ঝিরিঝিরি বৃষ্টি যেনো গরম বাড়িয়ে দিয়ে গেলো
আসসালামু আলাইকুম,
হ্যালো বন্ধুরা,
প্রতিদিনের মতো আজও ভিন্ন ধরনের পোস্ট নিয়ে চলে এসেছি। এতক্ষণে আমার টাইটেল দেখে নিশ্চয়ই বুঝে গিয়েছেন কি নিয়ে পোস্ট করতে চলে এসেছি। ভেবেছিলাম বৃষ্টি নিয়ে সুখবর দেবো কিন্তু তা আর হলো কোথায়? একদিকে নওতাপ আর অন্যদিকে ঘূর্ণিঝড় রেমাল এই দু'টো মিলে যেনো গরমের পরিমাণ দ্বিগুণ বেড়ে গিয়েছে। তবে ঘূর্ণিঝড় উঠবে বলে হয়তো ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টি হয়ে পরিবেশ একটু শীতল হতে পারে। আমরা সেই আশায় বসে আছি। আমার প্রতিদিনই মনে হয় যেনো আজ যেনো সবচেয়ে বেশি গরম পড়েছে। তবে সত্যি আজকে একটু বেশিই লেগেছে।
আমার আবার দুপুরে ভাত খেয়ে না ঘুমালে খুব খারাপ লাগে। সেজন্য খাওয়া দাওয়া শেষ করে মা ছেলে ঘুমাতে গেলাম। প্রথমে যখন শুয়েছি তখন এত বেশি গরম অনুভব হয়নি। তবে ঘুমের মধ্যে হঠাৎ করে মনে হলো সম্পূর্ণ শরীর ভিজে গিয়েছে। ঘুম ভেঙে দেখি মা ছেলে একদম ভিজে গিয়েছি। অবশ্য উপরে ফ্যান চলছে তারপরও এই অবস্থা। আজ দুপুরের পর থেকে যেনো নওতাপের কবলে পড়ে গেলাম এমন মনে হচ্ছিলো। আমার তো মনে হচ্ছিলো সূর্য মনে হয় আমার মাথার উপরে রয়েছে🙂↕️।
একটু পর পর বারান্দায় গিয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকি আর এভাবেই বিকাল কেটে গেলো। এরপর এশার আযানের পর মনে হলো বাহিরে বাতাস রয়েছে। বারান্দায় গিয়ে দেখি ঝিরিঝিরি বৃষ্টি হচ্ছে। এত সুন্দর দৃশ্য খুব খুশি হয়েছিলাম। কিন্তু এই বৃষ্টি আর বাতাস একদমই অল্প সময়ের জন্য স্থায়ী ছিল। হঠাৎ করে যেনো সবকিছু কোথাও উধাও হয়ে গেলো। এরপর থেকে যে কি পরিমান গরম যাচ্ছে সত্যি বুঝানোর মতো নয়। আমার মনে হয় এত গরম এর আগে কখনো দেখিনি।
আপনাদের কাছে এমন মনে হয় কিনা জানিনা তবে আমার মনে হয় এই গরমে শহরের থেকে গ্ৰামে একটু হলেও শান্তি। একটু আগে আমার ননদের সাথে কথা বলেছিলাম। সে দেখি তার মেয়েকে কাঁথা গায়ে দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে রেখেছে। আমি বললাম এই গরমে এভাবে কাঁথা দিয়ে রেখেছ। সে আমাকে বললো কি বলো একটু আগে অল্প বৃষ্টি হয়েছিল আর এখন অনেক ঠান্ডা লাগছে। ফ্যানের পাওয়ার একদম কমিয়ে রাখা তারপরও ঠান্ডা লাগছে। তাদের আবার টিনের ঘর বলে একটু বৃষ্টি বাতাসে অনেক ঠান্ডা লাগে। এই শান্তি এটা আমরা শহরে থেকে একদমই খুঁজে পাই না।
গ্ৰামের এই শান্তি শহরে থেকে একদমই পাওয়া যায়। যতই গরম হোক দিনের বেলা এখানে সেখানে গিয়ে বসে থাকা যায়। কিন্তু শহরে তা কোনো ভাবেই সম্ভব নয়। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে গ্ৰামে থেকে শহরে সুবিধা রয়েছে বলেই আমাদের মতো মানুষেরা এখনও শহরে রয়েছে। যদি শহরের মতো সব কিছু গ্ৰামে পাওয়া যেতো তাহলে হয়তো গ্ৰাম ছেড়ে কেউ এই বন্দি শহরে আসতো না। এই ঝিরিঝিরি বৃষ্টির পর থেকে যেই পরিমান গরম লাগছে মনে হচ্ছে আজ রাতে আর ঘুমানো সম্ভব নয়।
আপনাদের দিকেও কি একই অবস্থা রয়েছে? তা সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে জানিয়ে দেবেন। অনেক কথা বলেছি আজ আর নয় আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্টের মাধ্যমে। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন এবং নিরাপদে থাকবেন।
আমি তানজিমা। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার মাতৃভাষা বাংলা বলে আমি নিজেকে নিয়ে অনেক গর্ববোধ করি। আমি ফিন্যান্স বিভাগ থেকে বিবিএ শেষ করেছি।
আমি ছবি আঁকতে, পড়তে, লিখতে ফটোগ্রাফি, রেসিপি এবং ডাই বানাতে খুব পছন্দ করি। আবার আমি ভ্রমণ বা ঘুরাঘুরি করতে খুব পছন্দ করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে খুব পছন্দ করি। আমি চেষ্টা করি সব সময় যেন নতুন কোনো কিছু করা যায়।
.png)
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
আপু বৃষ্টি তো হলো। কিন্তু গরম আর কমলো কই। গরমের জ্বালায় তো দেহে নার্বিশ্বাস উঠে যাচ্ছে। ঝিরিঝিরি বৃষ্টির জন্য চারদিকে গরম তো আরও বেড়েই গেল। যা আপনি পোস্টের মাধ্যম আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ এমন সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু বৃষ্টি হয়েছে কিন্তু এই বৃষ্টিতে গরমের কোন অংশই কমেনি বরং আরো বেড়ে গিয়েছে। ধন্যবাদ।
হ্যাঁ আপু আপনি ঠিকই বলেছেন। এই হালকা ঝিরিঝিরি বৃষ্টি গরম আরো বেশি বাড়িয়ে দিয়ে গেল। কারণ এমনিতো গরম অনেকটা বেশি পড়তেছে সাথে কালকে হঠাৎ করে সন্ধ্যাবেলায় মেঘ দেখতে পেয়ে মনে করলাম আজকে ঘুমটা হয়তো একটু ভালো হবে। কিন্তু তা আর হলো কই। হালকা ঝিরঝিরি বৃষ্টি হতেই কারেন্ট চলে গেল। সেই সাথে গরম আরো বাড়তে লাগলো। সব মিলিয়ে খুব অস্বস্তিকর লাগতেছে। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
ভাইয়া আমাদের দিকে কারেন্ট যায়নি তবে এই বৃষ্টিতে যেন গরম আরও বাড়িয়ে দিয়ে গেল। শান্তিতে ঘুমের পরিবর্তে অশান্তি শুরু হলো। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
ঠিক বলেছেন আপু গ্রামের তুলনায় শহরে অনেক বেশি গরম। যদি গ্রামের মানুষ সকল ধরনের সুবিধা পেত তাহলে কখনোই তারা নিজের গ্রাম ও মাটি ছেড়ে শহরের মাটিতে পা দিত না। সকলেই চায় নিজের গ্রামে থাকতে। আর ঝিরি ঝিরি বৃষ্টি হলে গরম টা যেন আরো বেড়ে যায়। কিন্তু গ্রামে দিনের বেলায় এখানে সেখানে গেলে একটু হলেও শান্তি মিলে। যাই হোক আপু সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন। যা পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু গ্রামের মানুষ যদি সব ধরনের সুবিধা পেত তাহলে তাদের গ্রাম ছেড়ে কখনো শহরে আসতে হতো না। খুব সুন্দর মন্তব্য করেছেন, ধন্যবাদ।
ঠিক বলেছেন আপু, পর্যাপ্ত পরিমাণে বৃষ্টি না হলে, দেখা যায় যে গরমের তাপ আরো বেশি বেড়ে যায়। যেও মা ছেলে মিলে একটু শুয়ে ছিলেন, তাতেও দেখছি গরমে শান্তি নেই। আসলে আমাদের এদিকেও আজ দুই দিন একবার মেঘ দেখা যায়, পরবর্তীতে আবারো অতিরিক্ত গরম। এরকমই চলছে দেখছি। এরকম চললে কিন্তু আরো বেশি অবস্থা খারাপ হয়। তবে একটু ভালো করে বৃষ্টি দেখা পেলে মনে হয় ভালোই হতো।
হ্যাঁ আপু এরকম পরিস্থিতি থাকলে খুবই খারাপ লাগে। তবে একটু বৃষ্টির দেখা পেয়েও আর পেলাম না দেখে আরো বেশি খারাপ লাগলো। আপনার মন্তব্য পড়ে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।