ছেলেদের স্কুলে বই বিতরণ অনুষ্ঠানে
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আজকে সারা বাংলাদেশের সরকারি বেসরকারি সব স্কুলগুলোতে খুব সুন্দর উৎসবের মাধ্যমে বই বিতরণ করা হচ্ছে। প্রতিটি স্কুলে একটি আনন্দ বয়ে যাচ্ছে। আমার ছেলেদের স্কুলেও আজকে বইয়ের উৎসব ছিল। যদিও ওরা ইংলিশ ভার্সনে পড়ে। বোর্ডের বই খুব একটা নেই। তারপরও বড় ছেলেকে বাংলা বই দিয়েছে। ছোট ছেলের আজকে স্কুলের প্রথম দিন ছিল। খুব উৎসাহ নিয়ে স্কুলে গিয়েছিলো।এখন থেকে আমার নতুন ডিউটি শুরু। বড় ছেলের সঙ্গে তো স্কুলে যেতে হতো না। এখন ছোট ছেলের সঙ্গে প্রতিদিন সকালবেলায় আমাকেও স্কুলে যেতে হবে। এক কথায় বলতে গেলে আমিও নতুন করে স্কুলে ভর্তি হলাম।
সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠতে খুব কষ্ট হচ্ছিলো আমার নিজেরই। ওদের দেখে এটা একদমই মনে হচ্ছিল না। ঘুম থেকে উঠে দুই ছেলেকে নিয়ে রেডি করে নাস্তা খাইয়ে স্কুলের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। স্কুলের বাস আটটার সময় আসে। শীতের সময় স্কুল ৯ টা থেকে শুরু হয়। আবার গরমের দিনে আরও সকালবেলা যেতে হয়। সকালে তখন সাড়ে আটটা থেকে ক্লাস শুরু। এমনি সময় সকালের এই টাইমটা আমার রান্নাবান্না কমিউনিটির সব কাজ হয়ে যায়। এখন আমাকে নতুন করে আবার সবকিছুর টাইম ঠিক করতে হবে। জানিনা কিভাবে সবকিছু ম্যানেজ করবো।
বাস থেকে নামার পর স্কুলে দেখলাম যে খুব সুন্দর ডেকোরেশন করেছে। বেলুন দিয়ে গেট তৈরি করেছে এবং রাস্তার দুই সাইড দিয়েও বেলুন লাগিয়েছে। তাছাড়া প্রতিটি গেটের সামনে কাগজ কেটে বিভিন্ন ধরনের নকশা তৈরি করেছে।
প্রথমে ছোট ছেলের ক্লাসে গিয়েছিলাম। কিন্তু সেখান থেকে জানালাম মাঠে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। সেখানেই বই বিতরণ অনুষ্ঠান করা হবে এবং ছোট সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাশাপাশি সবার বসার জন্য আলাদা জায়গা করেছিল এবং হালকা স্নাক্স এর ব্যবস্থাও করেছিল সবার জন্য।
প্রিন্সিপাল স্যার প্রতি ক্লাসের একজন দুজনকে রেপিং পেপারে মুড়িয়ে বই দিয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করল। তারপর বাচ্চারা একটু গান নাচ করার পর সবাই ক্লাসে চলে গিয়েছিল। ওখানে তাদের বই বিতরণ করা হয়েছে। ওখান থেকে চলে আসলাম ছোট ছেলের ক্লাসে। ক্লাসের রুমের সামনেও বেলুন এবং কাগজের নকশা দিয়ে ডেকোরেশন করা ছিল।
ছোট ছোট সবুজ টেবিল, লাল চেয়ার এবং দেয়ালের আর্ট গুলো বাচ্চাদের আকর্ষণ করার জন্য যথেষ্ট। ক্লাসে ঢোকার পর টিচার বেসিক রুলসগুলো সবাইকে জানালো। বাচ্চাদের মাথায় এরকম কাগজের ক্রাউন, একটি করে নিউ ইয়ার কার্ড এবং চকলেট দিয়েছিল।
তারপর যথারীতি বাসে করে আবারও বাসায় চলে আসলাম। আসতে আসতে প্রচন্ড রকম ঘুম পেয়েছিল। কিন্তু বাসায় এসে আবার রান্না করতে হয়েছে। এখন থেকে প্রতিদিন আমার রুটিন এরকমই যাবে।
যাই হোক এই ছিল আমার আজকের আয়োজন। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।
ধন্যবাদ
@tania
Photographer | @tania |
---|---|
Phone | oppo reno5 |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
---|
VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
ছেলেদের কে নিয়ে তাহলে এবার থেকে প্রতিনিয়ত স্কুলে যেতে হবে আপনার। নতুন আরেকটা ডিউটি শুরু হলো তাহলে। ছেলেদের স্কুলে বই বিতরণ অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন, আর সময়টা ভালো কেটেছিল দেখছি। যদিও আসতে আসতে আপনার ঘুম পেয়েছিল, তবে বাসায় এসে রান্না করেছিলেন আরও কাজ করেছিলেন। তাহলে এখন প্রতিনিয়তই এই রুটিন মেনে চলতে হবে আপনাকে।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া আমি নতুন ডিউটি শুরু হয়েছে ।এই ডিউটি পালন করতে গিয়ে আমার সব কাজ এলোমেলো হয়ে যাবে। যাই হোক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
পহেলা জানুয়ারি মানেই যেন বই উৎসব। বাংলাদেশ সরকার সব সময় চেষ্টা করে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত পহেলা জানুয়ারিতে ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে বই তুলে দিতে। বছরের প্রথম দিনেই বই হাতে পেয়ে ছাত্রছাত্রীরা অনেক খুশি হয় আপনার সন্তানও আশা করি অনেক খুশি হয়েছে।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া একটা উৎসবের মাধ্যমে এই দিন প্রতিটি স্কুলে বই বিতরণ করা হয়। বেশ ভালো লাগে বিষয়টি। ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে বছরের শুরুতেই সব জায়গাতে বই বিতরণ করা হয়। আর আপনার ছেলেদের স্কুলের বই বিতরণ অনুষ্ঠানে গিয়ে বই সংগ্রহ করলেন এটি আসলে অনেক ভালোলাগার বিষয়। তবে ক্লাসের মধ্যে সবাইকে একটি করে ক্রাউন এবং চকলেট দেয়া হলো এটি আসলে খুব ভালো লাগলো জেনে। আমাদের এদিকে যদিও এরকম কোন বিষয় ঘটে না। ধন্যবাদ তোমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
বাচ্চারা চকলেট পেয়ে খুবই খুশি হয়েছিল। এই বিষয়টি আমার কাছেও বেশ ভালো লেগেছিল। ধন্যবাদ ভাইয়া মন্তব্যের জন্য।
আপনার ছোট ছেলেকে স্কুলে ভর্তি করানোর পাশাপাশি আপনিও এখন নতুন করে স্কুলে যাবেন ভাবতেই ভালো লাগছে হাহাহা, যদিও এই স্কুলে যাওয়ার ব্যাপারটা আপনার কাছে অনেকটাই কষ্টকর প্রতিদিন এরকম ভাবে আবার যাওয়া যায় নাকি..!! এর পরও আপনাকে যেতে হবে। ছেলের স্কুলের বই বিতরণী অনুষ্ঠানে দারুন একটা মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন দেখে ভালো লাগলো। বই বিতরণী অনুষ্ঠানের শেষে বাসায় এসে আবার রান্নার প্রস্তুতি নিতে হবে আসলেই খুবই কষ্টকর এবং অনেক ধৈর্যের ব্যাপার। ধন্যবাদ আমাদের মাঝে মুহূর্তটা তুলে ধরার জন্য।
এত সকাল বেলায় বাচ্চাকে নিয়ে স্কুলে বসে থাকতে গেলে অন্যান্য কাজ সব এলোমেলো হয়ে যায়। তারপরও কিছু করার নেই। ধন্যবাদ ভাইয়া মন্তব্যের জন্য।
১ তারিখে সব স্কুলে বই বিতরণের অনুষ্ঠান হয়। আর তেমনি আপনার ছেলের স্কুলে ও বই বিতরণের অনুষ্ঠান ছিল, আর খুব ভালোভাবে অনুষ্ঠানটা করেছিল। বেলুন দিয়ে দেখছে অনেক সুন্দর ভাবে সাজানো হয়েছিল। আপনার এখন নতুন করে ডিউটি শুরু হয়েছে, কারণ ছেলেদের স্কুলে যেতে হবে প্রত্যেকদিন। আর প্রত্যেকদিন তাদেরকে নিয়ে আপনি স্কুলে যাবেন। এটা একটা নির্ধারিত ডিউটি হয়ে গেল তাহলে আপনার।
আমিও স্কুলে ঢোকার পর অবাক হয়েছি বেলুন দিয়ে কি সুন্দর ডেকোরেশন করেছে। বাচ্চারাও খুব খুশি হয়েছে এরকম ডেকোরেশন দেখে। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
আপনি ছেলেদের স্কুলে বই বিতরনে চমৎকার সময় কাটিয়েছেন আপু।প্রায় সব স্কুলেই বছরের প্রথম দিনে বই বিতরন হয়েছে।আমার ছেলের স্কুলেও দিয়েছিল।কিন্তু আমি বাবার বাসায় ছিলাম তাই নিতে পারিনি।কাল নেবো আশাকরি।আর হে সব স্কুলেই শীতের সময় রুটিনটা একটু চেঞ্জ করে দেয়।নয়ত এতো সকালে বাচ্চাদের জন্য খুব কষ্টের।
আপনার ছেলের স্কুলেও বই বিতরণ করেছে যেন ভালো লাগলো। বাবার বাসা থেকে ফিরে নিশ্চয়ই বইগুলো কালেক্ট করে নিবেন। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
ছেলেদের জন্য তাহলে আবার নতুন করে স্কুলে ভর্তি হয়ে গেলেন। তবে ছোট বাচ্চা থাকলে তাদের সাথে মা অথবা অন্য কেউ যেতে হয় সাথে। না হলে ছোট বাচ্চারা কান্নাকাটি করে। তবে স্কুলে বই ভিতর অনুষ্ঠান খুব সুন্দর করে করেছে। আসলে স্কুলের এই পরিবেশ দেখে ছোট বাচ্চারা অনেক খুশি হয়েছে মনে হয়। তবে আপু আপনার পোস্ট পড়ে বুঝতে পারলাম সকাল বেলা উঠে রেডি হয়ে যেতে আপনার একটু কষ্ট হয়েছে। খুব সুন্দর করে আপনার ছেলেদের স্কুলে বই ভিতর অনুষ্ঠান আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন তাই আপনাকে ধন্যবাদ।
ছেলে কান্নাকাটি করবে না। কিন্তু অনেক দূরের স্কুলে না নিয়ে গেলে একা বাসে আসতে পারবেন। এর জন্য আমাকে যেতে হবে। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
ছোট বাচ্চারা যখন স্কুলে ভর্তি হয় তখন মায়ের কাজ আরো বেড়ে যায়। আমাদের এদিকে ছোট বাচ্চাগুলো স্কুলে যাওয়ার সময় সাথে মা যাওয়া লাগে। তাহলে তারা সুন্দর মত লেখাপড়া করে। তবে আপনার ছেলেদের স্কুলের বই ভিতরে অনুষ্ঠান খুব সুন্দর করে করেছে। সব জায়গাতে খুব সুন্দর করে সাজিয়েছে স্কুলটি। সত্যি এরকম পরিবেশ দেখলে স্কুলের সবার ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর করে পোস্টটি আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করার জন্য।
ঠিক বলেছেন আপু এখন তো আমার সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠে অনেক কাজ করতে হবে। দুই বাচ্চাকে স্কুলে পাঠানো অনেক ঝামেলার বিষয়। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।