দার্জিলিং বাতাসিয়া লুপের সৌন্দর্য্য
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আজকে আপনাদের সঙ্গে সিকিম দার্জিলিং ট্যুরের নতুন একটি পর্ব শেয়ার করবো। গতদিন আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করেছিলাম দার্জিলিংয়ের চা বাগানের সৌন্দর্য। আজকে আপনাদের সঙ্গে বাতাসিয়া লুপের সৌন্দর্য শেয়ার করবো। দার্জিলিং চা বাগান থেকে আমরা সোজা চলে গিয়েছিলাম বাতাসিয়া লুপ। এর আগেও আমি দার্জিলিং এসেছিলাম। এই জায়গাটি সেই বার এত ভালো লেগেছিল যে বলে বোঝাতে পারবো না। সেবার সময় স্বল্পতার কারণে খুব একটা বেশি সময় এখানে কাটাতে পারিনি। এজন্য এবার আগে থেকেই ঠিক করে এসেছিলাম এই জায়গায় বেশ খানিকটা সময় কাটাব। তাই চা বাগান থেকে সোজা চলে গিয়েছিলাম এখানে।
এই জায়গায় বিভিন্ন সিনেমার শুটিংয়ে হয়। গতবার যখন আমরা এখানে এসেছিলাম তখন একটি তামিল সিনেমার শুটিং হচ্ছিলো। তামিল সিনেমার বিখ্যাত এক নায়কের সঙ্গে দেখা হয়েছিল। যদিও তার নাম এখন আমার মনে নেই। যাইহোক আশা করি আজকের এই বাতাসের লুপের সৌন্দর্য আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
বাতাসিয়া লুপ ঢোকার পর এখানে গাছ গাছালি দেখে মন জুড়িয়ে যাবে। এত সুন্দর করে সাজানো গোছানো দেখতে কার না ভালো লাগে। তাছাড়া বাতাসিয়া লুপের মাঝখানে একটি ওয়্যার মেমোরিয়াল দাঁড়িয়ে আছে। এই স্মৃতিসৌধিটির মূলত জেলা সৈনিকবোর্ড দার্জিলিং কর্তৃক সাহসী গোর্খা সৈনিকদের স্মরণে নির্মাণ করা হয়েছে। যারা স্বাধীনতার পর থেকে জাতির সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য জীবন উৎসর্গ করেছিল।
এই বাতাসিয়া লুপের এক প্রান্ত থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা পরিষ্কার দেখা যায়। বিশেষ করে রোদ উঠলে একদম চকচক করে কাঞ্চনজঙ্ঘা। তাছাড়া এখানে অনেকে বাইনোকুলার নিয়ে বসেছিলাম কাঞ্চনজঙ্ঘা সিকিম দেখানোর জন্য। যদিও আমরা সিকিম ঘুরে এসেছিলাম তাই আর নতুন করে দেখার কোন ইচ্ছা ছিল না।
আমরা বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করছিলাম ট্রয় ট্রেনের জন্য। কারণ কিছুক্ষণ পর পর এখানে ট্রয় ট্রেনগুলো আসে টুরিস্ট নিয়ে। দার্জিলিং এর বিখ্যাত ঘুম স্টেশন থেকে এখানে প্রায় এক কিলোমিটারের দূরত্ব। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পরেই দেখলাম যে ট্রেন এসে হাজির হলো। এখানে দাঁড়ানোর পর তারা ট্রেনের মধ্যে কয়লা দিচ্ছিলো এবং সবাই ট্রেনের সামনে দাঁড়িয়ে ফটোগ্রাফি করছিলো।
গতবার যখন এখানে এসেছিলাম তখন দাঁড়িয়ে থাকার পর বার বার মেঘ ঢেকে যাচ্ছিলো জায়গাটা। কিন্তু এবার বৃষ্টি ওয়েদারের কারণে এই সুন্দর মেঘ আর দেখতে পায়নি।
যাইহোক এই ছিল আমার আজকের আয়োজন। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।
ধন্যবাদ
@tania
Photographer | @tania |
---|---|
Phone | i phone11 |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
---|
VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
অসাধারণ মুহূর্ত উপভোগ করেছেন প্রত্যেকটা ফটোকপি দেখে যেন মুগ্ধ হয়ে গেলাম টয় ট্রেনের জন্য আপনারা অনেকক্ষণ অপেক্ষা করেছিলেন শেষমেষ আইটেম আসলো এবং ভ্রমণ করলেন সেই মুহূর্তগুলো অসাধারণ ছিল এত সৌন্দর্যময় এই ফটোগ্রাফি গুলো দেখে যেন ভ্রমন করতে ইচ্ছা করছে
এখানে এসে ট্রাই ট্রেন দেখার মজাই আলাদা। বেশ কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকে। দেখতেও ভালো লাগে। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
আসলে আপু এরকম সুন্দর পরিবেশে গেলে মন ভালো হয়ে যায় । অতীতের সকল দুঃখ কষ্ট ভুলে যাবার মত একটি জায়গা। দার্জিলিং বাতাসিয়া লুপের যে সৌন্দর্য দেখতে পেলাম আপনার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে সত্যি মুগ্ধ হয়েছি । এরকম পরিবেশ নিজ চোখে না দেখলে অপূর্ণ থেকে যায় । অনেক সুন্দর মুহূর্ত ছিল যেটা আমাদের সাথে শেয়ার করলে ভালো লাগলো।
এরকম পরিবেশে ঘন্টার পর ঘন্টা বসে সময় পার করা যায়। এত সুন্দর লাগে দেখতে। যাই হোক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
ওয়াও দার্জিলিং দেখছি ছবির মত সুন্দর। তবে সবচেয়ে বেশি আকর্ষণীয় লাগছে দার্জিলিং ট্রেনগুলো। কত সিনেমাতে দেখেছি আজকে আপনার পোস্টে এগুলো দেখতে পেলাম। আপনি খুব গুছিয়ে আমাদের মাঝে আপনার পোস্টটি উপস্থাপন করেছেন। শুভকামনা রইল আপনার জন্য
আসলেই ভাইয়া একেবারে ছবির মত সুন্দর। দেখতেও খুব ভালো লাগে। সময় সুযোগ হলে ঘুরে আসতে পারেন। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
মন জুড়িয়ে যাওয়ার মত সুন্দর স্থান আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। আর শুধু ফটোগ্রাফি নয় পাশাপাশি অনেক তথ্য বহন করেছেন আপনার এই পোষ্টের মধ্য দিয়ে যা আমার এতটা জানা ছিল না। বেশ ভালো লাগলো আপনার এই সুন্দর পোস্ট দেখে। খুবই খুশি হলাম অসাধারণ এই জায়গার সম্পর্কে ধারণা পেয়ে।
কিছুটা তথ্য শেয়ার করার চেষ্টা করেছি যা আমার জানা ছিল। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
ওয়াও দারুন ফটোগ্রাফি আপু ৷ কিছুদিন আগে বড় দাদার পোষ্টে সিকিম দার্জিলিং পোষ্ট গুলো পড়েছিলাম ৷ আবার আজকে আপনার পোষ্টে ৷ সত্যি ভারত নির্দশনীয় জায়গা গুলো সত্যি প্রানবন্তর ৷ সেই সাথে যদি বলি সিকিম দার্জিলিং কিন্তু কাঞ্চনজঙ্ঘা জন্যই বিখ্যাত ৷
যা হোক আপনার তোলা ফটোগ্রাফি গুলোতে দারুন কিছু ফটোগ্রাফি দেখতে পেলাম ৷ মন জুরিয়ে যাওয়া জায়গা ৷ ট্রেনে সৃতিসৌধ এবং ছোট গাছ গুলো দেখতে সত্যি অসাধারণ ছিল ৷অনেক ধন্যবাদ আপু এমন সুন্দর একটি ব্লগ উপস্থাপনা করার জন্য ৷
ঠিক বলেছেন ভাইয়া কিন্তু এই কাঞ্চনজঙ্ঘা সব সময় দেখা যায় না। ভাগ্যে থাকলে মাঝে মাঝে খুব সুন্দর দেখা যায়।
দার্জিলিং বাতাসিয়া লুপের অত্যন্ত সুন্দর সুন্দর দৃশ্যের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে গেছি। এত সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখার মাঝে এক অনাবিল আনন্দ নিহিত। এতো সুন্দর একটি স্থান ভ্রমণ করে এবং ভ্রমণ করা স্থানের সুন্দর সুন্দর দৃশ্য গুলো ফটোগ্রাফি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাইয়া আমার মনের গল্পটি পড়ার জন্য এবং সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আপু আপনি তো দেখছি দার্জিলিং বাতাসিয়া লুপের সৌন্দর্য আজকে অনেক সুন্দর করে সবার মাঝে তুলে ধরেছেন। এর আগের পোস্টটা আমার পড়া হয়েছিল যেটা বেশ ভালোই উপভোগ করেছিলাম। আর আজকে এই জায়গাটার সৌন্দর্য দেখে সত্যি অনেক বেশি মুগ্ধ হয়ে গেলাম। এর আগের বারে যখন এসেছিলেন, তখন এখানে তামিল মুভির শুটিং হয়েছিল দেখেছিলেন যেটা খুব ভালো লেগেছে। আমার কাছে আপনার সবগুলো ফটোগ্রাফি অনেক বেশি ভালো লেগেছে। আমার তো একেবারে চোখ জুড়িয়ে গেল বাতাসিয়া লুপের এত সুন্দর সৌন্দর্য দেখে।
জ্বী আপু আগেরবার গিয়ে তামিল মুভির শুটিং দেখেছিলাম ভালোই লেগেছিল দেখতে। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
বুঝতেই পারতেছি আপু, দার্জিলিং এ গিয়ে আপনি অনেক ভালো সময় কাটিয়েছিলেন। চা বাগানের সৌন্দর্যটা যখন দেখেছিলাম, তখন সেটা ভালোই উপভোগ করেছিলাম। আর সেই পোস্ট আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছিল। আর আজকে আপনি দার্জিলিং বাতাসিয়া লুপের সৌন্দর্যও সবার মাঝে তুলে ধরেছেন, এটার সৌন্দর্যাও কিন্তু একেবারে এক কথায় অসাধারণ ছিল। এরকম জায়গা গুলোতে গেলে ভালো সময় কাটানো সম্ভব। মন এবং মাইন্ড দুটোই খুব ভালো থাকে। আপনি এই জায়গাটার সৌন্দর্যকে ক্যামেরা বন্দি করার চেষ্টা করেছেন দেখে ভালো লাগলো।
জি ভাইয়া এবারের ট্যুরটা আসলেই বেশ ভালো ছিল। লম্বা ট্যুর ছিলো জন্য আরো ভালো লেগেছিল। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
দার্জিলিং এর বাতাসিয়া লুপের কথা অনেক শুনেছি আপু এবং এখানে যে তামিল সিনেমার শুটিং হয় সেটাও জানি। তাছাড়া এখানে কিন্তু বাংলা সিনেমারও শুটিং হয় আপু মাঝেমধ্যে। আর আপনি একজন তামিল নায়কের সাথে দেখাও করেছেন, এটা তো বেশ ভালো কথা। কারণ আমরা তো সামনাসামনি কখনো এভাবে দেখতে পারি না। আর বাতাসিয়া লুপের ওখান থেকে যে কাঞ্চনজঙ্ঘাটা অনেক সুন্দর দেখা যায়, এটা আমিও শুনেছি। আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলো বেশ ভালো লাগলো। মোটামুটি দার্জিলিং এর একটা অংশের সৌন্দর্য আপনি বেশ সুন্দর করে ফুটিয়ে তুলেছেন এখানে।
জি ভাইয়া এখানে সব দেশের সিনেমার শুটিং হয়। এত সুন্দর জায়গা শুটিংয়ের জন্য খুব ভালো। এজন্যই তো সব সময় শুটিং লেগেই থাকে। যাই হোক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
এই বিষয়টা আমি ইউটিউবেও অনেক ভিডিওতে দেখেছি আপু।