একটি মেহেদির ডিজাইন অঙ্কন
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আবারো হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আজকে আপনাদের সঙ্গে একটি মেহেদির ডিজাইন শেয়ার করব। মেহেদির আর্ট গুলো ইদানিং করতে বেশ ভালো লাগে আমার কাছে। বিশেষ করে আর্ট করার সময় ছোটবেলার কথা খুব মনে পড়ে। ছোটবেলায় ঈদ আসলে মেহেদি হাতে না দিলে ঈদই মনে হতো না। ঈদের আগের দিন রাত জেগে মেহেদি নেওয়ার ধুম পড়ে যেত। তাছাড়া সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠে আগে দেখতাম যে কার হাতে মেহেদি বেশি রং হয়েছে। সে এক অন্যরকম মজা ছিল। এখন অবশ্য মেহেদি হাতে নেওয়া নিয়ে আর সেই এক্সাইটমেন্ট কাজ করে না। তারপরও মেহেদির ডিজাইনগুলো আঁকার সময় খুব ভালো লাগে সেই দিনগুলোতে ফিরে যেতে। আশা করি আজকের মেহেদির ডিজাইনটি আপনাদের ভালো লাগবে।
প্রয়োজনীয় উপকরণ
সাদা কাগজ
পেন্সিল
রাবার
 |  |
|---|
প্রথমে একটি ফুল এঁকেছি এবং ফুলের ভিতর বেশ কিছু অংশ ভরাট করে দিয়েছি। তারপর উপর দিকে আরো কিছু পাতার মতো এঁকেছি।
 |  |
|---|
পাতাগুলোর ভিতরে কিছুটা ভরাট করে দিয়েছি এবং ছোট ছোট কিছু ডিজাইন করেছি। তার উপর দিয়ে আরও কিছু ডাল এবং পাতা এঁকেছি।
 |  |
|---|
উপরে কল্কি এঁকেছি এবং তার উপরে পাতা এঁকেছি। কল্কির ভিতরে বিভিন্ন রকমের ডিজাইন করে ভরাট করে দিয়েছি।
 |  |
|---|
সবশেষে উপরে আরো কিছু ফুল এবং পাতা এঁকেছি।
পুরোপুরি ডিজাইনটি আঁকা হয়ে গেলে আমার নামের সাইন করে দিয়েছি।
এভাবে আমার মেহেদির আর্টটি শেষ হলো।আশা করি আপনাদের সকলের ভাল লেগেছে। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।
ধন্যবাদ
@tania
| Photographer | @tania |
|---|---|
| Phone | oppo reno5 |
| আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
|---|
VOTE @bangla.witness as witness 
OR SET @rme as your proxy
একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া ঈদ আর বিয়েতে মেহেদী হাতে না দিলে অনুষ্ঠানটাই কেমন ফিকে লাগে। এজন্যই তো সবাই এই সময় মেহেদি লাগায়। ধন্যবাদ আপনাকে।
ছোটবেলায় আমিও ফুফুদের থেকে মেহেদি দিয়ে নিতাম। আর মেহেদী দেয়ার পরই মনে হতো আমি একটা ইদ কাটাচ্ছি,নাহলে যেন ইদ টাকে ইদ মনে হতোনা।
খুব সুন্দর করে ডিজাইনটা করেছেন আপু,অনেক ভালো লাগছে দেখতে।উপস্থাপনা বরাবরের মতোই ছিল।শুভ কামনা রইলো ❤️।
ছোটবেলায় অনেক ছেলেকেই দেখি হাতে মেহেদি লাগাতে। বেশ ভালোই লাগে । অবশ্য আমার ছেলেরা কখনো লাগাতে চায় না।
আপনি খুবই সুন্দর একটি মেহেদী ডিজাইনের চিত্র অঙ্কন করেছেন। আপনার অঙ্কিত চিত্রটি দেখে আমার অনেক ভালো লেগেছে। আপনি খুব সুন্দর ভাবে ধাপে ধাপে আমাদেরকে দেখিয়েছেন এবং খুব সুন্দর বর্ণনাও দিয়েছেন। এত সুন্দর একটি চিত্র আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
মেহেদির ডিজাইন এর প্রতিটি ধাপ সুন্দরভাবে উপস্থাপনের চেষ্টা করেছি। যাতে কেউ চাইলেই হাতে লাগাতে পারে। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে।
অনেক সুন্দর একটি মেহেদী ডিজাইন প্রস্তুত করেছেন আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে।। আপনার প্রস্তুত করার ডিজাইনটি দেখেই বোঝা যাচ্ছে অনেক সময় নিয়ে ধৈর্য ধারণ করে এটি প্রস্তুত করতে হয়েছে।। সুন্দর উপস্থাপনা করেছেন ধাপগুলো শুভকামনা রইল আপনার জন্য।।
এরকম মেহেদির ডিজাইনগুলো তৈরি করতে একটু সময় লাগে। কারণ যত বেশি সময় নিয়ে নিখুঁতভাবে আঁকা যায় তত বেশি সুন্দর হয়। ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনি খুব সুন্দর করে পেন্সিল দিয়ে মেহেদি ডিজাইন আর্ট করছেন। আমিও ছোটবেলা মেহেদি দেওয়া খুব পছন্দ করতাম। ঈদের সময় আমিও ঘুম থেকে উঠে দেখতাম কার হাতে কিভাবে মেহেদি লাগিয়েছে। এবং এ ধরনের মেহেদী ডিজাইনগুলো করতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আমি আপনার মেহেদি ডিজাইনটি দেখে রীতিমত মুগ্ধ হয়ে গেলাম। খুব সুন্দর করে আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। এবং আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইলো।
ছোটবেলায় সবার হাত মিলিয়ে দেখতাম যে কার ডিজাইন সব থেকে বেশি সুন্দর হয়েছে। আমার মেহেদির ডিজাইনটা আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।
খুবই সুন্দর একটি মেহেদি ডিজাইন এর চিত্র অঙ্কন করেছেন। সত্যি আপনার চিত্রটি দেখতে পেয়ে আমার খুবই ভালো লাগলো। এত সুন্দর একটি চিত্র অংকন আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার মেহেদির ডিজাইনটি দেখতে পেরে আপনার ভালো লাগলো জেনে খুশি হলাম ভাইয়া। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
ঠিক বলেছেন মেহেদির ডিজাইন এর আর্টগুলো করার সময় মনে হয় যে ছোটবেলায় ফিরে গিয়েছি। আপনার মেহেদির ডিজাইনটি দেখতে খুবই সুন্দর হয়েছে। আপনার মত আমারও এখন আর মেহেদী হাতে লাগানো নিয়ে তেমন একটা এক্সাটম্যান্ট কাজ করে না। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি চিত্রাংকন আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আসলেই বয়স একটা ফ্যাক্ট। একটা সময় এই মেহেদি দেওয়ার জন্য পাগল ছিলাম। আর এখন তেমন উৎসাহই পাই না। যাইহোক ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
আপু আপনি ঠিক বলেছেন ,ঈদের দিন সকালে ঘুম থেকে উঠে আগে একে অন্যের হাত দেখতে ব্যস্ত থাকতাম যে কার হাতে মেহেদির রং বেশি হয়েছে। কোথায় হারিয়ে গিয়েছে সে সোনালী দিনগুলো। যাই হোক আপনি খুব সুন্দর একটি মেহেদীর ডিজাইন আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। মেহেদির এই ডিজাইনটি খুবই ভালো লেগেছে। আপনাকে ধন্যবাদ আপু সুন্দর ডিজাইনটা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আগেকার দিনের মেহেদী গুলো এমন পাঁচ মিনিটের রং হতো না। সারারাত হাতে লাগিয়ে রাখতে হতো । এজন্যই তো সকালে উঠে দেখলাম যে কেমন রং হয়েছে। ধন্যবাদ আপু আপনার মন্তব্যের জন্য।
ঠিকই বলেছেন আপু, ছোট বেলায় আমি ঈদের আগের দিন কার কাছে থেকে মেহেদী দিব সেই চিন্তায় পড়ে যেতাম। অবশ্য সেই সময় গাছ থেকে মেন্দী পাতা ছিরে তারপর পাটায় বেটে হাতে ব্যবহার করতাম। এই রকম কিনতে পাওয়া যেত না। যাই হোক আপু আপনি অনেক সুন্দর একটি মেহেদী ডিজাইন করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার মেহেদী ডিজাইনটি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ আপু।
আমি অবশ্য ছোটবেলা থেকেই আমার নিজের হাতের মেহেদী নিজেই দিতাম এবং অন্যদেরকেও দিয়ে দিতাম। এজন্য হয়তো মেহেদির ডিজাইনগুলো আঁকতে এখন খুব ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপু আপনাকে।