বনসাই গাছের কিছু ফটোগ্রাফি
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আজকে আপনাদের সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের বনসাই গাছের ছবি শেয়ার করব। এই গাছের ছবিগুলো আমি মেলা থেকে তুলেছি। মেলায় যাওয়ার পর প্রায় প্রতিটি দোকানেই এরকম বিভিন্ন ধরনের বনসাই গাছ দেখতে পেলাম। বনসাই গাছগুলো সাধারণত কৃত্রিমভাবে ছোট করে তৈরি করা হয় ঘরে সাজিয়ে রাখার জন্য । এই গাছগুলো খুব যত্ন সহকারে রাখতে হয়। তাছাড়া যে প্লেটে বা টবে এই গাছগুলো লাগানো হয় সেখানেই গাছগুলোকে রাখতে হয়। অন্য কোথাও লাগালে গাছগুলো মরে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। বনসাই গাছগুলো দেখতে খুব চমৎকার লাগে। গোড়া মোটা এবং উপরে ছোট্ট পাতা থাকে। কিছু কিছু বনসাই গাছ একদম ছোট হয় আবার কিছু কিছু গাছ একটু বড় ধরনের হয়ে থাকে। আজকে আমি আপনাদের সঙ্গে ছোট বড় সব ধরনের বনসাই গাছের ছবি শেয়ার করবো। আশা করি এগুলো দেখে আপনাদের ভালো লাগবে।
উপরের বনসাই গাছটি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। বিশেষ করে গোড়ার দিকের অংশটা। এত শিকড় গাছটিতে যে দেখতে খুব ভালো লাগছিল। তাছাড়া উপরে ছোট ছোট পাতা গুলো গাছটির সৌন্দর্য আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। নিচে এখানে তিনটি বনসাই গাছ রয়েছে। মাঝের বনসাই গাছটি বেশ বড় সাইজের। পাশের দুটি ছোট।
এই বনসাই গাছ দুটি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। এই গাছ দুটির গোড়া এত মোটা এবং প্যাঁচানো শিকড় ছিল। উপরের অংশ থেকে নিচের অংশ বেশি মোটা মনে হয়েছে আমার কাছে। সে অনুযায়ী গাছের পাতা খুবই কম লেগেছে। তারপরও অসম্ভব সুন্দর লাগছিল গাছ গুলো দেখতে।
বনসাই গাছ বিভিন্ন প্রজাতির হয়। এক একটি গাছের নাম আলাদা। বেশিরভাগ বনসাই গাছের নাম আমার জানা নেই। শুধু উপরের গাছের সঙ্গে একটি নেমপ্লেট লাগানো ছিল জন্য গাছের নামটি জানতে পেরেছি। এই গাছটির নাম বোগেনভিলিয়া। কেমন অদ্ভুত নাম। নিচে একসঙ্গে তিনটি বনসাই গাছ ছিল। মাঝের গাছটি বেশ লম্বা মনে হলো। পাশের গাছ দুটিও মোটামুটি লম্বাই ছিল।
এই বনসাই গাছ দুটি একই প্রজাতির দুটি আলাদা গাছ, কিন্তু পাতা একই রকম। এগুলো ঘরের ভিতরে রাখার জন্য। ঘরে এরকম একটি বনসাই গাছ থাকলে ঘরের সৌন্দর্য অনেক বেড়ে যায়। আমার অনেক ইচ্ছা আছে একটি বনসাই গাছ কেনার। কিন্তু এই গাছগুলোর অনেক বেশি দাম হয়। দেখি সময় সুযোগ হলে একটি কিনবো হয়তো।
এই ছিল আমার আজকের আয়োজন। আশা করি আপনাদের সকলের ভালো লেগেছে। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।
ধন্যবাদ
@tania
Photographer | @tania |
---|---|
Phone | i phone11 |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
---|
VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
আপু আপনি আজ অন্যরকম ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। বনসাই গাছের প্রতিটা ফটোগ্রাফি অসাধারণ হয়েছে। এই গাছের নাম জানা ছিল না। আপনার পোস্টের মাধ্যমে এর এত সুন্দর নাম জেনে অনেক ভালো লাগলো। বিভিন্ন ধরনের বনসাই গাছের ফটোগ্রাফি দেখে অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
জ্বী আপু একটু অন্যরকম ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করেছি। বনসাই গাছের যে বিভিন্ন নাম আছে আমিও জানতাম না। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
বনসাই গাছ গুলো দেখতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আপনি মেলায় গিয়ে কৃত্রিম সেই গাছের দারুন ফটোগ্রাফি করেছিলেন। আসলে এর শিকড় এবং গঠন আঁকাবাঁকা যেটা তার প্রকৃত সৌন্দর্য । দেখে মনে হচ্ছে বাস্তব কোন গাছের দৃশ্য দেখতে পাচ্ছি।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া এই গাছগুলোর শেকড়গুলোই দেখতে বেশি ভালো লাগে। গাছের থেকে মনে হয় শেকড়গুলোই বড়। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
এর আগেও আমি বনসাই দেখেছি। তবে এতগুলো সুন্দর সুন্দর ডিজাইনের বনসাই এই প্রথমবারের মতো একত্রে দেখলাম।
ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ ছিল সে সাথে বর্ণনা ও।
সুন্দর সুন্দর ডিজাইনের বনসাই শুধু মাত্র বৃক্ষ মেলাতেই দেখা যায় এজন্যই তো একসঙ্গে অনেক ধরনের বনসাই দেখতে পেয়েছি। ধন্যবাদ আপনাকে।
আমি আগে বনসাই গাছ দেখলে চিন্তায় পরে যেতাম, কিভাবে সম্ভব ছোট্ট একটি গাছকে এভাবে বনসাই তৈরি করা যায়। এটা বেশ অবাক করা বিষয় ছিল আমার কাছে, তবে এর সম্পর্কে আমার কিছুটা ধারণা জন্মেছে এখন। বেশ ভালোই লাগে গাছগুলো আমার কাছে। অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই চমৎকার কিছু গাছের ছবি আমাদের উপহার দেয়ার জন্য।
যাক আপনি চিন্তা এখন দূর হয়েছে জেনে ভালো লাগলো। বনসাই গাছগুলো দেখতে আমার কাছেও খুবই ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।