গ্যাংটক এর এম জি মার্গ এ ঘুরাঘুরি ও ফটোগ্রাফি
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আজকে আপনাদের সঙ্গে সিকিমের রাজধানী গ্যাংটকের এমজি মার্গ এর কিছু ফটোগ্রাফি নিয়ে হাজির হয়েছি। এটিকে মহাত্মা গান্ধী মার্গ ও বলা হয়। এই রাস্তাটির দুইপাশ দিয়ে অসংখ্য ফুল গাছ দিয়ে সাজানো। তাছাড়া রাস্তার মাঝে মাঝেই লোকজনের বসার জন্য বেঞ্চ দেয়া। দুইপাশ দিয়ে অসংখ্য রেস্টুরেন্ট এবং বিভিন্ন দোকান রয়েছে। আপনি যদি সিকিম ঘুরতে যান তাহলে সারাদিন ঘুরে এসে রাতে আপনাকে বোরিং সময় পার করতে হবে না। এই চমৎকার রাস্তায় বসে থেকে আপনি সময় পার করতে পারবেন। তাছাড়া রাস্তার সাইডে রেস্টুরেন্টগুলোর মজাদার খাবার তো রয়েছেই। রাত দশটা এগারোটা বেজে গেলেও এখানে লোকজনের এত আনাগোনা থাকে দেখে মনে হয় যে মাত্র সন্ধ্যা হয়েছে। তাছাড়া এত সুন্দর সুন্দর লাইটিং করা যে দেখতেই ভালো লাগে। এই রাস্তাটি সবথেকে যে জিনিসটি আমার কাছে ভালো লেগেছে তাহলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা। রাস্তার দুইপাশ দিয়ে বড় বড় ডাস্টবিন রাখা। যাতে কেউ ময়লা রাস্তার উপরে ফেলতে না পারে। তাছাড়া এত পরিষ্কার রাস্তা দেখলে আপনার নিজেরও ময়লা করতে ইচ্ছা করবে না। এত সুন্দর ফুল এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার জন্য এই রাস্তাটির এত বেশি নাম রয়েছে।
এটি একটি রেড পান্ডার স্ট্যাচু।
খুব সম্ভবত গ্যাংটকের জাতীয় পশু এই রেড পান্ডা। সেজন্য রেড পান্ডার এত বড় একটি সুন্দর স্ট্যাচু এখানে তৈরি করা রয়েছে। তাছাড়া অনেকেই এই জায়গাটি রেড পান্ডা মোড় হিসেবেও চিনে। পাণ্ডার স্ট্যাচুটা খুবই সুন্দর লেগেছে আমার কাছে।
এই রাস্তাটির দুই পাশ দিয়ে এরকম অসংখ্য ফুল গাছ লাগানো। এখন অবশ্য ফুল কম ছিল। শীতকালে আরও বেশি ফুল থাকে। তখন দেখতে আরো বেশি সুন্দর লাগে। বৃষ্টিতে ভিজে রাস্তাটি আরো বেশি চমৎকার লাগছিল। বৃষ্টি না থাকলে এরকম বেঞ্চগুলোতে মানুষ বসে আড্ডা দেয়। খুব ভালো লেগেছে এখানে সময় পার করতে। শুধুমাত্র পথচারীদের জন্য এই রাস্তাটা। এই রাস্তা দিয়ে কোন গাড়ি যাতায়াত করে না। এজন্য বাচ্চাদেরকে নিয়ে হাঁটতেও কোন অসুবিধা হয়নি।
এই লাল কালারের ফুল গুলোর নাম আমার জানা নেই। কিন্তু এই ফুলগুলো খুব ভালো লেগেছে আমার কাছে। এই ধরনের ফুলই বেশি লাগানো। আমার ছোট ছেলে খুবই খুশি হয়েছে এই রাস্তায়টি দেখে। বিশেষ করে বিভিন্ন ধরনের ছোট ছোট পশুর স্ট্যাচু ছিল। সেগুলো দেখে আরও বেশি মজা পেয়েছে।
রাস্তাটি শেষ হওয়ার কিছুটা আগে এরকম মহাত্মা গান্ধীর একটি স্ট্যাচু রয়েছে। ছবিটি তুলতে যাওয়ার সময় লোকটি মাঝে চলে আসে। তখন খেয়াল করিনি পরে দেখি এই অবস্থা।
এই রাস্তার আরেকটি সুন্দর বিষয় হলো কিছুক্ষণ পরপর মেঘ এসে একদম ঢেকে দিয়ে যায়। তখন মনে হয় যে চারপাশ কুয়াশা। কিছুই দেখা যায় না। উপরের ছবিতে নিশ্চয়ই দেখতে পাচ্ছেন।
বৃষ্টি ভেজা এমজি মার্গের ছবি দেখে নিশ্চয়ই আপনাদের ভালো লেগেছে। আজ এ পর্যন্তই। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
ধন্যবাদ
@tania
Photographer | @tania |
---|---|
Phone | i phone11 |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
---|
VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
বেশ সুন্দর দেখতে জায়গাটি। মনে হচ্ছে কুয়াশা ভেজা শীত কাল । পরে বুঝলাম মেঘে ঢাকা। বেশ সুন্দর লাগলো আপনার তোলা ফটোগ্রাফিগুলো। আর এরকম পরিচ্ছন্ন রাস্তায় ঘুরে বেড়াতেও বেশ ভালো লাগে। ধনযবাদ শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন আপু একদম কুয়াশা ভেজা শীতকালের মতই লাগছিল। ধন্যবাদ আপনার গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য।
বৃষ্টি ভেজা এমজি মার্গের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভীষণ ভালো লেগেছে আপু। রাস্তা একেবারে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন। এমন রাস্তায় হাঁটতে খুব ভালো লাগে। ফুলগাছ গুলো রাস্তার সৌন্দর্য অনেকাংশে বাড়িয়ে দিয়েছে। তাছাড়া রেড পান্ডা এবং মহাত্মা গান্ধীর স্ট্যাচু দেখতে পেলাম আপনার পোস্টের মাধ্যমে। সবমিলিয়ে দারুণ লেগেছে আপনার পোস্টটি। পোস্টটি পড়ে অনেক কিছু সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণাও পেলাম। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া এরকম রাস্তায় হাঁটতে আসলেই খুব ভালো লাগে। বৃষ্টিতে ভেজার কারণে আরও বেশি সুন্দর হয়েছিল। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।