দার্জিলিং গ্লেনারীতে একদিন
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আজকে আপনাদের সঙ্গে দার্জিলিং এবং সিকিম ট্যুরের নতুন একটি পর্ব শেয়ার করবো। দার্জিলিংয়ে যেদিন পৌঁছেছিলাম সেদিন আমাদের ইচ্ছা ছিল বিকালের নাস্তা গ্লেনারীজ এ করার জন্য।
এই রেস্টুরেন্টটি ১০০ বছরেরও পুরনো। ব্রিটিশ রাজ্যের সময় থেকে চলে আসছে। মল রোডের পাশে চকবাজার এরিয়ায় অবস্থিত। এই রেস্টুরেন্টটির নাম সবসময় গ্লেনারী ছিলো না। আগে এর নাম ছিল ভাদো। ভারতের স্বাধীনতার পরে নাম পাল্টে গ্লেনারি করা হয়।
সন্ধ্যার সময় রেস্টুরেন্টে ঢোকার পর বেশ ভিড় দেখতে পেলাম। যদিও বাইরে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছিল তার মধ্যে এত লোক এসেছে। এখানে বিভিন্ন ধরনের খাবার পাওয়া যায়। বিশেষ করে বাচ্চারা ঢুকে তো খুবই খুশি হয়েছিল। তাদের পছন্দের সব খাবার। চকলেট, কেক ,ফ্রাই খাবার আরো অনেক জাতীয় খাবার।
শুরুতে ঢোকার পর অনেক ভিড় মনে হলে কিছুক্ষণ পর বেশ ফাঁকা হয়ে গেল। তাছাড়া ভিতরের দিকে বেশি ভিড় ছিলো। মাঝের জায়গাটা মোটামুটি ফাঁকাই ছিল। বাচ্চারা শুরুতেই কেকের জায়গায় চলে গিয়েছিল। এখানে বিভিন্ন ধরনের কেক পাওয়া যাচ্ছিলো। এই রেস্টুরেন্টে খাবারের দাম বেশ এক্সপেন্সিভ ছিলো। এত বছরের পুরনো রেস্টুরেন্ট জন্য এত বেশি জনপ্রিয়। খাবারের মান কিন্তু খুব ভাল ছিলো। খেতেও তেমন মজাদার ছিল।
রেস্টুরেন্টটিতে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে সাইডে এরকম বেশ কিছু ঝুড়ি থাকে। সেই ঝুড়ি নিয়ে আপনার পছন্দের খাবার গুলো নিজেই তুলে নিতে হবে। তারপর কাউন্টারে গিয়ে সেগুলোর বিল করে যে কোন এক জায়গায় বসে পড়তে পারবেন। আমরা নিচের এই খাবারগুলো নিয়েছিলাম। তাছাড়া বাচ্চাদের জন্য চকলেট কিনেছিলাম।
প্রথম দিনে রাতের বেলায় গিয়েছিলাম জন্য এর সৌন্দর্য তেমন একটা বুঝতে পাইনি। পরদিন সকালবেলায় গিয়ে আসলে এর সৌন্দর্য বুঝতে পেরেছিলাম। বিশেষ করে পিছন সাইডে বারান্দার দিকটা ওসম্ভব সুন্দর বসার জায়গা। এখানে বসে নাস্তা করার মজাই আলাদা। দূরে পাহাড় আর মেঘ দেখা যাচ্ছিলো। অসম্ভব সুন্দর পরিবেশ। কিন্তু ওই জায়গাটা খুব বেশি ভিড় ছিল। কারণ সবাই চাচ্ছিলো এই সুন্দর জায়গায় বসে নাস্তা করার জন্য। আমরা পরদিন সকালবেলায় গিয়েছিলাম কিন্তু নাস্তার আইটেমগুলো তেমন একটা পছন্দ না হওয়ার চলে এসেছিলাম।
আপনারা কেউ দার্জিলিংয়ে ঘুরতে গেলে অবশ্যই এই রেস্টুরেন্টিতে একবার খাবার খাবেন। খুবই সুস্বাদু খাবারগুলো। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।
ধন্যবাদ
@tania
Photographer | @tania |
---|---|
Phone | i phone 11 |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
---|
VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
দার্জিলিং গ্লেনারীতে আপনাদের দিনটা অনেক সুন্দর কেটেছে। অন্যান্য রেস্টুরেন্ট থেকে এটার সব কিছু আলাদা দেখলাম। আর পিছন সাইডে বারান্দার দিকটা সত্যিই অসম্ভব সুন্দর ছিল। কারন এখান থেকে বাহিরের মেঘ,পাহাড়ের পরিবেশটা দারুন লাগছিলো। ধন্যবাদ।