বাগেরহাটের সুন্দরবন রিসোর্ট ভ্রমণ (পর্ব-১)
বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। আজ আবারও চলে আসলাম অন্য রকম একটি পোস্ট নিয়ে। এবার ঈদে এসে একটু ঘোরাঘুরি করলাম। আমার বিয়ে হয়েছে পাঁচ বছর হলো। কিন্তু এখনো পর্যন্ত শ্বশুর বাড়িতে এসে কোথাও ঘুরতে যেতে পারিনি। বিভিন্ন কারণে আর যাওয়া হয়নি। এবার ঢাকা থেকে আসার আগেই আমরা প্লেন করে এসেছি। ঈদের পর পরিবারের সবাই মিলে ঘুরতে যাব।
আমার শ্বাশুড়ির গতকাল ডাক্তারের কাছে সিরিয়াল দেওয়া ছিল। তখন আমরা চিন্তা করলাম ডাক্তার দেখাতে যাব যখন তাহলে ঘোরাঘুরি করেও আসি। ডাক্তার দেখাতে বেশি সময় লাগবে না তাই আমরা রাজি হলাম। সকাল ১০ টায় ডাক্তারের কাছে সিরিয়াল দেওয়া ছিল তারজন্য আমরা সকাল ৮ টায় বাড়ি থেকে বের হয়েছি। আমার শ্বশুর বাড়ি থেকে বাগেরহাট জেলা অনেক দূরে তারজন্য ভেবেছিলাম যেতে হয়তো অনেক সময় লাগবে। কিন্তু অটোরিকশা রিজার্ভ করে নিয়ে যাওয়াতে তাড়াতাড়ি চলে গিয়েছে।
ডাক্তার যেখানে বসে সেখানে যেতে আমাদের সাড়ে নয়টা বেজে যায়। এরপর ডাক্তার দেখিয়ে সেখান থেকে বের হতে ১২ টা বেজে যায়। এরপর আমরা অটোরিকশা করে প্রথমে চলে যাই সুন্দরবন রিসোর্টে। আমি এই প্রথম সেখানে ঘুরতে গেলাম। অটোরিকশা থেকে নেমে রিসোর্টের মেইন গেট দেখেই মুগ্ধ হয়ে গেলাম। আমি বুঝতে পারলাম ভিতরে খুব সুন্দর হবে। আমার ননদ এর আগে অনেক বার এসেছিল তারজন্য সে বললো ভিতরে চলো আরও সুন্দর দেখবে।
এটা একটা পার্ক আর এখানে ছোট ছোট কিছু প্রাণি রাখা রয়েছে। এর ভিতরে প্রবেশ করতে জন প্রতি ৫০ টাকা। আমরা টিকেট কেটে ভিতরে যেতেই বৃষ্টি শুরু হলো। এর ভিতরে এত সুন্দর বসার জায়গা রয়েছে তা দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। আমরা গিয়ে সেখানে বসলাম আর লক্ষ্য করলাম এর পাশেই খুব সুন্দর খাল রয়েছে যেখানে বৃষ্টির পানি পড়াতে দেখতে খুব সুন্দর লাগছে। কিছুক্ষণ বৃষ্টি পড়ে থেমে যায়। এরপর আমরা হাঁটা শুরু করি। এর ভিতরের রাস্তা খুব সুন্দর আর সেজন্য কোথাও কাঁদা জমা নেই।
এর ভিতরে প্রতিটা জায়গায় মাটি দিয়ে বিভিন্ন ধরনের প্রাণী বানিয়ে সাজিয়ে রাখা হয়েছে। এই পার্কের সৌন্দর্য বলে শেষ করা যাবে না। এখানে বিভিন্ন ধরনের ফুলের গাছ রয়েছে।এমন কি বাচ্চাদের জন্য খুব সুন্দর খেলাধুলার ব্যবস্থাও রয়েছে। সেজন্য যাদের ছেলেমেয়ে আছে তারা সেখানে গিয়ে অনেক মজা পায়। বাঘ আর বকের মূর্তি বানিয়ে সবাইকে খুব সুন্দর ভাবে স্বাগতম জানানো হয়েছে।
এরপর সুন্দর একটি ড্রাগন আর হরিণের মূর্তি বানিয়ে রেখে দেওয়া হয়েছে রাস্তার পাশেই। এরপর আবার রাস্তার দু'পাশে দাবা খেলার গুটি বানিয়ে সুন্দর ভাবে সাজানো হয়েছে।এরপর একটু সামনে গিয়ে দেখি একটি লোকের বসে থাকার খুব সুন্দর মূর্তি বানানো আর আমিও তার পাশে বসে ছবি তুলে নিলাম। এর একটু সামনে এগিয়ে বিরাট বড় ঈগল পাখির মূর্তি দেখতে পেলাম। ছেলের জুতা অটোরিকশায় রেখে গিয়েছিলাম তারজন্য তাকে কোনোভাবে কোল থেকে নামানো সম্ভব হচ্ছিলো না। এরপর অনেক বুঝিয়ে একটু নামালাম।
আমার প্রথম পর্ব এখানে শেষ করলাম। এই পার্ক এতটাই বড় আমরা সম্পূর্ণ ঘুরে শেষ করতে পারিনি। যতটুকু ঘুরেছি তা পর্ব আকারে শেয়ার করার চেষ্টা করবো। আমরা সেদিন অনেক জায়গায় ঘোরাঘুরি করেছি আপনাদের সাথে সেই সুন্দর মুহূর্ত গুলোও শেয়ার করবো। কিন্তু তারজন্য যে আপনাদের সবসময় আমার পোস্ট দেখতে হবে। যাই হোক আমার লেখা আজ এখানেই শেষ করলাম আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন এবং নিরাপদে থাকবেন।
ক্যামেরার বিবরণ
ডিভাইসের নাম vivo
ফটোগ্রাফার @tanjima
ক্যাটাগরি ভ্রমণ
লোকেশন বাগেরহাট
আমি তানজিমা। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার মাতৃভাষা বাংলা বলে আমি নিজেকে নিয়ে অনেক গর্ববোধ করি। আমি ফিন্যান্স বিভাগ থেকে বিবিএ শেষ করেছি।
আমি ছবি আঁকতে, পড়তে, লিখতে ফটোগ্রাফি, রেসিপি এবং ডাই বানাতে খুব পছন্দ করি। আবার আমি ভ্রমণ বা ঘুরাঘুরি করতে খুব পছন্দ করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে খুব পছন্দ করি। আমি চেষ্টা করি সব সময় যেন নতুন কোনো কিছু করা যায়।
|| আমার বাংলা ব্লগ-শুরু করো বাংলা দিয়ে ||
>>>>>|| এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
|| Join Heroism Discord Server for more Details ||
ডিভাইসের নাম | vivo |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @tanjima |
ক্যাটাগরি | ভ্রমণ |
লোকেশন | বাগেরহাট |
আমি তানজিমা। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার মাতৃভাষা বাংলা বলে আমি নিজেকে নিয়ে অনেক গর্ববোধ করি। আমি ফিন্যান্স বিভাগ থেকে বিবিএ শেষ করেছি।
আমি ছবি আঁকতে, পড়তে, লিখতে ফটোগ্রাফি, রেসিপি এবং ডাই বানাতে খুব পছন্দ করি। আবার আমি ভ্রমণ বা ঘুরাঘুরি করতে খুব পছন্দ করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে খুব পছন্দ করি। আমি চেষ্টা করি সব সময় যেন নতুন কোনো কিছু করা যায়।
আপু আপনার বাগেরহাটের সুন্দরবন রিসোর্ট ভ্রমণ দেখে অনেক ভালো লাগল। সত্যি আপু মাঝে মাঝে এভাবে ঘোরতে গেলে অনেক ভালো লাগে। আসলে শশুর বাড়িতে না থাললে মাঝে মাঝে গেলে আর বাইরে যাওয়া হয় না।যাইহোক আপনি শাশুড়িকে ডাক্তার দেখাতে গিয়ে বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন জেনে অনেক ভালো লাগল। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
হ্যাঁ আপু অল্প সময় নিয়ে আসি বলে কোথাও ঘুরতে যেতে পারিনা। খুব সুন্দর মন্তব্য করেছেন। ধন্যবাদ।
বাগেরহাটের সুন্দরবন রিসোর্ট ভ্রমনে গিয়ে খুব ভালো মুহূর্ত কাটিয়েছিলেন মনে হচ্ছে। এরকম জায়গাগুলোতে যাওয়ার ফলে খুব ভালো মুহূর্ত কাটানো যায়। বিভিন্ন রকমের মূর্তি দেখি আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে বাহিরের বড় গেট যেমন সুন্দর তেমনি ভিতরের দিকটাও অনেক বেশি সুন্দর। আপনাদের ঘুরাঘুরি করার প্রথম পর্ব খুব ভালো লেগেছে, পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় থাকলাম।
হ্যাঁ আপু এমন জায়গায় ঘোরাঘুরি করতে অনেক ভালো লাগে। আপনার সুন্দর মতামতের জন্য ধন্যবাদ।
আপনারা তো দেখছি বাগেরহাটের সুন্দর বন রিসোর্টে খুব ভালো মুহূর্ত অতিবাহিত করেছিলেন। সেখানে ঢোকার সাথে সাথেই বৃষ্টি শুরু হয়ে গিয়েছিল এটা জেনে খারাপ লাগলো। তবে খুব অল্প সময়ের মধ্যে বৃষ্টি থেমে গিয়েছিল এই বিষয়টা ভালো লেগেছে। আর আপনারা অনেকক্ষণ পর্যন্ত জায়গাটিতে ঘুরাঘুরি করেছিলেন। বিভিন্ন রকমের এলোমেলো ফটোগ্রাফি করে আমাদের মাঝে সেগুলো শেয়ার করেছেন দেখে ভালো লেগেছে।
এমন বৃষ্টিতে ঘুরতে কিন্তু ভালোই লাগে। সুন্দর মতামতের জন্য ধন্যবাদ।