শিলিগুড়ি ঘুরাঘুরি ও শপিং

in আমার বাংলা ব্লগ3 months ago

আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।



আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।


আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আজকে আপনাদের সঙ্গে সিকিম দার্জিলিং এর শেষ পর্ব শেয়ার করবো। ঘুরাঘুরি শেষ করে পরের দিন সকাল বেলায় উঠে আমরা রওনা দিয়েছিলাম শিলিগুড়ির উদ্দেশ্যে। শিলিগুড়ি এসে এক রাত থেকে পরদিন সকালবেলায় আমাদের ট্রেন ছিল বাংলাদেশে ফেরার। ঐদিন সকালবেলায় দার্জিলিং থেকে এসে ট্রেন ধরাটা বেশ মুশকিল হয়ে যেত। এজন্য আমরা একদিন আগেই শিলিগুড়িতে চলে এসেছিলাম। তাছাড়া ইচ্ছা ছিল শিলিগুড়ির শপিং মলগুলোতে একটু ঘুরার। এর আগের বার যখন শিলিগুড়িতে গিয়েছিলাম তখন শিলিগুড়ির কসমস মলটি খুব ভালো লেগেছিল। তাছাড়া সেখানকার বিগ বাজারে গিয়ে বেশ কেনাকাটা করেছিলাম। তাই আমাদের মেইন উদ্দেশ্য ছিল কসমস মলে গিয়ে বিগ বাজারে যাওয়ার। তেমন কোন কেনাকাটার উদ্দেশ্য ছিল না। শুধু বাচ্চাদের জন্য কিছু চকলেট এবং কাপড়-চোপড় কেনার ইচ্ছা ছিল। তাছাড়া আমরা দার্জিলিং থেকে তেমন চা কিনিনি। কারণ দার্জিলিংয়ের চা বেশিরভাগই রং চা খাওয়ার চা। দুধ চা খাওয়ার জন্য সেরকম কোন চা ই দেখলাম না। গতবার শিলিগুড়ি থেকে আসামের চা নিয়ে গিয়েছিলাম। সেই চা গুলো খুবই ভালো ছিল। তাই ইচ্ছা ছিল শিলিগুড়ি থেকে আসামের চা কিনবো। এর জন্য দার্জিলিং থেকে চা কিনিনি। দার্জিলিংয়ের চায়ের দাম অনেক বেশি। শুধু একটা চা কিনেছিলাম। তাও সেই চায়ের কেজি প্রায় সাড়ে তিন হাজার টাকার মত ছিলো।


IMG_6447.jpeg


IMG_6444.jpeg


দার্জিলিং থেকে ফেরার রাস্তাগুলো খুবই সুন্দর। যদিও ফেরার সময় বৃষ্টি ছিল খুবই। আসার সময় সেই সৌন্দর্য খুব একটা উপভোগ করতে পারিনি। তাছাড়া শিলিগুড়ি পৌঁছানোর আগে বেশ কয়েকটি চা বাগানও দেখতে পেলাম।


IMG_6441.jpeg


IMG_6450.jpeg


শুরুতে আমরা হোটেলে ঢুকে দুপুরের খাওয়া দাওয়া করে নিয়েছিলাম। এই খরগোশগুলো হোটেলের নিচে ছিল। বাচ্চারা হোটেলে গিয়ে খুব বিরক্ত করছিল জন্য হোটেল ম্যানেজার তাদেরকে এই খরগোশের সামনে বসিয়ে দিয়েছিলাম। খুব মজা পেয়েছিল ওরা এই খরগোশগুলো দেখে। তারপর দুপুরের খাওয়া দাওয়া করে নিলাম। খাওয়া-দাওয়া শেষ করে আমরা চলে গিয়েছিলাম শ্রী লেদারের শোরুমে। সেখানে গিয়ে বাচ্চাদের জন্য জুতা, স্যান্ডেল এবং আমার জন্য ব্যাগ কিনলাম। তারপর একটা বাজারে গিয়ে চা কিনলাম। তারপর ওখান থেকে সোজা চলে গিয়েছিলাম কসমস মলে।


IMG_6451.jpeg

IMG_6455.jpeg


মলে ঢুকে আমরা শুরুতেই চলে গিয়েছিলাম বিগ বাজারে। যদিও বিগবাজার সেই নাম নেই। নাম চেঞ্জ হয়েছে। আগে বাচ্চাদের জন্য বেশ সুন্দর সুন্দর গেঞ্জি প্যান্ট পেয়েছিলাম। এবার তেমন একটা কালেকশন দেখলাম না। যা ছিলো তা খুব একটা ভালো লাগল না জন্য আর কিছু কেনা হয়নি। তারপর আমরা বেশ কিছু চকলেট এবং খাবার দাবার কিনেছিলাম।


IMG_6456.jpeg


IMG_6457.jpeg


IMG_6454.jpeg


চকলেট এবং খাবার দাবার এত বেশি কেনা হয়ে গিয়েছিল মনে হল যে লাগেজ রয়েছে তাতে জায়গা হবে না। সেজন্য আবার চলে গেলাম লাগেজ সেকশনে। সেখান থেকে ছোট এবং বড় সাইজের লাগেজের একটি সেট কিনে নিলাম। এখানে লাগেজগুলোতে ডিসকাউন্ট থাকে এবং ভালো ব্রান্ডের লাগেজ কম প্রাইজে পাওয়া যায়। কেনাকাটা শেষ করে আমরা হোটেলে চলে আসলাম। পরদিন সকালবেলায় স্টেশনে গিয়ে বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম।
এই ছিল আমার ট্যুরের শেষ পর্ব। আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।


ধন্যবাদ

@tania

Photographer@tania
Phonei phone11
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি।

animasi-bergerak-terima-kasih-0078.gif

IMG_20220106_113311.png

7258xSVeJbKkzXhyseBP4PYz11eBDT8sW2oR1a4vfVFS6JTrGU8e1FPUaNdHG5vjXyg2xthV78bDEmEVvKCQpyzX1kq8gAVzGsPp9GqJVRWxb6T9y35PZmQehnLjELdKKmnhdxQjDuny4.png


VOTE @bangla.witness as witness witness_proxy_vote.png OR SET @rme as your proxy

witness_vote.png

Posted using SteemPro Mobile

Sort:  
 3 months ago 

বোঝাই যাচ্ছে দার্জিলিং থেকে শিলিগুড়ি যাওয়ার পথে দারুণ একটা মুহূর্ত অতিবাহিত করেছিলেন পথিমধ্যে। সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করার পাশাপাশি আপনারা ভালই ঘোরাঘুরি এবং শপিং করেছেন বোঝাই যাচ্ছে। বাচ্চারা মাঝেমাঝে আসলে অনেক বেশি জ্বালাতন করে তবে সেখানকার ম্যানেজারের উপস্থিত বুদ্ধিটা অনেক বেশি ভালো ছিল যে সে তাদেরকে খরগোশের সামনে বসিয়ে দিয়েছিল হাহাহা। যাইহোক আপনাদের কাটানো মুহূর্তটা দেখে খুবই ভালো লাগলো ঘোরাঘুরি করলে এরকম ভাবেই আসলে করা উচিত। ধন্যবাদ আমাদের মাঝে চমৎকারভাবে ঘুরাঘুরি এবং শপিং করার মুহূর্তটা তুলে ধরার জন্য।

Posted using SteemPro Mobile

 3 months ago (edited)

জ্বী ভাইয়া এই রাস্তাটি নিয়ে বিশেষ করে শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিং যাওয়ার সময় বেশি ভালো লাগে। একদম পাহাড়ে উঠতে থাকে।

 3 months ago 

ওয়াও দারুন দার্জিলিং চা বাগান পরিবেশ প্রকৃতি কত শান্ত নিরবতা ৷ না জানি সেখানে গেলে কতটা ভালো লাগবে ৷ যা হোক শিলিগুড়ির কসমস শপিং মলে অনেক কিছু কেনাকাটা করেছেন ৷ আবার পরিবেশ টাও দারুন অনেক সুন্দর মার্কেট সবমিলে চা বাগান কেনাকাটা দারুন৷ অসংখ্য ধন্যবাদ আপু

 3 months ago 

শিলিগুড়ি থেকেই সব কেনাকাটা করেছি। অন্যান্য জায়গা থেকে তেমন কেনাকাটা করা হয়নি। যাই হোক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

 3 months ago 

দার্জিলিং এ চায়ের দাম এত বেশি,তাহলে মনে হয় চা বেশ মজা।আসলে বাচ্চারা এই টাইপের প্রানী বেশ পছন্দ করে।আর এমনিতেই খরগোশ বেশ কিউট লাগে।লাগেজ গুলো দেখতে বেশ সুন্দর লাগছে।বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন। ভালো লাগলো।ধন্যবাদ

Posted using SteemPro Mobile

 3 months ago 

না আপু আমার কাছে মজা লাগে না। কারণ সেখানকার বেশিরভাগ চা ই রং চা খাওয়ার জন্য। দুধ চা খাওয়ার চা তেমন একটা পাওয়া যায় না। আমি আবার দুধ চা পাগল।

 3 months ago 

অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। আপনার পোষ্টের মধ্য দিয়ে কিন্তু অনেক কিছু দেখতে পারলাম আর জানতে পারলাম। আর অবশেষে আরো বেশি জানলাম আপনি ঘুরে বেড়াতে বেশি পছন্দ করেন। দার্জিলিঙে রং চা পেয়েছেন দুধ চা পান নাই। আসলে কখন কোথায় কোন জিনিস থাকে না থাকে। তবে অনেক কিছু জানতে পেরে ভালো লাগলো।

 3 months ago 

আমার পোষ্টের মাধ্যমে আপনি অনেক কিছু দেখতে এবং জানতে পেরেছেন জেনে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

 3 months ago 

সিকিম, দার্জিলিং কিংবা শিলিগুড়ি এই জায়গাগুলো ভ্রমন পিপাসু মানুষদের অনেক বেশি আকৃষ্ট করে আপু। আপনার শেয়ার করা, শিলিগুড়ি পৌঁছানোর আগে তোলা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ওই ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে বেশ ভালো লাগছে আমার কাছে। যাইহোক, আপনি বাংলাদেশ ফেরার আগে দেখেছি অনেক কেনাকাটা করেছেন নিজেদের জন্য এবং বাচ্চাদের জন্য। আপনার ভ্রমণের এই শেষ পর্বটি পড়ে বেশ ভালো লাগলো আপু।

 3 months ago 

এবার এই তিন জায়গায় একবারে ঘুরে এসেছি। খুব ভালো লেগেছিল ভাইয়া। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

 3 months ago 

এইবার আমাদের এই দেশে এসে তো তাহলে আপনি ফেমাস তিন জায়গায়ই ঘুরে গেছেন আপু!

Posted using SteemPro Mobile

Coin Marketplace

STEEM 0.27
TRX 0.11
JST 0.030
BTC 67651.34
ETH 3798.05
USDT 1.00
SBD 3.53