গল্প -"অপূর্ণ ভালোবাসা" পর্ব-৩
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম "অপূর্ণ ভালোবাসা" গল্পটি তৃতীয় পর্ব নিয়ে। গত পর্বে দেখেছিলাম বিপুকে ইরা ভালোবেসে ফেলেছে। এদিকে হৃদয় ইরাকে প্রপোজ করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। এখন দেখা যাক পরবর্তীতে কি হয়েছিলো। আশা করি আজকের পর্বও আপনাদের ভালো লাগবে।
অপূর্ণ ভালোবাসা
এরই মাঝে একটি ঘটনা ঘটে যায়। বিপু বেশ কিছুদিন হৃদয়কে ইরার আশেপাশে দেখে জেলাশ ফিল করতে থাকে। তখন শ্রাবণীর সঙ্গে কাটানো সময় তার ভালো লাগে না। সে বিষয়টি নিয়ে অনেক ভাবে। অনেক ভাবার পর বুঝতে পারে যে আসলে সে শ্রাবনীকে না ইরাকেই ভালোবাসে। এজন্যই হৃদয় ইরাকে প্রপোজ করার বিষয়টি বিপু মেনে নিতে পারছে না।
কিন্তু এখন তো অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। শ্রাবনীকেই বা সে কি বলবে। তাছাড়া ইরাতো তাকে ভালোবাসে না। এ কথা শুনলে ইরা হাসতে হাসতে পাগল হয়ে যাবে। তাই সে ইরাকেও বলার সাহস পায় না। কিন্তু সে হৃদয়কে মিথ্যা কথা বলে। হৃদয়কে জানায়
বিপু-আমি ইরাকে তোমার কথা বলেছি। কিন্তু ইরা তোমাকে ওইভাবে পছন্দ করে না। শুধু শুধু ইরাকে তুমি প্রপোজ করলে তোমার সঙ্গে ইরার বন্ধুত্বটা নষ্ট হয়ে যাবে।
হৃদয়- একবার চেষ্টা তো করে দেখতে পারি।
বিপু- তুমি কি চাও তোমাদের বন্ধুত্ব তাও নষ্ট হয়ে যাক? আরো কিছুদিন সময় নাও তুমি।
হৃদয় বিপুর কথায় রাজি হয়ে যায়। বিপু চায় না যে ইরা হৃদয়ের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ায়। অনেকদিন চলতে থাকে এভাবেই। এখন বিপু আবার শ্রাবণী থেকে ইরার সঙ্গেই বেশি সময় কাটায়। সে সবসময় ইরার আশেপাশে থাকতে চায়। শ্রাবনীও বিষয়টা খেয়াল করে। এই নিয়ে তাদের মধ্যে বেশ ঝগড়াঝাটি হতে থাকে। কিন্তু বিপু ওসব বিষয়ে পাত্তা দেয় না। শ্রাবণী যেনো নিজ থেকেই ওর জীবন থেকে সরে যায়। বিপু শ্রাবনীকে ইরার কথা বললে শ্রাবণী অনেক কষ্ট পাবে। তাছাড়া বিষয়টি ইরা জানলেও খুব রাগ হবে। হয়তো বিপুর সঙ্গে আর কোনদিন কথাই বলবে না।
এভাবে ধীরে ধীরে একসময় শ্রাবণী বিষয়টি বুঝতে পারে। তখন সে বিপুকে সরাসরি জিজ্ঞাসা করে। বিপু কিছু বলতে পারে না। চুপ থাকে। শ্রাবনীর আর বুঝতে বাকি থাকে না বিপুর মনের অবস্থা। শ্রাবনী বিপুকে অনেক কথা শুনিয়ে ব্রেকআপ করে চলে যায়। শ্রাবনীর এভাবে কষ্ট পেয়ে চলে যাওয়াতে বিপু কিছুটা কষ্ট পায়। সে শ্রাবনীর কাছে ক্ষমা চায়। কিন্তু তার মন থেকে অনেক বড় একটা বোঝা হালকা হয়। ইরাকে তাদের ব্রেকআপের কথা জানায় না বিপু।
ইরা যেহেতু দেখতে শুনতে বেশ ভালো এজন্য তার বিয়ের প্রস্তাব আসতে থাকে। তার পরিবার একটি ছেলেকে খুব পছন্দ করে। ইরার সঙ্গে বিয়ে দেয়ার জন্য কথাবার্তা বলতে থাকে। ছেলেটি দেখতে এসে ইরাকেও পছন্দ করে। ইরা বিয়েতে রাজি হওয়ার আগে অনেক চিন্তা ভাবনা করে সে কি করবে।
ইরাও অনেক চিন্তা ভাবনা করে দেখে বিপু তাকে ভালোবাসে না। সে শ্রাবণী সঙ্গে তার জীবন কাটাতে চায়। শ্রাবনীকে নিয়ে অনেক খুশি আছে। তাহলে সে কার অপেক্ষায় বসে থাকবে। সে বিপুদের সম্পর্কের মাঝে আসতে চায় না। তাছাড়া তার পরিবার খুব করে চায় এই ছেলেটির সঙ্গে শ্রাবণীর বিয়ে হোক। ইরাও বিপু আর শ্রাবনীর সম্পর্ক সামনাসামনি থেকে আর দেখতে চায় না। খুব কষ্ট পায় তাদের এক সঙ্গে দেখে।তাদের থেকে দূরে যাওয়ার জন্য বিয়েতে রাজি হয়ে যায়।
ইরা আর বিপু কি একজন আরেকজনকে ভালোবাসার কথা জানাতে পেরেছিলো? নাকি ইরার বিয়ে হয়ে গিয়েছিলো? জানতে হলে অবশ্যই পরবর্তী পর্ব পড়তে হবে। খুব শীঘ্রই পরবর্তী পর্ব নিয়ে হাজির হবো। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
ধন্যবাদ
@tania
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
---|
VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
আপনার গল্পটা পড়ে অনেক ভালো লাগলো। তবে বিপুকে ইরা ভালোবাসে ঠিক তবে ইরা তো জানে না বিপু আর শ্রাবণীর ব্যাকআপ এর কথা। তবে ইরা যেহেতু বিয়েতে রাজি হয়ে গেল। এখন দেখা মনে হচ্ছে বিপু দুজনকেই হারাতে বসেছে। দেখা যাক পরবর্তী পর্বে কি হয়? পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় থাকলাম।
ধন্যবাদ আমার গল্পটি পড়ে সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য।
গত পর্ব পড়েই বুঝতে পেরেছিলাম বিপুও ইরাকে ভালোবাসে। তবে শ্রাবণী বিপুর জীবন থেকে সরে যাওয়ায়, বিপুর জন্য খুব ভালো হয়েছে। বিপুর মন-মানসিকতা বেশ ভালো, তাইতো সরাসরি শ্রাবণীকে কিছু বলেনি শ্রাবণী কষ্ট পাবে বলে। আমার মনে হচ্ছে ইরার অন্য কোথাও বিয়ে হবে না। ইরার সাথে বিপুর মিলন হবে। যাইহোক পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম আপু।
আশা করি পরবর্তী পর্বও পড়েছেন। ধন্যবাদ সব সময় মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।