এলোমেলো কিছু ফটোগ্রাফি
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আজকে আপনাদের সঙ্গে কিছু এলোমেলো ফটোগ্রাফি শেয়ার করবো। এই ব্লগে সবাই সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করে। তাদের দেখাদেখি ফটোগ্রাফি করার অনেকটা শখ হয়েছে। যদিও অনেকেই অনেক সুন্দর ফটোগ্রাফি করেন তাদের কাছে আমার এই ফটোগ্রাফি কিছুই না। তাছাড়া আমার বাংলা ব্লগে জয়েন করার পর থেকে বিভিন্ন জায়গায় গেলে আর নিজের ছবি তেমন একটা তোলা হয় না। আগে গ্যালারির ছবি দেখতে গেলে শুধু নিজের ছবি পাওয়া যেত। আর এখন খুঁজলেও নিজের ছবি তেমন একটা পাওয়া যায় না। বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক ছবি পাওয়া যায়। এগুলো দেখতে ভালই লাগে। আজকে গ্যালারিতে ছবি দেখতে গিয়ে পুরনো দিনের বেশ কিছু ছবি পেয়ে গেলাম। ভাবলাম যে আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করি। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
ঢাকার কোলাহলে যখন একেবারে হাপিয়ে উঠি তখন পূর্বাচলের ঐ দিকটায় চলে যাই ঘুরার জন্য। ওই দিকটা গেলে গ্রামের অনেকটা ছোঁয়া পাওয়া যায়। তাছাড়া চারপাশে খোলা জায়গার জন্য আরও বেশি ভালো লাগে। উপরের ছবি দুটি পূর্বাচলে ঘুরতে গিয়ে তুলেছিলাম। সেদিন আকাশ মনে হয় বিভিন্ন রকম ভাবে সেজেছিল। এত সুন্দর লাগছিল দেখতে যে বলে বোঝাতে পারবো না। তখনই এই ফটোগ্রাফি গুলো করেছিলাম।
বসুন্ধরায় আবাসিকে আমাদের শেয়ারে একটা প্লট রয়েছে। সেই প্লট দেখতে গিয়ে এই ছবিগুলো তুলেছিলাম। যখন প্লটের কাছে গিয়েছিলাম তখন দেখলাম যে এরকম বিভিন্ন জংলি ফুল দিয়ে একেবারে ভর্তি হয়ে আছে। এরকম জংলি ফুল গুলো দেখতে ভালোই লাগে। এই ফুল গুলোর নাম আমার জানা নেই। কারো জানা থাকলে জানাবেন।
যে কোন জায়গার ক্যান্টনমেন্টের ভিতর ঢুকলে এত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন দেখে খুবই ভালো লাগে। মনে হয় যদি পুরো বাংলাদেশটা এরকম পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা যেত তাহলে বিদেশের থেকে কোন অংশে কম দেখা যেত না। উপরে ছবি ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে আমার ননদের বাসায় গিয়ে তুলেছিলাম। সূর্য তখন লাল হয়ে ডুবতে বসেছিলো। আর নিচের ছবিটি আমার শ্বশুরবাড়ি থেকে তুলেছিলাম। আমার শ্বশুর বাড়িতে গেলে খোলা আকাশ দেখতে খুব ভালো লাগে। তাছাড়া এরকম সারি নারিকেল গাছের ফাঁকা দিয়ে আকাশকে আরো বেশি চমৎকার লাগে।
উপরের ছবিটি অনেকদিন আগের ছবি। ছুটি রিসোর্টে ঘুরতে গিয়ে তুলেছিলাম। এখানে খাওয়া-দাওয়ার জায়গা ছিল। ডেকোরেশনটা খুব ভালো লেগেছিল আমার কাছে। সেজন্যই ছবিটি তুলেছিলাম। আর নিচের ছবিটির ফরিদপুরের। কলেজে বান্ধবীর সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে রিকশায় করে ঘুরেছিলাম। তখন এই রাস্তা দিয়ে গিয়েছিলাম। দুই পাশ দিয়ে সারিসারি গাছ আর মাঝ দিয়ে এরকম রাস্তা। খুব ভালো লাগছিল দেখতে।
এই ছিল আমার আজকের আয়োজন। আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।
ধন্যবাদ
@tania
Photographer | @tania |
---|---|
Phone | oppo reno5 |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
---|
VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য দেখতে কে না চায়। আপনার ফটোগ্রাফির মধ্যে প্রাকৃতিক ছোঁয়া খুঁজে পেলাম। রিসোর্ট এর ফটোগ্রাফি টা দারুন ছিল। সব মিলিয়ে আপনার ফটোগ্রাফি দেখে মুগ্ধ হয়ে গেছি।
আমার ফটোগ্রাফির মধ্যে প্রাকৃতিক পেয়েছেন জেনে ভালো লাগলো ভাইয়া। ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলেই আপু কোলাহলপূর্ণ ঢাকা শহরে কারোরই মন বসে না। যখন এই শহরে ভালো লাগে না তখন পূর্বাচলের দিকে গ্রামীণ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য চলে যান জেনে ভালো লাগলো। আমি পূর্বাচলের ওই দিকে অনেকবার গিয়েছি ওই দিকের সৌন্দর্য আমাকেও মুগ্ধ করে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর ফটোগ্রাফি পোস্ট আমাদের সাথে বিস্তারিতভাবে শেয়ার করার জন্য।
পূর্বাচলের ওই দিকটা ফাঁকা জন্য গেলে খুব ভালো লাগে। মাঝেমধ্যে ওদিকটায় ঘুরতে যাওয়া হয়। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
আপু দারুন ছিল আপনার আজকের আয়োজন। প্রতিটি ফটোগ্রাফি যেন জীবন্ত মনে হচ্ছিল। ফুল আর প্রকৃতির দারুন সমন্বয় ঘটিয়েছেন আপনি আপনার ফটোগ্রাফিতে। প্রতিটি ফটোগ্রাফি যেন নজর কারা। সব মিলিয়ে অসাধারণ একটি ফটোগ্রাফি করেছেন আপু। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।
আমার ফটোগ্রাফি গুলো আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম আপু। অসংখ্য ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।
আসলে এটা তো আমার নিজের মোবাইলের মধ্যেও রয়েছে। এখন গ্যালারিতে ঢুকলে নিজের ছবি খুঁজতে খুঁজতেও পাই না। কারণ অন্যান্য সব ফটোগ্রাফি নিয়ে ভর্তি রয়েছে পুরো গ্যালারি। আজকে আপনি অনেক সুন্দর সুন্দর কয়েকটা ফটোগ্রাফি করেছেন যেগুলো অনেক সুন্দর হয়েছে। বিভিন্ন ফটোগ্রাফি নিয়ে আজকের পোস্টটা সম্পূর্ণভাবে তুলে ধরেছেন, যেটা দেখতেই ভালো লাগছে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখে আমার তো প্রাকৃতির মাঝে এখনই চলে যেতে ইচ্ছে করছে।
এখন প্রকৃতির ছবি তুলতেই বেশি ভালো লাগে। নিজের ছবি তুলতে ইচ্ছা করেনা। ধন্যবাদ আপু মন্তব্যের জন্য।
আজকে দেখছি অনেকেই ফটোগ্রাফি পোস্ট করেছে। আমিও আজকে ফটোগ্রাফি পোস্ট করেছি আপু। তবে এলোমেলো ভাবে আপনি অনেক সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি ধারণ করেছেন। আপনার ধারণ করার প্রতিটি ফটোগ্রাফি আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে ধন্যবাদ আপু।
আপনার সঙ্গে মিলে গেল আপু। দুজনেই ফটোগ্রাফি পোস্ট। যাই হোক ভালো লাগল মন্তব্যটি দেখে।
এটা একদম ঠিক বলেছেন, এখন ফোনের গ্যালারিতে নিজের ফটোগ্রাফি দেখাই যায় না।এখন শুধু প্রাকৃতিক ফটোগ্রাফি আর রেসিপির ফটোগ্রাফি ই দেখা যায়। আমারও তাই।যাই হোক আপনার এলোমেলো ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। আপনি ফটোগ্রাফির চমৎকার বর্ননা তুলে ধরেছেন। আমার কাছে ফটোগ্রাফি গুলো দারুন লেগেছে।বিশেষ করে আপনার শ্বশুরবাড়িতে তোলা আকাশের ফটোগ্রাফি, বান্ববীর সাথে পথের ফটোগ্রাফিটি বেশি ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ আপু শেয়ার করার জন্য।
আমার ফটোগ্রাফির বর্ণনা গুলো আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম আপু। ধন্যবাদ আপনাকে।
ক্যান্টনমেন্ট এর ভিতরের এরিয়ার মতো আমাদের দেশটাও এতো পরিষ্কার থাকলে অন্য দেশ থেকেও বাংলাদেশ কোনো অংশে কম হতো না। তবে রাজশাহী কিন্তু চমৎকার পরিচ্ছন্ন শহর। যাক, বেশ কিছু চমৎকার ফটোগ্রাফি দেখতে পেলাম আপু। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ 🦋
ঠিক বলেছেন ভাইয়া ক্যান্টনমেন্টের পরিবেশ যদি এত সুন্দর রাখা যায় তাহলে বাইরের পরিবেশ কেন রাখা যাবে না। চেষ্টা করলেই হয়। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
আমার আপনার মত অবস্থা, কোথাও গেলে এখন আর নিজের ছবি তুলতেই ভুলে যাই। তাই গ্যালারিতে এখন নিজের ছবির সংখ্যা অনেক কম। যাইহোক আপনার এলোমেলো ফটোগ্রাফি গুলো বেশ ভালো লেগেছে। আসলেই ক্যান্টনমেন্টের এরিয়া গুলোর মতো পুরো দেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকলে খুব ভালো হতো। তবে আমরা সাধারণ জনগণরাই পরিষ্কার রাখতে পারি না এটাই সমস্যা। রাস্তার দুই পাশে গাছের সারি থাকলে এরকম রাস্তায় ঘুরার মজাই আলাদা। নীল আকাশের ফটোগ্রাফিটা খুব সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ আপু।
ক্যান্টনমেন্ট এরিয়া গুলো পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন জন্যই তার ভিতরে ঘুরতে খুব ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপু মন্তব্যের জন্য।