ছেলেকে নিয়ে দাঁতের ডাক্তারের কাছে
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। দাঁতের ডাক্তারের চেম্বার আমার নিত্যদিনের সঙ্গী হয়ে গিয়েছে। কখনো আমার জন্য আবার কখনো ছেলের জন্য যেতেই হচ্ছে। এতদিন তো আমার জন্য গিয়েছিলাম। সেদিন বড় ছেলের জন্য যেতে হয়েছে। ছেলের এখন দাঁত পড়ার সময় হয়েছে। যখনই দাঁত নড়ে তখনই ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে হয়। বাসায় আমি যেমন ভয় পাই আমার ছেলেও আরো ভয় পায়। তাই আর সাহস করে বাসায় উঠানো হয় না। ডাক্তারের চেম্বারে গেলেই তো ১০০০ টাকা ভিজিট দিতে হয়। কাজ বড় কিংবা ছোট যাই হোক। আমিও সেদিন মজা করে বলছিলাম যে তাহলে ওর ৩২ টা দাঁত তুলতে ৩২ হাজার টাকা খরচ হবে। প্রথম দাঁত ডাক্তারের চেম্বারে গিয়ে ফেলা হয়েছে । দ্বিতীয় দাঁত যখন নড়লো তখন আমি বাবার বাসায় গিয়েছিলাম। আমার বোন বলল যে আমি সুতা দিয়ে ফেলে দেই। ছেলেও ডাক্তারের কাছে যাওয়ার থেকে খালামণির কাছেই দাঁত উঠাতে রাজি হয়ে গেল। যখনই সুতা দিয়ে টান দিয়েছে তখনই ব্যথা পেয়েছে। তাই আর দাঁত তুলতে দিবে না। পরে শেষে ডাক্তারের কাছে গিয়ে সেই দাঁত ফেলা হয়েছে। তাও কয়েক মাস আগে। এখন আবার নতুন করে দুটি দাঁত নড়েছে। বাসায় দাঁত ফেলবে না। ডাক্তারের কাছে গিয়ে ফেলবে। আর দাঁত ফেললে আইসক্রিম খেতে বলবে সেজন্য আরো যাবে ডাক্তারের কাছে।
ডাক্তারের কাছে গিয়ে প্রথমে ভয়ে মুখ খুলছিল না। পরে অনেক বোঝানোর পর একটা দাঁত তুলেছে। যদিও ডাক্তার হালকা স্প্রে করে নিয়েছিল যাতে ব্যথা টের না পায়। কিন্তু সে খুবই ব্যথা পেয়েছে জন্য দ্বিতীয় দ্বিতীয় দাঁত আর তুলতে দিতে চাচ্ছিল না। সবাই মিলে জোর করে ধরেও পারছিলাম না। পরে বাইরে নিয়ে এসে অনেকক্ষণ বোঝালাম কিছুতেই রাজি হচ্ছিল না। যখন বললাম যে দাঁত না উঠালে মোবাইল টিভি সব বন্ধ তখন রাজি হয়েছে। তারপরেও ভিতরে যেয়ে আবারো সেই একই অবস্থা। মুখ বন্ধ করে বসে আছে। ডাক্তার আমাদের পরিচিত ছিল। এজন্য আমাদেরকে বলল যে ভাবি আপনারা বাইরে গিয়ে বসুন আমি দেখছি। পরে আমরা বাইরে আসার পর উনি অনেক বুঝিয়ে সুুঝিয়ে দ্বিতীয় দাঁতটি তুলতে পেরেছে। দাঁত তোলার পর অনেক কান্নাকাটি করেছে।
বাইরে বসে বসে কি আর করব ডাক্তারের চেম্বার এর কিছু ছবি তুললাম। খুব সুন্দর করে চেম্বারটি সাজানো গোছানো এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন। বোঝাই যায় না যে এটা চেম্বার।
যেহেতু দুটি দাঁতই তোলা হয়েছে এখন তো তার বায়না শেষ নেই। দোকানে গিয়ে বেশ কিছু জিনিসপত্র কিনে তারপরে বাসায় এসেছে। ভালো যে দুটি দাঁতই উঠাতে পেরেছি। তা না হলে আবার আরেক দিন যেতে হতো।
যাইহোক এই ছিল আমার আজকের আয়োজন। আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।
ধন্যবাদ
@tania
Photographer | @tania |
---|---|
Phone | oppo reno5 |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
---|
VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
আপনার সন্তানের ৩২ টা দাঁত ফেলতে ৩২ হাজার টাকা লাগবে । তার সাথেও যাতায়াত খরচ সন্তানের বায়না সবমিলিয়ে প্রায় ৫০ হাজার টাকার মত খরচ হবে। আজকালকার ডাক্তারদের ভিজিট অনেক বেশি। সাধারণ লোকেদের ধরাছোঁয়ার বাইরে। আর দেখছি তো, আপনাদের এই ডাক্তারটি একেবারে আপনাদের ফ্যামিলি ডাক্তার হয়ে গেছে।
শুধু ডাক্তারের ফ্রি হিসাব করেছি বাকি বিষয় তো মাথায় ছিল না আপনি মনে করে দেয়ার জন্য ধন্যবাদ। যাইহোক দেখা যায় কি হয়। পরবর্তীতে বাসায় চেষ্টা করে দেখতে হবে। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
কদিন আগে আপনার দাতের জন্য কয়েকবার করে গিয়েছেন, এখন আবার ছেলের দাতের জন্য যেতে হচ্ছে তাও ভাল দাত তোলার জন্য ব্যথার জন্য নয়। আমরা অবশ্য ছোটবেলায় দাত সুতা দিয়েই তুলতে দেখেছি। এখনকার বাচ্চারা পাশাপাশি বাবা মা এইসব ব্যাপারে খুব সেনসিটিভ তাই ডাক্তারের শরণাপন্ন হয়। আপনাদের ৩২ হাজার টাকা না লাগুক এই আশা করছি। ধন্যবাদ আপু।
ছোটবেলায় আমরাও সুতা দিয়ে ফেলেছি। কিন্তু এই কাজটা আমি করতে খুবই ভয় পাই, আর ছেলেও দেবে বলে মনে হয় না । যাই হোক ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
একটা দাঁত যেহেতু তার খালামণি ফেলে দিয়েছে তাহলে ৩১ হাজার টাকা লাগবে হাহা।এই দাঁত ফেলা ব্যপারটা আসলেই কষ্টের।আমারও অনেক ঝামেলা করে তারপর ফেলে দিত পরিবারের লোকেরা।আইস্ক্রিম খেতে বলবে এজন্য ডাক্তারের কাছে বেশি যাওয়ার ইচ্ছা তাহলে।কদিন আগে আপনার জন্য যেতে হতো এখন আবার ছেলের। দাঁতের ডাক্তার দেখানো আমার মনে হয় সব থেকে পেরার কাজ।ধন্যবাদ আপু সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
না আপু খালামণি ফেলতে পারেনি। পরে শেষে গিয়ে ডাক্তারের কাছে নিতেই হয়েছে। যাই হোক আপু ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
দাঁতের যন্ত্রণা যে কত কঠিন সেটা আমি জানি এক সময় এই খারাপ সময়টা পার করেছি।।
ডাক্তারের কাছ দিয়ে এবং ডাক্তার দেখানোর বিষয়টি আমাদের সাথে আলোচনা করেছেন খুবই ভালো লাগলো।।
বর্তমানে ডাক্তাররা কসাই এর চেয়েও নিকৃষ্ট একটু কোনো রকম ট্রিটমেন্ট দেবে, গালের মধ্যে একটু দাঁতে পানি মারবে একটু মেডিসিন দিয়ে বলবে বিল হয়েছে এক হাজার টাকা। দাম দর করার কোন সুযোগ নেই যা চাবে সেটাই।।
দাঁতের ডাক্তারের কাজ খুবই এক্সপেন্সিভ। কেন যে এত এক্সপেনসিভ বুঝিনা। আমাদের তো আর কিছু করার নেই বিপদে পড়লে তো যেতেই হয়। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
দিলেন তো আমাকে পুরনো অভিজ্ঞতা মনে করিয়ে, বাচ্চাদের বেলায় সেকি যে অবস্থার সৃষ্টি হতো চেম্বারে তা একদম বলা বাহুল্য। একবার এক বাচ্চা রোগী আমার হাতে এমন ভাবে কামড়ে দিয়েছিল যে, অনেকটাই বিরক্তিকর অবস্থায় পড়ে গিয়েছিলাম। তবে মজার ব্যাপার হচ্ছে, বাচ্চারা ব্যাথার থেকে ভয়টা বেশি পায়, এজন্যই এমন করে। এখন স্থায়ী দাঁত ওঠার সময়, বাচ্চা যেন জিহ্বা দিয়ে ওখানে ঠেলাঠেলি না করে, সেটা খেয়াল রাখবেন।
আমি এই পোস্ট করার সময় ভাবছিলাম যে ভাইয়া নিশ্চয়ই ইমোশনাল হয়ে যাবে এই পোস্টটা দেখে। মনে হয় না জিহ্বা দিয়ে কোন রকম নাড়াচাড়া করবে। কারণ নাড়াচাড়া করলে তো দাঁত নাড়াতেই পারতো। যাই হোক ভাইয়া ধন্যবাদ মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
এক দাঁতে এক হাজার ৩২ দাঁতে ৩২ হাজার । আপু আপনি দাতঁ ফেলানো শিখে ফেলেন। তাহলে টাকা গুলো বেচেঁ যাবে। আর দোকানে গিয়েও আইসক্রিমের বায়না ধরবে না,হা হা হা। যায়হোক আপনার লেখা গুলো পড়ে অনেক মজা পেলাম। ধন্যবাদ আপু।
আমি দাঁত ফেলতে পারলে তো কাজই হত। দেখি পরের বার চেষ্টা করে দেখতে হবে এভাবে আর কতদিন। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
একটা দাঁত তুলতে এক হাজার টাকা। আপনি ঠিক বলেছেন তাহলে ৩২ টি দাঁত তুলতে ৩২ হাজার টাকা লাগবে। ছোট বাচ্চাগুলো দাঁতগুলো ফেলতে এমনি অনেক ভয় পাই। যাক দুটি দাঁত ডাক্তারের কাছে নিয়ে এ পর্যন্ত ফেলে দিয়েছেন। ছোটকালে আমাদের নিজের দাঁতগুলো মা ফেলে দিতেন। আপনি দাঁত ফেলেতে ভয় পান এবং আপনার ছেলে আরও বেশি ভয় পায়। পোস্টে অনেক সুন্দর করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
দুটি দাঁত না আপু চারটা দাঁতই ডাক্তারের কাছে নিয়ে ফেলতে হয়েছে। যাই হোক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
প্রথমে আমি আপনার বাঁচ্চার জন্য দোয়া করি যেন সমস্যা দ্রুত সমাধান হয়। আর বাচ্চারা সচরাচর ডাক্তারের কাছে গেলে ভয় পেয়ে থাকে। বিশেষ করে দাঁতের যে একটা যন্ত্রনা আবার যদি ডাক্তার কিনা কি করে থাকে এমন একটাও তার ভেতরে অনুভূতি কাজ করে থাকে আর কি। এ বিষয়ে আমার যথেষ্ট ধারণা রয়েছে তাই তাদেরকে আপোষে এনে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করতে হবে এবং ট্রিটমেন্ট করতে হবে। যাইহোক ডাক্তারখানা থেকে বেশ কিছু দারুন দারুন ফটোগ্রাফি করে আজকের পোস্টে উপস্থাপন করেছেন দেখে আমার খুব ভালো লেগেছে। পাশাপাশি অনেক ভালো লেগেছে উপস্থাপনা।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া ডাক্তার অনেক বুঝিয়ে রাজি করিয়েছে জন্য দাঁত তুলতে পেরেছি। তা না হলে তো কিছুতেই রাজি করানো যাচ্ছিল না। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।