ম্যাথ কম্পিটিশনে ছেলের ফার্স্ট হওয়ার অনুভূতি
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। সন্তানের সাফল্যে বাবা-মায়ের যে কি আনন্দ হয় সেই উপলব্ধিটা সেদিন হঠাৎ করে পেয়েছি। প্রতিটি বাবা-মা চায় তার সন্তান সর্বক্ষেত্রে সফলতা অর্জন করুক। কিন্তু বাচ্চাকে সফল করতে গিয়ে অসুস্থ প্রতিযোগিতায় নামিয়ে দেয়া চলবে না। বর্তমান সময়ে ছোট ছোট বাচ্চাদের পড়ালেখার অনেক বেশি চাপ। আমাদের সময় ছোট ক্লাসে পড়ালেখার এত বেশি চাপ ছিল না। ছোট বাচ্চাদের পড়ালেখা দেখলে মনে হয় যে এই ক্লাস থেকেই তাদেরকে ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার বানিয়ে ছেড়ে দেবে। এত ছোট ছোট বাচ্চা এত পড়ালেখা করে কি করবে তাই বুঝতে পারি না। তাছাড়া তো একটা প্রতিযোগিতা রয়েছেই প্রতি ক্লাসে। বাচ্চাদেরকে ফাস্ট হওয়ার জন্য অনেক বেশি চাপ প্রয়োগ করা উচিত না। আমার মনে হয় ছোটবেলায় বাচ্চারা পড়ালেখায় যেমনই থাকুক তাতেই তাকে উৎসাহ দেয়া উচিত। অন্যের সঙ্গে তুলনা করে করা উচিত না। এতে বাচ্চাদের মন মানসিকতা ছোট হয়ে যায়।
আমার বড় ছেলে পড়ালেখায় মোটামুটি ভালো। কিন্তু পড়তে বসতে চায় না। খুবই অমনোযোগী। কি আর করবে ছোট বাচ্চাদের মোবাইল টিভির প্রতিই তো আগ্রহ বেশি থাকবে। কিন্তু ও অল্প সময় পড়লেই ওর পড়া কমপ্লিট হয়ে যায়। যদি নিজে থেকে আরও পড়তো তাহলে হয়তো আরো বেশি ভালো করতে পারতো। তারপর আমি খুব বেশি চাপ দেই না। বড় হলে নিজে থেকেই বুঝতে পারবে।
কিছুদিন আগে বড় ছেলে বেশ অসুস্থ ছিল। প্রথমে জ্বর আসলো তারপর জ্বর ছেড়ে যাওয়ার পর পায়ে ব্যথা। সেজন্য স্কুলে বেশ কয়েকদিন মিস গিয়েছিল। মাঝেমধ্যে ক্লাসে পরীক্ষা ছিল জন্য পাঠাছিলাম।তখন ক্লাসে ম্যাথ কম্পিটিশন ছিল। আমার স্কুলে পাঠানোর তেমন ইচ্ছা ছিল না। তারপরে কনফিডেন্সও কম ছিল। কারণ ও সবকিছু পারলেও তাড়াহুড়ো করে ভুল করে রেখে আসে। সেজন্য ভাবছিলাম যে এই অসুস্থ শরীর নিয়ে কি দরকার পরীক্ষা দেয়ার। কিন্তু ছেলে মোটামুটি জোর করেই স্কুলে গিয়েছে ম্যাথ কম্পিটিশনের জন্য। আমিও রাতে একটু পড়িয়েছিলাম যাতে কিছুটা পারে।
স্কুল থেকে বাসায় আসার পর আমি কম্পিটিশন কেমন হয়েছে জিজ্ঞাসা করার জন্য ডাক দিয়েছি। ঠিক তখনই ছেলে এই ক্রেস্ট নিয়ে হাজির। আমি দেখে তো খুবই অবাক। কম্পিটিশনের ফার্স্ট হয়েছে। সেই মুহূর্তে আমার কি যে ভালো লেগেছে বলে বোঝাতে পারবো না। তখনই বুঝতে পারলাম যে সন্তানদের সাফল্যের বাবা-মায়ের কি রকম আনন্দ হয়। এই ছোট্ট একটা সাফল্যতেই আমার এত আনন্দ হচ্ছে। আর যাদের সন্তান আরো বেশি সফলতা অর্জন করে তাদের বাবা-মায়ের কতটা প্রাউড ফিল হয়।
কম্পিটিশনে জেতার পর একটা সমস্যা হয়েছে এখন আমি কোন কিছু বললেই আমাকে ভয় দেখায় যে এমন করলে আর ফার্স্ট হয়ে ক্রেস্ট এনে দেবে না আমাকে। আমি ওকে রাগারাগি না করলে এরকম ক্রেস্ট আমাকে আরো এনে দিবে। এই প্রতিযোগিতায় ফাস্ট হয়ে ওর ও কনফিডেন্স অনেক বেড়ে গিয়েছে। সবাই আমার ছেলের জন্য দোয়া করবেন।
আজ এ পর্যন্তই। আশা করি আপনাদের সকলের ভালো লেগেছে। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।
ধন্যবাদ
@tania
Photographer | @tania |
---|---|
Phone | oppo reno5 |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
---|
VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
সত্যি বাচ্চাদের এরকম ছোট ছোট সফলতা গুলো বাবা-মাকে অনেক বেশি আনন্দ দেয়। আসলে এটা কিন্তু সত্যি কথা ছোটবেলার বাচ্চারা পড়ালেখায় যেরকমই হোক না কেন তাদেরকে উৎসাহিত করা উচিত। আপনার দুটি ছেলের জন্যই অনেক অনেক দোয়া এবং ভালোবাসা রইলো। দুজনেই যেন নিজেদেরকে অনেক দূরে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে এবং কি এভাবে আপনাকে আনন্দ দিতে পারে এটাই কামনা করি। ভালোবাসা রইলো ওদের জন্য।
এত ছোট ছোট বাচ্চাদের পড়ালেখায় এত চাপ দেয়ার কি দরকার। এজন্যই আমি খুব একটা চাপ দেই না। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
প্রত্যেকটি মা বাবা চায় তার সন্তান যেন একজন শিক্ষিত মানুষ হয়ে উঠুক এবং সবার থেকে ভালো করুক। আপনার ছেলে ম্যাথমেটিক্যাল কম্পিটিশনে প্রথম হয়েছে জেনে অনেক আনন্দিত হলাম, আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার ছেলের জন্য শুভকামনা রইলো।
ধন্যবাদ আপু মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য। দোয়া করবেন সব সময়।
আসলেই এখনকার বাচ্চাদের পড়ালেখা দেখলে মনে হয় ওদেরকে ছোটবেলায় কিছু একটা বানিয়ে ফেলবে । অসুস্থ শরীর নিয়ে গিয়ে পরীক্ষা দিয়ে তো ভালো রেজাল্ট করেছে । আসলে বাচ্চারা ভালো রেজাল্ট করলে সত্যিই খুব ভালো লাগে। আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছিল ওর পুরস্কারটা পাওয়া শুনে ।
আমিতো ওকে স্কুলে পাঠাতে চেয়েছিলাম না। জোর করে গিয়েছিল। যাইহোক গিয়ে অবশ্য ভালোই হয়েছিল। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
ম্যাথ কম্পিটিশনে আপনার বড় ছেলে ফার্স্ট হয়েছে এজন্য অনেক অনেক অভিনন্দন জানাচ্ছি আপু। ছেলেমেয়েদের এমন সাফল্য দেখলে বাবা-মায়ের সত্যিই খুব ভালো লাগে। যদিও বা আপনার ছেলে বেশ কিছুটা অসুস্থ ছিল তবুও সে এই কম্পিটিশনে ফার্স্ট হয়েছে জেনে খুবই ভালো লাগলো। নিঃসন্দেহে আপনার ছেলের মেধা অনেক অনেক বেশি। যার কারণে কম পড়েও এমন সাফল্য অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। আপু আপনার ছেলের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া বাচ্চাদের সাফল্যের বাবা-মার আনন্দের সীমা থাকে না। তা এই প্রথম বুঝতে পারলাম। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
ম্যাথ কম্পিটিশনে ফার্স্ট হয়ে বাবুর কনফিডেন্স অনেক বেড়ে গেছে জেনে ভালো লাগলো আপু। সত্যি বাচ্চাদের খুশির খবর শুনে অনেক ভালো লাগে। এভাবেই সে যেনো জীবনের প্রত্যেকটি জায়গায় ভালো কিছু করে এই দোয়া করি। সেই সাথে বাবু যেনো একজন ভালো মানুষ হয় সব সময় এই কামনাই করি। আপু আপনার পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লাগলো।
এরকম কম্পিটিশনে অংশগ্রহণ করলে বাচ্চাদের কনফিডেন্স বেড়ে যায়। আর প্রতিযোগিতায় ভালো কোন পজিশন পেলে তো কথাই নেই। ধন্যবাদ আপু আপনার মন্তব্যের জন্য।
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ম্যাথ কম্পিটিশনে আপনার ছেলের ফাস্ট হওয়ার অনুভূতি। আসলে একজন পিতা-মাতার ছেলে মেয়ে যদি কোন কম্পিটিশনে ফাস্ট হয় তাহলে সে অনুভূতি বলে বোঝানো যায় না। আসলে বাচ্চাদের খুশির খবর শুনলে মা বাবার প্রাণ ভরে যায়। আপনিও খবরটি শুনে বেশ খুশি হয়েছিলেন জেনে বেশ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য। আপনার ছেলের জন্য শুভকামনা রইল।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া আসলে এই অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করার মত নয়। ধন্যবাদ আমার পোস্টটি পড়ে মন্তব্য করার জন্য।
আপনার ছেলের এরকম একটা সাফল্যের কথা শুনে আমার নিজের কাছেই অনেক বেশি আনন্দ লাগছে আপু, তাহলে তো আপনার কাছে আরও অনেক বেশি আনন্দ লেগেছে। আসলে নিজের সন্তানের সাফল্য সকল বাবা-মা চায়। এই কনটেস্টে ফার্স্ট হওয়ার কারণে তার কনফিডেন্স তাহলে আরো অনেক বেশি বেড়ে গিয়েছে এটা জেনে তো খুশি হলাম। আপনার ছেলের জন্য দোয়া এবং ভালোবাসা রইলো আপু। যেন নিজেকে অনেক দূরে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে।
আমার ছেলের সাফল্য দেখে আপনার আনন্দ লাগছে জেনে ভালো ভাইয়া। দোয়া করবেন।
প্রত্যেক ছেলে মেয়ের যদি কোন সফলতা পায় তখন মা-বাবার কাছে ভিন্নরকম আনন্দ লাগে। মা-বাবার আনন্দটা কি রকম তা বাসা প্রকাশ করার মত নাই। তবে ছোট বাচ্চারা নিজ থেকে না পড়লে তখন তাদের পড়াগুলো তেমন সামনের দিকে আগায় না। শুনে ভালো লাগলো আপনার ছেলে ম্যাথ কম্পিটিশনে ফাস্ট হয়েছে। আপনার ছেলের জন্য দোয়া রইল যেন সে বড় হয়ে মা বাবার মুখ উজ্জ্বল করতে পারে।
এত ছোট ছোট বাচ্চারা নিচ থেকে খুব একটা বেশি পড়তে চায় না। তারপরও এদেরকে চাপ না দেওয়াই ভালো। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
আসলেই আপু বাচ্চাদেরকে পড়াশোনার জন্য এতো চাপ দেওয়া ঠিক না। এতে করে হিতে বিপরীত হতে পারে। সন্তানের সাফল্যে বাবা মা যে কতোটা খুশি হয়,সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। আপনার মনের অনুভূতিটা বেশ ভালোই বুঝতে পারছি আপু। আপনার ছেলের জন্য অনেক অনেক দোয়া এবং শুভকামনা রইল আপু।
আমারও তাই মনে হয়। বড় হয়ে যখন বুঝতে পারবে তখন নিজে থেকেই পড়ার প্রতি আগ্রহ তৈরি হবে। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।