ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় ঘুরাঘুরি(১ম পর্ব)
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আজকে আপনাদের সঙ্গে বাণিজ্য মেলায় ঘোরাঘুরির কিছু অনুভূতি এবং ছবি শেয়ার করব। প্রতিবার বাণিজ্য মেলা শুরু হলে ভাবি যে বাণিজ্য মেলায় যাব। কিন্তু গত কয়েক বছর করোনোর জন্য যাওয়া হয়নি। তাছাড়া তার আগে ঢাকার বাইরে ছিলাম জন্য তেমন একটা যাওয়া হত না। এবার শুরুতে ভেবেছিলাম যে বাণিজ্য মেলাতে ঘুরতে যাব। যদিও সবাই বলছিল যে তেমন ভালো কিছু নেই মেলাতে। তারপরও ভাবলাম কিছু কিনি আর না কিনি এই ফাঁকে একটু ঘোরা হবে।
মেলা যখন শুরু হলো তখন হাসবেন্ডকে বলে রেখেছিলাম যে একদিন যেন মেলায় নিয়ে যায়। ছুটির দিন ছাড়া নিয়ে যেতে চেয়েছিল। কারণ ছুটির দিন অনেক ভিড় হয়। কিন্তু অফিসের কাজের জন্য এবং পরবর্তীতে উৎসাহ কমে যাওয়ায় আর যাওয়া হয়নি তাই মেলা যখন শেষের দিকে তখন আমার বড় ছেলের টিচারকে বললাম যে ভাবি চলেন মেলা থেকে ঘুরে আসি। ভাবি রাজি হয়ে গেল। পরে আরো একজন মিলে তিনজনে আমরা মেলায় ঘুরতে গেলাম। বাচ্চাদের বাসায় রেখে গিয়েছিলাম।
গিয়ে আসলেই হতাশ হয়েছি। মনে হল যে নিউমার্কেটে এর থেকে ভালো ভালো জিনিস পাওয়া যায়। বিভিন্ন বিদেশি স্টোর গুলোতে সব দেশি প্রোডাক্ট দিয়ে সাজিয়ে রেখেছে। এবার মেলার মান আমার কাছে খুবই খারাপ মনে হলো। যদিও প্রচন্ড পরিমাণে ভিড় ছিল ছুটির দিন হওয়ার কারণে। আমরা সকাল ১১ টার দিকে বাসা থেকে বের হয়ে পৌনে ১২ টার দিকে মেলায় পৌঁছে গিয়েছিলাম। গিয়ে মনে হল যে আমরাই দেরি করে ফেলেছি এত লোকজন মেলায় অলরেডি পৌঁছে গিয়েছে। হয়তো শেষের দিকে জন্যই এত ভিড় হয়েছিল। তাছাড়া ছুটির দিন। আজকে আপনাদের সঙ্গে মেলার কিছু স্টলের ছবি শেয়ার করবো। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
মেলার গেট দিয়ে ঢোকার পরে এই বড় প্যাভিলিয়নটা চোখে পরবে। এসি করা। এর মধ্যে দোকানগুলোতে ঢুকলে আরামে দেখা যায়। এই প্যাভিলিয়নটার ছবি অন্যদিন শেয়ার করব। আজকে বাইরের দোকানগুলোর ছবি শেয়ার করবো আপনাদের সঙ্গে। তাছাড়া শুরুতে এরকম বিভিন্ন পতাকা টানানো ছিল। সামনে একটি পানির ফোয়ারা ছিল। কিন্তু এত পরিমাণে ভিড় ছিল তার সামনে যে ছবি তুলতে পারিনি।
উপরের দোকানটিতে বিভিন্ন ধরনের চুড়ি পাওয়া যাচ্ছিল। এই চুড়িগুলো দেখে মনে হলো যে এর থেকেও চাঁদনী চকে বা গাউছিয়ার সামনে অনেক ভালো চুড়ির কালেকশন রয়েছে। আর নিচে কিছু খাবার দোকান।
মেলার মধ্যে বেশ কিছু আইসক্রিমের দোকান দেখলাম। এই আইসক্রিমের দোকানটির নাম দেখে আসলেই মনটা ভালো হয়ে গেল। আমরা অবশ্য এরকম একটা দোকানে দাঁড়িয়ে আছক্রিম খেয়েছিলাম।
উপরের দোকান গুলো বিভিন্ন ধরনের জামা রয়েছে। কিন্তু জামাগুলোর দাম আমার কাছে অনেক বেশি মনে হয়েছে। নরমাল দোকানের থেকে এবারের মেলায় বিভিন্ন জিনিসের এত বেশি দাম মনে হয়েছে যে এখান থেকে না কেনাই ভালো। আর নিচে একটি কারু পণ্যের দোকান ছিল। বিভিন্ন দেশীয় ঐতিহ্যের জিনিস এখানে পাওয়া যাচ্ছিল।
আজকে এ পর্যন্তই । বাকি দোকানের ছবি অন্যদিন শেয়ার করবো। আশা করি আপনাদের সকলের ভাল লেগেছে।সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।
ধন্যবাদ
@tania
Photographer | @tania |
---|---|
Phone | oppo reno5 |
Location | Link |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
---|
VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
You've got a free upvote from witness fuli.
Peace & Love!
ও আপনি মেলায় আপনার ভাবিদের কে নিয়ে একসাথে গিয়েছিলেন আর বাচ্চা গুলোকে ওদের বাবার সাথে রেখে গিয়েছেন। তাহলে তো আরামেই ঘুরতে পেরেছেন। মেলায় আসলে কেনার মত তেমন কিছু থাকে না আর মেলা থেকে জামা কেনার কথা তো কখনো মাথাতেই আসে না। এখন মেলা ছাড়া অন্যান্য জায়গায় সব জিনিসই পাওয়া যায় । বিশেষ করে গাউছিয়া ও নিউমার্কেটের সামনে গেলে এমন কিছু নাই যে পাওয়া যায় না।
আগামী ঘোরার জন্যই তো বাচ্চাদেরকে রেখে গিয়েছিলাম। তা না হলে মেলার মধ্যে বাচ্চাদের নিয়ে হাঁটা খুবই কষ্টকর। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে ঢাকার মোহাম্মদপুর থেকে ২ ঘন্টার পথ পেরিয়ে বাণিজ্য মেলায় ঘুরতে যাব তবে ব্যস্ততার কারণে সেটা আরো হয়নি। মাঝে একটু আফসোস হয়েছে তবে আপনার এই পোস্ট পড়ার পরে মনে হচ্ছে যায়নি বেশ ভালো হয়েছে। আসলে বাংলাদেশের এখন এমন পরিস্থিতি সব জায়গাতেই শুধু দুই নাম্বারি চলছে এজন্যই বাণিজ্যমেলার মত জায়গায় বিদেশি পণ্যের জায়গায় দেশি সব সস্তা পণ্য সাজিয়ে রাখা হয়েছে।
২ ঘন্টা জ্যাম ঠেলে বাণিজ্য মেলায় না গিয়ে ভালোই করেছেন। আপনার সময় এবং পরিশ্রম দুটোই বেঁচে গিয়েছে আমার মনে হয়। তেমন কিছুই ভালো দেখলাম না মেলাতে। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
আপনি তো দেখছি মেলায় গিয়ে বেশ ভালোই মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন এবং বাচ্চাদেরকে বাড়িতে রেখে গিয়েছেন এটা কিন্তু বেশ ভালই করেছেন। তাহলে তো ভালোভাবেই ঘোরাঘুরি এবং সময় কাটাতে পারলেন মেলায় গিয়ে। বিভিন্ন দোকানের ফটোগ্রাফি দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। এমনিতে মেলায় যেতে আমার কাছে একটু বেশি ভালো লাগে।আমার কাছে কিন্তু সব মিলিয়ে আজকের পোস্ট ভীষণ ভালোই লেগেছে। বাকি দোকানগুলোর ফটোগ্রাফি দেখার অপেক্ষায় থাকলাম। আশা করছি খুব তাড়াতাড়ি শেয়ার করবেন।
মেলায় যেতে আমার কাছেও ভালই লাগে। এ জন্যইতো বাচ্চাদেরকে রেখে চলে গিয়েছিলাম। বাচ্চাদেরকে নিয়ে গেলে হাটাহাটি করা খুবই কষ্টকর। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।।
আমি তো যে কোন জায়গায় যাওয়ার ফলে ফটোগ্রাফি করতে ব্যস্ত হয়ে পড়ি। আসলে আমার কাছে ফটোগ্রাফি করতে ভীষণ ভালো লাগে তাই ফটোগ্রাফি একটু বেশি করে থাকি। কয়েকদিন আগে আমি মেলায় গিয়েছিলাম যেখানে বেশ ভালোই মুহূর্ত অতিবাহিত করেছি। আপনি দেখছি আপনার ভাবিদের কে নিয়ে বেশ ভালোভাবেই মেলায় গিয়ে মুহূর্ত অতিবাহিত করলেন। আপনার কাটানো এত সুন্দর মুহূর্ত পড়ে সত্যি ভীষণ ভালো লাগলো। আপনি তো দেখছি বাচ্চাদেরকে নিয়ে যাননি তাহলে বেশ ভালোভাবেই ঘোরাঘুরি করলেন।
জি ভাইয়া ভাবিদের সঙ্গে গিয়েছিলাম জন্যই ভালোমতো ঘুরতে পেরেছি। ফটোগ্রাফি করতে গেলে আসলে কোন কিছু ভালোমতো দেখা যায় না। যাই হোক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
করোনাকে বিদায় দিয়ে আপনি যে এইবার বাণিজ্য মেলায় যেতে পেরেছেন এটাই বড় বিষয়।ছুটির দিনে সবাই ঘুরতে বের হয়।অনেক সুন্দর সুন্দর জিনিস দেখতে পেলাম মেলাতে।সব জিনিসগুলো দাম বেশি হলেও বেশ পছন্দসই।ধন্যবাদ আপু।
ঠিক বলেছেন আপু ছুটির দিন জন্যই এত ভিড় ছিল। এমনিতেও ভিড় থাকে কিন্তু ছুটির দিন জন্যই আরো অনেক বেশি ছিল। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
প্রথম যখন বানিজ্য মেলা শুরু হয় তখন খুব মানসম্মত জিনিস পাওয়া যেতো। দিন দিন বানিজ্য মেলা তার উদ্দেশ্য থেকে সরে আসছে। এখন একটা সাধারন মেলায় পরিনত হয়েছে। বানিজ্য মেলা পণ্যের গুনগত মান ধরে রাখতে পারেনি। তাও বিনোদনের জন্য সবাই সেখানে যায়। অনেক অনেক শুভ কামনা আপনার জন্য।
ঠিক বলেছেন আপু প্রথম দিকে অনেক বিদেশী স্টল বসতো। এখন বিদেশী তেমন স্টল দেখতে পেলাম না। মান খুবই খারাপ হয়েছে মেলার। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
আপনি আপনার বাচ্চাদের বাসায় রেখে ভাবিদের সাথে দেখছি মেলায় বেশ ভালোই মুহূর্ত অতিবাহিত করলেন। মেলায় যেতে আমি ভীষণ পছন্দ করি। এখন তো বাণিজ্য মেলা আগের মতো আর হয় না। আগের বাণিজ্য মেলা ছিল অন্যরকম এখন তো সাধারণ মেলার মত এটি হয়ে গেছে। যাইহোক এখন তো মেলায় না গিয়ে বিভিন্ন নিউমার্কেট থেকে জিনিসপত্র কিনলে এবং সেখানে ঘোরাঘুরি করলে আরো ভালো সময় অতিবাহিত করা যায়। আপনার মেলায় ঘুরাঘুরির পর্ব পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো।
ঠিকই বলেছেন আপু এখন এই বাণিজ্য মেলা সাধারণ মেলার মতনই হয়ে গিয়েছে। এবার গিয়ে শিক্ষা হয়েছে। এরপর আর যাবো বলে মনে হয় না। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
আপু আমি এখনো ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় যায়নি। ভেবেছিলাম এই বার যাবো তবে সবার কাছ শুনতেছি এইবার মেলার পন্য গুলো নাকি তেমন ভাল না। ভাল মানের পন্যের কালেকশন খুব কম। তাই যাওয়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছি। যায়হোক আপনার মাধ্যমে কয়েকটা স্টোলের ছবি দেখে ভাল লাগলো। ধন্যবাদ আপু।
না গিয়ে ভালো করেছেন ভাইয়া কিছুই তেমন ছিল না এর থেকে নিউমার্কেট থেকে ঘুরে আসেন তাতেই হয়ে যাবে। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।