খারাপ জার্নি শেষে বাসায় পৌঁছানো
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। গতকাল ঢাকায় ফিরেছি আলহামদুলিল্লাহ। গতকালের জার্নি যে এত খারাপ হবে বুঝতে পারিনি। শুক্রবারে আমাদের ফেরার কথা ছিল। শনিবারে ঢাকার মহাসমাবের জন্য ভাবলাম একদিন আগে ফিরি। শুক্রবারে যদি কোন কারণে বাস গাড়ি ঢোকা বন্ধ করে দেয় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এমনিতে ঢাকা শহরে খুব জ্যাম হয়। তাছাড়া এই সমাবেশের কারণে রাস্তাঘাট আরো বেশি জ্যাম ছিল। ফরিদপুর থেকে ভালো ভালো তিনটার গাড়িতে রওনা দিলাম। গাড়ি ছাড়তে ছাড়তে তিনটা দশ। ভাবলাম যে সাড়ে পাঁচটার মধ্যে ঢাকায় পৌঁছে যাব। যথারীতি সেতু পার হওয়া পর্যন্ত বেশ ভালই এসেছি। সেতু পার হওয়ার পর থেকে শুরু হলো জ্যাম। ওখান থেকে গুলিস্তান পর্যন্ত আসতে প্রায় দেড় ঘন্টা লেগে গেলো। রাস্তায় এত জ্যাম। বাস থেকে নামার পর উবারে উঠার পর থেকে শুরু হল আরেক ভয়াবহ জার্নি। যে দিকে যাই সেদিকে মনে হয় আটকে রয়েছে গাড়ি। সহজে আসার জন্য মহাখালী দিকে গেলাম। কিন্তু ভাগ্য খারাপ হলে যা হয় আর কি। মহাখালী একটি বিল্ডিং এ আগুন লাগার কারণে আশেপাশের বেশ কয়েকটি রাস্তা বন্ধ করে রেখেছে। এজন্য সব গাড়ি বিভিন্ন দিকে ছড়িয়ে গিয়েছে। সেজন্য পুরো ঢাকা শহর মনে হচ্ছিল যে আটকে রয়েছে। বিভিন্ন দিক থেকে ঘুরে আসতে আসতে প্রায় আড়াই ঘন্টা লেগে গেলো। যেখানে ৪০-৫০ মিনিটের রাস্তা। ফাঁকা থাকলে আরো কম সময়ে আসা যায়। সব সহ তিন ঘন্টার রাস্তা ছয় ঘন্টা লেগেছে বাসায় পৌঁছাতে।
ফরিদপুর থেকে যখন রওনা দিয়েছিলাম তখন চারপাশে শুধু সবুজ আর সবুজ। দেখতেই খুব ভালো লাগছিল। তাই কিছু ফটোগ্রাফি করেছিলাম।।
ফরিদপুর থেকে কিছুদূর আসার পর দেখলাম রাস্তার সাইডে এই বড় বড় গাছগুলো কেটে ফেলছে। এত বড় বড় গাছ গুলো যে কেন কেটে ফেলছে তাই বুঝতে পারলাম না। এগুলো রাস্তাকে ভেঙ্গে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে।
এখন তাড়াতাড়ি সন্ধ্যা লেগে যায়। পদ্মা সেতুর উপরে ওঠার পর সূর্য দেখতে এত ভালো লাগছিল যে বলে বোঝাতে পারবো না। মনে হচ্ছিল গাড়ি থামিয়ে সেখানেই দাঁড়িয়ে সূর্য ডোবা দেখি। সূর্যের আলো পানিতে পড়ে চারপাশের পরিবেশে আরো বেশি চমৎকার হয়ে গিয়েছিল।
পদ্মার দুই পাশের পাড় গুলো খুব সুন্দর করে বাঁধাই করা। তাছাড়া ছোট ছোট বিভিন্ন খাবারের দোকানে পাশ দিয়ে বসেছে। হয়তো লোকজন এখানে ঘুরতে আসে। খুব সুন্দর জায়গা।
আরো কিছুদূর যাওয়ার পর দেখলাম যে পাশে রেললাইন চলছে। এই রেল লাইন গুলো এখনো চালু হয়নি। ট্রায়াল করছে দেখে মনে হলো। নিচের ছবিটি গুলিস্তানে নামার পর তুলেছি। তখন প্রায় রাত।
আমরা ফরিদপুর থেকে ঢাকায় এসি বাসে এসেছি আমাদের ভাড়া লেগেছে ৯০০ টাকা। আর গুলিস্তান থেকে বাসায় আসতে আমাদের উবারের ভাড়া লেগেছে ৯২৭ টাকা। এই হলো অবস্থা। যাইহোক সুস্থ মতো বাসায় পৌছাতে পেরেছি তাই অনেক।
সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।
ধন্যবাদ
@tania
Photographer | @tania |
---|---|
Phone | i phone11 |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
---|
VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
ট্রাফিক জ্যাম আসলেই খুব বিরক্ত লাগে। কপাল খারাপ হলে সবদিক দিয়েই হয়। সেজন্য মহাখালীর দিকে গিয়েও এমন ঝামেলায় পরতে হয়েছিল। ফরিদপুর যাওয়ার সময় তো পুরো জার্নিটা বেশ উপভোগ করেছিলেন। রাস্তার পাশের বড় গাছ গুলো কেটে ফেলা হয়েছে, যা দেখে খুব খারাপ লাগলো। সূর্যের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভীষণ ভালো লেগেছে আপু। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
ফরিদপুরের যাওয়ার সময় না ভাইয়া ফরিদপুর থেকে ফেরার সময় এরকম অবস্থা হয়েছিল। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
হ্যাঁ আপু সেটা তো জানি যে ফরিদপুর থেকে ফেরার সময় এমন বাজে পরিস্থিতিতে পরেছিলেন,সেটা ডিসকর্ডেও বলেছিলেন। কিন্তু যখন ঢাকা থেকে ফরিদপুর গিয়েছিলেন,তখন তো জার্নিটা বেশ উপভোগ করেছিলেন,কারণ তখন তো জ্যাম ছিলো না তেমন। সেটাই বলেছিলাম আমি।
ওহ ভাইয়া বুঝতে সমস্যা হয়েছে। যাই হোক সেদিন ঢাকা ঢোকার আগ পর্যন্ত বেশ ভালোই লাগছিলো। বিপত্তি তো ঢাকা ঢুকার পর থেকে শুরু হয়েছিল।