জলসিরি সেন্ট্রাল পার্ক পর্ব-২
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আলহামদুলিল্লাহ।
গতদিন আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করেছিলাম জলসিরি সেন্ট্রাল পার্কের প্রথম পর্ব। আজকে আরেকটি পর্ব শেয়ার করবো। কারণ এই পার্কটি অনেক বড়। একদিনে পার্কের সব পাশের ছবি শেয়ার করা সম্ভব হয়নি। এজন্য আজকে আবার অন্য পাশের ছবিগুলো আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করবো। পার্কটি দেখলে আপনাদের কাছেও খুব ভালো লাগবে। সময় পেলে ঘুরে আসতে পারেন। সেদিন বাচ্চারা খেলার জায়গা থেকে প্রথমে আসতেই চাচ্ছিলো না। পরে ছোট ছেলে স্লিপার এ উঠতে গিয়ে বড় এক বাচ্চার সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে ব্যথা পেয়েছে। তারপর ওখান থেকে চলে এসেছে। তা না হলে তো ওর পিছন পিছন দৌড়াতে দৌড়াতে আমায় টায়ার্ড হয়ে যাচ্ছিলাম। তিনজনে মিলেও ছোট জনকে কন্ট্রোল করা যাচ্ছিল না। আমরা যেই ভয়টা পাচ্ছিলাম শেষমেষ তাই হয়েছে ব্যথা পেয়েই ছেড়েছে। ব্যথা পেয়ে একদিক দিয়ে অবশ্য ভালই হয়েছে আমরা পার্কের বাকি অংশটা ঘুরে দেখতে পেরেছি। তা না হলে তো ভাবছিলাম যে পার্ক বন্ধ হওয়ার সময় হয়ে গিয়েছে আমরা মনে হয় বাকি অংশটা দেখতে পারবো না।
ততক্ষণে সূর্য প্রায় ডুবতে বসেছে এবং পরিবেশটা বেশ ঠান্ডা হয়েছে। এই পাশের লেকটি বাচ্চাদের রাইডের পাশেই ছিল। বাচ্চারা খেলতে খেলতে আমি এই পাশটা একটু ঘুরে দেখলাম। লেকের উপরে ছোট ছোট ঘর করা ছিল। যেখানে অনেক লোকজন বসে ছবি তুলছিল। আসলে সেদিন ছুটির দিন হওয়ার কারণে প্রচন্ড রকম ভিড় ছিল। ইদানিং ঢাকা শহরে ছুটির দিন কোথাও যাওয়া যায় না। যেখানেই যাওয়া হয় সেখানেই এরকম ভিড়ের কবলে পরতে হয়। মানুষজনেরই আর দোষ কি ঢাকা শহরে ঘোরার জায়গা এত কম জন্যই সব জায়গায় অনেক ভিড় থাকে।
অন্য পাশে আসতে আসতে এরকম একটি আর্টিফিশিয়াল ঝর্ণা দেখতে পেলাম। যদিও ঝর্ণাটি বন্ধ ছিল। কিন্তু নিচে একটু পানি ছিল এবং পানির ভেতরের রংবেরঙের সুন্দর মাছ ঘুরছিল। দেখতে খুবই ভালো লাগছিল মাছগুলো। ততক্ষণে সূর্য পুরোপুরি লাল হয়ে গিয়েছে। চারপাশের পরিবেশটা আরো বেশি চমৎকার লাগছিল তখন।
আগেই বলেছিলাম সূর্য থাকলেও সেদিনের আকাশটা খুবই সুন্দর ছিল। যতই সূর্য ডুবছিল আকাশটা ততই আরও বেশি চমৎকার লাগছিল দেখতে। সূর্যের লাল আলো মনে হচ্ছে মেঘেও পড়েছিলো। এজন্য মেঘগুলো কেমন লালচে লাগছিল দেখতে।
পার্কের অপরপ্রান্তে আরো একটি লেক ছিল এবং লেকের পাশে রাস্তার সাইড দিয়ে অনেক গাছ-গাছালি লাগানো ছিল। পুরো পার্কটি অনেক প্ল্যান করে তৈরি করা বোঝাই যাচ্ছে এমন সাজানো-গোছানো খুব ভালো লাগছিল। মনে হচ্ছিল লেকের পাড়ে বসে ঘন্টার পর ঘন্টা পার করে দেই কিন্তু এদিক দিয়ে বারবার পার্কটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার জন্য অ্যানাউন্সমেন্ট দিচ্ছিল। তাই আমরা আর দেরি না করে বের হয়ে গিয়েছিলাম কারণ পার্কিংয়ে যত গাড়ি ছিল পাক বন্ধ হয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সব গাড়ি বের হওয়া শুরু করলে অনেক বেশি জ্যাম লেগে যেত। এজন্য আমরা পার্ক বন্ধ হওয়ার কিছুক্ষণ আগেই বের হয়ে গিয়েছিলাম।
আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছিল পার্কটি। আশা করি আপনাদের কাছেও ভাল লেগেছে। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।
ধন্যবাদ
@tania
Photographer | @tania |
---|---|
Phone | i phone1 |
Location | Link |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
---|
VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
হায় রে কপাল! কতদিন ধরে শুধু যাবো আর যাবো করছি। কিন্তু ঝামেলা তো আর আমায় ছাড়ছে না। আর এই সুযোগে আপনি তো দেখছি পরিবার নিয়ে পুরো পার্কটাই ঘুরে দেখলেন। যাক আপনার পোস্টের মাধ্যমে তো কিছু অভিজ্ঞতা হলো এ আরকি। বেশ সুন্দর তো পার্কটি। খুব সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন দেখছি।
আপু গিয়ে ঘুরে আসেন খুবই সুন্দর জায়গা। ভালো লাগবে আশা করি। ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
যখনই দেখি কেউ নতুন কোনো স্থান ভ্রমণ করেছে এবং সেই জায়গার ফটোগ্রাফি বর্ণনা সাথে তুলে ধরেছে আমাদের মাঝে তখন আমার অনেক ভালো লাগে, কারণ নতুন নতুন জায়গা গুলো দেখতে যেমন পছন্দ করি সেই বিষয়ে ধারণা পেতে খুব ভালো লেগে থাকে আমার। আজ আপনি দ্বিতীয় পর্ব আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন এই জল সিঁড়ি সেন্ট্রাল পার্কের, প্রথম পোস্ট আমি দেখেছি, দ্বিতীয় পোস্ট দেখতে পেলাম। আশা করি পরবর্তীতেও আমাদের মাঝে তুলে ধরবেন নতুন কিছু।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া কারো নতুন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া দেখলে আমার কাছেও খুবই ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপনার সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য।