বড় মুরগির মাংসের রেসিপি
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আজকে আপনাদের সঙ্গে মুরগির মাংসের রেসিপি শেয়ার করবো। এই মুরগি নরমাল কক বা দেশি মুরগি না। অনেক বড় সাইজের মুরগি। এই মুরগির নাম অবশ্য আমার জানা নেই। কিন্তু একেকটি মুরগি প্রায় তিন কেজি বা তার থেকে বেশি ওজনের হয়। খেতেও অনেকটা হাঁসের মাংসের মত লাগে। দেশি মুরগি বাজার থেকে কিনলে অনেক সময় দেখা যায় যে অন্য মুরগি ধরিয়ে দেয়। বোঝার উপায় থাকে না। বাসায় এসে রান্না করলে বোঝা যায় যে এটি আসলে দেশি মুরগি না। তাছাড়া কক মুরগির মাংস খেতেও তেমন একটা ভালো লাগে না । এদিক দিয়ে মুরগির মাংস ছাড়া তো বাসায় চলেই না। বাচ্চারা খেতে বসলেই মুরগির মাংসের বায়না ধরে। এজন্য একটু ভিন্ন ধরনের মুরগির মাংস কেনার চেষ্টা করেছি। এই মাংস খেতে খুবই মজা। এমনি মুরগির মাংসের থেকে অনেক বেশি সুস্বাদু। এত বড় সাইজের মুরগি সুস্বাদু না হয়ে যাবে কোথায়। আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে এই মুরগির মাংস। আশা করি আপনাদের কাছেও ভালো লাগবে রেসিপিটি।
পিঁয়াজ--৬টি
পিঁয়াজ বেরেস্তা--১/২ কাপ
আদা বাটা -- ১.৫ টেবিল চামচ
রসুন বাটা-- ১.৫ টেবিল চামচ
হলুদের গুঁড়া --২ চা চামচ
ধনিয়া গুঁড়া--১.৫ চা চামচ
মরিচের গুঁড়া--২ চা চামচ
গরম মসলার গুঁড়া--২ চা চামচ
জিরা গুঁড়া--১.৫ চা চামচ
এলাচ--৪টি
লবন-- পরিমাণমতো
সরিষার তেল-- পরিমাণমতো
প্রথমে চুলায় একটি ফ্রাইপ্যান বসিয়ে তার মধ্যে পরিমাণ মতো তেল দিয়ে দিয়েছি। তেল গরম হলে এলাচ দিয়ে একটু নেড়ে চেড়ে পেঁয়াজ কুচিগুলো দিয়ে দিয়েছি। পিঁয়াজ কুচিগুলো একটু ভেঁজে নিয়ে বাটা মশলাগুলো দিয়েছি।
বাটা মসলাগুলো দিয়ে একটু নেড়ে চেড়ে গুঁড়া মশলা গুলো দিয়েছি। তারপর মসলাগুলো ভালোমতো কষিয়ে নিয়ে মাংসগুলো দিয়ে দিয়েছি।
মাংসগুলো মসলার সঙ্গে ভালোমতো নেড়েচেড়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে বেশ কিছুক্ষণ কষিয়ে নিয়েছি।
কিছুক্ষণ কষানো হয়ে গেলে সামান্য একটু পানি দিয়ে আরো কিছুক্ষণ কষিয়ে নিব যতক্ষণ না পানি শুকিয়ে যায়।
পানি শুকিয়ে কষানো হয়ে গেলে পরিমাণ মতো পানি দিয়ে দিব পুরোপুরি রান্না হওয়ার জন্য। তারপর বেরেস্তা, গরম মসলার গুড়া ও জিরা গুড়া দিয়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে আরও কিছুক্ষণ রান্না করব।
মাংস সিদ্ধ হয়ে ঝোল কমে আসলে চুলা বন্ধ করে দিব।
এখন একটি বাটিতে পরিবেশনের জন্য উঠিয়ে নিয়েছি। এভাবেই আমার মাংস রান্না হয়ে গেলো। আশা করি আপনাদের সকলের ভালো লেগেছে, সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।
ধন্যবাদ
@tania
Photographer | @tania |
---|---|
Phone | oppo reno5 |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
---|
VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
মুরগির মাংস রান্নার দারুন একটা রেসিপি আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। মুরগির মাংস তে যদি বেশি করে পেঁয়াজ দিয়ে এইভাবে রান্না করা যায় তাহলে সেটা খেতে খুবই ভালো লাগে।
আসলেই ভাইয়া মুরগির মাংস অনেক বেশি পেঁয়াজ দিলে সেই মুরগির মাংসের স্বাদ আরও বেশি হয়। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু, মুরগির মাংস গুলো দেখে মনে হচ্ছে এটি লাল রঙের লেয়ার মুরগি। আসলে লেয়ার মুরগিগুলো ওজনেও অনেক বেশি হয়। আর খেতেও খুবই স্বাদ লাগে। আপু, আপনার তৈরি বড় মুরগির মাংসের রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই মজার হয়েছে। রেসিপির কালারটাও খুবই লোভনীয় হয়েছে। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু খুব মজার এই রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
না ভাইয়া লেয়ার মুরগি না। কি যেন নাম বলেছিল আমার ঠিক মনে নেই। কিন্তু খেতে অনেক মজাদার ছিল। ধন্যবাদ আপনাকে।
বড় মুরগির মাংসের রেসিপি দেখে খেতে ইচ্ছা করছে। আপনার রেসিপি পরিবেশন দেখে খুবি ভালো লেগেছে আমার। ধাপে ধাপে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
আমার রেসিপির পরিবেশনা আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম ভাইয়া। ধন্যবাদ আপনাকে।
বড় মুরগির রেসিপি দেখে সকাল সকাল ক্ষুধা লেগে গেলো আপু।রান্নার কালার দারুন এসেছে। এই মুরগির মাংস খেতে ভীষন মজার হয়।আপনি রান্নার ধাপগুলো এক এক করে তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ আপু মজার এই রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
চামড়া সহ থাকে জন্য মুরগির মাংস গুলো খেতে আরো বেশি ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপু আপনার গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য।
আপনি খুবই মজাদার এবং লোভনীয় একটা রেসিপি তৈরি করেছেন। মুরগির মাংস খেতে পছন্দ করে না এরকম মানুষ খুব কম রয়েছে বলে আমি মনে করি। আপনি ভিন্ন রকমের মুরগি কিনেছেন এবারে রান্না করার জন্য। মুরগির মাংস দেখেই বুঝা যাচ্ছে মুরগির সাইজটা অনেক বড় ছিল। খুবই মজা করে খেয়েছিলেন বুঝা যাচ্ছে। অসম্ভব ভালো লেগেছে আমার কাছে আপনার করা এই মজাদার রেসিপি টা।
ঠিক বলেছেন আবু মুরগির মাংস সবাই পছন্দ করে। বিশেষ করে ছোটদের তো খুবই পছন্দ। এর জন্যই বারবার খাওয়া হয়। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
মুরগির মাংস আমার একটু বেশি ফেভারিট। বিভিন্ন ধরনের মুরগির মাংস খেতে আমার কাছে খুব ভালো লাগে। এক ধরনের মুরগির মাংস খেতে কিন্তু সবসময় ভালো লাগেনা। মাঝে মাঝে যদি মুরগির মধ্যে ও ভিন্নতা আনা যায় তাহলে কিন্তু ভালোই হয়। আর বাজার থেকে দেশি মুরগি কেনার জন্য অভিজ্ঞতা থাকা প্রয়োজন। দেশি মুরগি চেনার কিছু উপায় রয়েছে, সেগুলো যদি আপনার জানা থাকে তাহলে দেশি মুরগি কিনতে অসুবিধা হবে না।।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া দেশি মুরগি চিনে কিনতে পারলে ঠকার সম্ভবনা থাকে না কিন্তু। তারপরও কিনতে গেলে ঠকতেই হয়। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
মুরগির মাংসের রেসিপি দেখতে বেশ লোভনীয় লাগছে আপু। রেসিপির কালার দেখেই বুঝা যাচ্ছে খেতে খুব ইয়াম্মি লেগেছে। এই বড় মুরগি গুলো খেতে দারুণ লাগে। আমাদের এদিকে এগুলোকে খাসি মুরগি বলা হয়। ৪/৫ কেজি ওজনের খাসি মুরগি গুলো খেতে আরো বেশি সুস্বাদু লাগে। যাইহোক এতো মজাদার একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া বড় মুরগী গুলো খেতে খুবই মজা লাগে। অন্য মুরগির থেকে একদমই আলাদা স্বাদ। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
আপু মুরগির মাংস আমার খুব পছন্দের একটি খাবার। বিশেষ করে মুরগি দুই রান খেতে আমার খুবই ভালো লাগে। আপনি আজকে বড় মুরগির মাংস রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার তৈরি রেসিপিটি দেখতে ভীষণ লোভনীয় দেখাচ্ছে। মাংস তৈরি প্রতিটা ধাপ আপনি খুব চমৎকার ভাবে আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আমিও মুরগির মাংস খেলে মুরগির রানই বেশি খাই। অন্য মাংস আমার তেমন একটা ভালো লাগে না। যাই হোক ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
মুরগির মাংস আমারও খুব ফেভারিট।
গতকালকে ও মুরগির মাংসের রেসিপি প্রস্তুত করেছিলাম।
আপনার প্রস্তুত করা মানুষের রেসিপি দেখে খুব লোভ হচ্ছে।
বিশেষ করে লেগ পিস দেখে ইচ্ছে করছে খেতে শুরু করে।
আমার বাসায় তো প্রায় দিনই মুরগির মাংস রান্না করতে হয়। তা না হলে বাচ্চারা খেতেই চায় না। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে।