পূর্বাচলের নীলা বাজারে একদিন
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। পূর্বাচলের ওই দিকে নীলা বাজার নামে একটি জায়গা রয়েছে। সেখানে বিভিন্ন ধরনের খাবারের দোকান রয়েছে। বিশেষ করে দেশি খাবার গুলো খুবই প্রচলিত। তাছাড়া এখানকার খাবার গুলো অনেক সুস্বাদু। অনেকদিন ধরে বিকালে যাওয়ার ইচ্ছা ছিল হাঁসের মাংস দিয়ে চিতই পিঠা খাওয়ার জন্য। কিন্তু শীতকালের বিকাল কোথায় দিয়ে শেষ হয়ে যায় টেরই পাওয়া যায় না। আসলে শীতের দিন বিকাল নেই বললেই চলে। দুপুরে খাওয়ার পরেই মনে হয় যে সন্ধ্যা নেমে যায়। আর শীতের রাতে সন্ধ্যার পরে কোথাও বের হতে ইচ্ছা করে না।
আমার বড় ছেলের স্কুল ওই দিকে। ছোট ছেলেকে এবার ওখানে ভর্তি করালাম। শুধুমাত্র স্কুলের কাজের জন্য ওই দিকটা যাওয়া হয়। তাছাড়া অন্য কোন সময় তেমন একটা যাওয়া হয় না। কিছুদিন আগে বড় ছেলের রেজাল্ট দিয়েছিলো। আমি রেজাল্টের সময় ফরিদপুরে ছিলাম জন্য রেজাল্ট আনা হয়নি। তাই সেদিন রেজাল্ট আনতে গিয়েছিলাম। যেহেতু ওইদিকে গিয়েছি তাই নতুন ক্লাসে ভর্তি করিয়ে রাখলাম। তা না হলে আবারও যেতে হতো। আসার সময় পূর্বাচল থেকে সবজি কিনে নিয়ে এসেছি। এখানকার সবজিগুলো গ্রাম থেকে আসে জন্য খুব টাটকা হয়। কিন্তু দাম অনেক বেশি শহরের সবজির থেকে। তারপরও ভালো জিনিস কিছুটা দাম বেশি দিয়েও খাওয়া যায়। এগুলো করতে করতে প্রায় দুপুর হয়ে গিয়েছিলো। সকালবেলা স্কুলে গিয়েছিলাম জন্য রান্না করে যেতে পারিনি। এখন বাসায় এসে রান্না করা লাগবে জন্য ভাবলাম যে যেহেতু এদিকে আছি দুপুরের খাওয়া-দাওয়াটা এখান থেকেই করে যাই। তাই আমরা নিলা বাজারে চলে গেলাম দুপুরের খাবার খাওয়ার জন্য। দুপুরবেলা যে এত ভিড় ধারণা ছিল না। বসার জন্য টেবিলেই পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে একটি ফাঁকা টেবিল পেয়ে আমরা বসে গেলাম।
শুরুতেই তারা চার রকমের ভর্তা দিয়েছিল। এখানে মাংসের ভর্তা, আলু, কচু ও শুঁটকি ভর্তা ছিলো। তারপর আমরা হাঁসের মাংস, মুরগির মাংস এবং চান্দা মাছের ভাজি অর্ডার করেছিলাম।
পাশেই রান্না হচ্ছিলো। গরম গরম রান্না করে তারা পরিবেশন করছিল। খাবারগুলো অনেক সুস্বাদু ছিল। খাওয়া শেষ করে পাশের দোকানে চলে গেলাম। সেখানে গরম গরম মিষ্টি ছিল। এখানে আমরা রসগোল্লা এবং রসমালাই খেয়েছিলাম।
খুবই মজাদার খাবার দাবার খেয়ে আমরা বাসায় চলে এসেছি। এই ছিল আমার আজকের। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।
ধন্যবাদ
@tania
Photographer | @tania |
---|---|
Phone | i phone11 |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
---|
VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
আহ্ খাবার গুলো দেখে অনেক লোভনীয় লাগছে আপু। এর আগে পূর্বাচলের নীলা মার্কেটে অনেকবার গিয়েছি তবে এই খাবার খায়নি কখনো। হাঁসের মাংস আর চিতই পিঠ আমারও অনেক ফেভারিট খাবার। এই জায়গাটিতে আবার যদি কখনো যায় অবশ্যই এই খাবার খেয়ে আসবো। রসগোল্লা আর রসমালাই গুলো আমার দিকে তাকিয়ে রয়েছে। আপনারা বেশ মজা করে খাবার খেয়েছেন জেনে ভালো লাগলো।
এর পরেরবার নীলা বাজারে গেলে অবশ্যই এই খাবারগুলো খাবেন। সাথে গরম মিষ্টি খেতে ভুলবেন না। খুবই ভালো লাগবে খেতে। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু নীলা বাজারের নাম শুনে পুরোনো স্মৃতি মনে পড়ে গেল। সেখানের রসমালাই আমি এখনো মিস করি। আমি যখন গাজীপুর ছিলাম তখন সেখানে ঘুরতে গিয়েছিলাম। আমি ঐ দিন সেখানে রসমালাই খেয়ে আবার বক্স ভরে নিয়েও এসেছিলাম। ভেবেছিলাম আবার যাবো কিন্তু আর সময় হয়ে ওঠেনি। সেখানে সব জিনিস টাটকা পাওয়া যায় বলে আমার কাছেও অনেক ভালো লাগে। আপনারা তাহলে খুবই মজাদার খাবার খেয়েছেন। আপনার পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।
সেদিন আমরা রসমালাই খেয়েছিলাম। গরম গরম খেতে খুব ভালো লাগছিল। ধন্যবাদ আপু মন্তব্য করার জন্য।
আপনার পোস্ট দেখেই পূর্বাচলের নীলা বাজারে যাওয়ার আগ্রহ জন্মেছে যাইহোক খাবার গুলো দেখে বোঝা যাচ্ছে অনেক সুস্বাদু আর একদম দেশিও খাবার। জায়গাটার সন্ধান দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ আপু।
সময় সুযোগ হলে অবশ্যই ওদিক থেকে ঘুরে আসবেন ভাইয়া। ভালো লাগবে জায়গাটা। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
খাবারগুলো দেখে তো খুব লোভ লেগে গেল। এখানকার হাঁসের মাংস আসলেই অনেক পপুলার বিশেষ করে ৩০০ ফিটে যারা ঘুরতে যায় তারা এখানে গিয়েই খাওয়া দাওয়া করে। আমারও একদিন যাওয়ার ইচ্ছা আছে।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া ৩০০ ফিটে ঘুরতে গেলে এখানকার হাঁসের মাংস সবাই খেতে যায়। খুবই মজাদার জন্যই বারবার সবাই যায়। ধন্যবাদ আপনাকে।
বাজারের নাম টা কিন্তু দারুন আপু 😍। আপনার সাথে আমিও একমত যে এই শীতকালে বিকাল বলে আসলেই কিছু নেই। আমার তো সকাল হলেই সন্ধ্যা লেগে যায়। তবে খাওয়া দাওয়া গুলো কিন্তু দারুন ছিল। বিশেষ করে গরম রসগোল্লা আর রসমালাই। অনেক গল্প শুনেছি গরম গরম রসগোল্লার। কিন্তু খাওয়ার সৌভাগ্য হয় নি কখনোই। এই একটা কারণেই খুব লোভ হলো আজ আপু।
গরম রসগোল্লা আর রসমালাই গুলো খেতে খুবই মজাদার ছিল। এরপর ঢাকায় আসলে অবশ্যই ওখানে গিয়ে খেয়ে আসবেন। ভালো লাগবে। ধন্যবাদ আপনাকে।