আরসালান রেস্টুরেন্টে খাওয়াদাওয়া
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। বেশ কিছুদিন আগে যমুনা ফিউচার পার্ক শপিংমলে গিয়েছিলাম টুকটাক কেনাকাটা করার জন্য। আমার বাসার পাশে বড় শপিং মল বলতে এই যমুনা ফিউচার পার্কই রয়েছে। তা না হলে অন্য কোন মার্কেটে যেতে গেলে বেশ দূরে যেতে হয়। দূরে যাওয়া আসার যেই ঝামেলা এবং খরচ তার থেকে এই যমুনা ফিউচার পার্কের শপিং মলে কিছুটা আরামে শপিং করা যায়। এখানে সব জিনিসপত্রের দাম কিছুটা বেশি হলেও সব জিনিস একই জায়গায় পাওয়া যায়। এজন্য বিভিন্ন জায়গায় ছোটাছুটি করতে হয় না। যাইহোক ছুটির দিন হওয়ার কারণে আমরা সকালের দিকে গিয়েছিলাম। কেনাকাটা শেষ করতে করতে দুপুরে হয়ে গিয়েছিলো। বাচ্চাদের ক্ষুধা লেগেছিলো। বাসায় গিয়ে রান্না করে খেতে অনেক দেরি হয়ে যেত জন্যই একটি রেস্টুরেন্টে ঢুকে পড়লাম খাওয়ার জন্য। যখন রেস্টুরেন্টে খেতে গিয়েছি তখন দেখলাম যে নিচে কিসের জন্য প্রোগ্রাম হচ্ছে।
যমুনা ফিউচার পার্কের একদম নিচের ফ্লোরে মাঝেমধ্যে দেখি বিভিন্ন ধরনের প্রোগ্রাম হয়। কখনো দেখা হয়নি। সেদিন খাবার অর্ডার দিয়ে বসেছিলাম জন্য ভাবলাম দেখি কি প্রোগ্রাম হয়। দেখলাম যে কিছু নতুন মডেল এসেছে তারা বিভিন্ন গানের সঙ্গে ডান্স করছে। বেশ ভালই লাগছিল উপর থেকে দেখতে।
শপিং মলের বিভিন্ন ফ্লোর থেকে সবাই তাদের নাচ দেখছিলো। মোবাইলে বা টিভিতে নাচ দেখতে যত কালারফুল লাগে এখানে কেমন যেন লাগছিল। কিন্তু তারা বেশ ভালই নাচছিলো। এই নাচ গুলি পরে এডিট করে মোবাইলে ছাড়া হয় জন্য দেখতে ভালো লাগে। সামনাসামনি এরকম নাচ খুব একটা দেখা হয় না। তাই ভাবলাম যে খাওয়া শেষ হয়ে গেলে নিচে গিয়ে দেখবো।
আমরা আরসালান রেস্টুরেন্টে গিয়েছিলাম বিরিয়ানি খাওয়ার জন্য। একটি চিকেন বিরিয়ানি এবং একটি মাটন বিরিয়ানি অর্ডার দিয়েছিলাম। এখানে খাবার গুলো খুবই ভালো লেগেছিলো আমাদের কাছে। দুটি খাবার অর্ডার দেয়াতে আমাদের চারজনের হয়ে গিয়েছিলো। অনেকগুলো খাবার ছিল একসঙ্গে।
নিচে গিয়ে কাছ থেকে কিছুক্ষণ দেখলাম। বাচ্চারাও খুব মজা পাচ্ছিলো। কিন্তু মডেল গুলোকে সামনাসামনি দেখতে একটুও ভালো লাগেনি। খুবই নিম্নমানের মডেল মনে হয়েছে। হয়তো উঠতি মডেল এরা। খুব অল্প টাকা দিয়ে এদেরকে এনেছে।
যাইহোক কিছুক্ষণ দেখে পরে আমরা বাসায় চলে আসলাম। এই ছিল আমার আজকের আয়োজন। আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।
ধন্যবাদ
@tania
Photographer | @tania |
---|---|
Phone | i phone11 |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
---|
VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
আসলে এরকম বড় একটা শপিং মলে গেলে সব জিনিস একসাথে পাওয়া যায় এ বিষয়টা আমার অনেক ভালো লাগে। যেহেতু এই শপিং মলটা আপনাদের বাড়ির পাশে তাই আপনি ওখানে গিয়েছিলেন। যমুনা ফিউচার পার্ক কিন্তু অনেক বেশি বড়। আর নিচে দেখছি একটা প্রোগ্রাম হচ্ছে এই বিষয়টা ভালো লেগেছে। মাটন বিরিয়ানি অনেক মজা করে খেয়েছিলেন নিশ্চয়ই। সব মিলিয়ে আপনার সম্পূর্ণ পোস্ট আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে আপু।
যমুনা ফিউচার পার্ক এশিয়ার মধ্যে সব থেকে বড় মার্কেট। সবকিছু এখানে পাওয়া যায়। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
যমুনা ফিউচার পার্ক শপিংমলটি অনেক সুন্দর ও বেশ জনপ্রিয় মনে হচ্ছে।আপনারা দারুণ সময় কাটিয়েছেন বুঝতে পারছি।কারণ উপর থেকে নিচের প্রোগ্রামের ছবিটি দারুণ লাগছে দেখতে।তাছাড়া খাবারগুলো এভাবে বালতিতে করে সার্ভ করেছে দেখে খুবই ভালো লাগলো, ধন্যবাদ আপু।
আমার কাছেও খুব ভালো লাগছিল নিচের প্রোগ্রামের ছবি দেখতে। নিচ থেকে অত ভালো লাগেনি। উপর থেকে বেশি ভালো লেগেছিল। ধন্যবাদ আপনাকে।
দাম কিছু বেশী হলেও একই জায়গায় সব পাওয়া যায় বলে যমুনা ফিউচার পার্ক থেকেই প্রয়োজনীয় কেনাকাটা করতে গেলেন।দুপুর হলে আরসালান রেস্টুরেন্টে খাওয়া দাওয়া করলেন।সময়টাকে খুব সুন্দর উপভোগ করলেন।নীচে মডেলদের নাচ দেখলেন।সব মিলিয়ে ভালো ই সময় কাটিয়েছেন। ধন্যবাদ আপু সুন্দর অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।
আপু অন্য জায়গায় যেতে যে খরচ এবং সময় তার থেকে এখানে কিছুটা দাম বেশি দিয়েও কেনা ভালো। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
দারুন একটি রেস্টুরেন্টে কাটানোর কিছু মুহূর্ত আজকে আপনি আমাদের মাঝে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন আপু। আপনার এই সুন্দর আনন্দঘন মুহূর্তটা বেশ দারুন ভাবে আমাদের মাঝে ফুটিয়ে তুলেছেন এই পোস্ট এর মধ্য দিয়ে। খুবই ভালো লাগলো আজকের পোস্ট দেখতে পেরে।
আসলেই রেস্টুরেন্টের খাবারগুলো বেশ মজাদার ছিল। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
বাহ্ দারুন তো। এক ঝামেলায় সব শেষ। শপিং করা, খাওয়া দাওয়া। আবার তার সাথে তো দেখছি নাচ গানও ফ্রি। আমিও গিয়েছিলাম যমুনা ফিউচার পার্কে। এক জায়গায় অনেক কিছুই পাওয়া যায়। যেহেতু আমার বাসা থেকে এই জায়গাটি বেশ দূরে তাই আর সেদিকে যাওয়া হয় না। ভালো লাগলো আপনার আজেকের পোস্ট।
ঠিকই বলেছেন আপু ফুল প্যাকেজ পেয়ে গিয়েছিলাম সেদিন একসঙ্গে। ধন্যবাদ পোস্টটি পড়ে মন্তব্য করার জন্য।
বাসার পাশে এতো চমৎকার একটি শপিং মল থাকতে দূরে যাওয়ার তো প্রশ্নই উঠে না। যমুনা ফিউচার পার্কে শপিং করতে এবং ঘুরাঘুরি করতে আসলেই খুব ভালো লাগে। খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে বেশ লোভনীয় লাগছে। আসলে সামনা-সামনি শুটিং দেখতে একটুও ভালো লাগে না। আমি বেশ কয়েকবার দেখেছিলাম। মডেলগুলো মনে হচ্ছে একেবারে নতুন। যাইহোক খাওয়া দাওয়া এবং কেনাকাটা করে দারুণ সময় কাটিয়েছেন আপু। যাইহোক এতো সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া বাসার পাশেই যদি সব পাওয়া যায় তাহলে কষ্ট করে দূরে যাওয়ার কি দরকার। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।