উপভোগ করতেছেন। যা আপনার শেয়ার করা সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফির মাধ্যমে বোঝা যাচ্ছে।
ঠিক বলেছেন আপু শহরের চার দেয়ালের ভিতরে থাকতে ভালো লাগে না। আপনার সুন্দর মতামতের জন্য ধন্যবাদ।
গ্রামেও খুব একটা শীত ছিল না তবে আজ ছয় দিন যাবত বেশ শীত অনুভব করা যাচ্ছে। আর কয়েকদিন তো একদম বৃষ্টির মত কুয়াশা পড়েছে শুধু আপনাদের এলাকায় না এটা সব এলাকায় হয়েছে। গ্রামে আসার পর আপনার অনুভূতিটা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
হ্যাঁ ভাইয়া সকাল বেলা পানির টপ টপ শব্দ শুনে তাকিয়ে দেখি কুয়াশা বৃষ্টি হচ্ছে। ধন্যবাদ সুন্দর মতামতের জন্য।
ঢাকা শহরে খুব একটা বেশি শীতের দেখা না পেলেও গ্রামে গিয়ে শীতের দেখা পেয়েছেন জেনে ভালো লাগলো। গ্রামে বর্তমান সময়ে প্রচুর শীত পড়ছে আর এই শীতের সময়ে শীত উপভোগ করার জন্যই মূলত গ্রামে গিয়েছেন বোঝাই যাচ্ছে। শাশুড়ি এবং ননদকে নিয়ে হাটাহাটি করেছেন কিছুটা সময় হাটাহাটি করার মুহূর্তে দারুন কিছু সুন্দর মুহূর্তের ফটোগ্রাফি করেছেন দেখছি। ধন্যবাদ বিকেল বেলা কাটানো কিছু মুহূর্ত আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।
হ্যাঁ ভাইয়া ঢাকা থেকে গ্ৰামে প্রচুর শীত আর আমার কাছে খুব ভালোও লাগছে। আপনার সুন্দর মতামতের জন্য ধন্যবাদ।
ঢাকার শীত নেই। তাই আপনি ভেবে নিয়েছেন গ্রামেও শীত লাগবে না।কিন্তু গিয়ে দেখছি ভীষণ বিপদের পরেছেন।আসলে শৈত্য প্রবাহের কারনে এমনটা হয়েছে।আপনি ননদ ও শ্বাশুড়িকে নিয়ে চমৎকার শীতের সকাল উপভোগ করলেন।আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলো ভীষণ ভালো লেগেছে। সোনালী সূর্যের ঝলমলে আলো শীতের সময়টাতে অনেক বেশি ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপু অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।
আপু এই সময়টায় গ্ৰামেই সবচেয়ে বেশি আনন্দ। আপনার সুন্দর মন্তব্য পড়ে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।
শীতকালে শহর এলাকায় সূর্যের আলো দেখা যায় না আপু এই বড় বড় বিল্ডিং গুলোর কারণে। এটা আমি নিজেও ফেস করি। তবে এই সময়টাতে গ্রামের যে সৌন্দর্য সেটা অন্য কোথাও পাওয়া যাবে না। আপনি গ্রামীন পরিবেশে সুন্দর সময় কাটিয়েছেন সেটা আপনার পোস্ট পড়েই বুঝতে পারলাম। তবে গ্রামের লোক আপনার মত এরকম মজা পাবে না এটাই স্বাভাবিক। কারণ তারা তো প্রতিনিয়ত সেটা দেখছে। তাছাড়া আপনি যেহেতু প্রথম বিয়ের পর শ্বশুর বাড়ি গেছেন তাহলে তো অন্যরকম মজা হচ্ছে। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
হ্যাঁ আপু প্রথমবার শীতে শ্বশুর বাড়িতে এসে খুব আনন্দ হচ্ছে। আপনার সুন্দর মন্তব্য পড়ে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।
গ্রামের মানুষ শীতকাল সবচেয়ে বেশি উপভোগ করতে পারে। কুয়াশাচ্ছন্ন সকাল দেখতে পারে এবং নির্ভেজাল খেজুরের রস খেতে পারে। তাছাড়া মনোমুগ্ধকর পরিবেশ উপভোগ করতে পারে। যাইহোক আপনারা বিকেলে খোলামেলা পরিবেশে বেশ ভালোই হাঁটাহাঁটি করেছেন। খোলামেলা পরিবেশের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে চোখ দুটি একেবারে জুড়িয়ে গিয়েছে। সবমিলিয়ে বেশ ভালো লাগলো পোস্টটি। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
তারজন্যই তো গ্ৰামের মানুষ শহরের মানুষের থেকে বেশি সুস্থ থাকে। আপনার সুন্দর মতামতের জন্য ধন্যবাদ।