ভিন্ন স্বাদে মুরগির মাংস
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আপনাদের সঙ্গে মুরগির মাংসের একটি রেসিপি শেয়ার করবো। যে বাসায় বাচ্চা আছে সেই বাসায় মনে হয় প্রায় প্রতিদিনই মুরগির মাংস রান্না করতে হয়। বাচ্চারা তো মুরগির মাংস ছাড়া খেতেই চায় না। মাছ দেখলেই তাদের খুব রাগ হয়। তারপরও আমি মাঝেমধ্যে মাছ খাওয়ানোর চেষ্টা করি। ছোটবেলা থেকে মাছ খাওয়ানোর অভ্যাস না করলে বড় হয়ে আর খেতে চাইবে না। তাছাড়া প্রতিদিন মুরগির মাংস রান্না করতে করতে আমার কাছে আর খেতে একদমই ভালো লাগে না। এজন্য মাঝে মাঝে একটু ভিন্ন রকম ভাবে রান্নার চেষ্টা করি। আজকে যেভাবে মুরগির মাংস রান্না করেছি এই প্রথম এভাবে রান্না করলাম। ভয়ে ভয়ে রান্না করেছিলাম যে খেতে কেমন জানি হয়। কিন্তু রান্নার পরে দেখলাম যে একেবারে অন্যরকম স্বাদ হয়েছে। খেতে খুবই মজা লেগেছে। বাচ্চাটা খুবই পছন্দ করে খেয়েছে। আশা করি আপনাদের কাছেও ভালো লাগবে।
পিঁয়াজ
কাঁচামরিচ
টক দই
ধনিয়া পাতা
পুদিনা পাতা
আদা বাটা
রসুন বাটা
হলুদের গুঁড়া
মরিচের গুঁড়া
ধনিয়া গুড়া
গরম মসলার গুঁড়া
এলাচ
তেজপাতা
লবণ
সরিষার তেল
প্রথমে টক দই, পুদিনা পাতা, ধনিয়া পাতা এবং কাঁচামরিচ ভালোমতো ব্লেন্ড করে নিয়েছি।
মাংসগুলো ভালোমতো ধুয়ে একটি পাত্রে নিয়েছি। তারপর আদা বাটা, রসুন বাটা এবং গুঁড়া মসলা সব দিয়ে দিয়েছি।
সবকিছু ভালোমতো মাখিয়ে নিয়েছি। তারপর ব্লেন্ড করে রাখা টক দই দিয়ে আবারো ভালোমতো মাখিয়ে এক ঘন্টার জন্য রেখে দিব।
এক ঘন্টা পর চুলায় একটি ফ্রাইপ্যান বসিয়ে তার মধ্যে পরিমাণ মতো তেল দিয়েছি। তেল গরম হলে এলাচ এবং তেজপাতা দিয়ে একটু নেড়েচেড়ে নিয়ে পিঁয়াজ কুচি দিয়ে দিয়েছি।
পিঁয়াজ কুচি গুলো ব্রাউন করে ভেঁজে নিয়ে মেরিনেট করে রাখা মাংসগুলো দিয়ে দিয়েছি।মাংসগুলো ভালোমতো মাখিয়ে নিয়ে গরম মসলা দিয়ে দিয়েছি। তারপর সবকিছু মিশিয়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিয়েছি।
ঢাকনা দিয়ে ঢেকে বেশ কিছুক্ষণ কষিয়ে নিয়ে পরিমান মত পানি দিয়ে দিয়েছি পুরোপুরি রান্না হওয়ার জন্য।
রান্না হয়ে ঝোল শুকিয়ে আসলে চুলা বন্ধ করে দিয়েছি।
এখন একটি বাটিতে পরিবেশনের জন্য উঠিয়ে নিয়েছি। আশা করি আমার আজকের রেসিপিটি আপনাদের ভালো লেগেছে। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।
ধন্যবাদ
@tania
Photographer | @tania |
---|---|
Phone | oppo reno5 |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
---|
VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
আপু সত্যি কথাই বলেছেন, আমার ও নানা ভাবে প্রতিনিয়ত মুরগি রান্না করতেই হয়।তবে মাছ ও খাওয়ানোর চেষ্টা করে যাই।আপনার ভিন্ন ধরনের মুরগি রান্নাটি ভীষণ ভালো লেগেছে আপু।খেতে দারুন মজার হয়েছে দেখেই বুঝতে পারছি।ধন্যবাদ মজার এই মুরগি রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
আমিও একদিন গ্যাপ রেখে মুরগির মাংস রান্না করি। মাছ খাওয়ানোর চেষ্টা করি। সবসময় মুরগির মাংস রান্না করলে মাছ আরো খেতে চাইবে না। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
আপনার ভিন্ন স্বাদের মুরগির মাংসের রেসিপি দেখে খুবই ভালো লাগলো। ভিন্ন স্বাদের খাবার খেতে কার না ভালো লাগে। আপনি রেসিপির উপকরণ এবং ধাপ গুলো দারুণ ভাবে শেয়ার করেছেন। আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া ভিন্ন স্বাদের খাবার খেতে আমাদের সকলেরই ভালো লাগে। এ জন্যই মাঝে মাঝে রান্না করি। ধন্যবাদ আপনাকে।
খুবই মজাদার মুরগির মাংস রেসিপি শেয়ার করলেন। এই রেসিপির পরিবেশন দেখেই বোঝা যাচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছিল। রেসিপিটি ধাপে ধাপে শেয়ার দেখে আমিও এই রেসিপিটি তৈরি করা শিখে নিলাম।
অন্যভাবে রান্না করার জন্য মাংস খেতে আসলেই অনেক মজাদার হয়েছিল। আপনিও বাসায় রান্না করে খেয়ে দেখতে পারেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
এটা কিন্তু সত্য কথা, বাচ্চারা মুরগির মাংস ছাড়া খেতেই চায় না। তবে আমার মেয়েটা মুরগির মাংসের পাশাপাশি মাছ খেতে অনেক বেশি পছন্দ করে। আর তার জন্য প্রতিদিন মাছ অবশ্যই থাকতে হবে। আর যেকোনো রেসিপি প্রতিদিন খেতে একেবারেই ভালো লাগেনা, তবে ভিন্নভাবে রান্না করলে খেতে খুব ভালো লাগে। আপনি ভিন্নভাবে রান্না করেছিলেন দেখে, আপনার বাচ্চারা আরো বেশি পছন্দ করেছিল এটা জেনে ভালো লাগলো।
বাচ্চারা মাছ খেতে পছন্দ করলে খুব ভালো লাগে। আপনার মেয়ে মাছ খায় জেনে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
মাছ দেখলে আমারই মাঝে মাঝে রাগ হয়ে যায় আর বাচ্চাদের কথা কী বলব হা হা। আপনার আজকের মুরগির মাংসের রেসিপি টা বেশ দারুণ তৈরি করেছেন আপু। মুরগির মাংসের পিস গুলো অনেক বড় ছিল। একপর্যায়ে দেখে রোস্ট মনে হচ্ছিল। বেশ চমৎকার ছিল রেসিপি টা। এবং অনেক সুন্দর উপস্থাপন ও পরিবেশন করেছেন। ধন্যবাদ আমাদের সঙ্গে রেসিপি টা শেয়ার করে নেওয়ার জন্য আপু।।
আপনিও দেখছি আমার বড় ছেলের মত। মাছ রান্না দেখলে তার মেজাজ খারাপ হয়ে যায়। শুধু সবজি অথবা ভর্তা দিয়ে ভাত খাবে তবুও মাছ খেতে চায় না। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
ভিন্ন স্বাদের মুরগির মাংসের রেসিপি দেখে লোভ সামলাতে পারছি না কোন রকম ভাবে, তাও আবার দুপুরবেলায় দেখলাম। বাচ্চারা মুরগির মাংস খুবই পছন্দ করে। আর মুরগির মাংস ছাড়া ভাত খেতে চায় না। তাই তাদের জন্য সব সময় মুরগির মাংস রান্না করা লাগে। আর যদি মাঝে মাঝে ভিন্ন রকম ভাবে রান্না করা হয়, তখন নিজের কাছেও খেতে ভালো লাগে। রেসিপি টা ভিন্নভাবে তৈরি করার কারণে আপনার কাছেও খুব ভালো লেগেছিল। আর আমার তো ইচ্ছে করছে এখনই এক টুকরো নিয়ে খেয়ে ফেলতে।
ভাইয়া যেহেতু লোভ সামলাতে পারছিলেন না তাহলে আপনিও বাসায় এভাবে রান্না করে খেয়ে দেখতে পারেন। আসলেই ভালো হয়েছিল রেসিপিটা। ধন্যবাদ আপনাকে।
মুরগির মাংস অনেকবার খেয়েছি আপু কিন্তু টক দই দিয়ে রান্না করে খাইনি। আপনার রেসিপি তৈরি করার ধরন দেখে মনে হচ্ছে রেসিপিটি সত্যিই ভিন্ন ধরনের স্বাদ দিয়েছে। এবার মুরগির মাংস রান্না করলে অবশ্যই এভাবে রান্না করার চেষ্টা করব আপু। ধন্যবাদ এরকম একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
টক দই দিয়ে মুরগির মাংস রান্না করলে ঝোল গাঢ় হয়। খেতে খুবই মজাদার হয়। একদিন রান্না করে খেয়ে দেখবেন । ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি ঠিক বলেছেন বাচ্চারা মুরগির মাংস ছাড়া কিছুই খেতে চায় না। আপনার রেসিপি দেখে লোভ লেগে গেল। সত্যি একই ভাবে রান্না করতে করতে ভালো লাগে না।আপনার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। প্রতিটি ধাপ অনেক সুন্দর করে দেখিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুস্বাদু একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
একভাবে খেতে ভালো লাগে না জন্য একটু ভিন্ন ভাবে রান্নার চেষ্টা করি। ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।
সত্যি আপু ছোটবেলা থেকে মাছ খাওয়ার অভ্যাস না হলে বাচ্চারা বড় হওয়ার পর আর মাছ খেতে চায় না। মুরগির মাংস বাচ্চাদের অনেক পছন্দের। টক দই, ধনিয়া পাতা এবং পুদিনা পাতা দিয়ে মুরগির মাংসের রান্নার ভিন্নতা আনার চেষ্টা করেছেন দেখে ভালো লাগলো। আপনার রেসিপি দারুণ হয়েছে আপু। দারুন একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
আপু ছোটবেলা থেকে মাছ খাওয়ানোর অভ্যাস করেছিলাম। বড় হয়ে খাওয়া বাদ দিয়ে দিয়েছে। যাই হোক রেসিপিটা আসলেই মজাদার হয়েছিল। ধন্যবাদ আপনাকে।