বাচ্চাদের প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে শপিং মলে
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। যাদের ছোট বাচ্চা আছে তারা আমার এই কষ্টের কথা বুঝবে। বাচ্চাদের জন্য জিনিসপত্র কিনে শেষ করা যায় না। একপাশ দিয়ে কিনতেই থাকি অন্য পাশ দিয়ে নতুন চাহিদা তৈরি হয়। তাছাড়া স্কুলে ভর্তি হলে বাচ্চাদের আরো অনেক জিনিসের দরকার হয়। ফ্রেন্ডের নতুন নতুন জিনিস দেখলেই সেগুলোর বায়না শুরু হয়ে যায়। তাছাড়া কিছুদিন পরপর এমন কিছু কেনার বায়না ধরে যার জন্য যমুনা ফিউচার পার্কে যেতে হয়। যেহেতু আমার বাসার পাশেই এই শপিংমল টাই রয়েছে সেজন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র এখান থেকেই কেনা হয়। সেদিন ছুটির দিন থাকায় এত পরিমাণে ভিড় হয়েছিল যে বলে বোঝানো যাবে না। মনে হচ্ছিলো যে সব লোকজনই আজকে শপিংমলে চলে এসেছে।
যদিও এখানকার জিনিসপত্রের অনেক দাম। কিন্তু দূরের মার্কেটগুলোতে যাওয়া আসাতে যে খরচ তার থেকে কম খরচে এখানে কেনা হয়ে যায়। এজন্যই দূরে কষ্ট করে যাওয়া হয় না। সেদিন গিয়েছিলাম ছেলের স্কুলের জুতা কেনার জন্য। এই বৃষ্টির মধ্যে একটি জুতায় আর হচ্ছিলো না। তাছাড়া স্কুলে গেলে সেটি ভিজিয়ে নিয়ে আসে পরের দিন আর পরার অবস্থা থাকে না। প্রথমে বাটাতে গিয়েছিলাম জুতা কেনার জন্য। কিন্তু বাটাতে জুতা পেলাম না। পরে এপেক্সে ঢুকেছি। এপেক্স শোরুমে ঢোকার পর মনে হল যে এখানে দাঁড়ানোর জায়গা নেই। বুঝতে পারছিলাম না কেন এত ভিড়। পরে ভিতরে ঢোকার পর দেখলাম যে এরা বিভিন্ন প্রোডাক্ট এর উপরে ফিফটি পার্সেন্ট ছাড় দিয়েছে। সেজন্যই লোকজনের উপচে পড়া ভিড়। ছেলের জন্য স্কুলের জুতা, মোজা কেনা হয়ে গেলে ওর বাবার আবার একটি স্যান্ডেল এবং বেল্ট পছন্দ হলো। সেগুলো কিনলো।
ফিফটি পার্সেন্ট ছাড় দেখে লোকজন যেভাবে কেনাকাটা করছিলো আমি ভাবলাম যে না জানি কত কিছুই পাওয়া যাচ্ছে। বেশ কয়েক জায়গায় ঘুরে আমার কাছে তেমন কিছু পছন্দ হলো না। আমার অবশ্য এপেক্স আর বাটার সেন্ডেলগুলো কখনোই ভালো লাগে না। কিন্তু এগুলো আবার সবসময় ব্যবহারের জন্য ভালো। পছন্দ হলো না জন্য জোর করে আর কিনিনি।
জুতা, স্যান্ডেল কেনার পর বাচ্চাদের কিছু খাবার কেনার জন্য ডিসিসি কর্নারে গেলাম। সেখানে বিদেশি বিভিন্ন খাবার পাওয়া যায়। এগুলো মানেও ভালো থাকে। বাচ্চাদের খাবার এখান থেকেই বেশি কেনা হয়। বাচ্চাদের জন্য চকজ, চকলেট মিল্ক শেক, নিউট্রেলা সহ আরো বেশ কিছু খাবার কেনা হলো এখান থেকে। ডিসিসি কর্নারে অনেক খেলনার দোকান রয়েছে। খেলনার দোকানের সামনে দিয়ে ছোট বাচ্চা নিয়ে যাওয়া কি চারটে খানি কথা। ছোট ছেলে তো খেলনার দোকানের সামনে থেকে নড়তে চাচ্ছিলো না। পরে বাধ্য হয়ে মিনি গাড়ির সেটগুলো একটি কিনে দিতে হলো। একসঙ্গে চারটি গাড়ি ছিল দুই ভাই মিলে খেলতে পারবে।
শপিংমলে গিয়েছি আর খাওয়া দাওয়া না করে বাসায় আসলে হবে। কেনাকাটা শেষে মার্কেট যখন বন্ধ হয়ে যাচ্ছিলো তখন আমরা ফুড কোর্টে চলে গেলাম। খাওয়া-দাওয়ার গল্প অন্য একদিন শেয়ার করবো। আজকে শেয়ার করলে পোস্ট অনেক বড় হয়ে যাবে।
যাইহোক সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।
ধন্যবাদ
@tania
| Photographer | @tania |
|---|---|
| Phone | i phone11 |
| আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
|---|
VOTE @bangla.witness as witness 
OR SET @rme as your proxy
অনেক ভালো লাগলো আপু আপনার পোস্টটি পড়ে। আসলে বাচ্চারা খেলনা দেখলে তখনই সেটা নিতে চায়। আর দোকানে গেলে তো আর আসতেই চায়না। আর ওরা যদি কোন জিনিসের জন্য বায়না ধরে তাহলে তো সেটা কিনে দেওয়াই লাগে। বড় বড় শপিংমলগুলোতে বেশ কিছু ছাড় দিয়ে থাকে। আপনার পোস্টটা পড়ে বেশ ভালো লাগলো আপু
ঠিক বলেছেন ভাইয়া কোন জিনিসের বায়না ধরলে তা না কিনে আর ফেরা যায় না। ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আসলে বাচ্চাদের জিনিস কিনে শেষ করা যায় না। কারণ বাচ্চাদের চাহিদার অভাব নেই। তাদের মনে যেটা চাই সেটা বায়না করে বসেন। আমার একটা বাচ্চা আছে বাসার সাথে নিয়ে বাজারে গেলে আমার সাথে এমনটা ঘটে। কিন্তু এটা অনেক আনন্দের। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপহার দেয়ার জন্য।
ছোট বাচ্চা যা দেখে তাই নিতে ইচ্ছা করে । যাই হোক ভাইয়া ধন্যবাদ আপনার গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য।
আপু আপনার একটু ভুল হচ্ছে। আমি ছেলে।🙄🙄
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন বাচ্চাদের প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে শপিংমলে গিয়েছিলেন জেনে বেশ ভালো লাগলো। ছেলের জুতা কেনার জন্য প্রথমে বাটার শোরুম থেকে ফিরে এসে আবারো এপেক্সের শোরুমে গিয়েছিলেন দেখে বেশ ভালো লাগলো আপু। আসলে ছেলেমেয়েরা যদি কোন কিছু কেনার জন্য বাইরে ধরে সেগুলো দেওয়াই লাগে। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
বাটা শোরুমে গিয়ে জুতা পায়নি জন্যই আবার এপেক্স এর শোরুমে যেতে হয়েছিল। ধন্যবাদ ভাইয়া পোস্টটি করে মন্তব্য করার জন্য।