বোনের বাসায় একদিন খাওয়াদাওয়া
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। অনেকদিন বাসায় থাকতে থাকতে আর ভালো লাগে না। তখন মনে হয় যেন কোথাও ঘুরতে যাই। সব সময় তো আর চাইলে দূরে ঘুরতে যাওয়া যায় না। ঢাকায় যেহেতু আমার বোনের বাসায় আছে তাই যখন ভালো লাগে না তখন ওর বাসায় চলে যাই। কিন্তু ওর বাসায় গিয়ে খুব কম থাকা হয়। বেশিরভাগ সময় দেখা যায় সকালে গিয়ে রাতের বেলায় চলে আসি। কিন্তু এইবার আমার হাসবেন্ড অফিসের মিটিংয়ে কক্সবাজারে গিয়েছিল। আমিও এই সুযোগটা কাজে লাগিয়ে ফেললাম। যদিও আমার হাসবেন্ড বলছিল যে মাত্র দুই রাতের বিষয় বাসায় থাকতে। কিন্তু আমার ছোট ছেলেটা ওদের বাসায় যাওয়ার জন্য খুবই অস্থির হয়েছিল। বারবার শুধু বলছিল ওদের বাসায় যাওয়ার কথা। আমিও ভাবলাম যেহেতু ওর বাসায় গিয়ে থাকা হয়না এই সুযোগে গিয়ে থেকে আসি। তাছাড়া অনেকদিন যাওয়া হয় না।
সকালবেলায় নাস্তা করে একটা উবার ডাক দিয়ে চলে গেলাম বোনের বাসায়। আমার হাসবেন্ড বাইরের খাবার বিশেষ করে রোডের সাইডের খাবারগুলো একদমই পছন্দ করে না। সেজন্য খুবই কম খাওয়া হয় আমার। তাছাড়া বসুন্ধরার ভেতরে পিঠার দোকান তেমন দেখা যায় না। খাবার খেতে গেলেও গেটের বাইরে যেতে হয়। কিন্তু আমার বোনের বাসার নিচেই পিঠার অসংখ্য দোকান বসে। লিফট দিয়ে নেমেই পিঠা কিনে খাওয়া যায়। ওর বাসায় আসলে গিয়েছি এই পিঠা খাওয়ার জন্য।
বোনের বাসায় গিয়েই আগে ঠিক করে নিয়েছি কোনদিন কোন পিঠা খাবো। কারণ একদিনে তো আর সব পিঠা খাওয়া যায় না। তাছাড়া সময় কম। প্রথম দিন গিয়ে ভাপা পিঠা খেয়েছি। দ্বিতীয় দিন চিতই পিঠা এবং আট রকমের ভর্তা খেয়েছিলাম। চিতই পিঠা এবং এত রকমের ভর্তা দেখে এত এক্সাইটেড হয়ে গিয়েছিলাম যে ভর্তার ছবি তোলার কথা মনে ছিল না। তাছাড়া পাটিসাপটা পিঠাটি আপু বানিয়েছে। আপুর হাতের রান্না তো আপনারা সবাই দেখেছেন। এই পিঠা তৌহিদা আপু বানিয়েছে। খুবই মজা হয়েছিল খেতে। যদিও একবার ভেবেছিলাম যে রেসিপি আপনাদের সাথে শেয়ার করি কিন্তু পরে ব্যস্ততার কারণে আর ছবি তোলা হয়ে ওঠেনি।
পিঠা খাওয়া দাওয়ার পর বাচ্চারা খুবই বিরক্ত করছিল। সেজন্য নিচে নিয়ে গিয়েছিলাম তাদের খেলার জন্য। বাচ্চারা এখানে বেশ কিছুক্ষণ ফুটবল এবং টেবিল টেনিস খেলেছে। তারা খুব মজা করেছিল। এই ফাঁকে আমি আর আপু অনেকক্ষণ গল্প করেছিলাম।
অনেকদিন পর বোনের বাসায় গিয়েছি আপু বাচ্চাদের জন্য পোলাও, রোস্ট, মাংস, মাছ অনেক কিছু রান্না করেছিল। যদিও সবকিছুর ছবি তোলা হয়নি। যাই হোক দুইদিন খুব মজা করেছিলাম আপুর বাসায়।
এই ছিল আমার আজকের আয়োজন। আশা করি আপনাদের সকলের ভালো লেগেছে। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।
ধন্যবাদ
@tania
Photographer | @tania |
---|---|
Phone | oppo reno5 |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
---|
VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
আসলে বাসায় থাকতে থাকতে যখন বেশ খারাপ লাগে তখনই ঘুরতে যেতে ভালোই লাগে।বোন হলে তো কথাই নেই। আসলেই তৌহিদা আপু বেশ ভালো ভালো রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করে।পাটিসাপটা পিঠা আমার বেশ ভালোই লাগে খেতে।আপু বেশ ভালোই বানিয়েছে মনে হচ্ছে। আসলে মাঝে মাঝে স্ট্রিট ফুড খাওয়ার মজাই আলাদা।ভালোই সময় কাটিয়ে এসেছেন বোনের বাসায়।ধন্যবাদ
ঠিক বলেছেন আপু বাসায় থাকতে থাকতে খারাপ লাগলেই এদিক-সেদিক যাওয়ার কথা মনে আসে। স্ট্রিট ফুড গুলো আমার কাছে ভালোই লাগে কিন্তু তেমন একটা খাওয়া হয় না। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
কিছু কিছু সময় কোন জায়গায় যেয়ে ঘুরে বেড়িয়ে আসলে নিজের কাছে অনেক ভালো লাগে। এখন শীতকাল পিঠাপুলির উৎসবে শেষ নেই। আপনি আপনার বোনের বাড়িতে গিয়েছিলেন। বোন যদি বোনের বাড়িতে আসে তাহলে তো আর আদর আপানের শেষ থাকে না। বোনের বাড়িতে খুব মজা করে পিঠাপুলি খেয়েছেন। পোলাও রোস্ট মাছ মাংস অনেক কিছু তো আপনার বোন আপনার জন্য রান্না করেছে। খুব মজা করে খেয়েছেন দেখছি।বোনের বাড়িতে সুন্দর মুহূর্ত গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
জ্বী ভাইয়া বোনের বাসায় গিয়ে অনেক কিছুই খাওয়া হয়েছে। বেশ মজাই লেগেছিল। ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
ভাল করেছেন বোনের বাসায় বেড়াতে গিয়েছেন। মাঝে মাঝে অন্য বাসায় বেড়াতে গেলে আমারও ভাল লাগে। আপনি পিঠা খাওয়ার জন্য গেলেন আর মজার মজার তিন ধরনের পিঠা খাওয়াও হয়ে গেল। আমি গেস করেছিলাম তাওহীদা আপু আর আপনি বোন এবং আজ কনফার্ম হলাম। খাবারের ছবিগুলো খুবই লোভনীয় লাগছে। ধন্যবাদ আপু।
কি বলেন ভাইয়া আজকে জানলেন যে আমরা বোন অনেকেই তো জানে। আরো দুইজন বোন আছে আমাদের খুঁজে বের করে জানাবেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
তানজিরা আপু
ওয়াহিদা সোমা আপু।
নাম বের করতে আমার একদিন লেগে গেল আপু তবে ফাইনালি জানতে পেরেছি ভাল লাগছে ।
কই থেকে বের করলেন ভাইয়া?
আমাদের ভাই ও আছে। নতুন কুইজ । এটা কয়দিনে বের করতে পারেন দেখি।😁😀
বাহ বোনের বাসায় গিয়ে খুব মজা করেছেন তো। এভাবে দুই বোন একসাথে হলে খাওয়া দাওয়া গল্পগুজব করেই সময় চলে যায়। তৌহিদা আপু রেসিপি এর আগে অনেক বার দেখেছি। আপু খুব সুন্দর ও মজাদার রেসিপি সবসময় আমাদের সাথে শেয়ার করেন। আপুর হাতের পাটিসাপটা পিঠা দেখে খুব খেতে ইচ্ছে করছে। আমি পাটিসাপটা পিঠা খেতে অনেক পছন্দ করি। এছাড়া আপু বাচ্চাদের জন্য খুবই মজাদার রেসিপি তৈরি করেছেন। আমরা সবাই জানি রাস্তার পাশের খাবার খাওয়া ভালো নয় কিন্তু মাঝে একটু খেলে কিছু হয়না।ধন্যবাদ আপু খাওয়া দাওয়ার সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
যে আপু তৌহিদা আপুর হাতের রান্না খুব মজা। ছবিতে যেমন দেখেছেন খেতে ও তার থেকে অনেক বেশি সুস্বাদু। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
আসলে অনেক সময় বাসায় থাকতে থাকতে একঘেয়েমি লাগে। কোথায় গিয়ে ঘুরে আসলে তখন খুবই ভালো লাগে। দুই বোন মিলে অনেক আনন্দ মজা করেছে। আর শীতের সময় পিঠা খাওয়ার মজাটাই আলাদা। পিঠার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আসলেই লোভনীয় লাগছে। বোনের বাড়িতে গিয়ে অনেক আনন্দের সময় কাটানোর মুহূর্ত গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
পিঠাগুলো বেশ মজার ছিল। সবাই মিলে অনেক মজা করে পিঠাগুলো খেয়েছিলাম। ধন্যবাদ আপু মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
ভাইয়া যেহেতু বাইরে গিয়েছেন সেই সুযোগটা ভালোভাবেই কাজে লাগিয়েছেন আপু। বোনের বাসায় অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো। আসলে মাঝে মাঝে যদি প্রিয় মানুষগুলোর সাথে সময় কাটানো যায় তাহলে ভীষণ ভালো লাগে। আর ঘুরতে গেলে বাচ্চারা অনেক খুশি হয়। আপুর হাতের তৈরি পাটিসাপটা পিঠাগুলো দেখতে খুবই লোভনীয় লাগছে। এছাড়া দোকান থেকে কেনা পিঠাগুলোও অনেক লোভনীয় লাগছে আপু।
একদম ঠিক বলেছেন আপু মাঝেমধ্যে প্রিয় মানুষগুলোর সঙ্গে সময় কাটাতে খুব ভালো লাগে। এজন্যই তো সময় সুযোগ হলেই বোনের বাসায় চলে যাই। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
কখনো কখনো বাসায় থাকতে থাকতে আর ভালো লাগেনা। সেই সময় কোন আত্মীয়র বাসায় গেলে একটু ভালো লাগে। আর ভাইয়া কক্সবাজারে অফিসের কাজে যাওয়ার কারণে আপনার জন্য একটু ভালো হলো। তবে ভাইয়ার মত আমিও রোড সাইডের দোকান গুলোর খাবার আমিও খাই না। আর খাবারগুলো ও পিঠাগুলো দেখে বোঝা যাচ্ছে খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছেন বোনের বাসায়। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আমি তো এই সুযোগের অপেক্ষায় থাকি যে কবে আমার হাসবেন্ড অফিসের কাজে দূরে কোথাও যাবে। এই ফাঁকে আমিও বোনের বাসায় গিয়ে কিছুটা সময় কাটিয়ে আসবো। যাই হোক ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
বোনের বাসায় আপনি খুব সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। আপনার প্রতি বোনের ভালোবাসা দেখে সত্যিই মুগ্ধ হয়ে গেলাম। এত রকমের খাবারের আয়োজন করেছে অসাধারণ। সকলের জন্য আপনার বোন অসাধারণ খাবার তৈরি করেছে। আসলে বাসায় থাকতে এক সময় নিজের কাছে খুবই বিরক্ত বোধ হয় তখন বাইরে আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে ঘুরতে গেলে খুবই ভালো লাগে। বোনের বাসায় দুই বোন মিলে খুব সুন্দর সময় পার করেছেন জেনে ভালো লাগলো। এত সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
যাওয়ার আগেই বলে গিয়েছিলাম যে ওর বাসায় গিয়ে কি কি খাব। সেজন্যই সবকিছু রেডি করে রেখেছিল। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।