গ্যাংটক এর বানঝাকরি পার্কে বোটে ঘুরাঘুরি
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আপনাদের সঙ্গে ভারতের সিকিমের রাজধানী গ্যাংটক শহরের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানের ঘোরাঘুরি শেয়ার করছিলাম। গত দিন আপনাদের সঙ্গে বান ঝাঁকরি ঝর্ণার কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছিলাম। এই ঝর্ণাটি একটি পার্কের মধ্যে। এখানে ঝর্ণা ছাড়াও বেশ কয়েকটি রেস্টুরেন্ট ছিলো।রেস্টুরেন্ট ও ঝর্ণা ছাড়াও আরো বেশ কয়েকটি জায়গা রয়েছে। একটি কৃত্রিম পুল তৈরি করা ছিল। পুলের মধ্যে বেশ কয়েকটি বোট রাখা ছিল। সেই বোটগুলো ভাড়া দিচ্ছিল। আমরা উপর থেকে নামার সময় আমার বড় ছেলে সেই বোট দেখে ওঠার জন্য অস্থির হয়ে গিয়েছিল। যদিও ছোট্ট একটি জায়গায় বোট নিয়ে ঘোরাঘুরি তেমন একটা পছন্দ ছিল না কিন্তু বাচ্চার ইচ্ছার জন্য উঠতে হলো। বোটে ওঠার জন্য এক একজনের ১৫০ রুপি করে টিকিট। আমার কাছে অল্প সময়ের জন্য ১৫০ রুপী অনেক বেশি মনে হয়েছে। আমরা যেহেতু চারজন ছিলাম চার জনের প্রায় ৬০০ রুপির মত চাচ্ছিলো। পরে বলার পর ছোট ছেলে টিকিট বাদ দিয়ে দিয়েছিল এবং আমরা তারপর রাজি না হওয়াতে ৪০০ রুপিতে তারা টিকিট দিয়েছিল। কোন নির্দিষ্ট টাইম ছিল না। আপনি যতক্ষণ ইচ্ছা ততক্ষণ বটে ঘুরতে পারবেন। কিন্তু এই অল্প জায়গার মধ্যে কতক্ষনইবা ঘোরা যায়। আমরা ১০ মিনিট ঘুরেছিলাম। ১০ মিনিটের জন্য ৪০০ রুপি অনেক বেশি মনে হয়েছে। কিন্তু বাচ্চাদের ইচ্ছার জন্য এই রুপিটা খরচ করতে হয়েছে।
ঝর্ণার কাছে বেশ কিছুক্ষন সময় কাটিয়ে আসার পর আমরা নিচে যখন নামছিলাম তখন দূর থেকে ঝর্নাটি অসম্ভব সুন্দর লাগছিল। বেশ বড় দেখা যাচ্ছিল। পানি নিচ পর্যন্ত অনেক দূর চলে গিয়েছিল।
আমরা যখন নিচে নামছিলাম তখন দেখলাম যে বেশ কিছু লোক ভিতরে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ করছে। এজন্যই জায়গাটি এত সুন্দর। তাছাড়া বিভিন্ন ছোট ছোট এরকম ঘর ছিল। সেগুলো তারা মুছে পরিষ্কার করছে। এভাবে মেইনটেনেন্স করে জন্যই জায়গাগুলো এত সুন্দর।
এই সেই পুল। দূর থেকে বেশ ভালই লাগছিল। কাছে গিয়েও সুন্দর, কিন্তু টিকিট আন্দাজে অত ভালো লাগেনি আমার কাছে। পুলের মাঝখানে একটি ড্রাগনের স্ট্যাচু রয়েছে।
উপর থেকে নেমেই বাচ্চারা দৌড় শুরু করেছে বোটে ওঠার জন্য। এরকম এক্সাইটেড হলে কি বাচ্চাদেরকে না করা যায়।
উপর থেকে ঘুরে আসতে আসতে নিচে নেমে দেখলাম যে বেশ মেঘ করেছে আকাশে। যে কোন সময় ঝুম বৃষ্টি আসবে। উপরের যে ছবিটি দেখতে পাচ্ছেন সেটি পার্কে ঢোকার মেইন গেট। এখানে এসে বেশ ভালো লেগেছিল।
যাই হোক এই ছিল আমার আজকের আয়োজন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
ধন্যবাদ
@tania
Photographer | @tania |
---|---|
Phone | i phone11 |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
---|
VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
বাচ্চাদের খুশি মানেই আমাদের খুশি। গ্যাংটক এর বানঝাকরি পার্কে বোটে ঘুরাঘুরি করতে গিয়ে সবাই মিলে আনন্দ উপভোগ করেছেন। জায়গাটা বেশ সুন্দর আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভীষণ ভালো লাগলো আপু।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া বাচ্চাদের খুশি মানেই আমাদের খুশি। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
আসলে বাচ্চাদের যদি কোনো কিছু ভালো লেগে যায় তাহলে সেটা করার জন্য তারা অনেক বেশি বায়না করে। যাইহোক অল্প জায়গায় ঘোরার জন্য আপনাদের কাছে ৬০০ রুপি চাইছিল কিন্তু আপনারা এত দিতে রাজি না হয়ে শেষে ৪০০ রুপি দিয়ে ১০ মিনিট বোটে উপভোগ করেছিলেন যেন ভালো লাগলো। যদিও বা টাকার পরিমাণটা বেশি ছিল। আর হ্যাঁ আপনি ঠিক বলেছেন তারা হয়তো বা জায়গাটা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখে বলেই জায়গাটা দেখতে এত সুন্দর লাগে। আসলে যত্ন সহকারে পরিষ্কার রাখলে যে কোন জায়গায় দেখতে অনেক সুন্দর লাগে। যাই হোক ধন্যবাদ আপনাকে গ্যাংটক এর বানঝাকরি পার্কে বোটে ঘুরাঘুরি করার এই পর্বটা আমাদের শেয়ার করার জন্য।
১০ মিনিটের জন্য টাকার পরিমান আসলেই খুব বেশি ছিল। বাচ্চাদের ইচ্ছার জন্য উঠতে হয়েছিল। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
জায়গাটা অনেক সুন্দর আর ঝর্ণাগুলো তো দেখে খুব ভালো লাগছে ।ভালোই হয়েছে কৃত্রিম লেকের ভিতর বোটে করে ঘুরেছেন অল্প জায়গা হলে কি হবে বোটে করে ঘুরতে সব জায়গায় ভালো লাগে ।ছেলের বায়না ধরার কারণে ঘোরাঘুরি করলেন ভালোই হলো । সুন্দর সুন্দর ছবি দিয়েছেন ছবিগুলো প্রত্যেকটা সুন্দর হয়েছে ।
বাচ্চারা খুবই মজা পেয়েছিল। এজন্যই ওঠা। ধন্যবাদ আপু মন্তব্যের জন্য।
ভারতে গিয়ে বেশ ভালই ঘোরাঘুরি করেছিলেন আপু। ৬০০ রুপি থেকে ৪০০ রুপিতে টিকিট নিয়েছেন,তারপরেপ বেশ দাম নিয়েছে মনে হচ্ছে। যাই হোক পুলটা বেশ ভালোই।
৪০০ রুপিও আমার কাছে অনেক বেশি মনে হয়েছিল। যাইহোক ধন্যবাদ আপু মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
এই ছোট পুলে কতক্ষণ ই ঘুরা যাবে আপু! কিন্তু আপনার ছেলের ইচ্ছেয় ৪০০ রুপি দিয়ে বুটে উঠলেন। তবে পার্কের ভিতরে ঝর্ণাটা দেখে ভালো লাগছে। ঝর্ণাতে গোসল করার মজাটাই অন্যরকম
ঠিক বলেছেন ভাইয়া এত ছোটপুলে কতক্ষণই বা আর ঘুরতে ইচ্ছা করে। তারপর আবার বোট নিজেকে চালাতে হয়। যাই হোক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।