শ্বাশুড়ি মা চলে যাওয়াতে মন ভীষণ খারাপ
আসসালামু আলাইকুম
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। এখন সিজন পরিবর্তন যার জন্য সবার ঘরে ঘরে অসুখ-বিসুখ লেগেই রয়েছে। আপনারা নিজেরা যেমন সাবধানে থাকবেন তেমনি ছোট বাচ্চাদেরও সাবধানে রাখবেন। আজ আমার মন খুব খারাপ।কিছুই ভালো লাগছে না। কারণ আমার শ্বাশুড়ি আজ গ্ৰামে চলে গিয়েছে। আপনারা সবাই জানেন গত মাসে আমার শ্বাশুড়ি এসেছিল। এত দিন আমার সাথে ছিল আর কেমন যেন একটা মায়া হয়ে গিয়েছে। বিয়ের আজ পাঁচ বছর চলে কিন্তু এত দিন ধরে বাড়িতে যাওয়া আসা হয় এতটা খারাপ লাগেনি। আজ যখন চলে গিয়েছে মনে হলো যেন আমার ঘর একদম ফাঁকা লাগে।
আমি তাকে মা বলে ডাকি আর মা যাওয়ার সময় তাকে জড়িয়ে ধরাতে চোখের পানি ধরে রাখতে পারিনি। এত কান্না করেছি যে এখন মাথা খুব যন্ত্রনা করছে। এতটা খারাপ লাগতে যা কখনো বুঝানোর মতো নয়। তার কারণ আমার শ্বাশুড়ি এত ভালো আর একদম বন্ধুর মতো আমার সাথে মিশে। একটা সত্যি কথা বলি আজ পর্যন্ত আমার মায়ের কাছে যে কথা শেয়ার করতে পারিনি তা আমার শ্বাশুড়ির কাছে পেরেছি। শ্বাশুড়ি কে যদি মায়ের জায়গা দেন তাহলে দেখবেন সেও আপনাকে মেয়ের মতো দেখবে।
Location
আমার শ্বাশুড়ি কখনো আমার ননদ আর আমার মধ্যে পার্থক্য সৃষ্টি করেনি। এবার প্রথম ঢাকা এসে আমার কাছে এত দিন ছিল। সে গ্ৰামে থাকে আর তার কাছে ঢাকা শহরে বন্দী লাগে বলে কখনো আসতে চায়না। তবে বলতে পারেন এবার মা কে জোর করে নিয়ে আসা হয়েছে। কিন্তু আসার পর তার নাতি পেয়ে মা খুব মজা পেয়েছে। আমিও যেন কিছু দিন খুব আনন্দে ছিলাম। দু'জনে একসাথে রান্না করেছি আর গল্প করেছি। অনেক সময় আমি কাজে ব্যস্ত থাকবে মা তার নাতির জামা কাপড় ধুয়ে দিয়েছে। সবগুলো কাজ শেষ করে একসাথে বসে খাওয়া দাওয়া করা এখন যেন সবকিছু স্মৃতি হয়ে রয়েছে।
মানুষের জীবন আসলে কিছুই না। এই আছে এই নাই। আমরা সবাই যেন একটা কল্পনায় বসবাস করি। মাঝে মাঝে মনে হয় চোখ খুললেই যেন সেই কল্পনা শেষ হয়ে যাবে আর কোথায় যেন হারিয়ে যাবো। শুধু যে আমার শ্বাশুড়ি ভালো তা নয় আমার শ্বশুর আরও বেশি ভালো। তিনি আমাকে অনেক ভালোবাসেন আর তিনি তার নাতির জন্য পাগল। আমার ছেলেও দাদা ছাড়া কিছু বুঝে না। সে দাদাকে পেলে আর কিছু লাগেনা। আমার শ্বাশুড়ি কে নিতে দু'দিন আগে শ্বশুর আসে।
এই কয়দিন সবাই ছিল বলে আমার ঘর একদম ভরা ছিল। আমারও কোনো চিন্তা ছিল না তারাই ছেলেকে দেখাশোনা করেছে। সারাক্ষণ দাদা আর দাদির সাথে খেলাধুলা করেছে। নাতি ঘুম থেকে উঠার আগেই চলে গিয়েছে। কারণ ও যদি দেখে দাদা দাদি চলে যাচ্ছে তাহলে খুব কান্না করবে। এমনেতেই গতকাল রাতে দাদির জামা কাপড় ভাঁজ করা দেখে বার বার জিজ্ঞেস করছে আম্মু দাদি কি করে, কোথায় যায়। তখন দাদি বলে দাদু আমি বাড়ি যাচ্ছি আর ও বলে দাদি আমিও তোমার সাথে যাবো। আম্মু আমাকে নতুন জামা দাও। আমি চিন্তা করছি ও ঘুম থেকে উঠে কান্না শুরু করলে সামলাবো কিভাবে?
আমি জানিনা সবাই কেন বলে শ্বাশুড়ি মায়ের মতো হয়না। অনেক সময় দেখবেন এমন কিছু শ্বাশুড়ি আছে যারা মায়ের থেকেও বেশি আপন। আমি মনে হচ্ছে ঘরে থাকতে পাচ্ছি প্রতিটা রুমের সব জায়গায় তার স্মৃতি রয়েছে। সকাল বেলা দাদি আর নাতি মিলে খেলাধুলা করতো আর আমি নাস্তা বানাতাম। আজ যেন একদমই কিছুই খেতে ইচ্ছে করছে না। এমনকি রান্নাও করতে মন চায়না। আমি বলেছিলাম মা আপনি আমার কাছে থাকেন কিন্তু সে ঢাকা শহরে থাকতে থাকতে চায় না আর আমিও গ্ৰামে গিয়ে থাকবো সেই উপায় নেই।
যখন এই পোস্ট লিখছি তখন যেন তার কথা আরও বেশি করে মনে পড়ছে আর কান্না আসতেছে। মা ও গাড়িতে বসে অনেক বার ফোন করেছে আর বলছে আমারও তোমাদের জন্য খুব কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু কিছুই করার নেই। যাই হোক আমার খারাপ লাগা আপনাদের সাথে শেয়ার করে একটু হালকা হতে এসেছিলাম। আপনাদের অনেক কথা বলেছি আজ এখানেই লেখা শেষ করলাম। আবার দেখা হবে নতুন পোস্টের মাধ্যমে সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন এবং নিরাপদে থাকবেন এই দোয়া কামনা করি।
আসসালামু আলাইকুম
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। এখন সিজন পরিবর্তন যার জন্য সবার ঘরে ঘরে অসুখ-বিসুখ লেগেই রয়েছে। আপনারা নিজেরা যেমন সাবধানে থাকবেন তেমনি ছোট বাচ্চাদেরও সাবধানে রাখবেন। আজ আমার মন খুব খারাপ।কিছুই ভালো লাগছে না। কারণ আমার শ্বাশুড়ি আজ গ্ৰামে চলে গিয়েছে। আপনারা সবাই জানেন গত মাসে আমার শ্বাশুড়ি এসেছিল। এত দিন আমার সাথে ছিল আর কেমন যেন একটা মায়া হয়ে গিয়েছে। বিয়ের আজ পাঁচ বছর চলে কিন্তু এত দিন ধরে বাড়িতে যাওয়া আসা হয় এতটা খারাপ লাগেনি। আজ যখন চলে গিয়েছে মনে হলো যেন আমার ঘর একদম ফাঁকা লাগে।
আমি তাকে মা বলে ডাকি আর মা যাওয়ার সময় তাকে জড়িয়ে ধরাতে চোখের পানি ধরে রাখতে পারিনি। এত কান্না করেছি যে এখন মাথা খুব যন্ত্রনা করছে। এতটা খারাপ লাগতে যা কখনো বুঝানোর মতো নয়। তার কারণ আমার শ্বাশুড়ি এত ভালো আর একদম বন্ধুর মতো আমার সাথে মিশে। একটা সত্যি কথা বলি আজ পর্যন্ত আমার মায়ের কাছে যে কথা শেয়ার করতে পারিনি তা আমার শ্বাশুড়ির কাছে পেরেছি। শ্বাশুড়ি কে যদি মায়ের জায়গা দেন তাহলে দেখবেন সেও আপনাকে মেয়ের মতো দেখবে।
আমার শ্বাশুড়ি কখনো আমার ননদ আর আমার মধ্যে পার্থক্য সৃষ্টি করেনি। এবার প্রথম ঢাকা এসে আমার কাছে এত দিন ছিল। সে গ্ৰামে থাকে আর তার কাছে ঢাকা শহরে বন্দী লাগে বলে কখনো আসতে চায়না। তবে বলতে পারেন এবার মা কে জোর করে নিয়ে আসা হয়েছে। কিন্তু আসার পর তার নাতি পেয়ে মা খুব মজা পেয়েছে। আমিও যেন কিছু দিন খুব আনন্দে ছিলাম। দু'জনে একসাথে রান্না করেছি আর গল্প করেছি। অনেক সময় আমি কাজে ব্যস্ত থাকবে মা তার নাতির জামা কাপড় ধুয়ে দিয়েছে। সবগুলো কাজ শেষ করে একসাথে বসে খাওয়া দাওয়া করা এখন যেন সবকিছু স্মৃতি হয়ে রয়েছে।
মানুষের জীবন আসলে কিছুই না। এই আছে এই নাই। আমরা সবাই যেন একটা কল্পনায় বসবাস করি। মাঝে মাঝে মনে হয় চোখ খুললেই যেন সেই কল্পনা শেষ হয়ে যাবে আর কোথায় যেন হারিয়ে যাবো। শুধু যে আমার শ্বাশুড়ি ভালো তা নয় আমার শ্বশুর আরও বেশি ভালো। তিনি আমাকে অনেক ভালোবাসেন আর তিনি তার নাতির জন্য পাগল। আমার ছেলেও দাদা ছাড়া কিছু বুঝে না। সে দাদাকে পেলে আর কিছু লাগেনা। আমার শ্বাশুড়ি কে নিতে দু'দিন আগে শ্বশুর আসে।
এই কয়দিন সবাই ছিল বলে আমার ঘর একদম ভরা ছিল। আমারও কোনো চিন্তা ছিল না তারাই ছেলেকে দেখাশোনা করেছে। সারাক্ষণ দাদা আর দাদির সাথে খেলাধুলা করেছে। নাতি ঘুম থেকে উঠার আগেই চলে গিয়েছে। কারণ ও যদি দেখে দাদা দাদি চলে যাচ্ছে তাহলে খুব কান্না করবে। এমনেতেই গতকাল রাতে দাদির জামা কাপড় ভাঁজ করা দেখে বার বার জিজ্ঞেস করছে আম্মু দাদি কি করে, কোথায় যায়। তখন দাদি বলে দাদু আমি বাড়ি যাচ্ছি আর ও বলে দাদি আমিও তোমার সাথে যাবো। আম্মু আমাকে নতুন জামা দাও। আমি চিন্তা করছি ও ঘুম থেকে উঠে কান্না শুরু করলে সামলাবো কিভাবে?
আমি জানিনা সবাই কেন বলে শ্বাশুড়ি মায়ের মতো হয়না। অনেক সময় দেখবেন এমন কিছু শ্বাশুড়ি আছে যারা মায়ের থেকেও বেশি আপন। আমি মনে হচ্ছে ঘরে থাকতে পাচ্ছি প্রতিটা রুমের সব জায়গায় তার স্মৃতি রয়েছে। সকাল বেলা দাদি আর নাতি মিলে খেলাধুলা করতো আর আমি নাস্তা বানাতাম। আজ যেন একদমই কিছুই খেতে ইচ্ছে করছে না। এমনকি রান্নাও করতে মন চায়না। আমি বলেছিলাম মা আপনি আমার কাছে থাকেন কিন্তু সে ঢাকা শহরে থাকতে থাকতে চায় না আর আমিও গ্ৰামে গিয়ে থাকবো সেই উপায় নেই।
যখন এই পোস্ট লিখছি তখন যেন তার কথা আরও বেশি করে মনে পড়ছে আর কান্না আসতেছে। মা ও গাড়িতে বসে অনেক বার ফোন করেছে আর বলছে আমারও তোমাদের জন্য খুব কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু কিছুই করার নেই। যাই হোক আমার খারাপ লাগা আপনাদের সাথে শেয়ার করে একটু হালকা হতে এসেছিলাম। আপনাদের অনেক কথা বলেছি আজ এখানেই লেখা শেষ করলাম। আবার দেখা হবে নতুন পোস্টের মাধ্যমে সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন এবং নিরাপদে থাকবেন এই দোয়া কামনা করি।
আমি তানজিমা। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার মাতৃভাষা বাংলা বলে আমি নিজেকে নিয়ে অনেক গর্ববোধ করি। আমি ফিন্যান্স বিভাগ থেকে বিবিএ শেষ করেছি।
আমি ছবি আঁকতে, পড়তে, লিখতে ফটোগ্রাফি, রেসিপি এবং ডাই বানাতে খুব পছন্দ করি। আবার আমি ভ্রমণ বা ঘুরাঘুরি করতে খুব পছন্দ করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে খুব পছন্দ করি। আমি চেষ্টা করি সব সময় যেন নতুন কোনো কিছু করা যায়।
এখন সবারই অসুখ।এই সময়টায় শুধু ডেঙ্গু জ্বর বিভিন্ন ধরনের রোগ আসতে চলেছে। আমার শাশুড়ি কিছুদিন আগে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছিল। বাড়িতে শাশুড়ি ও অসুস্থ থাকলে পুরো পরিবারটাই যেন ধ্বংস হয়ে যায় এমন। শাশুড়ি মায়ের মতো। মেয়েরা তো নিজের আপন মা ছেড়ে চলে আসে তাই শাশুড়িকে মায়ের মত আপন করে নিতে হয়। এটাই মেয়েদের জীবন। মায়া তো লাগবেই। সৃষ্টিকর্তা আপনাকে ধৈর্য ধারণ করার ক্ষমতা দিক। দোয়া রইল আপু
অনেক দিন একটা মানুষের সাথে থাকতে থাকতে অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। তখন সে চলে গেলে খুব খারাপ লাগে। ধন্যবাদ এত সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
এটা ঠিক বলেছেন আপু শ্বাশুড়ি কে শ্বাশুড়ি না ভেবে মা বললে অনেকটা ই সহজ হয়ে যায়। আপনার শ্বাশুড়ি এসে বেশকিছু দিন ছিল।তাইতো চলে যাওয়ার সময় আপনার এতো খারাপ লাগছে।ছেলে ঘুম থেকে উঠে যাবার আগেই তাই চলে গেলো।ছেলে আবার কান্নাকটি শুরু করবে। অনুভূতি গুলো পড়ে খুব ভালো লাগলো আপু।
আপনার সুন্দর মতামতের জন্য ধন্যবাদ।
ঋতু পরিবর্তনের কারণে বর্তমানে অসুস্থতার হার ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। আপনার শ্বাশুড়ির সাথে আপনার সম্পর্ক এতটা ভালো, জেনে ভীষণ ভালো লাগলো আপু। আসলে প্রকৃতপক্ষে এমনটাই হওয়া উচিত। নাতি বা নাতিন, দাদা দাদীর জন্য এমনিতেও অনেক পাগল থাকে। যেহেতু আপনার শ্বশুর এবং শ্বাশুড়ি গ্রামে চলে গিয়েছে, আমার তো মনে হচ্ছে আপনার ছেলে ঘুম থেকে উঠে তুলকালাম কান্ড করে ফেলবে। যাইহোক সবার মধ্যে এমন মধুর সম্পর্ক বিরাজ করুক সবসময়, এমনটাই প্রত্যাশা করি। পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
ছেলে ঘুম থেকে উঠে অনেক কান্না করেছিল আর বলছিল দাদু আমায় নেয় না। দোয়া করবেন ভাইয়া সবসময় যেন এমন সম্পর্ক বজায় থাকে। ধন্যবাদ।
ইনশাআল্লাহ অবশ্যই দোয়া করি আপু, যেন সবসময় খুব ভালো থাকেন এবং আপনার ছেলে বড় হয়ে যেন মানুষের মতো মানুষ হয়।