চিকেন খিচুড়ির রেসিপি
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আজকে আপনাদের সঙ্গে মুরগির মাংস দিয়ে খিচুড়ি রান্না শেয়ার করবো। খিচুড়ি পছন্দ করে না এমন লোক মনে হয় পাওয়া যায় না। আমার কাছে খুবই ভালো লাগে খিচুড়ি খেতে। আমার যেদিন কোন কিছু রান্না করতে ইচ্ছা করে না সেদিনই ঝটপট খিচুড়ি রান্না করে ফেলি। বিশেষ করে বৃষ্টির দিনে গরম গরম খিচুড়ি খেতে খুব ভালো লাগে। ভুনা খিচুড়ি খেতে যেমন ভালো লাগে তেমনি সবজি খিচুড়ি নরম করে রান্না করলেও খেতে খুবই ভালো লাগে। কিন্তু বাচ্চারা আবার খিচুড়ি তেমন একটা খেতে চায় না। বাচ্চারা যাতে খিচুড়িটাও খুব মজা করে খায় সেজন্য আমি মুরগির মাংস দিয়ে খিচুড়িটা রান্না করেছিলাম। মুরগির মাংসতো আবার বাচ্চাদের খুব পছন্দ। মুরগির মাংস দিয়ে খিচুড়ি রান্না করার কারণে খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছিলো। আশা করি আপনাদের কাছেও ভালো লাগবে।
পোলাওয়ের চাল-- ১ কাপ
মিক্সড ডাল--১/২ কাপ
আলু--১ টি
পিঁয়াজ-- ৫ টি
কাঁচামরিচ-- ৬ টি
হলুদের গুঁড়া--২ চা চামচ
ধনিয়া গুড়া--১.৫চা চামচ
গরম মসলার গুঁড়া--২ চা চামচ
আদা বাটা--১.৫ টেবিল চামচ
রসুন বাটা--১টেবিল চামচ
লং--২ টি
এলাচ--২ টি
দারচিনি--১ টুকরা
লবন--পরিমাণমতো
সরিষার তেল--পরিমাণমতো
প্রথমে চুলায় একটি ফ্রাইপ্যান বসিয়ে দিয়ে তার মধ্যে পরিমাণ মতো তেল দিয়ে দিয়েছি। তেল গরম হলে আলুগুলো দিয়ে ভালোমতো ভেঁজে উঠিয়ে নিয়েছি।
এখন আর একটু তেল দিয়ে প্রথমে লং,এলাচ এবং দারচিনি দিয়েছি। এগুলো একটু ভেঁজে নিয়ে পিঁয়াজ এবং মরিচ কুচি দিয়ে দিয়েছি।
পিঁয়াজ মরিচ কুচি গুলো একটু ভেঁজে নিয়ে বাটা মশলাগুলো দিয়ে দিয়েছি। বাটা মসলাগুলো একটু কষিয়ে নিয়ে গুড়া মশলাগুলো সব দিয়ে দিয়েছি।
সব মসলা ভালোমতো আবারো কষিয়ে নিয়ে মাংস দিয়ে দিয়েছি। মাংসগুলো মসলার সঙ্গে ভালোমতো মিশিয়ে নিয়েছি।।
তারপর সামান্য একটু পানি দিয়ে মাংসগুলোকে আধা সিদ্ধ করে নিয়েছি। ঝোল শুকিয়ে আসলে ধুয়ে রাখা চাল ডালগুলো দিয়ে মসলার সঙ্গে ভালোমতো মিশিয়ে নিয়েছি।।
এখন পরিমাণ মতো পানি দিয়ে দিব পুরোপুরি রান্না হওয়ার জন্য। তারপর আলুগুলো দিয়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিয়েছি।
পানি পুরোপুরো শুকিয়ে আসলে আর একবার নেড়ে দিয়ে কিছুক্ষণের জন্য দমে রেখে দিব। ১০ মিনিট পর আমার খিচুড়ি রেডি হয়ে গিয়েছে। চুলা বন্ধ করে দিয়েছি।
এখন একটি বাটিতে পরিবেশনের জন্য উঠিয়ে নিয়েছি। এভাবে আমার রেসিপি তৈরি হয়ে গেল। আশা করি আপনাদের সকলের ভাল লেগেছে। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।
ধন্যবাদ
@tania
Photographer | @tania |
---|---|
Phone | oppo reno5 |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
---|
VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
সাধারণ খিচুরির চেয়ে আমার কাছে নরম সবজি খিচুরি বেশি ভালো লাগে। চিকেন বিরিয়ানির চেয়ে চিকেন খিচুড়ি আমার বেশি পছন্দ। চিকেন খিচুরি রেসিপি টা দারুণ তৈরি করেছেন আপু। দেখেই এর স্বাদ টা অনুমান করা যাচ্ছে। রেসিপি টার প্রতিটা ধাপ উপস্থাপন করেছেন দারুণ। সবমিলিয়ে চমৎকার পোস্ট ছিল। ধন্যবাদ আমাদের সঙ্গে রেসিপি টা শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।
আপনার মত আমারও নরম খিচুড়ি খেতে অনেক ভালো লাগে। আসলে ভাইয়া খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছিল। ধন্যবাদ আপনাকে।
ছোট-বড় সবাই কমবেশি খিচুড়ি খেতে অনেক পছন্দ করে। তবে আজকে আপনি অনেক সুন্দর করে চিকেন খিচুড়ির রেসিপি করেছেন। তবে খিচুড়ি খেতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। বৃষ্টির সময় খিচুড়ি খাওয়ার মজাই আলাদা। তবে আপনার খিচুড়ি রেসিপি দেখে আমার খেতে খুব ইচ্ছে করতেছে। আর রেসিপির কালার দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর করে চিকেন খিচুড়ির রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আমি খিচুড়ি খেতে অনেক বেশি পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের খিচুড়ি খেতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
একদম ঠিক বলেছেন আপু খিচুড়ি পছন্দ করে না এমন মানুষ হয়তো খুঁজে পাওয়া মুশকিল। তবে এরকমভাবে চিকেন খিচুড়ি হলে তো কোন কথাই নেই।
অনেক মজাদার ভাবে রেসিপিটি প্রস্তুত করেছেন দেখেই জিভে জল চলে এলো খেতে নিশ্চয়ই খুব মজা হবে।
তবে এমন খিচুড়ি জাতীয় খাবার ঠান্ডা দিন অথবা বৃষ্টির দিনে খেতে সব থেকে বেশি মজা লাগে।
যেকোনো ধরনের খিচুড়ি খেতে আমার কাছে ভালো লাগে। বৃষ্টির দিনে খিচুড়ি খেতে আরো বেশি ভালো লাগে। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
একদম ঠিক বলেছেন আপু খিচুড়ি খেতে আসলে সবারই খুব ভালোলাগে । বিশেষ করে বৃষ্টির দিনে খিচুড়ির প্রতি অন্যরকম একটা আকর্ষণ থাকে ।তখন যেকোনো ধরনের খিচুড়ি খেতেই ভালো লাগে । আর এরকম চিকেন দিয়ে রান্না করলে তো খিচুড়ি আমার কাছে আরো বেশি ভালো লাগে । সব ধরনের খিচুড়ি খেতেই বেশি পছন্দ করি ।আপনার আজকের খিচুড়ি রেসিপিটি কিন্তু দারুন হয়েছে অনেক লোভনীয় লাগছে ।
আমার তো আপনার হাতের খিচুড়ি খেতে বেশি ভালো লাগে। এজন্যইতো আপনার বাসায় গেলে খিচুড়ি খাওয়ার বায়না করি।
আপু দেখছি বেশ কয়েকরকম ডাল মিলিয়ে মুরগি খিচুড়ি রান্না করেছেন। খিচুড়ি আমার এমনিতেই পছন্দের, তারউপর এমন মজাদার চিকেন খিচুড়ি হলে তো কথাই নেই! তবে ব্যক্তিগত ভাবে আমি সর্বোচ্চ দুই রকমের ডাল দিয়ে বানিয়েছি আগে, পরের বার এমন ভাবে ট্রায় করে দেখবো। আপনাকে ধন্যবাদ আপু এই রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
যত বেশি রকমের ডাল দিয়ে খিচুড়ি রান্না করা যায় তত বেশি খেতে ভালো লাগে। আপনিও বাসায় রান্না করে খেয়ে দেখতে পারেন আপু। ভালো লাগবে আশা করি।
ঠিকই বলেছেন, খিচুড়ি পছন্দ করে না এমন লোক খুঁজেই পাওয়া যাবে না। আমিও খিচুড়ি খুবই পছন্দ করি। বিশেষ করে বৃষ্টির দিন গরম গরম খিচুড়ি খেতে বেশ ভালো লাগে। আপনার রেসিপিটা দেখে লোভ সামলানো যাচ্ছে না। সুন্দর একটা রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।
বৃষ্টির দিনে আমার কাছে বিভিন্ন ধরনের সবজি দিয়ে নরম খিচুড়ি খেতে বেশি ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপু মন্তব্যের জন্য।
খিচুড়ি খেতে আমরা সকলেই পছন্দ করি। আর আপনি যেভাবে আজকে চিকেন খিচুড়ি রেসিপি তৈরি করার রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন তা দেখে একদম মুগ্ধ হয়ে গেলাম৷ আপনি যেভাবে এই রেসিপি শেয়ার করেছেন তা কখনো দেখা হয়নি৷ আর এর যে ডেকোরেশন আপনি তুলে ধরেছেন তা দেখেও একদম লোভনীয় মনে হচ্ছে৷ ইচ্ছে করছে এখনি এখান থেকে খেয়ে ফেলি৷
আমার খিচুড়ির রেসিপি দেখে আপনি মুগ্ধ হয়ে গিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো ভাইয়া। বাসায় রান্না করে খেয়ে দেখতে পারেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
শীতকালের সময় মাঝেমাঝে চিকেন খিচুড়ি খেলে মন্দ হয় না। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে আজকে আমাদের মাঝে চিকেন খিচুড়ি রান্না করেছেন। প্রতিটা মানুষ খিচুড়ি পছন্দ করে তার সাথে যদি মুরগির মাংস দিয়ে রান্না করা হয়, একদম জমে যায়। বাচ্চার যাতে মজা পায়, সেই দিকটা বিবেচনা করে আপনি মুরগির মাংস দিয়ে রান্না করেছেন। খুব ভালো লাগলো।প্রয়োজনীয় উপকরণ গুলি সঠিক মাত্রায় তুলে ধরেছেন।প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর করে উপস্থাপনা করেছেন। আপনার রেসিপিটি দেখে আমি শিখতে পারলাম। আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগলো। আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
শীতকালের সময় আমার তো বিভিন্ন ধরনের সবজি দিয়ে নরম খিচুড়ি খেতে বেশি ভালো লাগে। কারণ এত ধরনের সবজি শীতকাল ছাড়া অন্য সময় পাওয়া যায় না। ধন্যবাদ ভাইয়া মন্তব্যের জন্য।
আরে আপু ভালো লেগেছে মানে কি আমার তো দেখেই খেতে ইচ্ছে করছে। শুধু কখন বলবেন বাসায় আসার কথা আমি তখনই খেতে চলে আসবো হি হি হি। তাছাড়া পোলাওয়ের চাউল দিয়ে রান্না করেছেন বলে আরো বেশি সুস্বাদু হবে বলে মনে হচ্ছে।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া পোলাওয়ের চাল দিয়ে রান্না করার কারণে বেশি সুস্বাদু হয়েছে। সময় সুযোগ হলে অবশ্যই বাসায় ডাকবো। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।