সুস্থতা আল্লাহর সবচেয়ে বড় নেয়ামত
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভাল আছেন।
জীবনে সুস্থ থাকাটা যে আল্লাহর কত বড় নেয়ামত তা শুধু অসুস্থ হলেই বোঝা যায়। ইদানিং সবারই জ্বর ঠান্ডা হচ্ছে। আর এই জ্বর যেনো কেমন। শরীর একদম দুর্বল করে দেয়। অসুখ যেনো আমাদের পিছ ছাড়ছে না। ঈদের সময় বড় ছেলের জ্বর আসলো। তিনদিন ছিলো। একেবারে ছেলেকে দুর্বল করে দিয়েছিলো। বাসায় আসতে আসতে কিছুটা সুস্থ হয়েছে। তাই সুন্নতে খৎনা দেয়ার ডেট ঠিক করলাম বৃহস্পতিবার। মঙ্গলবার হাসবেন্ড অফিস থেকে বাসায় আসলো কোমড়ে ব্যথা পেয়ে। ডাক্তারের পরামর্শে ঔষুধ এবং গরম পানির সেক নিচ্ছিলো। এদিকে ছেলের সুন্নতে খৎনার এপয়েন্টমেন্ট নেয়া। বুধবার রাত থেকে ছোট ছেলের জ্বর। চিন্তায় পরে গেলাম কি করবো। তারপর ভাবলাম যে ডেট যেহেতু ঠিক করা তাহলে যাই হোক দিয়েই দেই। ছোট ছেলের 103 জ্বর নিয়ে তৌহিদা আপুর কোলে বসিয়ে আমি ঢুকলাম বড় ছেলের সাথে ওটিতে। আমার নিজেরই ভয় লাগে ওটি দেখলে। কি আর করার ছেলে আমাকে ছাড়া ঢুকবেই না। পরিচিত ডাক্তার জন্য আমাকে ঢুকতে দিলো। আল্লাহর রহমতে সবকিছু ভালো ভাবেই হয়ে গেলো। ভেবেছিলাম অনেক ব্যথা হবে। কিন্তু তেমন একটা ব্যথা হয়নি জন্য খুব বিরক্ত করেনি। ছোট জন ও এত জ্বর নিয়ে চুপচাপ। এদিকে হাসবেন্ড এর কোমড়ে ব্যথা যাচ্ছিলো না জন্য প্রথমে ফিজিও থেরাপিস্ট এর কাছে গিয়ে থেরাপি নিয়ে আসলো। আবার এভার কেয়ারের(অ্যাপোলো) হসপিটালে ডাক্তারের কাছেও দেখালো। বড় ছেলের ও অনেকটা শুখানোর পথে। ছোট ছেলের জ্বর শনিবার সকাল থেকে সেরে গেলো। ভাবলাম যে যাক বিপদ গিয়েছে।
বসুন্ধরা আবাসিক এ এভার কেয়ার হসপিটালের সামনের ছবি। গাড়ির জন্য অপেক্ষা করতে করতে ছবিটা তুলেছি।
দুইদিন ভালো থেকে সোমবার সকালে আবার ছোট ছেলের জ্বর। চারিদিকে ডেঙ্গু খুব বেড়েছে। হাজবেন্ড ভয় পেয়ে সাথে সাথে এভার কেয়ারের ইমার্জেন্সিতে নিয়ে গেলো। বড় ছেলের তো বাসা থেকে বের হতে পারবে না। ওকে কাজের খালার কাছে রেখে তারপর গেলাম। সেখানে যাওয়ার পর ছোট ছেলের একদমই জ্বর নেই। ডিউটি ডাক্তার দেখে বলল যে ওতো ভালোই আছে তাহলে ইমারজেন্সিতে না রেখে চেম্বারে ডাক্তার দেখছেন সেখান থেকে দেখিয়ে নিয়ে আসুন। ডাক্তারের চেম্বারে তিন-চার ঘন্টা বসে থাকার পর ডাক্তারকে দেখালাম। ডাক্তার সবকিছু ভালো দেখে ওষুধ দিয়ে পাঠিয়ে দিলো। বাসায় আসতে আসতে দেখি ছেলের ১০১ জ্বর উঠে গিয়েছে। ওষুধ খাইয়ে আবারো হাসবেন্ডকে অফিস থেকে ডাকলাম যে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়ার জন্য। হাসবেন্ড এসে আবার ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেল। ডাক্তার জ্বরের জন্য ওষুধ দিলো। বারবার জ্বর আসছে। বিকাল থেকে আমার শরীরটাও খারাপ লাগছে। না জানি কখন জ্বর আসে। একটা পরিবারের সবাই অসুস্থ হলে কেমন লাগে। আমি সবসময় কিছু পোস্ট রেডি করে রাখি জন্য পোস্ট করতে পারছি। তা না হলে তো পোস্টই করা হত না। যাই হোক সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন যেনো দ্রুত সুস্থ হয়ে যেতে পারি।
আজ এ পর্যন্তই। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।
ধন্যবাদ
@tania
Photographer | @tania |
---|---|
Phone | oppo reno5 |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
---|
VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
এই সময় অনেকেই জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে ।আপনার পরিবারে ধারাবাহিকভাবে সবাই জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে দোয়া করি যেন তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যায়। একজন অসুস্থ হলেই বুঝতে পারে সুস্থতা কত বড় নেয়ামত।
আল্লাহর রহমতে এখন সবাই সুস্থ আছে ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার মন্তব্যের জন্য।
ছোটজনের জ্বর না সেরে গেল আবার এসেছে ।তাহলে তো একটু টেস্ট করিয়ে নেয়া ভালো ।ডেঙ্গুর টেস্ট কেন ডাক্তার দিল না বুঝতে পারলাম না । যাই হোক দ্রুত সবার সুস্থতা কামনা করছি।
সেরে গিয়ে আবার এসেছিলো। এখন ভালো আছে। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু ঠিক বলেছেন এখন ঘরে ঘরে সবাই অসুস্থ পড়ছে। এদিকে আবার ডেঙ্গুর উপদ্রব বেড়ে গিয়েছে। আপনার ছোট ছেলের মতো আমারো একই অবস্থা এই জ্বর আছে আবার নেই। তবে আমার ছেলের সুন্নতে খৎনা পাঁচ মাস বয়সের সময় করিয়ে নিয়েছি। সত্যিই পরিবারের সবাই অসুস্থ থাকলে খুবই সমস্যার মধ্যে পরতে হয়। আপনার পরিবারের সবার জন্য দোয়া রইল যাতে তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠেন।
ছোটবেলার সুন্নতে খৎনা করলেই ভালো হয়। তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যায়। ঝামেলা থেকে বেঁচে গিয়েছেন। আমার তো আরেকজন রয়ে গেল।
সব ধরনের সমস্যা দেখছি একবারে চেপে বসেছে আপনাদের উপর।
দোয়া রইল সবার জন্য সৃষ্টিকর্তা যেন তাদের খুব দ্রুত সুস্থ করে দেন।
আসলে আমরা অসুস্থ না হলে সুস্থতার কদর কখনোই বুঝিনা।
সুস্থতা আল্লাহর দেয়া অনেক বড় একটি নিয়ামত আর এই নিয়ামতের সব সময়ই কদর করা উচিত।
সার্বক্ষণিক সৃষ্টিকর্তা শুকরিয়া আদায় করা উচিত।
যখন অসুস্থ হই তখন বুঝতে পারি সুস্থতা কত বড় নেয়ামত। আপনাদের দোয়ায় এবং আল্লাহর রহমতে পরিবার সবাই এখন ভালো আছে। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে।
প্রথমে সবার সুস্থতা কামনা করছি। আল্লাহপাক যাতে সবাইকে সুস্থ করে দেন এই দোয়াই করি।আসলে যখন বিপদ আসে সবদিক থেকে আসে।এখন কমবেশি সব দিকে জ্বর গলা ব্যাথা ঠান্ডা। সুস্থ থাকা তো এখন অনেক কঠিন। পরিবারের সদস্যরা অসুস্থ থাকলে আসলে কোন কিছুই করতে ভালো লাগে না। অসুস্থ থাকলে বোঝা যায় সুস্থতা আল্লাহর কত বড় নেয়ামত।
এখন জ্বর হলেই ভয় লাগে। কারণ ডেঙ্গুর অবস্থা খুবই খারাপ ঢাকাতে। আল্লাহর রহমতে এখন ভালো আছে। ধন্যবাদ আপু আপনার মন্তব্যের জন্য।
আপু যারা ঢাকা থাকে তারা বর্তমানে ডেঙ্গুর ভয়ে অতংকে আছে। আপনার ফেমিলির সবাই অসুস্থ দেখতেছি। লাষ্ট আপনারও আবার জ্বর আসে কিনা। যায়হোক টেনশন করবেন না। সৃষ্টিকর্তা আপনার সহায় হোক। ধন্যবাদ আপু।
ডেঙ্গু ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে ঢাকাতে এজন্য সবাই আতঙ্কে রয়েছে। যাই হোক এখন সবাই ভালো আছি আল্লাহর রহমতে। ধন্যবাদ আপনাকে।