বাসা পাল্টানোর কিছু অনুভূতি।
আসসালামু আলাইকুম
প্রিয় ভাই ও বোনেরা, আপনারা সবাই কেমন আছেন? সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আমিও সৃষ্টিকর্তার রহমতে ও আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি।
আমি দু-তিন ধরে খুব ব্যস্ততার মধ্যে দিন পার করছিলাম। তারজন্য একদমই এক্টিভ হতে পারিনি। ভাবছেন তো এত ব্যস্ত কিসের জন্য? হ্যাঁ বলছি ঢাকা শহরের থাকলে নিজের বাড়ি ছাড়া সবাইকে এই যন্ত্রণা সহ্য করতে হয়। কি সেই যন্ত্রণা জানেন? তা হলো বাসা পরিবর্তন করা। আমি একটা বাসায় দুই বছর ছিলাম কিন্তু ছেলে বড় হওয়াতে মনে হলো তার খেলার জন্য এই বাসা উপযুক্ত নয়। তারজন্য আরও বড় বাসা আর বড় বারান্দা দরকার। আমার আগের বাসা তেমন বেশি বড় ছিল না। সেজন্য ছেলে ঠিক মতো খেলাধুলা করতে পারে না। আমার মায়ের বাসা একদম ফুটবল খেলার মাঠের মতো বিশাল বড়। সেখানে তাকে নিয়ে গেলে সে খুব মজা পায়।
এরপর আমার হাসবেন্ড চিন্তা করলো ছেলের আনন্দের জন্য বাসা পরিবর্তন করা প্রয়োজন। এমনকি তার এত পরিমাণ খেলনা হয়েছে যেগুলো রাখার জন্যও বড় জায়গার প্রয়োজন। ঢাকা শহরের বাচ্চারা হয়তো গ্ৰামের বাচ্চাদের মতো এত খোলামেলা পরিবেশ পাবেনা। তারজন্য সব বাবা মা চায় তাদের বাচ্চারা যেন বড় ফ্লাটে একটু খোলামেলা ভাবে থাকতে পারে আর খেলতে পারে। যেন তারা নিজেদের কে বন্দী মনে না করে।
প্রায় সব বাসার নিয়ম এক কিংবা দুমাস আগে বাসা ছাড়ার কথা বলতে হবে। সেই হিসেবে আমিও জানিয়ে দিয়েছিলাম তাদের। আপনারা সবাই জানেন কিছুদিন আগে আমি ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছিলাম। যেই দিন বাসা খুঁজে পাই আমি সেই দিনই ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছি। এরপর অনেক চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলাম বাসা পাল্টানোর সময় কিভাবে এত কাজ করবো। মা বললো একদিনে সব কাজ করার দরকার নেই প্রতিদিন অল্প অল্প করতে। বৃহস্পতিবার থেকে আমার কাজ শুরু হয়।
আমার আগের বাসা থেকে এই বাসার দূরত্ব খুবই কম। তারজন্য দুটো ভ্যান গাড়ি ভাড়া করেছিলাম। ভ্যান গাড়ির লোকেরা সব করে দিবে বলেছে কিন্তু নিজেকে তো গুছিয়ে দিতে হবে। এগুলো তো আর তারা করতে পারবে না। সেজন্য বৃহস্পতিবার সারাদিন লেগেছে এই কাজগুলো করতে। এরপর ১ তারিখ ছিল গতকাল মানে শুক্রবার। তারজন্য আমরা সকাল আটটায় ভ্যানওয়ালাকে আসতে বলি। সকাল সকাল চলে আসি নতুন বাসায়। এখানে এসে আবারও কাজ। সবকিছু গুছিয়ে না রাখলে ছেলে খেলতে পারবে না। আবার ও যদি কোনো কিছুতে ব্যথা পায় সেজন্য আবার গুছানো শুরু করলাম।
এতসব কাজ একলা করতে হয়েছে। আমার মা এসেছিল কিন্তু তাকে কিছু করতে দেয়নি। কারণ আমার এমনেতেই অনেক অসুস্থ। তার আবার হাঁটু,ঘাড় আর পিঠের হাড় ক্ষয় হয়ে গিয়েছে। এছাড়া আরও অনেক সমস্যা আছে। তারজন্য বলছি আপনি বসে থাকেন। আমার ভাবিরাও এসেছিল কিন্তু তাদেরও তেমন কিছু করতে দেয়নি। কারণ তারা আমার বাসায় খুব কম আসে এখন তাদের দিয়ে কিভাবে কাজ করাই আপনারাই বলেন? তারজন্য একলা নিজেই সব করেছি। একটু আগে সবকাজ শেষ করে বসলাম আর ভাবলাম দুদিন ধরে পোস্ট লেখা হয়নি আর শেয়ার করাও হয়নি।
যেহেতু এখন একটু সময় পেলাম তাহলে পোস্ট লিখে নেই। তারজন্য চলে আসলাম আপনাদের সাথে আমার বাসা পাল্টানোর কথা শেয়ার করার জন্য। আশা করি আমার লেখা পড়ে আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। যাই হোক আমার লেখা এখানেই শেষ করলাম আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন এবং নিরাপদে থাকবেন।
আমি তানজিমা। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার মাতৃভাষা বাংলা বলে আমি নিজেকে নিয়ে অনেক গর্ববোধ করি। আমি ফিন্যান্স বিভাগ থেকে বিবিএ শেষ করেছি।
আমি ছবি আঁকতে, পড়তে, লিখতে ফটোগ্রাফি, রেসিপি এবং ডাই বানাতে খুব পছন্দ করি। আবার আমি ভ্রমণ বা ঘুরাঘুরি করতে খুব পছন্দ করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে খুব পছন্দ করি। আমি চেষ্টা করি সব সময় যেন নতুন কোনো কিছু করা যায়।
আসলে বাসা পাল্টানো খুবই ঝামেলার কাজ ।আর একা একা এটি করা তো আরো বেশি ঝামেলার। যেহেতু আপনি আপনার মা ভাবিদের তেমন কিছু করতে না দিয়ে নিজেই করেছেন তাহলে তো বেশ ঝামেলা পোহাতে হয়েছে। তার ওপর আবার কয়েকদিন আগে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছিলেন। এমনিতেই শরীর বেশ দুর্বল। তবে সবকিছু ভালোভাবেই হয়ে গিয়েছে জেনে ভালো লাগলো। এখন রেস্টে থাকবেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
হ্যাঁ আপু একা সব দিক সামলিয়ে এখন খুবই ক্লান্ত। চিন্তা করেছি বাকি কাজ আরও কিছু দিন পরে করবো। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আমার ছোট বাবু আছে আর আমি জানি ছোট বাবু থাকলে বাসায় কত খেলনা এবং খেলার জায়গা দরকার। আর বাসা পাল্টানো যে কতটা কষ্টকর এটা আমি বাসা পাল্টাতে গিয়ে বুঝেছি। যাইহোক বাবু কথা চিন্তা করে অন্তত বড় বাসা নিয়ে খুব ভালো করেছেন আপু। ধন্যবাদ বাসা পাল্টানোর অনুভূতি শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু বাচ্চার কথা চিন্তা করেই বড় বাসা নেওয়া হয়েছে। আপনার মন্তব্য পড়ে অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপনার বাসা পাল্টানোর কিছু অভিজ্ঞতা। আসলে আমি মনে করি বাসা পাল্টানো প্রতিটা মানুষের জন্যই অনেক ঝামেলার কাজ। বাসা পাল্টানোর কয়েকদিন পরেই ডেঙ্গুজরে আক্রান্ত হয়েছেন জেনে বেশ খারাপ লাগলো আপু। এমনিতে জ্বর আসলে প্রতিটা মানুষের শরীর অনেক দুর্বল থাকে। ভালোভাবে খাওয়া দাওয়া করুন আশা করি খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
ভাইয়া বাসা নেওয়ার আগেই ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছিলাম। তবে এখন আলহামদুলিল্লাহ সুস্থ আছি। হ্যাঁ ভাইয়া বাসা পাল্টানো খুবই ঝামেলার। ধন্যবাদ সুন্দর মতামতের জন্য।
বাসা পাল্টানো খুব ঝামেলার ব্যাপার। আপনার বাচ্চার খেলার পরিবেশ তৈরির জন্য বাসা পরিবর্তন করেছেন জেনে ভীষণ ভালো লাগলো। এবার মন খুলে খেলাধুলা করতে পারবে সে আর বাচ্চারা একটু খেলাধুলা করলে সুস্থ থাকে। যাইহোক কষ্ট হলেও বাসা পরিবর্তন করতে পেরেছেন এটাই বড় ব্যাপার।
হ্যাঁ ভাইয়া এখন একটু মন খোলে খেলতে পারবে আর আমিও এখন একটু শান্তি পাবো। আপনার মন্তব্য পড়ে অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।
বাসা পাল্টানো যে কি ঝামেলা যারা পাল্টায় শুধু তারাই জানে। তাছাড়া ছোট বাচ্চা থাকলে বড় বাসা না হলে চলে না। এজন্য আমিও বাসা খুঁজতে গেলে বাচ্চাদের কথা চিন্তা করে একটু বড় বাসাই নেই। যাতে বাচ্চারা খেলাধুলা করে আরাম পায়। যাক বাচ্চার কথা চিন্তা করে বড় বাসা নিয়েছেন দেখে ভালো লাগলো। আশা করি সবকিছু ঠিকঠাক মতো গুছিয়ে নিতে পেরেছেন।
সবসময় চেষ্টা করি ছেলেকে আনন্দে রাখতে। মোটামুটি প্রায় সব জিনিস গুছানো হয়েছে। আপনার সুন্দর মন্তব্য পড়ে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ ।
বাসা পরিবর্তন করাটা আসলেই অনেক কষ্টসাধ্য একটা কাজ। সাজানো গোছানো জিনিসগুলো আবার পুনরায় নতুন জায়গাতে সাজাতে হয় এটা সত্যি অনেক পরিশ্রমের। তারপরও আপনি অসুস্থ অবস্থাতেও সন্তানের কথা চিন্তা করে বড় বাসা নিয়েছেন এটা দেখে খুবই ভালো লাগলো। আসলে শহরের ছেলেরা তো আর গ্রামের মত ঘুরাঘুরি করে খেলতে পারেনা।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া শহরের ছেলেমেয়েরা গ্ৰামের ছেলেমেয়েদের মতো এত ঘোরাঘুরি আর খেলতে পারে না। সেই চিন্তা করেই বড় বাসা নেওয়া। আপনার সুন্দর মতামতের জন্য ধন্যবাদ।
আপু বাসা চেঞ্জ করা অনেক কষ্ট। বিশেষ করে বাসার সব সমান এক জায়গা থেকে অন্য জায়গা নিতে এবং সেটিং করতে অনেক কষ্ট। যদিও এই বাসাতে আপনি দুই বছর ছিলেন। আপনার ছেলের জন্য বাসাটি পরিবর্তন করেছেন। তবে বাসা পরিবর্তন করতে যতই লোক ঠিক করা হোক না কেন নিজের আসবাবপত্র এবং কাপড়-চোপড় গুলো ঠিকমতে কাজ এবং দেখাশুনা করতে হয়। আপনাকে হেল্প করার জন্য আপনার মা এসেছে কিন্তু উনি অসুস্থ বিদায় আপনি তাকে কাজ করতে দেন নাই। যাই হোক ছেলের খেলাধুলার জন্য বাসা চেঞ্জ করেছেন ভালই করলেন। খুব সুন্দর করে পোস্টটি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
হ্যাঁ আপু আমার মা একটু অসুস্থ বলে কোনো কাজ করতে পারেনা তাই কিছু করতে দেখিনি। বাসা পাল্টানো মতো ঝামেলা অন্য কিছুতে নেই। ধন্যবাদ সুন্দর মতামতের জন্য।
আপু এক জায়গা থেকে অন্য জায়গা বাসা চেঞ্জ করা অনেক কষ্ট। কারণ বাসার জিনিসপত্রগুলো এক জায়গা থেকে অন্য জায়গা সেটিং করা সত্যিই অনেক কষ্টসাধ্য। যদিও আপনার বাচ্চা খেলাধুলা করতে অসুবিধা হচ্ছে আপনার ছোট বাসাটিতে। এই কারণে আপনি একটু বড় ভাষা নিচ্ছেন ছেলে খেলাধুলা করার জন্য। তবে বাসা চেঞ্জ করতে যতই লোক থাকুক না কেন নিজের কাজ বলে একটু টেনশন থাকে। যাইহোক বাসাটি চেঞ্জ করেছেন ভালোই করলেন নিজের বাচ্চার খেলাধুলার জন্য। ধন্যবাদ আপনাকে খুব সুন্দর করে পোস্টটি আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করার জন্য।
হ্যাঁ ভাইয়া মানুষ থাকলেও নিজের কাজ করার একটু টেনশন রয়েছে। তারজন্য সহজে বাসা পাল্টাতে চাইনা। যাই হোক আপনার মন্তব্য পড়ে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।
বাচ্চাদের খেলাধুলা করার জন্য একটু বড় বাসা হলে বেশ ভালো হয়। বাচ্চার জন্য বাসা পরিবর্তন করেছেন,এটা জেনে বেশ ভালো লাগলো। বাসা পরিবর্তন করা থেকে শুরু করে সবকিছু গোছানো,এটা অনেক ঝামেলার কাজ। যাইহোক সবকিছু ঠিকমতো করতে পেরেছেন, এটা দেখে ভালো লাগলো। যাইহোক পোস্টটি শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
অনেক কষ্টে একটু গুছিয়েছি। আপনার মন্তব্য পড়ে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।