গল্প "পথ চলা" পর্ব -৩
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজ আবার আমার প্রথম মিষ্টি প্রেমের গল্প পথ চলা এর তৃতীয় পর্ব নিয়ে হাজির হলাম। এই মিষ্টি প্রেমের গল্পটি লিখতে আমার কাছে খুব ভালো লাগছে। একদিন হঠাৎ করে গল্পটি শুরু করেছিলাম। তখন ভেবেছিলাম কিভাবে পরে আরো লিখবো। কিন্তু লিখতে লিখতে আজকে তিন পর্ব হয়ে গিয়েছে। ভাবতে ভালোই লাগছে।যাই হোক গত পর্বে রিয়া ফোনে রোহানের সাথে কথা বলবে বলে চলে যায়। আজ তার পর থেকে। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে আজকের পর্বও।
বাসায় গিয়ে রোহান রিয়াকে বেশ কয়েকবার ফোন দেয়। কিন্তু রিয়া ফোন ধরে না। ম্যাসেজ দিতে থাকে। ম্যাসেজ এরও রিপ্লাই দেয় না। রোহান নিজেকে খুব অপরাধী ভাবতে শুরু করে। তারপর রাতের বেলায় রোহান কে ফোন দেয় রিয়া কাঁদতে কাঁদতে।
রোহান কে বলে--
রিয়া-- আমি আমার রোহানকে ফেরত চাই। স্যারকে আমি চাইনা।
রোহান-- তোমার রোহান তোমারই আছে। তুমি ভুলে যাও যে আমি তোমার স্যার। এখন থেকে আমি তোমার রোহানই হয়ে থাকবো। আর কখনোই তোমার সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করব না। যদি তোমার কখনো মনে হয় সেদিনই দেখা করবো।
তারপর আবারও তাদের মাঝে সম্পর্ক ভালো হয়ে গেল। কলেজে আসলে কেউ কারো দিকে তেমন একটা তাকায় না। আর চোখে ঠিকই দুজন দুজনকে দেখে। এভাবে আরো বেশ কিছুদিন কেটে গেলো। রিয়া একদিন নিজে থেকেই রোহানকে বলল
রিয়া-- আমার রোহানের সঙ্গে দেখা করতে চাই।
রোহান এ কথা শুনে খুবই খুশি হয়ে গেল এবং সঙ্গে সঙ্গে রাজি হয়ে গেল। পরের দিন তারা দেখা করার সিদ্ধান্ত নিল। শহর থেকে কিছুটা দূরে গিয়ে তারা একসঙ্গে দেখা করবে যাতে কেউ দেখে না ফেলে।
রিয়া হঠাৎ করে দেখলো যে রোহান মোটরসাইকেল নিয়ে আসছে। রিয়া খুবই অবাক হলো। তাকে আগে কখনো মোটরসাইকেলে করে কলেজে আসতে দেখেনি।
রিয়া-- আপনি মোটরসাইকেল কোথায় পেলেন? রোহান-- আমি কিন্তু জিয়াউল নই রোহান।
রিয়া কিছুটা লজ্জা পেল এবং সঙ্গে সঙ্গে নিজের কথা সংশোধন করে বলল যে তুমি মোটরসাইকেল কোথায় পেলে।
রোহান-- ইউনিভার্সিটি লাইফে এই মোটরসাইকেল নিয়েই ঘুরে বেড়িয়েছি। টিচার হয়ে মোটরসাইকেল নিয়ে ইউনিভার্সিটিতে যেতে একটু আনইজি লাগতো তাই আর যেতাম না। তাছাড়া অনেক দিনের স্বপ্ন ছিলো আমার মোটরসাইকেলের পিছনে সুন্দরী একটি মেয়ে নিয়ে উঠবো। ঘুরে বেড়াবো। আমার এতদিনের স্বপ্ন আজ পূরণ হতে যাচ্ছে।
রিয়া মনে মনে ভাবলো এই তো আমার রোহান। যে কথায় কথায় দুস্টুমি করে। কিন্তু স্যার তো খুব গম্ভীর মানুষ। দুজন কি আসলেই একজন নাকি আলাদা।
রোহানের ডাকে রিয়ার ভাবনায় ছেদ পড়লো।
রোহান রিয়াকে বলল যে উঠো। রিয়া রোহানের পিছনে বসে পড়লো কোন দ্বিধা ছাড়াই।
আজা রিয়ার কাছে রোহানকে স্যার মনে হচ্ছে না। তার রোহানই মনে হচ্ছে। রোহানের ও মন থেকে অনেক বড় একটি বোঝা সরে গেল। রিয়া তাকে মেনে নিয়েছে। তারপর তারা মোটরসাইকেল নিয়ে দূর অজানায় ঘুরতে চলে গেলো।
আমার লেখা প্রথম গল্প || পথ চলা এর দ্বিতীয় পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন.
আমার লেখা প্রথম গল্প || পথ চলা এর প্রথম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন.
আজ এ পর্যন্তই। পরবর্তীতে আবার হাজির হবো এর নতুন পর্ব নিয়ে। আশা করি আজকের পর্ব আপনাদের ভালো লেগেছে। সময় নিয়ে আমার গল্পটি পড়ার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
ধন্যবাদ
@tania
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
---|
VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
পথ চলা গল্পটির তৃতীয় পর্ব আজকে অনেক ভালো লেগেছে আপু। রোহানের মন থেকে তাহলে এখন একটা বড় বোঝা সরে গিয়েছে। তারপরে তারা মোটরসাইকেল করে নিশ্চয়ই অনেক ঘোরাঘুরি করেছিল। এখন দেখা যাক এই গল্পটার পরবর্তীতে কি হয় তা। আপনার গল্প লেখা কিন্তু অনেক বেশি সুন্দর হয়। আশা করছি আপনি খুব শীঘ্রই পথচলা গল্পটির চতুর্থ পর্ব আমাদের মাঝে শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ আপু।
ধন্যবাদ ভাইয়া আমার গল্পটি পড়ার জন্য এবং গঠনমূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আপু আপনার এই গল্পটি তৃতীয় পর্বের জন্য অপেক্ষায় ছিলাম। আর আজকে দ্বিতীয় পর্ব পেয়ে সত্যি খুব ভালো। সম্পূর্ণটা খুব সুন্দর ভাবে পড়েছি এবং বেশ ভালোই উপভোগ করেছি। যেহেতু রিয়া রোহানকে কখনো মোটরসাইকেল চালাতে দেখেনি তাই সে একটু বেশি অবাক হয়েছিল। পরবর্তীতে তাহলে রিয়ার কাছে রোহানকে স্যার মনে হয়নি রোহানই মনে হয়েছিল। এবং দুজনে দূর অজানায় ঘুরতে চলে গিয়েছিল। দেখা যাক পরবর্তীতে কি হয়।
আপনি আমার গল্পের তৃতীয় পর্বের জন্য অপেক্ষায় ছিলেন জেনে ভালো লাগলো আপু। খুব শীঘ্রই চতুর্থ পর্ব নিয়ে হাজির হব। পাশেই থাকবেন। ধন্যবাদ।