বিভিন্ন খাবারের ফটোগ্রাফি
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আজকে আপনাদের সঙ্গে ফুড ফটোগ্রাফি শেয়ার করবো। এই ব্লগে অনেককেই দেখি সুন্দর সুন্দর খাবারের ফটোগ্রাফি করে। আমার কখনো এর আগে করা হয়নি। বিভিন্ন জায়গা থেকে বিভিন্ন ধরনের খাবার খেয়েছিলাম। বিশেষ করে ইন্ডিয়ায় ঘুরতে গিয়ে ইন্ডিয়ান খাবার অনেক খাওয়া হয়েছিল। ইন্ডিয়ান খাবারগুলো খুবই মজাদার ছিল। তাছাড়া ওদের পরিবেশনাটা খুব চমৎকার থাকে। দেখতেই ভালো লাগে। এখনকার রেস্টুরেন্টগুলো যত বেশি সুন্দরভাবে খাবারের ডেকোরেশন করতে পারে সেসব রেস্টুরেন্টের তত বেশি নাম ডাক। বিশেষ করে সবাই এগুলোর ছবি তুলে ফেসবুকে পোস্ট করার জন্যই বেশি ডেকোরেশন ওয়ালা খাবার খোঁজে। আমার অবশ্য ডেকোরেশনের থেকে খাবার স্বাদই প্রধান আকর্ষণ থাকে। যে খাবারের স্বাদ বেশি থাকে সেই সব রেস্টুরেন্টে আমি বারবার খেতে যাই। অনেকেই আছে বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে খাবার টেস্ট করে। আমার কেন যেন নতুন খাবার খুব একটা খেতে ইচ্ছা করে না। যদি খারাপ হয়। এজন্য আমি আমার পছন্দের খাবার গুলোই রেস্টুরেন্টে গেলে সব সময় খাই।
ফুড ফটোগ্রাফি গুলো দেখলে লোভ লেগে যায়। আজকের ফটোগ্রাফি পোস্ট করার সময় খাবার গুলো দেখে আবারও খেতে ইচ্ছা করছিল। যাই হোক আশা করি ফটোগ্রাফিগুলো আপনাদের ভালো লাগবে।
উপরের খাবার আমরা শিলিগুড়িতে গিয়ে খেয়েছিলাম। যেহেতু চিকেন খেতে পারিনি সেজন্য আমরা ডিমের আইটেম নিয়েছিলাম। এখানে একটি থালিতে দুটি ডিম, পাপড়, আলু মটর সবজি ডাল, ভাত এবং রসগোল্লা ছিল। খাবারগুলো খুবই সুস্বাদু ছিল। কিন্তু খাবারের দাম তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি ছিলো। নিচের খাবারটি গ্যাংটক এ সকালের নাস্তার সঙ্গে নিয়েছিলাম। এরা ডিম ভাজার সঙ্গে আবার ফ্রেঞ্চ ফ্রাইও দিয়েছিল।
উপরের আর নিচের খাবারটি ছোলা ভাটুরে। এটা আমরা গ্যাংটক এ গিয়ে খেয়েছিলাম। এরা সকালের নাস্তা খুব একটা পরোটা খায় না। এরকম লুচি, ছোলা ভাটুরে, পুরি সকালের নাস্তায় খেয়ে থাকে। অন্যরকম নাস্তা খেতে বেশ ভালোই লেগেছিল।
উপরের খাবার টি পুরি এবং আলু মটরের সবজি। এই খাবারটি দার্জিলিং এ গিয়ে সকালের নাস্তায় খেয়েছিলাম। অসম্ভব মজাদার ছিল আলু মটরের সবজিটি। এত ভালো লেগেছিল যে আমরা দুইবার করে নিয়ে খেয়েছিলাম। আর নিচে দার্জিলিংয়ের চা। দার্জিলিং চায়ের তুলনা হয় না। সকালবেলায় এরকম এক কাপ চা হলে আর কিছুই লাগে না।
উপরের খাবারটি কাচ্চি বিরিয়ানি। এই খাবারটি আমরা যমুনা ফিউচার পার্কের ফ্রাইডে রেস্টুরেন্টে গিয়ে খেয়েছিলাম। এই রেস্টুরেন্টের খাবার গুলো সব সময় আমার খুব পছন্দ। হায়দ্রাবাদি কাচ্চি বিরিয়ানিটা অসম্ভব মজাদার ছিল। আর নিচের খাবারটি চিকেন বিরিয়ানি। এটিও আমরা যমুনা ফিউচার পার্কে একদিন শপিং করতে গিয়ে খেয়েছিলাম। রেস্টুরেন্টের নাম এখন মনে নেই।
এই ছিল আমার আজকের আয়োজন। কেমন লোভ লাগিয়ে দিলাম আপনাদের জানাবেন নিশ্চয়ই? আশা করি ভালোই লেগেছে ফটোগ্রাফিগুলো। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।
ধন্যবাদ
@tania
Photographer | @tania |
---|---|
Phone | i phone11 |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
---|
VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
আহা লোভনীয় 😋 পোস্ট।
এরকম খাবারের পোস্ট মাঝ রাতে দেখলে তো খিদের মাত্রা তুঙ্গে উঠে যায় 😄
তবে যাই বলুন ইন্ডিয়ান খাবারের আইটেম আর ছবিগুলো দারুন ছিল।
আর কাচ্চি বিরিয়ানির কথা কি বলবো 🤤
কই পাই এতো রাতে বলুন?
আপনাকে জরিমানা করা উচিত।
জরিমানা হিসেবে আমাকে একদিন কাচ্চি বিরিয়ানি খাওয়াতে পারেন ভাইয়া। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
প্রথম ছবিতে খাবার পরিবেশন দেখেই মনে মনে আইডিয়া করেছিলাম হয়তো এটা ইন্ডিয়া গিয়ে তুলেছিলেন। তবে যমুনাপার্ক থেকে তোলা কাচ্চি বিরিয়ানির ছবিটাও কিন্তু অনেক লোভণীয় ছিল।
আপনিও যমুনা পার্কে গিয়ে এইরকম কাচ্চি বিরিয়ানি খেয়ে আসতে পারেন। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে খুবই ভালো লাগলো। অনেক মজাদার খাবারের ফটোগ্রাফি করেছেন। আসলে এই লোভনীয় খাবারের ফটোগ্রাফি দেখে যেন খেতে ইচ্ছা করছিলো।
আমার খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম ভাইয়া। ধন্যবাদ আপনাকে।
মজার মজার খাবারের ফটোগ্রাফি শেয়ার করলেন আপু। আপনার খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ক্ষুধা পেয়ে গেলো। সুন্দর বর্ননায় ফুড ফটোগ্রাফি গুলো ভীষণ ভালো লাগলো।ধন্যবাদ আপু মজার মজার খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করার জন্য।
আমার খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আপনার ক্ষুধা পেয়ে গেলে কি আর করার। বাইরে গিয়েছে আসতে হবে। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
খাবারের ছবি দেখে লোভ হবে না তা কেমন করে হয়।আপু সব গুলো খাবারই বেশ লোভনীয়। আসলে খাবারের ডেকোরেশনই অর্ধেক লোভনীয়।ভালো লাগলো।ধন্যবাদ
আপনাদের কথা আর কি বলব। আমার নিজেই লোভ লেগে গিয়েছিল পোস্টটি করার সময়। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
বেশ চমৎকার সব খাবারে ফটোগ্রাফি নিয়ে আজকে আপনি আমাদের মাঝে দারুন একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন। তবে এই সমস্ত খাবার গুলো কিন্তু অতিসয় লোভনীয়। আর লোভনীয় খাবারের ফটোগুলো দেখে যেন লোভ সামলানো কঠিন হয়ে পড়ে। এটা দেখার পর মিক্সেপের দিকে তাকিয়ে দেখলাম লোভনীয় কিছু নাই।
এই ধরনের খাবারগুলো লোভনীয় জন্য এগুলোর ফটোগ্রাফি করেছি। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
এতগুলো খাবারের ফটোগ্রাফি দেখে জিভে জল এসে গেল। আপনি বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে গিয়ে এবং ইন্ডিয়াতে গিয়ে খাওয়ার সময় এই ফটোগ্রাফি গুলো করেছেন। তবে খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। এবং খাবারের ফটোগ্রাফির ডেকোরেশনও খুব চমৎকার। সবগুলো ফটোগ্রাফি অনেক সুন্দর করে বর্ণনা দিয়ে উপস্থাপনা করেছেন তাই ধন্যবাদ আপনাকে।
বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে গিয়ে এই খাবারগুলো খেয়েছি এবং সাথে ফটোগ্রাফিও করে রেখেছিলাম। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
আপনি বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে গিয়ে এই খাবারগুলোর ফটোগ্রাফি করেছেন এবং খাবারগুলো খেয়েছেন। এতগুলো খাবারের ফটোগ্রাফি দেখে সত্যি আমার জিভে জল এসে গেল। সবগুলো লোভনীয় খাবারের ফটোগ্রাফি। আপনি এমনিতে বেশ চমৎকার ফটোগ্রাফি করে থাকেন। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর করে খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করার জন্য।
খাবার গুলো দেখে জিভে জল আসার মতনই খাবার ছিল। ধন্যবাদ ভাইয়া মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
রেষ্টুরেন্ট এর ভেতরের সৌন্দর্য গ্রাহক আকর্ষিত করতে বেশ কার্যকরি। আমি রেস্টুরেন্ট ঘুরে ঘুরে ভিন্ন ভিন্ন খাবার পছন্দ করতে পছন্দ করি। সাধারণত একটা জায়গা আটকে থাকি না। বেশ চমৎকার ছিল আপনার করা খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো। আমাদের পাশের দেশ ভারতের খাবার গুলো বৈচিত্র্যময়।
আমার কেন যেনো বিভিন্ন জায়গার খাবার খেতে ভালো লাগে না। যাই হোক মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।