ভৌতিক গল্প || দুপুর ১২ টায় ঘটে যাওয়া ঘটনা
আসসালামু আলাইকুম। আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি আল্লাহর রহমতে আপনারা আপনাদের পরিবারকে নিয়ে ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি। তবে এই সপ্তাহে কাজগুলো গুছিয়ে করে উঠতে পারিনি। আমার শরীরটা তেমন বেশি ভালো যাচ্ছে না। সব মিলিয়ে যেনো এলোমেলো সময় পার করছি। যাই হোক এর মাঝেও চেষ্টা করলাম একটা পোস্ট লেখা যাক। কিন্তু কি পোস্ট করবো ভেবে পাচ্ছিলাম না। এরপর চিন্তা করলাম অনেক দিন হয়েছে গল্প লেখা হয় না। তাহলে আজ একটা গল্প লেখা যাক। তাহলে চলুন শুরু করি----
আমরা অনেক সময় মনে করি আগের মানুষের কথাগুলো কুসংস্কার কিন্তু সব কথা কুসংস্কার নয়, কিছু কিছু কথা সত্য বলেও প্রমাণিত হয়েছে। যেমন ধরেন, দুপুর ১২, সন্ধ্যা হওয়ার মুহূর্ত এই সময় গুলো বাড়ির বাহিরে থাকা ঠিক নয়। আমি এই দু'টো সময় খুব মেনে চলি, কারণ এর প্রমাণ পেয়েছি। আমার গল্প পড়লেই বুঝতে পারবেন। আমাদের প্রাইমারি স্কুলে যেতে যে রাস্তা রয়েছে তার দু'পাশ জঙ্গল ছিল। সেখানে একটি পুরোনো কবর ছিল। আমরা সেখান দিয়ে যেতে খুব ভয় পেতাম। যদিও মানুষ জনের চলাচল ছিল আর আমাদের বাজারেও এই রাস্তা দিয়ে যেতে হতো। সেই জন্য মানুষের আনাগোনা বেশি ছিল। তারপরও আমরা ভয় পেতাম আর দুপুর ১২ টার আগেই স্কুলে চলে যেতাম। তাছাড়া সবাই একসাথে দল বেঁধে যাওয়ার চেষ্টা করতাম যাতে কোনো সমস্যা না হয়।
একদিন আমার এক ফুফাতো বোন একা একা স্কুলে আসছিলো আর তখন দুপুর ১২ টা বাজে। তাছাড়া মাথার ছায়াও তখন পায়ের নিচে ছিল আর এই সময়টা খুবই খারাপ। কিন্তু সে বুঝতে পারেনি আর যখন এই কবরের পাশে আসে তখন রাস্তায় কোনো মানুষজন ছিল না। সে যখন কবরের কাছে আসে তখন হঠাৎ করে তার পেটে ব্যথা শুরু হয়। এরপর সে পেটে চাপ দিয়ে সেখানে বসে পড়ে। প্রায় পাঁচ মিনিটের মতো বসে থাকে। এরপর ব্যথা কমে গেলে স্কুলে যায় কিন্তু এই কথা কেউ জানে না। যদিও আমরা এগুলো পরে শুনেছি। তারপর সে ক্লাসে একদম সবার পিছনের বেঞ্চে গিয়ে বসে আর কারো সাথে কথা বলে না।
ক্লাস শুরু হলে ম্যাডাম তাকে পড়া জিজ্ঞেসা করে কিন্তু সে কোনো কথা বলে না। এরপর কয়েকবার জিজ্ঞেস করার পরও যখন কোনো উত্তর পেলো না তখন ম্যাডাম তার কাছে যায়। যখন কাছে গিয়ে দাঁড়াতে বলে তখন চোখ বড় বড় করে ম্যাডামের দিকে তাকায়। এটা দেখে সবাই ভয় পেয়ে যায়। এরপর ম্যাডাম বুঝতে পারে কিছু একটা হয়েছে। তখন সবাই তাকে ধরে রাখে আর একটা রশি এনে হাত-পা বেঁধে দেয়। তারপর তার মা কে খবর পাঠানো হয় আর তার মা এসে কবিরাজের কাছে নিয়ে যায়।
তখন কবিরাজ প্রশ্ন করলে সব বলে দেয়,কোথা থেকে ধরছে আর কিভাবে ধরেছে। কবিরাজ বলে এই মেয়েকে ছেড়ে চলে যা, কিন্তু জ্বীন যেতে রাজি হয় না। তারপর কবিরাজ তাবিজ দেয় আর সবসময় গলায় লাগিয়ে রাখতে বলে। কবিরাজ এটাও বলে সবসময় খেয়াল রাখবেন যাতে তাবিজ খুলে না ফেলে,তাহলে কিন্তু মেরে ফেলবে। এভাবে একদিন ভালো যায়, কিন্তু হঠাৎ করে রাতের বেলা সে গলা থেকে তাবিজ খুলে ফেলে। এরপর রাতের অন্ধকারে ঘর থেকে বের হয়ে যায়। কিন্তু তার মা কিভাবে যেনো বুঝতে পারে আর তাড়াতাড়ি উঠে তার পিছনে পিছনে গিয়ে ধরে নিয়ে আসে আর গলায় তাবিজ পড়িয়ে দেয়। একটু দেরি হলেই সে মারা যেতো। এরপর আমাদের বাড়িতে একজন দাদা রয়েছে উনার কাছ থেকে তাবিজ এনে পড়িয়ে দেয়। এরপর থেকে আর কোনো সমস্যা হয়নি।
তবে একেবারে যে ছেড়ে দিয়েছিল তা কিন্তু নয়, কাছে আসতে না পারলেও দূরে থেকে ক্ষতি করার চেষ্টা করতো। হুজুর বলেছিল কয়েক বছর গেলে সব ঠিক হয়ে যাবে আর তা হয়েছেও। এখন আর সেই মেয়েটির কোনো সমস্যা নেই। এই হলো আমার গল্প। আজকের গল্পটা সম্পূর্ণ বাস্তবিক। সবসময় বাস্তবের ঘটনা তুলে ধরার চেষ্টা করি। আমার গল্প পড়ে আপনাদের কেমন লাগলো সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে জানিয়ে দেবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।
আমি তানজিমা। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার মাতৃভাষা বাংলা বলে আমি নিজেকে নিয়ে অনেক গর্ববোধ করি। আমি ফিন্যান্স বিভাগ থেকে বিবিএ শেষ করেছি।
আমি ছবি আঁকতে, পড়তে, লিখতে ফটোগ্রাফি, রেসিপি এবং ডাই বানাতে খুব পছন্দ করি। আবার আমি ভ্রমণ বা ঘুরাঘুরি করতে খুব পছন্দ করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে খুব পছন্দ করি। আমি চেষ্টা করি সব সময় যেন নতুন কোনো কিছু করা যায়।
https://x.com/TanjimaAkter16/status/1836095321136652717?t=9bipErnxRZ42qZBRzg47Wg&s=19