গ্রামের কিছু ফটোগ্রাফি
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। শীতকাল আসলেই গ্রামের দিকে সরিষা ফুলে ভর্তি হয়ে যায়। গ্রামের ক্ষেতগুলো যেন হলুদে পরিপূর্ণ থাকে। এ সময় সবাইকে দেখা যায় সরিষা ক্ষেতে গিয়ে ছবি তুলতে। বিশেষ করে ফেসবুক খুললেই দেখা যায় সবাই সরিষা ক্ষেতের ভেতরের ছবি পোস্ট করার জন্য প্রতিযোগিতা শুরু করে দেয়। ঠিক যেমন কাশফুলের সিজনে হয়। সরিষা ক্ষেত দেখতে কিন্তু খুব সুন্দর লাগে। সামনাসামনি যেন আরও বেশি ভালো লাগে দেখতে। যতদূর চোখ যায় শুধু সরিষা ক্ষেত আর সরিষা ক্ষেত। ঢাকা থাকলে সরিষার ক্ষেতের তেমন একটা দেখা পাওয়া যায় না। এবার যেহেতু শীতকালে গ্রামের বাড়িতে গিয়েছিলাম তাই আমিও ভাবলাম যে সরিষা ক্ষেতের সৌন্দর্য্য দেখে আসি। কিন্তু আমার শ্বশুরবাড়ির আসেপাশে লোকজনকে খুব একটা সরিষা লাগাতে দেখলাম না। তারা বেশিরভাগে আলু, ধান এগুলোর চাষ করে। তাই অনেক খুঁজে একটি সরিষা ক্ষেত পেয়েছিলাম। বিকালবেলায় সেখানে ঘুরতে গিয়েছিলাম। ঘুরতে গিয়ে এই ফটোগ্রাফিগুলো করেছি। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে আজকের ফটোগ্রাফিগুলো।
শীতকালে বিকালের যেন দেখাই পাওয়া যায় না। বিশেষ করে দুপুরে খাওয়া দাওয়ার পরে মনে হয় যেন সন্ধ্যা নেমে যায়। আমরা বেরোতে বেরোতে সূর্য প্রায় ডুবতে বসেছিল। সূর্য ডোবার সময় এমনিতেই প্রকৃতির কালার খুব চমৎকার হয়ে যায়। সরিষা ক্ষেতের ওখানে সূর্য ডোবা দেখতে যেন আরো বেশি ভালো লাগছিল। সেই মুহূর্তটিকে ক্যামেরাবন্দি করার চেষ্টা করেছি।
নিচের এগুলো জংলি ফুল। হলুদ জংলি ফুল গুলো দেখতে খুব সুন্দর লাগছিল। ইদানিং রাস্তার আশেপাশে এমন জংলি ফুল দেখা যায়। এরকম ফুল গুলো পথে-ঘাটে দেখতেই বেশি ভালো লাগে। এগুলো বাসায় লাগালে এত সুন্দর ভাবে ফুটে ওঠে না।
উপরের ছবিটি আলুর ক্ষেতের।মাত্র আলু লাগানো হয়েছে। কিছুদিন পরে এখান থেকে আলু উঠানো হবে। আর নিচের ছবিটিতে ধান কাটার পরে ক্ষেতের ছবি। এ সময় জমিগুলো একেবারে শুকনা লাগে দেখতে।
আমরা যখন বাড়ি থেকে বের হয়েছি তখন পুকুরপাড় দিয়ে লাল সূর্য টা দেখা যাচ্ছিলো। সূর্য ডোবার এই মুহূর্তটা আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। বিশেষ করে সূর্যের কালারটা লাল হওয়ার জন্য চারপাশের প্রকৃতির কালারও পরিবর্তন হয়ে যায়।
এই ছিল আমার গ্রামের কিছু ফটোগ্রাফি। আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।
ধন্যবাদ
@tania
Photographer | @tania |
---|---|
Phone | i phone11 |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
---|
VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
মনমুগ্ধকর কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন আপু। সত্যি বলতে আপনার ফটোগ্রাফি গুলো থেকে চোখ ফেরানো যাচ্ছে না। বিশেষ করে সূর্যের আলো যখন সরষে ফুলের উপর পড়েছে সেটি আসলে খুবই চমৎকার হয়েছে। ধন্যবাদ চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।
সূর্যের আলো সরিষা ক্ষেতের উপর পড়ার কারণে সরিষা ক্ষেত দেখতে অসম্ভব সুন্দর লাগছিল। এজন্য ফটোগ্রাফি করেছিলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।।
গ্রাম থেকে ধারণ করা খুবই সুন্দর সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি আপনি আমাদের মাঝে আজকে শেয়ার করেছেন আপু। এই ধরনের পরিবেশে সময় অতিবাহিত করতে পারলে খুবই ভালো লাগে। বিশেষ করে সরিষা ফুলের ফটোগ্রাফি এবং সুপারি গাছের সারির ফটোগ্রাফি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে।
আসলেই ভাইয়া এরকম পরিবেশের সময় পার করতে বেশ ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
শীতকালে গ্রামের বাড়িতে ঘুরতে গেলেন ভালো লাগলো শুনে। আসলে শীতকালের প্রকৃত মজা অনুভব করতে হলে গ্রামের পরিবেশে বেশ ভালই লাগে। আপনি তো শেষমেষ সরিষা ক্ষেত খুঁজে পেলেন আপু। আমাদের এদিকে ও সরিষা ক্ষেত নেই বললেই চলে। সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করলেন আপনি সরিষা খেতের। সূর্যাস্তের ফটোগ্রাফি গুলো খুবই সুন্দর ছিল।
শীতের সময় কখনো গ্রামের বাড়িতে যাওয়া হয় না। কারণ ঐদিকে অনেক বেশি ঠান্ডা থাকে। এজন্য এবার আগে আগে গিয়েছিলাম। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
গ্রামের প্রকৃতির দৃশ্য গুলো দেখে খুবই ভালো লাগলো। অসাধারণ কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন। বিশেষ করে সরিষা ফুলের এই সৌন্দর্যময় দৃশ্য আমার অনেক বেশি ভালো লেগেছে। সূর্য অস্ত যাওয়ার দৃশ্যটি আরো সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে।
সরিষা ফুলের ফটোগ্রাফি করার জন্য খুঁজে খুঁজে সরিষা ক্ষেত বের করেছি। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার মন্তব্যের জন্য।
বাচ্চাদের পরীক্ষা শেষ তাই রিলাক্স মুডে শীতের সময়টা কাটানো যায়।আর এ সময়টাতে গ্রামের বাড়িতে গেলে ভীষণ ভালো লাগে।আমিও শ্বশুর বাড়ি গিয়েছিলাম। আপনি শ্বশুরবাড়ি গিয়ে চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করলেন। সত্যি ই শীতের সময়টাতে চারিদিকে সরিষা ক্ষেত দেখা যায়। কিন্তু আপনার শ্বশুরবাড়ির এলাকায় সরিষা কম লাগানো হয়েছে। তাই সরিষা ক্ষেত একটি দেখে খুব সুন্দর ফটোগ্রাফি করলেন।সূর্য ডোবার ফটোগ্রাফিটিও দারুন লেগেছে। ধন্যবাদ আপু চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন আপু। কিন্তু জানুয়ারি মাসে বেশ ঠান্ডা পড়ে। আর এই সময়ই বাচ্চাদের স্কুলগুলো খুলে দেয়। খুব কষ্ট হয় বাচ্চাদের স্কুলে যেতে। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
সব সময়ের মতো আজকেও খুবই সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি এখানে তুলে ধরেছেন৷ সবসময় আপনার ফটোগ্রাফিগুলো আমার অনেক ভালো লাগে। আজকের এই ফটোগ্রাফিগুলো আমার অনেক বেশি পছন্দ হয়েছে। গ্রামীন ফটোগ্রাফি দেখার মধ্যে একটি আলাদা সৌন্দর্য কাজ করতে থাকে এবং গ্রামীন পরিবেশের অনেকগুলো সৌন্দর্যময় বিষয়বস্ত আপনি আপনার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে তুলে ধরেছেন।
আমার ফটোগ্রাফি গুলো আপনার কাছে সবসময় ভালো লাগে জেনে খুশি হলাম ভাইয়া। ধন্যবাদ আপনার গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য।
হ্যাঁ শীতকালে দিনের আলো স্বল্প সময় থাকে এজন্যই দিন দ্রুত পার হয়ে যায়। সকাল হতে হতে নয় টা বেজে যায় আবার শেষ বিকেলে চারটার পরে সন্ধ্যা হয়ে আসে এর জন্য দিন অনেকটাই ছোট। যাই হোক আপনি সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন বিশেষ করে সরিষা ফুলের ছবিগুলো বেশি সুন্দর ছিল।
দুপুর বেলায় খাওয়া দাওয়া করার পরে মনে হয় আর সময়ই থাকে না। কখন যে সন্ধ্যা লেগে যায় বোঝা যায় না। ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।
আমাদের দিকে গমের চাষ বেশি হয়। সেজন্য এই বছরে আমাদের এলাকায় সরিষার খেতের সংখ্য একেবারেই কম। সরিষা খেতে গিয়ে ছবি তোলা অনেক পুরাতন একটা ট্রাডিশন বলা চলে। সরিষা খেতের ছবিগুলি বেশ দারুণ ছিল আপু। আর আলু চাষ করা আমি কখনো দেখিনি। আপনি ওটার ছবিও শেয়ার করেছেন। দারুণ ছিল।
রংপুরের ওই দিকটায় বেশিরভাগ লোকজন আলু এবং অন্যান্য জিনিস চাষ করেছে। এজন্য সরিষা ক্ষেত দেখতে পেলাম না। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
গ্রাম বাংলার প্রকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে পছন্দ করে না, এরকম মানুষ খুবই কম পাওয়া যাবে। শীতের সময় বেশিরভাগ জায়গায় আসলেই সরিষার ক্ষেত দেখা যায়। যেহেতু আপনি শীতের সময় গ্রামে এসেছিলেন, তখন এই ফটোগ্রাফি গুলো করেছিলেন জেনে ভালো লাগলো। সরিষার ক্ষেতে ঘুরতে গিয়েছিলেন আর কয়েকটা ফটোগ্রাফি করেছিলেন যেগুলো আজকে শেয়ার করেছেন। গ্রাম বাংলার অপরূপ সৌন্দর্যের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আমি তো মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে ছিলাম।
আমিও তাই ভেবেছিলাম যে শীতের সময় সব জায়গায় সরিষা লাগায়। কিন্তু ওই দিকটায় খুবই কম সরিষা লাগিয়েছে লোকজন। যাই হোক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।