লাইফ স্টাইল :- ছেলের সাথে কাটানো কিছু সময়
আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যগনকে আমার পক্ষ থেকে জানাই সালাম," আসসালামু আলাইকুম"। সবাই কেমন আছেন ? আশা করি, মহান আল্লাহর অশেষ রহমতে সবাই অনেক ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি ভিন্ন ধরনের পোস্ট শেয়ার করতে চলে এসেছি। সবসময় ভিন্ন পোস্ট করতে খুবই ভালো লাগে। তারজন্য চেষ্টা করি ভিন্ন কিছু নিয়ে আসতে। এতক্ষণে আমার টাইটেল দেখে বুঝতে পেরেছেন কি পোস্ট করতে চলে এসেছি। হ্যাঁ আজ আমি মা ছেলের কিছু সুন্দর মুহূর্ত নিয়ে চলে এসেছি।
আমার ছেলেটা কখন যে বড় হয়ে গিয়েছে বুঝতেই পারিনি। একটা দুইটা কথা বলতে বলতে এখন সে পাকা বুড়া হয়ে গিয়েছে। মাঝে মাঝে এমন পাকা পাকা কথা বলে শুনলে হাঁসি থামানো যায় না। সে ম্যাচিং ড্রেস ছাড়া পড়বে না। তার জুতা থেকে শুরু করে ড্রেস সবকিছু ম্যাচিং হতে হবে। তা না হলেই কান্না শুরু করবে। সে রেডি হয়েই বলবে আম্মু ছবি তোলে। আমার ছেলেটা ছবি তুলতে খুব পছন্দ করে। ছবি তোলার পর আবার তাকে দেখাতে হবে নয়তো সে খুব রাগ করে।
আজকে মা ছেলের লাইফস্টাইলের যতগুলো ফটোগ্রাফি দেখবেন সবগুলো আমাদের গ্ৰাম থেকে তোলা। আমরা বাড়ি গিয়ে খুব সুন্দর একটি জায়গায় ঘুরতে গিয়েছিলাম। সেই গল্প না হয় অন্য একদিন করবো। সেখানে গিয়ে মা ছেলে মিলে বেশ কয়েকটি ছবি তুলেছি। কিছু ছবি ক্যামেরা দিয়ে তোলা আর কিছু ছবি মোবাইল দিয়ে। আমার ভাগ্নিনা ক্যামেরা নিয়ে এসেছিল আর আমার ছেলে তাকে ভাইয়া বলে ডাকে।
আমার ছেলেটা ছবি তোলার জন্য তার সাথে খুব মিল দেয়। এরপর বলে ভাইয়া আমার ছবি তোলে। সে ছবি তুলতে খুব পছন্দ করে কিন্তু তাকে ঠিক জায়গায় দাঁড় করানো খুবই মুশকিল। ছবি তোলার সময় যদি বলেন হাঁসি দাও তখন সে এমন হাঁসি দিবে যা দেখে সবাই হাসতে থাকে। সে যেভাবে ইচ্ছে হয় দাড়িয়ে থাকবে আর তার ছবি তুলতে হবে। তার ছবি তোলার যন্ত্রণায় পাগল হয়ে যাই। সারাদিন তার স্টাইলিশ ছবি তুলতে গিয়ে আমার গ্যালারি ভরে যায়। তার ছবি আবার ডিলেট করা যাবে না বুঝতে পারলেই রেগে যায়। তারজন্য ঘুমালে গ্যালারি পরিষ্কার করতে হয়।
আজকের ফটোগ্রাফি গুলো দেখলে বুঝতে পারবেন কতটা স্টাইল করেছে আমার ছেলে। আমার ছেলের জন্য দোয়া করবেন যেন সে বড় হয়ে একজন আদর্শ মানুষ হতে পারে। আশা করি আমার আজকের লাইফ স্টাইল পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লাগবে। যাই হোক আমার পোস্টে যদি ভুল ত্রুটি হয় তাহলে অবশ্যই ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। আজ এই পর্যন্তই, সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন এবং নিরাপদে থাকবেন এই প্রত্যাশা নিয়েই শেষ করছি। আল্লাহ হাফেজ।
আমি তানজিমা। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার মাতৃভাষা বাংলা বলে আমি নিজেকে নিয়ে অনেক গর্ববোধ করি। আমি ফিন্যান্স বিভাগ থেকে বিবিএ শেষ করেছি।
আমি ছবি আঁকতে, পড়তে, লিখতে ফটোগ্রাফি, রেসিপি এবং ডাই বানাতে খুব পছন্দ করি। আবার আমি ভ্রমণ বা ঘুরাঘুরি করতে খুব পছন্দ করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে খুব পছন্দ করি। আমি চেষ্টা করি সব সময় যেন নতুন কোনো কিছু করা যায়।
আপনার ছেলের জন্য আশীর্বাদ রইলো আপু, সে যেন একজন আদর্শ মানুষ হতে পারে। মা আর ছেলের এই সুন্দর দৃশ্যটা দেখে খুব ভালো লাগলো। আপনার ছেলে দেখছি ছবি তুলতে অনেক পছন্দ করে। আর স্টাইল করতেও অনেক পছন্দ করে দেখছি সে। পোষ্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো আপু। শুভ কামনা রইল আপনার জন্য।
হ্যাঁ আপু তার ছবি উঠালে সে খুব আনন্দ পায়। আপনার মন্তব্য পড়ে অনেক ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ।
এতটুকুন পুঁচকে স্টাইল তো ভালোই শিখেছে। সানগ্লাস নিয়ে কি স্টাইলের একটা হাসি দিয়েছে ।সত্যি ভীষণ ভালো লাগলো ।মা ছেলে বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন ছবিগুলো দেখেই বোঝা যাচ্ছে ।বাবু সারাক্ষণ ছবি তুলতে চায় ব্যাপারটা বেশ ভালো লাগলো, আবার তাকে দেখাতেও হবে ।সত্যিই ভীষণ পাকনা মনে হচ্ছে। বাবুর জন্য অনেক অনেক শুভকামনা।
আপু তার কাছ থেকে আমার স্টাইল শিখতে হয়। হ্যাঁ আপু অনেক পাকনা হয়েছে। ধন্যবাদ সুন্দর মতামতের জন্য।
বাচ্চাকে সাথে নিয়ত বাইরে ঘুরতে যাওয়ার আনন্দ ঘন মুহূর্তটা আজকে আপনি আমাদের মাঝে ভাগাভাগি করে নিয়েছেন। পাশাপাশি বাবু যে কবে বড় হয়ে গেছে এই বিষয়টা আমাদের মাঝে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। সত্যি দিনকাল যেন খুব দ্রুত চলে যাচ্ছে মনে হচ্ছে আর চোখের সামনে শুধু বাচ্চা কেন অন্যান্য মানুষগুলো যেন খুব দ্রুত পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে। এটাই লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
হ্যাঁ ভাইয়া দিনকাল খুব তাড়াতাড়ি চলে যায়। আপনার মন্তব্য পড়ে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।
গ্রামীণ পরিবেশের ছেলের সাথে ভালই সময় পার করেছেন। আসলে বর্তমান যুগে ছোট্ট বাচ্চারা এতটাই ম্যাচুরিটি দেখায় মাঝে মাঝে অবাক লাগে যেমনটা আপনার ছেলে আপনার মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন ।ভালো লাগলো অনেক বড় হোক আপনার ছেলের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হোক।
হ্যাঁ ভাইয়া ছেলের সাথে গ্ৰামীন পরিবেশে খুব সুন্দর সময় কেটেছে। ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মতামতের জন্য।
মা এবং ছেলের ফটোগ্রাফী গুলো দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে গেলাম।মা এবং ছেলের ফটোগ্রাফী গুলো আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে কারণ, ফটোগ্রাফী গুলো গ্ৰামীন পরিবেশে।গ্ৰামীন পরিবেশ আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে।
আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। ধন্যবাদ।
মা এবং ছেলে তাহলে গ্রামের বাড়িতে খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছেন এবং খুব চমৎকার ফটোগ্রাফি করেছেন । তবে আপু ছোট বাচ্চাদের কথা শুনতে অনেক ভালো লাগে তারা অনেক দুষ্টু মিষ্টি কথা বলে। তবে আপনার ছেলের ফটোগ্রাফি দেখে মনে হচ্ছে সে খুব শান্তশিষ্ঠ । তবে জেনে খুব ভালো লাগলো আপনার ছেলে সব কিছু ম্যাচিং করে পড়ে। তবে আপু আপনার ছেলেকে নিয়ে ভালো সময় কাটিয়েছেন। এবং আপনার ছেলের জন্য অনেক দোয়া রইল।
ভাইয়া যত দুষ্টুমি সব বাসায় করে, বাহিরে গেলে একদম চুপ হয়ে যায়। আপনার কাছে আমার পোস্ট ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। ধন্যবাদ।