অবশেষে ট্যুর শেষ করে নিজের বাসায় ফেরা
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। দীর্ঘ দশ দিনে ঘুরে আজকে নিজ দেশে ফিরলাম। অন্য দেশে ঢুকার সাথে যখন মোবাইলের নেট চলে যায় তখন কেমন যেনো একটা অস্বস্তি কাজ করে। অচেনা অজানা জায়গা। কোনো সমস্যা হলেও হেল্প পাওয়ার কোনো উপায় নেই। কিন্তু যখনই বর্ডার পার হয়ে নিজ দেশে ঢুকি মোবাইলের নেট আসার সাথে সাথে মনে হয় যেন সব নিজের হাতের মুঠোয়। যাই হোক আমাদের ট্রেন ছিলো ইন্ডিয়ান সময়ে ১১:৩০ এ। তাই আমরা সকাল ৯ টায় নাস্তা করে হোটেল থেকে চেক আউট করে স্টেশনের উদ্দেশ্যে রওনা দেই। সেখানে ইমিগ্রেশন এর ঝামেলা থাকে তাই একটু সময় নিয়েই বের হয়েছি। তাছাড়া নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন এ নামার পর বিশাল বড় একটা ওভারব্রিজ পার হতে হয়। অনেকগুলো ব্যাগ বাচ্চা নিয়ে খুব ঝামেলা হয়। তাই আমরা নেমেই একজন কুলি নিয়ে নেই ব্যাগ গুলো পার করার জন্য। ঘন্টা খানিক লাইনে দাঁড়িয়ে অবশেষে আমাদের ইমিগ্রেশন শেষ হলো। তারপর আরো কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে ট্রেন এ উঠলাম। ট্রেন ১১:৪৫ এ স্টার্ট দেয়।
দেড় ঘন্টায় আমরা বর্ডারে চলে আসি। এখানে আসার পর ব্যাপক চেকিং হয়। এমনকি ট্রেন এর নিচেও পর্যন্ত চেকিং করে। তবে যাওয়ার দিনের থেকে আজকে চেকিং একটু কম করেছে। এখানে এসে ট্রেন থেকে ট্রেনের ইন্ডিয়ান লোকজন সব নেমে যায়। বাংলাদেশি লোকজন উঠে।
ট্রেন চালু হয়ে কিছুদূর আসার পর বাংলাদেশি ট্রেনের লোক চেকিং করে। তারপর আবার চালু করে। যতই বাংলাদেশ এর ভিতর ঢুকেছিলাম ততই সবুজ আর সবুজ চোখে পরছিলো। কচি ধান লাগিয়েছে মাঠে।
সকাল বেলায় নাস্তা খেয়ে উঠেছি সবার খুব ক্ষুধা লেগে গিয়েছিলো। অপেক্ষায় ছিলাম কখন খাবার দিবে। ট্রেনের খাবার আমরা কখনো খাই না। ভালো লাগে না। কিন্তু এইবার ট্রেনের এই খাবারই খুব মজা লেগেছিলো। অনেক দিন পর চিকেন খেয়েছি সেটাও একটা কারণ। এই দশ দিনে মাংস খুব কম খেয়েছি। দুই তিন বেলা হবে হয়তো। সব জায়গার মাংস তো আর খাওয়া যায় না। হালালের একটা বিষয় থাকে। দার্জিলিং এসে একটা মুসলিম হোটেল পেয়ে সেখানে মাংস খেয়েছিলাম। ভেজ খেতে খেতে অবস্থা খারাপ। দুপুরে ট্রেন এ মোরগ পোলাও দিয়েছিলো। ভালোই লেগেছিলো খেতে।
বিকালের দিকে চিকেন ফ্রাই, ব্রেড আর কাটলেট দিয়েছিলো। ট্রেন এর খাবার ভালো দাম। কি আর করার খেতে তো হবেই।
অবশেষে রাত ১২ টায় ইমিগ্রেশন শেষ করে বাসায় এসে পৌঁছেছি।
এই ছিলো আমার আজকের আয়োজন। আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।
ধন্যবাদ
@tania
Photographer | @tania |
---|---|
Phone | oppo reno5 |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
---|
VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
যাক শেষ পর্যন্ত দেশে ফিরে এসেছেন দেখে ভালো লাগলো । এতদিন পরে মনে হল যেন আমরা আবার সবাই এক হলাম । আসার পথে ছবিগুলো তুলেছেন ছবিগুলো কিন্তু দারুন হয়েছে চারদিকে সবুজ আর সবুজ খুবই ভালো লাগছে । ক্ষুধা পেটে যাই খাওয়া যায় ভালই লাগে । আমার কাছে তো খাবারগুলো লোভনীয় লাগছে মজাও হয়েছে দেখে মনে হচ্ছে ।
খাবারগুলো সেদিন আমার কাছেও বেশ ভালোই লেগেছিল। এমনি কখনো খাওয়া হয়নি। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
যেহেতু অন্য দেশ থেকে ট্রেন বাংলাদেশে প্রবেশ করে সেহেতু বর্ডারে একটু কড়া চেকিং করা স্বাভাবিক। আর ট্রেন ভ্রমণের সবকিছু ভালো লাগে শুধু ট্রেনের মধ্যে খাবার খেতে গেলে দ্বিগুণ পরিমাণে বিল গুনতে হয়।
চেকিং টা একটু বাড়াবাড়ি মনে হয়েছে আমার কাছে। যাই হোক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
দশ দিনের জার্নি শেষ করে এখন যে নিজের বাসায় ফিরেছেন, সেটা জেনে ভালো লাগলো। আসলে অন্য দেশ থেকে নিজের দেশে ফিরলে সবকিছু নতুন করে ভালো লাগে।😅। আর নতুন ধানের চারা লাগালো সবুজ মাঠ আর উপরে শরতের আকাশ মিলে খুব দারুণ ছবি তুলেছেন আপু।
ট্রেনে বসে চারপাশের প্রকৃতি দেখতে খুব ভালো লাগে। এ জন্য ফটোগ্রাফি গুলো করেছিলাম। ধন্যবাদ আপু মন্তব্যের জন্য।
ট্রেনে কলকাতা থেকে বাংলাদেশ আসতে প্রায় বারো ঘন্টার বেশি সময় লেগে গিয়েছে আপনাদের। আসলেই এই ব্যাপার টা ভালো লাগে যখন নিজের দেশে এসে সেই নেটওয়ার্ক টা পাওয়া যায়। মনে হয় যেন আবার দীর্ঘশ্বাস নিতে পারছি হা হা। আপনার ট্রেনে বাড়ি ফেরার পোস্ট টা বেশ দারুণ লাগল। ট্রেনে দেওয়া মোরগ পোলাও বা ট্রেন থেকে করা বাইরের ফটোগ্রাফি গুলো সবমিলিয়ে দারুণ ছিল। ধন্যবাদ আমাদের সঙ্গে পোস্ট টা শেয়ার করে নেওয়ার জন্য আপু।।
ভাইয়া কলকাতা থেকে বাংলাদেশে আসেনি। শিলিগুড়ি থেকে বাংলাদেশে এসেছি। যাই হোক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
আপনার আজকের ব্লগিংয়ের মাধ্যমে বিস্তারিত জানতে পেরেছি। আসলে নিজ দেশের মতো অনুভূতি কোথাও খুঁজে পাওয়া যায় না। সেটা যখন আবার আমরা শহর থেকে গ্রামে যাই এরকম একটি অনুভূতি কাজ করে। তবে অনেক ঝামেলা শেষে অবশেষে ঘরে পৌঁছলেন। যাক সুস্থ ভাবে পৌঁছতে পেরেছেন সেটা হচ্ছে শুকরিয়া। তবে ট্রেন থেকে নেওয়া ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ ছিল আপু।
দেশের মধ্যে থাকলে কখনো এরকম অনুভূতি হয় না। কিন্তু যখনই দেশের বাইরে যাই তখনই এরকম মনে হয়। যাই হোক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
অবশেষে সকলে সুস্থ শরীরে দেশে ফিরেছেন জেনে ভালো লাগলো।বিদেশ থেকে দেশে ফিরলে বেশ ভালো লাগে। কেমন যেন দেশটাকে বেশ ভালো লাগে। মনটা আনন্দে ভরে উঠে। বাহিরে বেড়াতে গেলে সবচেয়ে সমস্যায় পরতে হয় খাবার নিয়ে। আপনারও সেই সমস্যার পরেছিলেন। আর ট্রেন থেকে ফটোগ্রাফিগুলো বেশ ভালই করেছেন ।বেড়ানোর গল্প পড়ার অপেক্ষায় রইলাম/
ঠিক বলেছেন আপু বাইরে গেলে খাবার সমস্যাটা খুব খারাপ লাগে। বিশেষ করে বাচ্চাদের জন্য খুব সমস্যায় পড়তে হয়। যাই হোক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
আসলেই আপু মোবাইলে নেটওয়ার্ক না থাকলে খুবই খারাপ লাগে। মোবাইলে ডাটা থাকলে অচেনা জায়গায় ঘুরতে গেলেও কোনো সমস্যা হয় না। তাইতো আমি অন্য কোনো দেশে ঘুরতে গেলে এয়ারপোর্ট থেকে সিম কার্ড রোমিং করে নিতাম। যাইহোক ইমিগ্রেশনে তো কড়াকড়ি চেকিং করে দেখা যাচ্ছে। ট্রেনে খাবারের দাম বেশি হওয়াটা স্বাভাবিক। সবুজের সমারোহ দেখে চোখ দুটি একেবারে জুড়িয়ে গেল আপু। যাইহোক ট্যুর শেষে সুস্থভাবে বাসায় ফিরেছেন, এটা দেখে খুব ভালো লাগলো। পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আমার হাজবেন্ডের মোবাইল রোমিং করা ছিল। তাছাড়া আমরা ইন্ডিয়ায় গিয়েই একটি সিমও নিয়ে নিয়েছিলাম। কিন্তু নিজের দেশে ঢুকলে অন্যরকম একটা শান্তি কাজ করে।
হ্যাঁ ঠিক বলেছেন আপু, নিজের দেশে ঢুকলে আসলেই অন্যরকম শান্তি লাগে। দেশের বাহিরে গেলে দেশের প্রতি কিন্তু টান বাড়ে,যেটা দেশে থাকলে হয়তোবা সেভাবে উপলব্ধি করতে পারি না আমরা।