লাচুং ইয়ামথাং ভ্যালি যাওয়ার পথের সৌন্দর্য্য
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম ভারতের সিকিম ভ্রমণ নিয়ে। গতদিন আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করেছিলাম লাচুং পৌঁছানো পর্যন্ত। আমরা পৌঁছাতে পৌঁছাতে রাত হয়ে গিয়েছিলো। এজন্য লাচুংয়ের সৌন্দর্য ঐদিন দেখতে পেরেছিলাম না। পরদিন সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠার পর থেকে এর আসল সৌন্দর্য চোখে পড়ে। চারপাশে পাহাড় আর মেঘের খেলা মনে হচ্ছিলো। সকালবেলায় ঘুম থেকে উঠে সাতটার মধ্যে আমরা বের হয়ে গিয়েছিলাম ইয়ামথাং ভ্যালির উদ্দেশ্যে। লাচুং এ আরো কয়েকটি দর্শনীয় স্থান রয়েছে। কিন্তু বিদেশী পর্যটকদের সব জায়গায় যাওয়ার পারমিশন নেই। শুধুমাত্র ইয়ামথ্যাং ভ্যালি এবং জিরো পয়েন্টে বিদেশি পর্যটকদের যাওয়ার পারমিশন রয়েছে। তাছাড়া বেশ কিছু মন্দির রয়েছে সেখানে যাওয়া যায়। আমরা অবশ্য সেদিকে যায়নি।
সকাল সাতটার মধ্যেই সবাই ইয়ামথাং ভ্যালির উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। কারণ সকালে এর সৌন্দর্য অন্যরকম সুন্দর থাকে। তাছাড়া ওই দিনই আমাদের গ্যাংটকের ফেরার কথা। গ্যাংটক এ ফিরতেও ৬/৭ ঘন্টা লেগে যায়। ইয়ামথ্যাং ভ্যালির প্রধান সৌন্দর্য থাকে শীতকালে। শীতকালে চারপাশের পাহাড় ফুলে ভর্তি থাকে। তাছাড়া বেশি শীতের সময় চারপাশে বরফে ঢেকে থাকে। আমরা সকালবেলা পাহাড়ের মাথায় একটু বরফ দেখতে পেয়েছিলাম। সূর্যের আলো পড়াতে বরফ একেবারে চকচক করছিল।
লাচুং আসার সময় পাহাড়ের একদম গা ঘেষে গাড়ি আসতে হয়। এজন্য একটু ভয় ভয় লাগছিল। কিন্তু ইয়ামথ্যাং ভ্যালিতে যাওয়ার সময় সেই ভয়টা কেটে গিয়েছিল। কারণ এখানকার রাস্তা দুই পাহাড়ের মাঝখান দিয়ে। অনেকটা সমতল জায়গার মতো। তাছাড়া মাঝে মাঝে বেশ সমতল জায়গা দেখা যাচ্ছিল। দেখে বোঝার উপায় ছিল না যে এটি পাহাড়ের এত উঁচুতে।
যতই উপরে উঠছিলাম ততই মনে হচ্ছে মেঘগুলো নিচে চলে যাচ্ছে। দূরের মেঘ দেখে সাদা তুলার মত লাগছিলো। চারপাশে সবুজ পাহাড় আর মাঝে মাঝে এরকম সাদা মেঘ অসম্ভব সুন্দর দৃশ্য।
রাস্তায় যাওয়ার পথে এরকম ছোট ছোট অনেক ঝর্ণা চোখে পড়ে। পাথরের উপর দিয়ে ঝর্ণাগুলোর পানি একেবারে সাদা ফেনার মত লাগছিল। যতই উপরে উঠছিলাম ততই শীতের প্রকোপ বাড়ছিল।
৩/৪ ঘন্টা পর আমরা ইয়ামথ্যাং ভ্যালিতে পৌঁছে গিয়েছি। আজ এ পর্যন্তই। পরবর্তীতে আপনাদের সঙ্গে ইয়ামথ্যাং ভ্যালির সৌন্দর্য নিয়ে হাজির হব। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
ধন্যবাদ
@tania
Photographer | @tania |
---|---|
Phone | i phone11 |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
---|
VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
অজানাকে জানতে অচিনাকে চিনতে কার না ভালো লাগে। আমিও ঠিক তেমনি একজন ভ্রমণ প্রেমিক। দেশের বিভিন্ন স্থানে ঘুরতে না পারলেও বিশেষ প্রয়োজনে অনেক জায়গায় যাওয়া হয়ে থাকে। তবে আরও শক রয়েছে দেশের বিভিন্ন জায়গা গুলো ইচ্ছে মত ঘুরে দেখব। যাই হোক সুন্দরভাবে আপনি আমাদের মাঝে আজকে পোস্ট শেয়ার করেছেন। যেখানে ভ্রমণ স্থানের দৃশ্য ফুটিয়ে তুলেছেন। আর এরই মধ্য দিয়ে অজানা অনেক কিছু জানতে পারলাম, অচেনা অনেক কিছু দেখার সৌভাগ্য হলো
যেহেতু আপনার ইচ্ছা আছে তাহলে সময় সুযোগ হলে অবশ্যই বিভিন্ন জায়গা থেকে ঘুরে আসবেন। এতে মন ফ্রেশ থাকে। ধন্যবাদ আপনাকে।
ইয়ামথ্যাং ভ্যালি আমার কাছে দারুণ লাগলো আপু! মনে হচ্ছে মেঘগুলো ধরা যাবে হাত দিয়ে! আহা! ছবিতে কত সুন্দর বাস্তবে তো আরও সুন্দর লাগবে দেখতে! জিরো পয়েন্ট এ ভালো সময় কাটিয়েছেন
ঠিক বলেছেন ভাইয়া এখানের মেঘগুলো দেখে মনে হয় যে হাত দিয়ে ধরা যাবে। তুলার মত সুন্দর। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।