কাতলা মাছের ভুনা

in আমার বাংলা ব্লগlast year

আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।



আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আলহামদুলিল্লাহ।


আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আজকে আপনাদের সঙ্গে কাতলা মাছের ভুনার রেসিপি শেয়ার করবো। কাতলা মাছ আর রুই মাছ আমার কাছে দেখতে একই রকম লাগে। খেতেও প্রায় কাছাকাছি। এজন্য এই দুটি মাছ আমি সবসময় গুলিয়ে ফেলি। তাছাড়া মাছ সবজি দিয়ে রান্না করতে গেলে খুঁজে পাই না কোন সবজি দিয়ে রান্না করবো। সব সময় শুধু আলু বেগুনের কথাই মনে আসে। আলু বেগুন দিয়ে আর কত খাওয়া যায় এজন্য এভাবে ভুনা করে ফেলি। তাছাড়া মাছ ভাঁজতেও আমার কাছে খুবই ভয় লাগে। বেশিরভাগ সময় এই কাজটা আমার কাজের খালা করে দেয়। মাছ ভেঁজে ভুনা করলে খেতে বেশি ভালো লাগে। আজকের মাছের সাইজটা অনেক বড় ছিল। প্রায় চার কেজি ওজনের কাতলা মাছ। কাতলা মাছ যত বেশি বড় হয় খেতে তত বেশি সুস্বাদু হয়। রান্নার পরেও খেতে খুবই ভালো লেগেছিলো। আশা করি আপনাদের কাছেও ভালো লাগবে।


IMG20230617140537.jpg



কাতলা মাছ-- ৬ পিস
পিঁয়াজ--১ টি
কাঁচা মরিচ-- ২ টি
পিঁয়াজ বাটা--৪ টেবিল চামচ
আদা বাটা--১ চা চামচ
হলুদের গুঁড়া--২ চা চামচ
মরিচের গুঁড়া--১.৫ চা চামচ
ধনিয়া গুঁড়া--১ চা চামচ
জিরা গুঁড়া--১ চা চামচ
ধনিয়া পাতা--পরিমাণমতো
লবণ-- পরিমাণমতো
সরিষার তেল-- পরিমাণমতো


PhotoCollageMaker_20230720_095035897.jpg


প্রথমে মাছগুলো ভালোমতো ধুয়ে হলুদ লবন দিয়ে বেশ কিছুক্ষণ মাখিয়ে রেখেছি।


IMG20230617122825.jpg


এখন চুলায় একটি ফ্রাইপ্যান বসিয়ে তার মধ্যে তেল দিয়েছি। তেল গরম হলে মাছগুলো দিয়ে দুই পাশ ভালোমতো ভেঁজে নিয়েছি। ভাজা হয়ে গেলে একটা প্লেটে উঠিয়ে নিয়েছি।


IMG20230617123003.jpgIMG20230617123302.jpg

IMG20230617123912.jpg


ওই তেলের মধ্যে আরেকটু তেল দিয়ে পিঁয়াজ এবং মরিচ কুচি দিয়েছি। পিঁয়াজ, মরিচ একটু ভেঁজে নিয়ে বাটা মশলা দিয়েছি। বাটা মসলাগুলো একটু কষিয়ে নিয়ে গুঁড়া মসলাগুলো দিয়েছি।


IMG20230617124111.jpgIMG20230617124257.jpg
IMG20230617124323.jpgIMG20230617124348.jpg

এখন সামান্য একটু পানি দিয়ে সব মসলা ভালোমতো কষিয়ে নিয়ে ভেঁজে রাখা মাছগুলো দিয়ে দিয়েছি। তারপর সামান্য একটু পানি দিয়ে মাছগুলো কষিয়ে নিয়েছি।


IMG20230617124514.jpgIMG20230617124541.jpg

ভালোমতো কষানো হয়ে গেলে পরিমাণমতো পানি দিয়ে দিয়েছি পুরোপুরি রান্না হওয়ার জন্য। তারপর জিরাগুড়া এবং ধনিয়া পাতা দিয়ে আরো কিচ্ছুক্ষন রান্না করার পর ঝোল শুকিয়ে আসলে চুলা বন্ধ করে দিয়েছি।


IMG20230617124832.jpgIMG20230617124857.jpg
IMG20230617125002.jpgIMG20230617125350.jpg

IMG20230617140533.jpg


এখন একটি বাটিতে পরিবেশনের জন্য উঠিয়ে নিয়েছি। আশা করি আমার আজকের রেসিপিটি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।


ধন্যবাদ

@tania

Photographer@tania
Phoneoppo reno5
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি।

animasi-bergerak-terima-kasih-0078.gif

IMG_20220106_113311.png

7258xSVeJbKkzXhyseBP4PYz11eBDT8sW2oR1a4vfVFS6JTrGU8e1FPUaNdHG5vjXyg2xthV78bDEmEVvKCQpyzX1kq8gAVzGsPp9GqJVRWxb6T9y35PZmQehnLjELdKKmnhdxQjDuny4.png


VOTE @bangla.witness as witness witness_proxy_vote.png OR SET @rme as your proxy

witness_vote.png

Posted using SteemPro Mobile

Sort:  
 last year 

রুই মাছ আর কাতলা মাছ খেতে আমার কাছেও প্রায় একই রকমের লাগে। আমি তো রান্না করতে গেলে সবজির কথা মনেই থাকেনা। আমি সবজি একদম খেতে পারি না😅। তবে মাছ ভেজে ভুনা করলে খেতে অনেক ভালো লাগে। কিন্তু মাছ ভাজতে গেলেই তেল ছিটকে আসে। দারুন একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপু।

 last year 

রুই মাছ আর কাতলা মাছ বাজার থেকে একসঙ্গে নিয়ে আসলে পরে আর আমি মনে রাখতে পারি না কোনটা রুই মাছ কোনটা কাতলা মাছ। একই রকম লাগে দেখতে।

 last year 

আপনি তো দেখছি অনেক বড় একটা কাতলা মাছ কিনেছিলেন। আর সেই কাতলা মাছটা বেশ মজা করে রান্না করেছিলেন দেখছি। কাতলা মাছের ভুনা রেসিপি তৈরি করলে খেতে আমি খুব পছন্দ করি, কারন এটি আমার অনেক বেশি পছন্দের মাছ। এভাবে কাতলা মাছের ভুনা তৈরি করা দেখলে আমিতো লোভ সামলাতে পারি না। এই রেসিপিটা আমি বেশিরভাগ সময় তৈরি করে থাকি। পরিবেশনটা দেখেও খুব ভালো লেগেছে।

 last year 

এভাবে ভেজে মাছ রান্না করলে খেতে খুবই ভালো লাগে। কিন্তু মাছ ভাজতেই আমার ভয় লাগে। এজন্য সবসময় ভাজা হয় না। ধন্যবাদ আপনাকে।

 last year 

আপু ঠিকই বলেছেন, কাতলা মাছ যত বেশি বড় হয় খেতে তত বেশি সুস্বাদু লাগে। তবে শুধু কাতলা মাছ নয় সব বড় মাছের স্বাদ একটু বেশিই হয়। আর হ্যাঁ আপু মাছ যদি ভেজে ভুনা করা যায় তাহলে তা খেতে খুবই মজার হয়। আর তাইতো আপনার তৈরি কাতলা মাছের ভুনা রেসিপি দেখে খুব খেতে ইচ্ছে করছে। মনে হচ্ছে আপনার পরিবেশনের প্লেট থেকে নিয়ে গরম গরম ভাত নিয়ে বসে পরি মজাদার এই খাবার খাওয়ার জন্য। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু খুবই মজার এই রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।

 last year 

যেকোনো মাছই সাইজে বড় হলে সেগুলো খেতে বেশি ভালো লাগে। আপনিও বাসায় এভাবে রান্না করে খেয়ে দেখতে পারেন। ধন্যবাদ আপনাকে।

 last year 

কি মিল আপনার সঙ্গে আমার আমি গতকাল রাতেই কাতলা মাছ ভুনা খেয়েছি। একটু বেশি ঝাল দিয়ে এভাবে কাতলা মাছ ভুনা করলে খেতে ভীষণ ভালো লাগে সেটা আপনার রেসিপি দেখেই বোঝা যাচ্ছে। ধাপ গুলো আপনি ভালোভাবে উপস্থাপনা করেছেন এতে সবার বুঝতে অনেক সুবিধা হবে। সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

 last year 

ভালোই তো ভাইয়া আপনার সঙ্গে মিলে গেল। আমি অবশ্য এই রান্নাটা অনেক দিন আগে করেছিলাম। শেয়ার করতে ভুলে গিয়েছিলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।

 last year 

সব সময় তরকারি দিয়ে মাছ ভালো লাগেনা। মাঝে মাঝে এভাবে আলাদা ভাজা ভুন করে খেতে বেশ ভালো লাগে। আপনার রেসিপিটি খুবই লোভনীয় হয়েছে। যদিও আমি ঝড় আরো শুকিয়ে ফেলি। কিন্তু এভাবেও রান্না করলে গরম ভাতের সাথে ঝোল দিয়ে খাওয়া যায়। ‌

 last year 

সবজি দিয়ে মাছ আমার কাছে তেমন একটা ভালো লাগে না। এ জন্যই খুব কম রান্না করা হয়। ধন্যবাদ আপু মন্তব্য করার জন্য।

 last year 

আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন কাতলা মাছের রেসিপি। আসলে আমাদের পুকুরেও অনেক বড় বড় কাতলা মাছ চাষ করা হয়। আসলে এই কাতলা মাছ খেতে বেশ সুস্বাদু হয়। দেখে মনে হচ্ছে আপনার তৈরি রেসিপি খেতে বেশ মজা লাগবে আপু। এত সুন্দর ভাবে রেসিপি তৈরীর পদ্ধতি আমাদের মাঝে ধাপে ধাপে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপু।

Posted using SteemPro Mobile

 last year 

নিজের পুকুরের মাছ হলে তো খেতে আরো বেশি সুস্বাদু হয়। ধন্যবাদ ভাইয়া গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য।

 last year 

আপু আমার কাছেও কিন্তু কাতলা মাছ এবং রুই মাছ দেখতে একই রকম লাগে আর খেতেও। আপনি তো দেখছি চার কেজি ওজনের কাতলা মাছ রান্না করেছেন। আর কাতলা মাছের পিজ গুলো ও অনেক বড় করে কেটেছেন আপনি। আপনি কাতলা মাছের ভুনা রেসিপি টা খুবই মজাদার এবং সুস্বাদুভাবে তৈরি করেছেন। আমার তো ইচ্ছে করছে এক পিজ তুলে নিয়ে খেয়ে ফেলতে এক প্লেট ভাত এনে। তবে যাই বলুন না কেন আমার কিন্তু খুব লোভ লেগে গিয়েছে রেসিপি টা দেখে।

 last year 

আমি মাছ কাটতে পারলে তো কাজই হতো। এগুলো দোকান থেকে কাটিয়ে আনা। আর দোকানের ওটা একটু বড় করেই পিস করে। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার মন্তব্যের জন্য।

 last year 

কাতলা মাছটির ওজন ৪ কেজি তাহলে তো অনেক বড় মাছ এটি। আপনি অনেক সুন্দর করে কাতলা মাছের ভুনা রেসিপি করেছেন। আসলে ভুনা মাছ খেতে আলাদা একটা মজা লাগে। তবে কাতলা মাছ খেতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। তবে অনেকে বিভিন্ন ধরনের সবজি দিয়ে মাছ রান্না করে। আজকে আপনি কাতলা মাছগুলো ভুনা করে রেসিপি করেছেন। তবে আপনার রেসিপিটির কালার দেখে মনে হচ্ছে খেতে অনেক মজাই হয়েছে। অনেক সুন্দর করে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

 last year 

জি ভাইয়া মাছটি অনেক বড় সাইজের ছিল। আমার অবশ্য দেখার সৌভাগ্য হয়নি। বাজার থেকেই কেটে এনেছিলো। ধন্যবাদ আপনাকে।

 last year 

কাতলা মাছ এবং রুই মাছ দেখলে চিনতে পারি কিন্তু খাইতে গেলে বুঝার উপায় নাই কোনটা কাতলা মাছ আর কোনটা রুই মাছ। সত্যিই ঠিকই বলেছেন কিন্তু ভুনা রেসিপি করলে খেতে কিন্তু এই দারুন লাগে ।অনেক ভালো লাগলো আপনার রেসিপি তৈরি।

 last year 

এই মাছগুলো চেনা খুবই কষ্টকর কারণ দুটি দেখতে একই রকম লাগে। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে।

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.15
JST 0.030
BTC 65546.28
ETH 2666.01
USDT 1.00
SBD 2.90