সিকিম থেকে দার্জিলিং যাওয়ার পথে
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আজকে আপনাদের সঙ্গে সিকিম ট্যুরের পরবর্তী পর্ব শেয়ার করবো। গতদিন আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করেছিলাম সিকিমের ছাঙ্গু লেক ভ্রমণের কাহিনী। আজ আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করবো সিকিম থেকে দার্জিলিং যাওয়ার পথে কিছু কিছু ভিউ পয়েন্ট দেখেছিলাম সেগুলো। পরদিন সকালবেলায় আমরা দার্জিলিং এর উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে দিয়েছিলাম। গ্যাংটক থেকে সকাল সকাল রওনা দিয়েছিলাম কারণ দার্জিলিং যাওয়ার পথে আমাদের বেশ কিছু ভিউ পয়েন্ট দেখার ইচ্ছা ছিল।ইচ্ছা ছিলো ক্যালিংপং হয়ে যাওয়ার। কারণ ক্যালিংপং এর বেশ কিছু স্থান গতবার এসে খুব ভালো লেগেছিল। ভেবেছিলাম এবারও সেইসব স্থানগুলো ঘুরে যাব। কিন্তু পরে জানতে পারলাম যে তার বেশিরভাগই স্থান সার্ভিসিং এর জন্য বন্ধ আছে। এজন্য আর সেখানে যাওয়া হলো না। তাই আমরা চলে এসেছিলাম তিস্তা ভিউ পয়েন্টে। দার্জিলিং থেকে ক্যালিংপং যাওয়ার পথে পরে আবার সিকিম থেকে দার্জিলিং যাওয়ার পথেই পরে এই জায়গাটি। দার্জিলিং থেকে এখানে যেতে এ দেড় ঘন্টার মত সময় লাগে। এই জায়গাটি তিস্তা এবং রঞ্জিত নদীর মিলন স্থান।
উপর থেকে নিচের দিকে তাকালে পরিষ্কারভাবে দুই নদীর মিলন বোঝা যায়। কারণ একটি নদীর পানি পরিষ্কার এবং অপর নদীর পানি ঘোলা। দুই দিক থেকে দুই নদীর পানি এসে এক জায়গায় মিলিত হয়েছে। এই জায়গাটিকে আবার লাভার্স ভিউ পয়েন্টও বলা হয়। এই লাভারস ভিউ পয়েন্ট বলার অবশ্য একটি ঘটনা ছিল। যদিও ড্রাইভার বলেছিল। এখন অবশ্য মনে নেই। পরে মনে পড়লে আপনাদেরকে জানাবো।
যেহেতু এটি একটি ভিউ পয়েন্ট সেজন্য বিভিন্ন ছোট খাটো দোকান এখানে বসেছে। তাছাড়া লোকজনের বসার জন্য খুব সুন্দর জায়গা করে দেওয়া। ক্যালিংপং যাওয়ার পথে সবাই এখানে যাত্রা বিরতি দেয়। এখানকার দোকানগুলোতে বিভিন্ন ধরনের মুড়ি মাখা, ছোলা মাখা, ডাব আরো অন্যান্য জুস,চিপস পাওয়া যায়। এখানকার জিনিসপত্রের দাম তুলনামূলকভাবে অন্যান্য জায়গা থেকে অনেক বেশি। টুরিস্ট প্লেসে খাবার-দাবারের দাম এমনিতেই বেশি থাকে। এখানে মনে হল তার থেকেও আরও একটু বেশি। যদিও এরা অনেক দূর থেকে এগুলো নিয়ে আসে সেজন্যই হয়তো দাম বেশি। তা না হলে তো তাদের আবার পোষাবে না।
এখানে ছোলা মাখা দেখে মনে হলো খুব মজাদার হবে। তাই আমি ছোলা মাখা খেলাম। বাচ্চারা জুস চিপস এবং আরও অন্যান্য জিনিস কিনলো। তারপর মনে হল এরকম পরিবেশে এক কাপ চা না খেলে হচ্ছে না। খাওয়া-দাওয়া শেষে এক কাপ চা ও খেলাম।
চারপাশের সবুজ প্রকৃতি তার মাঝে এত সুন্দর একটি জায়গা রেখে আসতেই মন চাচ্ছিল না। মনে হচ্ছিলো এখানে ঘন্টার পর ঘন্টা কাটিয়ে দেওয়া যাবে। কিন্তু আমাদের আরো বেশ কয়েকটি ভিউ পয়েন্ট দেখার কথা ছিল জন্য আমরা খুব দ্রুত রওনা দিয়ে দিলাম। যাতে আমরা সবগুলো ভিউ পয়েন্ট দেখে সন্ধ্যার মধ্যে দার্জিলিং এ পৌঁছে যেতে পারি।
আজ এ পর্যন্তই। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কোন ভিউ পয়েন্ট নিয়ে। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
ধন্যবাদ
@tania
Photographer | @tania |
---|---|
Phone | i phone11 |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
---|
VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
লার্ভাস ভিউ পয়েন্টটা কিন্তু আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে । দুই নদীর মিলন একেবারে ভালোমতো বোঝা যাচ্ছে । পরিষ্কার পানি এবং ঘোলা পানি দুটোই বুঝতে পারলাম । ছবিগুলো ভালো লাগছে দেখতে । ছোলা মাখা দেখলে আসলেই খেতে ইচ্ছা করে ছোলা মাখাটা খেতে কেমন লেগেছিল সেটা তো আর বললেন না । আর এই পরিবেশে চা খেতে সত্যি অসাধারণ লাগে । ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি পড়ে ।
ছোলা মাখা গুলো দেখতে যতটা লোভনীয় ছিল খেতে অতটা ভালো লাগেনি আমার কাছে। যাই হোক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
সিকিম থেকে দার্জিলিং যাওয়ার পথের দারুন কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করলে। তাছাড়া দুই নদীর মোহনা খুবই সুন্দর ছিল। লাভারস পয়েন্ট শুনে খুবই ভালো লাগলো। তবে এই পয়েন্ট সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাই আপনার মাধ্যমে। ফটোগ্রাফি গুলো দেখেই তো মনে হচ্ছে অনেক পাহাড়ের উঁচু থেকে নিয়েছেন। যেহেতু অনেক উপর থেকেই নদীর দৃশ্য গুলো খুব সুন্দর ভাবে দেখা যাচ্ছে পাহাড়ের মাঝ খানে।
এই পয়েন্টের সম্পর্কে বিস্তারিত যা আমার আমি জানা ছিল সবই এখানে লিখে দিয়েছি। এর বেশি কিছু আমিও জানি না। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
আপু তিস্তা এবং রঞ্জিত নদীর মিলন স্থানটা সত্যিই খুব সুন্দর। এরকম জায়গা স্বচক্ষে দেখলে ফেলে আসতে মন চাইবে না। প্রকৃতি কত সুন্দর ভাবে সেজেছে সেটা এখানে গেলে খুব সুন্দর ভাবেই বুঝা যায়। দাদার ভ্রমনেও এই জায়গাটির ফটোগ্রাফি দেখেছিলাম। ধন্যবাদ।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া এরকম জায়গা গুলো দেখলে আর সেখান থেকে আসতে মন চায় না। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
আমি তো কালিম্পং ঘুরে আসলাম আপু কয়েকদিন আগেই। সত্যিই কিছু জায়গা এত চমৎকার যে আসতেই ইচ্ছে করে না। আর পাহাড়ের উপর থেকে যখন চারপাশ টা দেখা যায়, মনে হয় পৃথিবী টা এত সুন্দর !!! আর একদিনে বেশ কয়েকটা ভিউ পয়েন্ট দেখতে যাওয়ার প্ল্যান থাকে সবারই। তাই বেশি সময় নিয়ে দেখাও যায় না। আপনার ছবি গুলো দেখে আমিও যেন আবার কয়েকদিন আগে ফিরে গিয়েছিলাম। ভীষণ ভালো লাগলো আপু সত্যিই।
এজন্যই আমরা হাতে বেশ কিছুদিন সময় নিয়ে গিয়েছিলাম। যাতে কোথাও গিয়ে তাড়াহুড়া করতে না হয়। যাই হোক ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।