আলু বেগুন দিয়ে বোয়াল মাছের রেসিপি।(১০% বেনিফিশিয়ারী shy fox এর জন্য)
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে। আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আলহামদুলিল্লাহ।
বোয়াল মাছ খুব সুস্বাদু হয়। এই মাছের কাঁটা কম থাকায় খেতে খুবই সুবিধা হয়। বাচ্চারা আরামে খেতে পারে। আমার খুবই পছন্দের একটি মাছ। তাছাড়া এই মাছ যদি সবজি দিয়ে রান্না হয় তাহলে তো স্বাদ অনেক গুন বেড়ে যায়। আজকে আমি আলু বেগুন ও পিয়াজের কলি দিয়ে বোয়াল মাছের রেসিপি নিয়ে এসেছি। রেসিপিটি খুবই সুস্বাদু হয়েছিলো। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। তাহলে দেরি না করে শুরু করি।
প্রয়োজনীয় উপকরণ
বোয়াল মাছ | ৯ পিছ |
---|---|
পেঁয়াজ কুচি | ২টি |
মরিচ | ৪টি |
পেঁয়াজ বাটা | ৪টেবিল চামচ |
আদা বাটা | ১ টেবিল চামচ |
রসুন বাটা | ১টেবিল চামচ |
হলুদের গুঁড়া | ১টেবিল চামচ |
মরিচ গুঁড়া | ১টেবিল চামচ |
ধনে গুঁড়া | ১টেবিল চামচ |
জিরা গুড়া | ১টেবিল চামচ |
ধনিয়াপাতা | পরিমানমতো |
লবণ | পরিমাণমতো |
তেল | পরিমানমতো |
আলু | ১টি |
বেগুন | ১টি |
পেঁয়াজের কলি | ৫টি |
১ম ধাপ
প্রথমে কড়াইয়ে পরিমাণমতো তেল নিয়ে নিয়েছি।
২য় ধাপ
তেল গরম হলে তার মধ্যে পিয়াজ মরিচ কুচি দিয়ে দিয়েছি।
৩য় ধাপ
পেঁয়াজ মরিচ কুচি একটু ভাজা হলে তার মধ্যে বাটা মশলাগুলো দিয়ে দিয়েছি।
৪র্থ ধাপ
বাটা মসলা গুলো একটু কষিয়ে নিয়ে তার মধ্যে গুঁড়ো মশলাগুলো দিয়ে দিয়েছি।
৫ম ধাপ
মসলাগুলো ভালো করে কষিয়ে নিচ্ছি।
৬ষ্ঠ ধাপ
মসলাগুলো কষানো হয়ে গেলে তার মধ্যে মাছগুলো দিয়ে দিয়েছি।
৭ম ধাপ
এখন সামান্য একটু পানি দিয়ে দিব মাছগুলো কষানোর জন্য।
৮ম ধাপ
মাছগুলো ভালো মতো কষিয়ে নিচ্ছি।
৯ম ধাপ
মাছগুলো কষানো হয়ে গেলে একটি পাত্রে উঠিয়ে রেখেছি।
১০ম ধাপ
এখন ওই মসলার মধ্যে আলু, বেগুন এবং পেঁয়াজের কলিগুলো দিয়ে দিয়েছি।
১১তম ধাপ
সবজিগুলো কষিয়ে নেব।
১২তম ধাপ
সামান্য একটু পানি দিয়ে আরও কিছুক্ষণ কষিয়ে নেব।
১৩তম ধাপ
ভালোমতো কষানো হয়ে গেলে পরিমাণমতো পানি দিয়ে দিয়েছি সেদ্ধ হওয়ার জন্য।
১৪তম ধাপ
সবজিগুলো সেদ্ধ হয়ে গেলে এ পর্যায়ে মাছ গুলো দিয়ে দিয়েছি।
১৫তম ধাপ
একটু কিছুক্ষণ রান্নার পর জিরা গুড়া দিয়ে দিয়েছি।
১৬তম ধাপ
জিরা গুড়া দিয়ে আরও কিছুক্ষণ রান্নার পর ধনিয়া পাতা গুলো দিয়ে দিয়েছি।
১৭তম ধাপ
এ পর্যায়ে পুরোপুরি রান্না হয়ে গিয়েছে এবং চুলা বন্ধ করে দিয়েছি। এভাবেই তৈরি হয়ে গেল আমার আলু, বেগুন ও পেঁয়াজের কলি দিয়ে বোয়াল মাছ। আশা করি আপনাদের সকলের ভাল লেগেছে। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
ধন্যবাদ
@tania
Photography | @tania |
---|---|
Phone | oppo reno5 |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি।
বোয়াল মাছ আমার খুবই পছন্দ। এবং এটা ঠিকই বলেছেন আপু কাটা কম থাকায় বাচ্চারা সহজেই খেতে পারে। আলু বেগুন দিয়ে বোয়াল মাছের রেসিপি টা দারুণ তৈরি করেছেন। এবং মাছের মধ্যে আলু এবং বেগুন এর ব্যবহার বেশি দেখা যায়। ধন্যবাদ আপু সুন্দর টেস্টি একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।।
জি ভাইয়া আমি সবজি দিলে আলু বেগুন দিয়েই রান্না করি। এইভাবে রান্না করলে মজা লাগে বেশি। ধন্যবাদ আপনাকে।
আলু বেগুন আর বোয়াল মাছের সমন্বয়ে আপনি খুবই সুন্দর একটা রেসিপি তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন আপু। আশাকরি আপনার রেসিপি টা অনেক সুস্বাদু হয়েছিল। সুস্বাদু হবার পেছনে আরও একটি কারণ আছে বলে আমি মনে করি সেটি হচ্ছে রান্নার প্রায় শেষ ভাগের দিকে আপনি ধনিয়া পাতা দিয়েছেন। আমি মনে করি এটি ছাড়া রান্নার গুণগত মানকে আরও বেশি পরিমাণে বৃদ্ধি পায়।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া ধনিয়াপাতা দেয়ার জন্য অনেক মজাদার হয়েছিল। ধন্যবাদ আপনাকে মন্তবের জন্য।
বোয়াল মাছ এমনি আমার খুব প্রিয় একটি মাছ। যখনই বাজারে সামনে পাই তখনি কিনে ফেলি ।
বোয়াল মাছের রেসিপি টি আপনি খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। কেউ মাছ ভেজে খেতে পছন্দ করে, আবার কেউ মাছ ভাজা ছাড়া পছন্দ করে ।এক একজনের রুচি এক এক রকমের । আপনার এই রেসিপিটি ধরন ভালো ছিল ধাপে ধাপে খুব সুন্দর উপস্থাপন করেছেন ।ধন্যবাদ এত সুন্দর রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আমি মাছ ভেজে খুব কম রান্না করি। মাছ ভাজতে ভয় লাগে। এভাবে রান্না করলেও মজা লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
আলু বেগুন দিয়ে বোয়াল মাছের মজাদার একটি রেসিপি তৈরি করেছেন আপু। বোয়াল মাছ আমার খুবই পছন্দের একটি মাছ। আমি বোয়াল মাছ খেতে অনেক পছন্দ করি। আপনি অনেক সুন্দর করে আলু বেগুন দিয়ে বোয়াল মাছের রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার রান্নার প্রতিটি ধাপ অনেক সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন আপু। অনেক মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপু।
আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম ভাইয়া। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
বোয়াল মাছ নদীর মাছ খাওয়ায় আমার খুব প্রিয় একটি মাছ। আপনি খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে বোয়াল মাছের রেসিপি উপস্থাপন করেছেন। আমার দেখে খুব খেতে ইচ্ছা করছে। আপনি প্রতিটি ধাপ খুব নিখুঁত ভাবে উপস্থাপন করেছেন ।এ জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
বোয়াল মাছ আমারও খুব পছন্দের। এইভাবে রান্না করলে খুব মজা লাগে। একবার এইভাবে রান্না করে খেয়ে দেখবেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
বোয়াল মাছের রেসিপি আমার কাছে অনেক মজা লাগে কারণ বোয়াল মাছে প্রচুর চর্বি থাকে। আপনার তৈরি রেসিপি দেখে ও খুব লোভনীয় মনে হচ্ছে। বড় বড় বোয়াল মাছের পিস দেখে খেতে ইচ্ছে করছে। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো আপু 💚
জি ভাইয়া বোয়াল মাছের চর্বির জন্য বেশি মজা লাগে। ধন্যবাদ গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য।
আপু,বোয়াল মাছ দেখেই তো খেতে ইচ্ছে করতেছে। কাটা না থাকার কারণে এই মাছ খেতে আমারও খুব ভালো লাগে। এখন আপনার রান্না দেখে খেয়ে পেলতে ইচ্ছে করতেছে। কি যে করি,এত সুন্দর করে রান্না পরিবেশন করলে খেতে ইচ্ছে হবে এটাই তো স্বাভাবিক। ধন্যবাদ রইল আপু এই রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
বোয়াল মাছের কাঁটা কম থাকায় আমার বাচ্চারাও বেশ পছন্দ করে। ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আলু আর বেগুন দিয়ে বোয়াল মাছের অসাধারণ একটি রেসিপি প্রস্তুত করেছেন দেখতে খুব লোভনীয় দেখাচ্ছে দেখেই জিভে জল চলে আসলো মনে হচ্ছে খেতে খুব সুস্বাদু হবে বল মাছ আমার খুব প্রিয় পদ্মার ধারে বাস করায় মাঝেমধ্যেই কিনে খাওয়া হয় রেসিপি প্রস্তুত প্রণালি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন আপনার জন্য শুভকামনা থাকলো
মনে হচ্ছে না আসলেই অনেক সুস্বাদু হয়েছিল। ধন্যবাদ গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য।
বাহ আপু অনেক সুন্দর একটা রেসিপি শেয়ার করেছেন আপনি। বোয়াল মাছের রান্না। বোয়াল মাছ অনেক সুস্বাদু একটা মাছ। আপনার রান্নার প্রক্রিয়া অনেক সুন্দর হয়েছে আপু। তা থেকেই বোঝা যাচ্ছে অনেক টেস্ট হয়েছে খেতে। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটা রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।