ডিমের খোসা ও ওয়ান টাইম বক্স দিয়ে ওয়ালমেট
আসসালামু আলাইকুম
আজ আবারও ভিন্ন ধরনের পোস্ট নিয়ে চলে এসেছি। পোস্টের ভিন্নতা আনতে সবসময় চেষ্টা করি ভিন্ন ধরনের পোস্ট শেয়ার করতে। সেই জন্য চলে আসলাম ভিন্ন পোস্ট নিয়ে। আজ ডিমের খোসা ও ওয়ান টাইম বক্স দিয়ে ওয়ালমেট নিয়ে আসলাম। আজকের এই ওয়ালমেট বানাতে অনেক সময় লেগেছিল। এই ওয়ালমেট বানানোর পর দেখতে খুবই সুন্দর লেগেছে আর দেয়ালে টাঙ্গানোর পর দেখতে আরও বেশি সুন্দর দেখাচ্ছিল। ঘরে কিছু ডিমের খোসা ও ওয়ান টাইম বক্স ছিল তাই চিন্তা করলাম এগুলা দিয়ে কিছু একটা বানাতে হবে।
এরপর ওয়ালমেট বানানোর আইডিয়া মাথায় আসে। তাই সাথে সাথে ওয়ালমেট বানাতে বসে পড়লাম। কিন্তু কোনটা দিয়ে কি বানাবো বুঝতে পারছিলাম না। তখন আমার ছেলে বলে আম্মু ডিম দিয়ে ফুল বানিয়ে দাও। ছেলের এই কথা কাজে লাগিয়ে ডিমের খোসা কাঁটা শুরু করলাম। এরপর সেই খোসা দিয়ে ফুল বানালাম আর ওয়ান টাইম বক্স দিয়ে ডালপালা আর পাতা বানিয়ে নিলাম। সম্পূর্ণ শেষ হবার পর দেখতে বেশ সুন্দর লাগছিলো। আশা করি আপনাদের কাছেও ভালো লাগবে। তাহলে চলুন ধাপগুলো দেখে নেওয়া যাক।
প্রয়োজনীয় উপকরণ:
১. ডিমের খোসা ৪টি
২. ওয়ান টাইম বক্স ১টি
৩.পোস্টার রং
৪.তুলি
৫.কাচি
৬.গাম
৭.শক্ত কাগজ
৮. সাদা পেপার
ওয়ালমেট বানানোর ধাপসমূহ
🌼১ম ধাপ🌼
প্রথমে কাঁচি দিয়ে খুব সাবধানে ডিমের খোসা কেটে ছোট করে নিলাম।
🌼২য় ধাপ🌼
এবার ডিমের খোসার টুকরো অংশ একদম গুঁড়া করে নেবো।
🌼৩য় ধাপ🌼
এবার ডিমের খোসার ভিতরে লাল কালার পোস্টার রং দিয়ে কালার করে নেব।এরপর মাঝখানে হলুদ রং দিয়ে একটা ফোঁটা দিয়ে দেবো।
🌼৪র্থ ধাপ🌼
এবার যাতে ফুল বুঝা যায় তারজন্য খোসার চারপাশে আরও কিছু হলুদ ফোঁটা দিয়ে দেবো।
🌼৫ম ধাপ🌼
এবার ওয়ান টাইম বক্সের উপরে পেন্সিল দিয়ে কলসি এঁকে নেব। এরপর এর উপরে গাছের ডাল পালা এঁকে নেব।
🌼৬ষ্ট ধাপ🌼
এবার কাঁচি দিয়ে সুন্দর ভাবে কেটে নেবো। এরপর কিছু অংশ কালো কালার করে নেব।
🌼৭ম ধাপ🌼
এবার ডালগুলো কালার করে নেব।
🌼৮ম ধাপ🌼
এবার ডিমের গুড়া অংশ গুলো কলসির উপরে গাম দিয়ে লাগিয়ে নেবো।
🌼৯ম ধাপ🌼
এবার শক্ত পেপারের উপরে সাদা কাগজ গাম দিয়ে লাগিয়ে নেবো।
🌼১০ম ধাপ🌼
এখন কলসি গাম দিয়ে সাদা কাগজের উপর লাগিয়ে নেবো।
🌼১১তম ধাপ🌼
এবার ওয়ান টাইম বক্স কেটে পাতা বানিয়ে নেব। এরপর পাতা কালার করে নেব।
🌼১২তম ধাপ🌼
এবার পাতা ও ডিমের খোসা দিয়ে বানানো ফুল গাম দিয়ে কলসির গায়ে লাগিয়ে নেবো। এরপর কলসির উপরে একটু হলুদ কালার করে নেব।
🌼১৩ তম ধাপ🌼
এবার কালো কালার পেপার লম্বা করে কেটে নেবো। এরপর গাম দিয়ে ওয়ালমেটের চারপাশে লাগিয়ে নেবো।
🌼 শেষ ধাপ🌼
এবার সবশেষে ওয়ালমেটের পিছনে সুতা বেঁধে নেবো। তাহলেই হয়ে যাবে আমার আজকের ডিমের খোসা ও ওয়ান টাইম বক্স দিয়ে ওয়ালমেট।
এবার সবার মাঝে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি। আমার তৈরি করা এই ওয়ালমেট আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে জানিনা। যদি ভালো লাগে তাহলে সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে জানিয়ে দেবেন। আজ এই পর্যন্ত আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্টের মাধ্যমে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন এবং নিরাপদে থাকবেন।
আমি তানজিমা। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার মাতৃভাষা বাংলা বলে আমি নিজেকে নিয়ে অনেক গর্ববোধ করি। আমি ফিন্যান্স বিভাগ থেকে বিবিএ শেষ করেছি।
আমি ছবি আঁকতে, পড়তে, লিখতে ফটোগ্রাফি, রেসিপি এবং ডাই বানাতে খুব পছন্দ করি। আবার আমি ভ্রমণ বা ঘুরাঘুরি করতে খুব পছন্দ করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে খুব পছন্দ করি। আমি চেষ্টা করি সব সময় যেন নতুন কোনো কিছু করা যায়।
আপু আপনার হাতের কাজ সত্যিই অসাধারণ। ডিমের খোসা ও ওয়ান টাইম বক্স দিয়ে ওয়ালমেট তৈরি করেছেন দেখে ভালো লাগলো। দেখতেও অনেক সুন্দর হয়েছে। আমার কাছেও বেশ ভালো লেগেছে আপু।
আপু আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। ধন্যবাদ।
আমার বাংলা ব্লগের সবাই বেশ ক্রিয়েটিভ। আপনার ক্রিয়েটিভিটির প্রশংসা না করে পারলাম না, বেশ চমৎকার একটি ডাই প্রজেক্ট উপহার দিলেন। এধরনের ডাই প্রজেক্ট ক্রিয়েটিভিটির বহিঃপ্রকাশ।
ভীষণ সুন্দর দেখাচ্ছে আপনার ওয়ালমেটটি। অনেক ধন্যবাদ আপু চমৎকার কাজটি আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য।
প্রশংসা মূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
ডিমের খোসা ও ওয়ান টাইম বক্স দিয়ে ওয়ালমেট অসাধারণ হয়েছে। আপনি খুবই দক্ষতার সাথে এই ডাই পোস্টটি তৈরি করেছেন। সত্যিই আপনারাই পোস্ট তৈরি করার উপস্থাপন অসাধারণ হয়েছে। এত সুন্দর ও দক্ষতার সাথে তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মতামতের জন্য।
আমি এই ধরনের কাজগুলি ভীষণ পছন্দ করি। সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছেন। আপনি ডিমের খোসা ও অন টাইম বক্স দিয়ে ওয়ালমেট এটি আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগলো। দারুণ দক্ষতায় সম্পন্ন করেছেন। প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর করে উপস্থাপনা করেছেন। এই ধরনের কাজগুলি আমার ভীষণ ভালো লাগে। আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল
আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। ধন্যবাদ।
ডিমের খোশা এবং ওয়ান টাইম বক্স দিয়ে ওয়ালমেট বানিয়েছেন। দেখতে খুব সুন্দর লাগছে এবং প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর ভাবে গুছিয়ে আপনি উপস্থাপন করেছেন । ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
আপনার সুন্দর মতামতের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
বাহ আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে অসাধারণভাবে ডিমের খোসা দিয়ে ওয়ান টাইম বক্স এবং ওয়ালমেট শেয়ার করেছেন শেয়ার করেছেন। আপনার তৈরি ওয়ালমেট দেখতে আমার কাছে বেশ অসাধারণ লেগেছে। ঘরে যদি এই ওয়ালমেট টাঙ্গিয়ে রাখা যায় দেখতে কিন্তু বেশ অসাধারণ লাগবে আপু। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটা পোস্ট তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করা যায়।
ধন্যবাদ সবসময় সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
নতুন নতুন ক্রিয়েটিভিটি দেখতে বেশ ভালো লাগে।ফেলে দেয়া উপকরণ দিয়ে বেশ সুন্দর একটি ওয়ালমেট বানিয়েছেন।দেখতেও বেশ সুন্দর লাগছে।আমিও ডিমের খোসা দিয়ে একটি ফটোফ্রেম বানিয়েছিলাম।বেশ কস্ট হয়েছিল।ধন্যবাদ ডাইটি শেয়ার করার জন্য।
এই ওয়ালমেট বানাতে অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছিল। ধন্যবাদ সুন্দর মতামতের জন্য।
ডিমের খোসা ও ওয়ান টাইম বক্স দিয়ে আপনি চমৎকার একটি ওয়ালমেট তৈরি করেছেন। সত্যি আপনার ছেলের উদ্যোগে তাহলে দারুণ আইডিয়া পেলেন।এ ধরনের কাজগুলো অনেক ভালো লাগে তবে করতে একটু সময় আর ধৈর্যের প্রয়োজন। ধন্যবাদ আপনাকে সময় ও ধৈয্য নিয়ে ওয়ালমেট তৈরি করে শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু বলতে গেলে ছেলের জন্যই এত সুন্দর আইডিয়া পেলাম। আপনার মন্তব্য পড়ে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।
চমৎকার হয়েছে আপু ৷ ডিমের খোসা ও ওয়ান টাইম বক্স দিয়ে তৈরি এতো সুন্দর ওয়ালমেট দেখে সত্যিই অবাক হয়ে গেলাম ৷ আপনার এমন দুর্দান্ত ক্রিয়েটিভিটি আসলে অনেক প্রশংসনীয় ৷ অনেক ভালো লাগলো এটি দেখে ৷ অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে আপনার সুন্দর দক্ষতা, সুন্দর ভাবে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য ৷
সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
অনেক সুন্দর এবং ইউনিক একটা ওয়ালমেট তৈরি করেছেন আপনি, যেটা অনেক সুন্দর হয়েছে। আপনার এই ওয়ালমেট তৈরি করার আইডিয়া কিন্তু সত্যি অনেক বেশি ইউনিক ছিল। এই ওয়ালমেট তৈরি করার উপস্থাপনাটা সত্যি খুব ভালো লেগেছে। আর এই ওয়ালমেট কালারফুল হওয়ার কারণে আরো বেশি ভালো লাগতেছে দেখতে। নিজের দক্ষতা এবং সৃজনশীলতা কে কাজে লাগিয়ে পুরোটা সম্পূর্ণ করেছেন যা দেখেই বুঝতে পারছি। এত সুন্দর এবং দক্ষতামূলক একটা কাজ সবার মাঝে ভাগ করে নেওয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপু আপনার প্রশংসার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।