বাচ্চাদের পিকনিক এর আয়োজন
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। ছোটবেলায় আমরা অনেক পিকনিক করেছি স্কুল কলেজে। পাশাপাশি আশেপাশের বাসার লোকজন মিলে। এখনকার বাচ্চারা তো সেরকম পিকনিকের মজাই পায় না। আমরা দেখা যেত ছোটবেলার সবার বাসা থেকে চাল, ডাল, ডিম নিয়ে খিচুড়ি আর ডিম ভুনার পিকনিক করতাম। সেইসব দিনের কথা মনে পড়লে এখনো খুব আফসোস হয়। আশেপাশের সব বাসার বাচ্চাটা মিলে এরকম পিকনিক গুলো আগেকার দিনেই দেখা যেত। কিন্তু এই বিষয়টি এখনো গ্রামের বাচ্চাদের মধ্যে রয়ে গিয়েছে। এবার আমার শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে দেখলাম যে বাচ্চারা পিকনিকের আয়োজন করছে। আমরা যাবো জন্যই ওই সময়ই প্ল্যান করেছে। তা না হলে ওরা আগেই পিকনিক করত। আমার বাচ্চারা তো এরকম পিকনিকে আগে কখনো জয়েন হয়নি। সেজন্য ওরা খুব এক্সাইটেড ছিল।
যেহেতু বাচ্চাদের পিকনিক তাই বাচ্চাদের পছন্দের খাবারের আয়োজন করা হয়েছিল। পোলাও, রোস্ট, মাংস, বুটের ডাল, ডিম ভুনা, পায়েস। জন প্রতি আড়াইশো টাকা করে ধরেছিল। তাছাড়া চাল,ডাল,তেল, আদা, রসুন,পিঁয়াজ, মরিচ এগুলো সবার বাড়ি বাড়ি থেকে নিয়ে আসা হয়েছে।
সকাল সকাল বাজার করে রান্নার সব প্রস্তুতি তৈরি করা হয়েছিলো। বিকাল হতে না হতেই বাচ্চারা সবাই রেডি হয়ে গিয়েছিল। ছোট ছোট মেয়েরা সেরকম সাজুগুজু করে সব এসেছে দেখলাম। বেশ ভালো লাগছিল দেখতে। তাছাড়া আলাদা জায়গায় চুলা তৈরি করে রান্নার আয়োজন করছিলো।
মাটির চুলার রান্নার মজাই আলাদা।এখন তো গ্রামের সবাইকেও দেখি গ্যাসের চুলা এবং কারেন্টের চুলায় রান্না করে। মাটির চুলায় খুব কম রান্না করে। এ জন্য উঠানে মাটির চুলা তৈরি করা হয়েছিল। এখানে ডিম এবং ডাল রান্না হচ্ছে।
শীতের দিন এমনিতেই ছোট হয়। বিকালের দিকে রান্না শুরু করেছিল। সব রান্না করতে করতে রাত হয়ে গিয়েছে। বাচ্চাদেরকে দেখলাম ছোট ছোট লাইটিং এর ব্যবস্থা করেছে। তাছাড়া সাউন্ডবক্সে গান চালিয়ে সবাই নাচানাচি করছিল। বাচ্চাদের মজা দেখে আসলে খুব ভালো লাগছিল। আমাদের ছোটবেলার বেশ কিছু স্মৃতি মনে পড়ে গিয়েছিল ওদের এরকম আনন্দ দেখে।
রান্না প্রায় শেষ। এখন পায়েস রান্না চলছে। রান্না হওয়ার পর সবাই নিচে বসে একসঙ্গে বেশ মজা করে খেয়েছিল। বাচ্চাদের পিকনিক অনুযায়ী রান্না অনেক বেশি হয়ে গিয়েছিলো। আমরা বড়রাও সেই রান্না খেয়েছিলাম। খুবই মজা হয়েছিলো খাবারগুলো।
এই ছিল আমার আজকের আয়োজন। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।
ধন্যবাদ
@tania
Photographer | @tania |
---|---|
Phone | oppo reno5 |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
---|
VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
আমরা ছোট বেলায় যেভাবে আনন্দ করেছি সেই আনন্দ কি আর আছে!কারণ এখনকার বাচ্চারা মোবাইল নিয়েই ব্যস্ত আছে। বাইরের খেলাধুলার সাথেও তাদের যোগাযোগ নেই। আমরা নিজেরা মিলে আয়োজন করতাম, চাল ডাল ঘর থেকে নিয়ে খিচুড়ি হতো।তবে আপনার শ্বশুরবাড়িতে বাচ্চাদের এরকম পিকনিকের আয়োজন দেখে খুব ভালো লাগলো।আপনার ছেলেরাও মজা করেছে খুব।
আমার ছেলেরা তো এরকম পিকনিকের সঙ্গে পরিচিতই ছিল না। এবার গিয়ে খুব মজা করেছে এরকম পিকনিক পেয়ে। ধন্যবাদ আপু মন্তব্যের জন্য।
আসলে আপনি ছোটদের পিকনিক দেখতে বেশ ভালোই লাগে। এর চেয়ে বেশি ভালো লাগে ছোটদের সাথে পিকনিক করে। তবে আপনি দেখছি বাচ্চাদের পিকনিকের আয়োজনে খুব সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছে। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
বাচ্চাদের আনন্দ দেখে মনে হলো যে ফটোগ্রাফি গুলো করে রাখি। পরে দেখলে মজা পাবে। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
আপু এটা একদম সত্যি কথাই বলেছেন,আমরা যেভাবে পিকনিক নিয়ে আনন্দ করতাম ছেলেবেলায়। তেমন আনন্দ এখনকার বাচ্চাদের মাঝে কমই দেখা যায়। আপনি আপনার শ্বশুরবাড়ি যাবেন তাই বাচ্চারা অপেক্ষা করেছিল আপনাদের জন্য। আপনারা যাওয়াতে আপনার বাচ্চারা আনন্দ করতে পারলো।এতো এতো রান্না। আর সব বাচ্চাদের পছন্দের খাবার। বাচ্চাদের জন্য এতো খাবার খুব বেশী হয়ে গিয়েছিল।তাই আপনারা বড়রাও খেয়েছেন।যাক পিকনিকের আনন্দ আপনারা ও পেয়েছেন।বেশ ভালোই লাগলো আপনার অনুভূতি গুলো পড়ে। ধন্যবাদ আপু শেয়ার করার জন্য।
শহরের ছেলেমেয়েরা এত এরকম পিকনিক কখনো করেইনি। প্রতিটি বাসা থেকে চাল ডাল নিয়ে পিকনিক করার মজায় ছিল অন্যরকম। ধন্যবাদ আপু মন্তব্যের জন্য।
মাত্র আড়াইশো টাকা চাঁদা দিয়ে এতগুলো রেসিপি খাওয়া যায় আগে জানলে বাচ্চাদের সাথে আমিও যোগ দিতাম আমিও তো আপনার ছোট ভাই আমি তো ছোট মানুষ হি হি হি।
আড়াইশো টাকার পাশাপাশি যে চাল, ডাল, তেল পেঁয়াজ আদা রসুন সব বাসা থেকে নিল তা হয়তো খেয়াল করেননি। ধন্যবাদ ভাইয়া মন্তব্যের জন্য।
বাচ্চাদের এই পিকনিকের দৃশ্য দেখে একদম যেন ফিরে পেলাম আমার অতীতের সেই সুন্দর মধুর স্মৃতিগুলো। যেখানে ছোট ছোট বন্ধুরা একসাথে পিকনিকের আয়োজন করতাম। কতই না মধুর ছিল সেই সমস্ত দিনগুলো। যাইহোক আনন্দঘন এই পরিবেশটা আমার অনেক ভালো লাগলো।
আমারও ওদের পিকনিক দেখে ছোটবেলায় বেশ স্মৃতি মনে পড়ে গিয়েছিল। ধন্যবাদ ভাইয়া মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।