গ্যাংটক এর প্লান্ট কনজারভেটরী সেন্টারে ঘুরাঘুরি

in আমার বাংলা ব্লগlast year

আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।



আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।



আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম গ্যাংটকের ঘোরাঘুরি নতুন একটি পর্ব নিয়ে। গত দিন আপনাদের সঙ্গে ভারতের সিকিম রাজ্যের গ্যাংটক এর গণেশ টোক পর্যন্ত শেয়ার করেছিলাম। আজকে তার পরে যে জায়গায় ঘুরতে গিয়েছিলাম তা শেয়ার করবো। গণেশ টোক থেকে বের হয়ে আমরা চলে গিয়েছিলাম প্লান্ট কনজারভেটরী সেন্টারে। এখানে ঢুকতে হলে আপনাকে শুরুতেই টিকিট কাটতে হবে। একেকজনের টিকিটের দাম ২০ রুপি করে। টিকিটের দাম খুব একটা বেশি না। এটি মূলত বিভিন্ন ধরনের গাছ-গাছালি এবং ফুলের জন্য বিখ্যাত। তাছাড়া দূরে একটি ঝর্ণাও রয়েছে। এটি কিছুটা উপরের দিকে এজন্য উঠতে খুব কষ্ট হয়েছে। একদম বৃষ্টি ছিল তার উপরে পাহাড়ের রাস্তা দিয়ে উপরে উঠা খুব কষ্টকর। খুব পিচ্ছিল হয়ে থাকে। বাচ্চাদের নিয়ে একটু ভয়ে উঠছিলাম। কিন্তু জায়গাটি খুবই চমৎকার ছিল। বৃষ্টির কারণে মেঘে একদম ঢাকা ছিল। মনে হচ্ছে শীতের সকালে বাইরে বের হয়েছি।


IMG_5468.jpeg

IMG_5449.jpeg


একে তো সাথে ছোট দুটি বাচ্চা তার উপরে বৃষ্টি। ছাতা মাথায় দিয়ে উপরে যতই উঠছিলাম দূর থেকে একটি ঝর্ণার আওয়াজ আসছিলো। উপরে একটি ঝর্ণা রয়েছে আমাদের ড্রাইভার বলে দিয়েছিল। তা না হলে তো আমরা জানতামই না। আমরা ঝর্ণাটি দেখার জন্য উপরে উঠছিলাম। বাচ্চারা তো খুবই বিরক্ত হয়ে গিয়েছিল এত উপরে উঠতে উঠতে। যতই উপরে উঠছিলাম ততই মনে হচ্ছিল যে ঝর্ণাটির আওয়াজ আরো বেড়ে যাচ্ছিলো। এত সুন্দর পানির আওয়াজ রেখে আসতে ইচ্ছা করছিল না। কিন্তু যখন আমরা উঠতে উঠতে ক্লান্ত হয়ে গেলাম ঝরনার দেখা পেলাম না তখন আর বেশি উপরে উঠিনি। বাচ্চারা কিছুতেই উঠতে রাজি হচ্ছিল না। তাই এখানকার ঝর্ণাটি না দেখেই নিচে নেমে গিয়েছিলাম।


IMG_5444.jpeg


IMG_5445.jpeg


বিভিন্ন জায়গায় এরকম বড় বড় পাথর ছিল। এই পাথরগুলো কেটে মূলত এই জায়গাটি তৈরি করা হয়েছে। বিশেষ করে এখানকার গাছগুলো এত বড় বড় যে নিচ থেকে উপর পর্যন্ত একবারে তাকালে দেখা যায় না।


IMG_5440.jpeg


IMG_5446.jpeg


উপরে ওঠার জন্য এরকম সিঁড়ি করা এবং কিছু কিছু জায়গায় রাস্তা করা। সত্যিকারের ঝর্ণাটি না পেয়ে আমরা নিচে এসে এই কৃত্রিম ঝর্ণাটির পাশে বসেছিলাম। খুব ভালো লাগছিল কৃত্রিম ঝর্ণাটিটিও। ওই উপরের বড় ঝর্ণাটির পানি এখানে এসে পড়ছে।


IMG_5467.jpeg


IMG_5450.jpeg


এর ভিতরে আরেকটি ফ্লাওয়ার এক্সিবিশন সেন্টার ছিলো। বিভিন্ন ধরনের ফুল এখানে থাকে। কিন্তু বর্ষাকাল হওয়ার কারণে ফুলের পরিমাণ কম ছিল। শীতের সময় এখানে বিভিন্ন ধরনের ফুল দেখা যায়। পরবর্তী পর্বে আপনাদের সঙ্গে সেই বিভিন্ন ধরনের ফুলের ফটোগ্রাফি শেয়ার করবো।


IMG_5439.jpeg


আজ এ পর্যন্তই। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।


ধন্যবাদ

@tania

Photographer@tania
Phonei phone11
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি অর্থনীতিতে অনার্স মাস্টার্স কমপ্লিট করে বর্তমানে ব্লগিং করছি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, আর্ট,ডাই তৈরি করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি।

animasi-bergerak-terima-kasih-0078.gif

IMG_20220106_113311.png

7258xSVeJbKkzXhyseBP4PYz11eBDT8sW2oR1a4vfVFS6JTrGU8e1FPUaNdHG5vjXyg2xthV78bDEmEVvKCQpyzX1kq8gAVzGsPp9GqJVRWxb6T9y35PZmQehnLjELdKKmnhdxQjDuny4.png


VOTE @bangla.witness as witness witness_proxy_vote.png OR SET @rme as your proxy

witness_vote.png

Posted using SteemPro Mobile

Sort:  
 last year 

প্লান্ট কনজারভেটরী সেন্টারে প্রবেশ করার টিকেটের দাম তো দেখছি একেবারেই কম। প্রথম ফটোগ্রাফি দুটি দেখে তো মনে হচ্ছে একেবারে শীতের সকাল। যাইহোক ঝর্ণা দেখতে একেবারে উপরে না উঠে খুব ভালো করেছেন আপু, কারণ এমন বৃষ্টির দিনে বাচ্চারা পড়ে গিয়ে ব্যথা পেতে পারতো। ঝর্ণার পানির শব্দ আমার কাছেও খুব ভালো লাগে আপু। যাইহোক পোস্টটি পড়ে এবং ফটোগ্রাফি গুলো দেখে সত্যিই খুব ভালো লাগলো। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

 last year 

বৃষ্টিতে পিচ্ছিল হয়ে ছিল রাস্তা। তাই আর রিস্ক নেই নি। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে।

Coin Marketplace

STEEM 0.15
TRX 0.17
JST 0.028
BTC 68754.67
ETH 2469.20
USDT 1.00
SBD 2.37