ফ্রাই ডে রেস্টুরেন্টে একদিন

in আমার বাংলা ব্লগlast year

আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।



আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আলহামদুলিল্লাহ।


আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। বেশ কিছুদিন আগে বাচ্চাদের কিছু কেনাকাটা করার জন্য যমুনা ফিউচার পার্কে গিয়েছিলাম। আসলে বাচ্চাদের জিনিসপত্র কিনে শেষ করা যায় না। একদিক দিয়ে কিনতে শুরু করলে আরেকদিক দিয়ে প্রয়োজন তৈরি হয়। আর শপিংমলে গেলে যে আমার বাচ্চাদের ক্ষুধা পায় সে কথা আপনাদের আগেই বলেছি। যদিও ছোট বাচ্চাকে বাসা থেকে বলে নিয়ে গেলে আর বিরক্ত করে না।কিন্তু বড় জনের শপিং মলে যাওয়ার পর থেকে শুরু হয় রেস্টুরেন্টে যাওয়ার জন্য বায়না। যতক্ষণ না রেস্টুরেন্টে খাওয়া-দাওয়া করবে ততক্ষণ চুপ হবে না। ঠিক মত কেনাকাটাও করতে দেয় না। যাইহোক কেনাকাটা শেষ করে যখন চলে আসব তখন খুবই মন খারাপ। তারপর কি আর করার বাচ্চাদের মন খারাপ নিয়েতো আর বাসায় আসা যায় না। সেজন্যই রেস্টুরেন্টে গিয়েছিলাম। যমুনা ফিউচার পার্কের ফ্রাইডে রেস্টুরেন্টটিতে এর আগেও বেশ কয়েকবার গিয়েছিলাম। এই রেস্টুরেন্টে বাচ্চাদের ছোট্ট একটি খেলার জায়গা আছে। সেজন্য ওরা ওখানে যাওয়ার জন্য বেশি বায়না করে। কারণ খাবার অর্ডার দেয়ার পর বেশ কিছুক্ষণ বসে থাকতে হয়। এই ফাঁকে ওরা খেলতে পারে ওখানে।


IMG_3456.jpeg


এই রেস্টুরেন্টটি বেশ বড় এবং খুব সুন্দর সাজানো গোছানো। এই সেই ছোট্ট খেলার জায়গাটি। বেশ কয়েকটি ছোট ছোট রাইড রয়েছে। যদিও বেশিরভাগ রাইডগুলোই নষ্ট। একটি চালু ছিল। তাই বাচ্চাদেরকে বসিয়ে দিলাম। এমনিতে রাইডগুলোতে উঠে বসে থাকতে পারবে। কিন্তু রাইডগুলো ঘোরার জন্য আবার কয়েন লাগে। সেই কয়েন আবার কিনতে হয়। ছোট বাচ্চার জন্য দুটি কয়েন কিনে ওকে একটিতে বসিয়ে দিয়েছিলাম। বেশ মজা পেয়েছিল।


IMG_3449.jpeg


IMG_3448.jpeg


দূরে যে ছোট ছোট গাড়ির মতো দেখা যাচ্ছে ওগুলো কয়েন দিলে ঘুরে। প্রথমে একটিতে কয়েন দিয়েছিলাম। সেটিতে বেশ কিছুক্ষণ বসে ছিল। তারপর ভাবলাম যে অন্য আরেকটিতে বসিয়ে দেই। অন্য আরেকটিতে কয়েন দেওয়ার পর আর সেটি চলছিল না। পরে জানতে পারলাম ওই টা নষ্ট। তারপর ওখানকার বয় এসে নতুন একটি কয়েন দিয়ে আগেরটি চালিয়ে দিল। খাবার না আসা পর্যন্ত বাচ্চারা এখানে বেশ মজা করেছে।


IMG_3444.jpeg


IMG_3446.jpeg


হাজব্যান্ড খাবে না জন্য আমি আমার জন্য একটি সেট মেন্যু অর্ডার দিয়েছিলাম। এতে ফ্রাইড রাইস, চিকেন তন্দুরি, ভেজিটেবল ছিল। আর বাচ্চাদের জন্য চিকেন, বান, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই এর একটি সেট মেন্যু অর্ডার দিলাম। সাথে কোল্ড ড্রিংকস ছিল।


IMG_3452.jpeg


IMG_3453.jpeg


IMG_3454.jpeg


এই রেস্টুরেন্ট এর খাবার গুলো খুবই মজাদার। এজন্যই তো বাচ্চারা বায়না করার সাথে সাথে ওখানেই যাই। আমি আর বাচ্চারা মিলে এত খাবার খেয়ে শেষ করতে পারিনি। পরে হাজব্যান্ড ও আমাদের সাথে খেয়েছে। রাতের খাওয়া দাওয়া করে এসে ভালো হয়েছে। বাসায় গিয়ে ঝামেলা করতে হয়নি।

এই ছিল আমার আজকের আয়োজন। আশা করি আপনাদের ভলো লেগেছে। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।


ধন্যবাদ

@tania

Photographer@tania
Phonei phone11
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি।

animasi-bergerak-terima-kasih-0078.gif

IMG_20220106_113311.png

7258xSVeJbKkzXhyseBP4PYz11eBDT8sW2oR1a4vfVFS6JTrGU8e1FPUaNdHG5vjXyg2xthV78bDEmEVvKCQpyzX1kq8gAVzGsPp9GqJVRWxb6T9y35PZmQehnLjELdKKmnhdxQjDuny4.png


VOTE @bangla.witness as witness witness_proxy_vote.png OR SET @rme as your proxy

witness_vote.png

Posted using SteemPro Mobile

Sort:  
 last year 

আসলে বাচ্চারা বাহিরে গেলে রেস্টুরেন্টে গিয়ে এভাবে খাওয়া-দাওয়া করতে অনেকে পছন্দ করে। রেস্টুরেন্টে যদি এরকম খেলা খেলা করার জায়গা থাকে তাহলে তো বাচ্চারা যাওয়ার জন্য আরও বেশি আগ্রহী হবে। খাবার না আসা পর্যন্ত তাহলে আপনার বাচ্চারা অনেক খেলাধুলা করেছিল। তাদের খাওয়া দাওয়া তাহলে বেশ ভালোই হয়েছিল। খাওয়া দাওয়া করার মুহূর্তটা এত সুন্দর ভাবে ভাগ করে নিলেন দেখে ভালো লাগলো।

 last year 

রেস্টুরেন্টে খাওয়া-দাওয়ার থেকে খেলতে বেশি পছন্দ করে। এজন্যই তো খুঁজে খুঁজে খেলার রেস্টুরেন্টগুলোতেই যায়। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

 last year 

ছোট বাচ্চারা বাইরে ঘুরতে গেলে বা কেনাকাটা করতে গেলে তারা অনেক খুশি হয়। আপনার বাচ্চাগুলো বাহিরে ঘুরতে বা কেনাকাটা করতে অনেক পছন্দ করে মনে হয়। যাইহোক সবাই মিলে যমুনা ফিউচার পার্কের রেস্টুরেন্টে খাওয়া খেলেন। আপনার বড় ছেলে এবার নিশ্চয়ই খুশি হয়েছেন তার বায়না টি ও পূরণ করেছেন। তবে এরকম রেস্টুরেন্ট গুলোতে ছোট বাচ্চাদের খেলাধুলার জায়গা থাকলে ভালো হয়। বিশেষ করে খাওয়া দাওয়ার পাশে বিনোদন থাকলে তাদের খুশি আরো বেড়ে যায়। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর করে পোস্টটি আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করার জন্য।

 last year 

যমুনা ফিউচার পার্কে গেলে খাওয়া দাওয়া না করে বাসায় আসা যায় না। বাচ্চারা তাদের পছন্দের রেস্টুরেন্টে নিয়ে যাবে। যাই হোক ধন্যবাদ ভাইয়া মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।

 last year 

বাচ্চারা এমনই হয়। আমিও ছোটবেলায় বাজারে গিয়ে কিছু কিনে না দিলে মাটিতে গড়াগড়ি দিতাম। এর জন্য কত যে বকা খেয়েছি,সেই তুলনায় ভাগিনারা অনেক ভাল আছে। রেস্টুরেন্টটি ভালই,সেই সাথে বাচ্চাদের খেলার ব্যবস্থা রেখে ভাল করেছে।বাচ্চাদের খেলতে দিয়ে বাবা মা একটু শান্তিতে বসতে পারবে৷ ধন্যবাদ আপু সুন্দর মুহুর্ত গুলো শেয়ার করার জন্য।

 last year 

অনেকেই দেখতাম বাজারের মধ্যে এরকম গড়াগড়ি খেতে। আপনিও তার মধ্যে একজন ছিলেন জেনে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ ভাইয়া মন্তব্যের জন্য।

 last year 

আসলে শুধু বাচ্চারা কেন আমার তো নিজেরই বাহিরে কোথাও গেলে রেস্টুরেন্ট থেকে খেতে ইচ্ছে করে। আর রেস্টুরেন্টে মজার মজার খাবার খেতে আমার নিজের কাছেই খুব ভালো লাগে। আর বাচ্চারা তো আরো বেশি আগ্রহী। খেলার জায়গাটিতে তারা অনেক মজা করে খেলেছিল তাহলে। আর খাওয়া-দাওয়া ও অনেক মজা করে খাওয়া হয়েছিল। পুরোটা বেশ ভালোই উপভোগ করেছি।

 last year 

ঠিক বলেছেন ভাইয়া বাচ্চাদের উসিলায় আমারও খাওয়া হয়ে যায়। বাইরে খেতে আমার কাছেও খুবই ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

 last year 

আসলে ছোট বাচ্চারা যখন বাইরে যায় তারা অনেক বায়না ধরে যতক্ষণ পর্যন্ত তাদের পছন্দ জিনিসগুলো কেনাকাটা বা খাওয়া দাওয়া না করায় ততক্ষণ পর্যন্ত তারা বাই না করে থাকে। যাইহোক বাচ্চাদের নিয়ে কেনাকাটা করতে গিয়ে যমুনা ফিউচার পার্কে রেস্টুরেন্ট খাওয়া খেলেন। তবে ঠিক বলেছেন আপু এই ধরনের স্টুডেন্ট গুলোর মধ্যে পাশে ছোট বাচ্চাদের খেলাধুলার জায়গা থাকে। এবং এই জায়গাগুলোতে গেলে বাচ্চারা অনেক খুশি হয়। যাইহোক সবাই মিলে খুব মজা করে রেস্টুরেন্টে খানা খেলেন। ধন্যবাদ আপনাকে খুব সুন্দর করে পোস্টে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 last year 

এখানে খেলার জায়গা আছে জন্যই বাচ্চারা এই রেস্টুরেন্টটিতে যেতে বেশি পছন্দ করে। খাবার আসতে আসতে ওরা আরাম করে খেলতে পারে। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

 last year 

এখন প্রতিটি বাচ্চা জাঙ্ক ফুডে আসক্তি হয়ে যাচ্ছে। বাহিরের খাবার না খেলে তারা যেনো থাকতেই পারে না। যত মজা করে বাসায় বানিয়ে দেননা কেনো। শপিং এ গিয়ে রাইডে চড়ে ও খাবার খেয়ে বেশ আনন্দ করেছে বাচ্চাগুলো। মাঝে মাঝে এভাবে বেরিয়ে পরলে বাচ্চারা বেশ খুশি হয় । শপিং করার মুহুর্তগুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

 last year 

বাচ্চাদের দোষ দিয়ে লাভ কি আপু। আমাদের খেতেওতো ভালো লাগে। খাবারগুলোই এত মজাদার হয়। কিছু করার নেই। ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।

 last year 

রেস্টুরেন্টে এমন প্লে জোনের ব্যবস্থা থাকলে যাদের সাথে ছোট বাচ্চা থাকে, তাদের জন্য ভালোই হয়। বাচ্চারাও কিছুক্ষণ খেলাধুলা করতে পারে। আর এটা কিন্তু রেস্টুরেন্ট মালিকপক্ষেরও একটি প্লাস পয়েন্ট। ওখানে রাইড চড়তে দিতে তার জন্যও আলাদা করে আবার কয়েন কিনতে হবে গার্জিয়ানদের। মানে ডাবল ইনকাম।

Posted using SteemPro Mobile

 last year 

রেস্টুরেন্টে এরকম প্লে জনের ব্যবস্থা করে মানে কাস্টমারকে আকৃষ্ট করার জন্য। জানে যে বাচ্চারা এখানে আসতে বেশি পছন্দ করে। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.16
JST 0.030
BTC 68298.11
ETH 2705.95
USDT 1.00
SBD 2.70