টি এস সি তে ঘুরাঘুরি
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। কিছুদিন আগে ওয়াহিদা আপু এসেছিল তৌহিদা আপুর বাসায়। তখন বাচ্চাদের স্কুল বন্ধ রেখে আমিও গিয়েছিলাম সেখানে। বোনদের সঙ্গে কিছুটা সময় কাটাতে। এভাবে ঢাকায় কখনো একসঙ্গে সময় কাটানো হয় না। ওই দিন সকালবেলায় তৌহিদা আপুর বাসায় আমি বাচ্চাদেরকে নিয়ে চলে গিয়েছিলাম। যেহেতু হাজবেন্ডের অফিস খোলা ছিল তাই। সেখানে যাওয়ার পর বিকালবেলা সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিলো যে টিএসসি তে ঘুরতে যাবে। যদিও রওনা দিয়ে যেতে যেতে আমাদের সন্ধ্যা পার হয়ে গিয়েছিল। রিক্সা থেকে নামার পর মনে হল যে কোন জনবহুল জায়গায় চলে আসলাম। এত লোকজন কোথাও পা ফেলার জায়গা পাওয়া যাচ্ছিল না। বাচ্চাদের নিয়ে খুব খারাপ অবস্থায় পড়েছিলাম। তাই সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিলাম যে ভিতরে যাওয়া যাক। সেখানে কিছুটা ফাঁকা পাওয়া গেলেও যেতে পারে। হাটতে হাঁটতে ভেতরের দিকে চলে গেলাম। যদিও স্বাধীনতার জাতীয় স্তম্ভের ঐদিকটায় কিছুটা ফাঁকা ছিল এবং খোলা জায়গা পাওয়ায় বাচ্চারাও বেশ আনন্দ করছিলো।
শুরুতেই ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে একটি জায়গায় এরকম বেলুন ফোটানোর ব্যবস্থা দেখলাম। বাচ্চারা তো সেগুলো দেখে খুব অস্থির হয়ে গিয়েছিল। পরে ভাইয়া বাচ্চাদের খেলার ব্যবস্থা করে দিল। এক এক করে আমরা সবাই গুলি ফুটালাম। আমার গুলি অবশ্য বেলুনে লাগে নি। বেশ কয়েকজনের গুলি বেলুনে লেগেছিল। যদিও খুব একটা মজা লাগেনি আমার কাছে কিন্তু বাচ্চারা বেশ মজা পেয়েছিল। কিছুদূর যাওয়ার পর দেখলাম যে বইমেলার প্রিপারেশন চলছে। স্টোর গুলো বেশ খানিকটা তৈরি হয়ে গিয়েছে। আর কয়েকদিন পরেই পুরোদমে বইমেলা শুরু হয়ে যাবে।
কিছুদূর যাওয়ার পরে দেখলাম যে লোকজন আগুন জ্বালিয়ে রেখেছে। তাছাড়া রাস্তার পাশে সবাই হাটাহাটি করছে এবং ছবিও তুলছে। দূর থেকে স্বাধীনতার স্তম্ভটি খুব ভালো লাগছিল দেখতে। নিচের লাইট জ্বলার কারণে একদম উপর পর্যন্ত খুব পরিষ্কার দেখা যাচ্ছিল। দেখতে খুব ভালো লাগছিলো।
হাঁটতে হাঁটতে আমরা স্বাধীনতা জাদুঘরের সামনে চলে আসলাম। যদিও সন্ধ্যা হয়ে যাওয়ার কারণে সেটি বন্ধ ছিল। তা না হলে ভিতরে ঘুরে দেখা যেত। দূর থেকে বইমেলার প্রিপারেশনের জায়গাগুলো খুব সুন্দর লাগছিলো। সবগুলোতে লাইট জ্বলছিল জন্য এত ভালো লাগছিল দেখতে।।
সেখান থেকে নেমে আমরা হাঁটতে হাঁটতে চলে গেলাম অনির্বাণ শিখার কাছে। শিখা অনির্বান বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ। যুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী সৈনিকদের স্মৃতি মানুষের জীবনে জাগ্রত রাখার জন্য এই শিখা প্রজ্জ্বলন করে রাখা হয়।
তারপরে কিছুটা রাত হয়ে যাওয়ার জন্য সবাইকে সেখান থেকে চলে যেতে বলছিলো। তাই আমরাও সেখান থেকে বেরিয়ে আসলাম। এই ছিল আমার সেই দিনের ঘোরাফেরা। আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।
ধন্যবাদ
@tania
Photographer | @tania |
---|---|
Phone | oppo reno5 |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি অর্থনীতিতে অনার্স মাস্টার্স কমপ্লিট করেছি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা,আর্ট করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে এবং ব্লগিং করতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
---|
VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
সেদিন সবাই মিলে বেশ ভালই ঘোরাঘুরি করেছিলাম এবং ভীষণ ভালোও লেগেছিল। আপনার সেদিনকর সেই অনুভূতিটা পড়ে বেশ ভালো লাগলো। নতুন করে আবার যেন সেই মুহূর্তগুলো চোখের সামনে দেখতে পেলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।
ঠিক বলেছেন আপু সবাই মিলে ঘুরাঘুরি করার মজাই আলাদা। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।