কাঁঠালের বিচি দিয়ে মুরগির মাংসের রেসিপি
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আজকে আপনাদের সঙ্গে মুরগির মাংসের রেসিপি শেয়ার করবো। বাচ্চারা তো মুরগির মাংস ছাড়া খেতেই চায় না। এজন্য প্রায় দিনই মুরগির মাংস রান্না করতে হয়। একরকম মুরগির মাংস খেতে আর ভালো লাগে না। তাই মাঝেমধ্যে একটু ভিন্ন রকম রান্না করার চেষ্টা করি। এই মুরগির সাইজ বেশ বড় ছিল। প্রায় তিন কেজি ওজনের ছিল। অন্যান্য মুরগি থেকে এই মুরগির স্বাদ একেবারেই আলাদা। খেতে খুবই ভালো লাগে। এই রেসিপিটি অনেকদিন আগে করেছিলাম। কাঁঠালের বিচি দিয়ে মাংস কখনো খাওয়া হয়নি। সেজন্য এভাবে রান্না করেছিলাম। খেতে বেশ মজাদার হয়েছিলো। আশা করি আপনাদেরও ভালো লাগবে।
কাঁঠালের বিচি--১৩টি
পিঁয়াজ--৩ টি
পিঁয়াজ বেরেস্তা--১/২ কাপ
আদা বাটা--১.৫ টেবিল চামচ
রসুন বাটা--১ টেবিল চামচ
হলুদের গুড়া--২ চা চামচ
মরিচের গুড়া--১.৫ চা চামচ
ধনিয়া গুড়া--১.৫ চা চামচ
জিরা গুড়া--১.৫ চা চামচ
গরম মসলার গুঁড়া--২ চা চামচ
লবণ-- পরিমাণমতো
সরিষার তেল--পরিমাণমতো
প্রথমে চুলায় একটি ফ্রাইপ্যান বসিয়ে তার মধ্যে পরিমাণ মতো তেল দিয়েছি। তেল গরম হলে পিঁয়াজ এবং মরিচ দিয়েছি। পিঁয়াজ মরিচ গুলো একটু ভেঁজে নিয়ে বাটা মশলা দিয়েছি।
বাটা মসলাগুলো ভালোমতো কষিয়ে নিয়ে টমেটো দিয়ে দিয়েছি। টমেটোগুলো কিছুক্ষণ নেড়েচেড়ে নরম হয়ে আসলে মাংসগুলো দিয়ে দিয়েছি।
মাংসগুলো মসলার সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কষিয়ে নিয়েছি। মাংসগুলো বেশ কিছুক্ষণ কষানোর পর কাঁঠালের বিচি গুলো দিয়ে দিয়েছি।
এখন ঢাকনা দিয়ে আবারও বেশ কিছুক্ষণ কষিয়ে নিব। তারপর পরিমাণ মতো পানি দিয়ে দিব সিদ্ধ হওয়ার জন্য।
মাংসগুলো সিদ্ধ হয়ে গেলে পিঁয়াজ বেরেস্তা দিয়ে আরো কিছুক্ষণ রান্না করবো ঝোল ঘন হয়ে আসা পর্যন্ত।
ঝোল ঘন হয়ে আসলে চুলা বন্ধ করে দিব।
এখন একটি বাটিতে পরিবেশনের জন্য উঠিয়ে নিয়েছি। এভাবেই আমার আজকের রেসিপিটি তৈরি হয়ে গেলো। আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে
ধন্যবাদ
@tania
Photographer | @tania |
---|---|
Phone | oppo reno5 |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
---|
VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
আপনি আজকে খুবই ইউনিক একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। মুরগির মাংস অনেক ভাবে রান্না করে খাওয়া হয়েছে। তবে কাঁঠালের বিচি দিয়ে রান্না করে খাওয়া হয়নি। দেখে ভীষণ লোভনীয় লাগছে। খেতে নিশ্চয় অনেক মজা হয়েছিলো। আপনার পোস্টের মাধ্যমে নতুন একটি রেসিপি শিখতে পেরে ভীষণ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।
ইউনিক ভাবে রান্না করার জন্যই কাঁঠালের বিচি দিয়ে রান্না করেছি। আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।
এখনতো কাঁঠালের সিজন নয় তবুও অনেক জায়গা দেখতে পাই অনেক বড় কাঁঠাল গাছে ধরে আছে। যেটাকে বারো মাসে কাঁঠাল বলে। আমি কখনো এভাবে মুরগির মাংসের সাথে কাঁঠালের বিচি দিয়ে রেসিপি তৈরি করে খাওয়ার স্বাদটা কেমন সেটা কখনো খাওয়া হয়নি । আপনার রেসিপি দেখে ইচ্ছে হলো দারুন হয়েছে। অনেক বড় সাইজের মুরগি যেটা খেতে অনেক সুস্বাদু ছিল ভালো লাগলো আপনার রেসিপিটি।
এই রেসিপিটি অনেকদিন আগে করেছিলাম। শেয়ার করতে ভুলে গিয়েছিলাম জন্য এখন শেয়ার করেছি। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন কাঁঠালের বিচি দিয়ে মুরগির মাংসের রেসিপি তৈরি। আপনার তৈরি রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খেতে বেশ সুস্বাদু হবে। তবে আপনি অসময়ে কাঁঠালের বিচি পেলেন কোথায় এটাই আমার মাথায় আসছে না। তবে রেসিপি তৈরির প্রত্যেকটি ধাপ আমাদের মাঝে এত সুন্দর ভাবে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপু।
অসময়ে কাঁঠালের বিচি পায়নি। এই রেসিপিটি কাঁঠালের সিজনেই করেছিলাম। শেয়ার করা হয়নি। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
কাঁঠালের বিচি দিয়ে মুরগির মাংস রেসিপি দেখে মজাদার মনে হচ্ছে। প্রায় তিন কেজি ওজনের এই মুরগি ছিল, আপনার রেসিপি পরিবেশন দেখে খুবই ভালো লাগলো, এত মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
জ্বী ভাইয়া মুরগিটি অনেক বড় সাইজের ছিল এ জন্য খেতেও বেশ মজাদার হয়েছিল।
এই সময়ে কাঁঠালের বিচি পাইলেন কোথায় আপু? বাজারে তো এখনো কাঠাল নেই । কাঁঠালের বিচি দিয়ে মুরগির মাংসের রেসিপি দেখে খুব ভালো লাগলো। এই ধরনের রেসিপি বেশ মজাদার এবং সুস্বাদু হয়ে থাকে। আপনার রন্ধন প্রক্রিয়া খুবই দুর্দান্ত হয়েছে । এত দুর্দান্ত রেসিপি পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
এই রেসিপি এখন রান্না করিনি। কাঁঠালের বিচির সিজনে রান্না করেছিলাম। আপনাদের লোভ লাগানোর জন্য দেরি করে শেয়ার করেছি। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
আপনার তৈরি কাঁঠালের বিচি দিয়ে মুরগির মাংসের রেসিপি দেখেই খেতে ইচ্ছা করছে।খুবই আকষণীয় লাগছে আপনার রেসিপিটি আপু।কাঁঠালের বিচি দিয়ে মুরগির মাংসের রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খেতে দুর্দান্ত হয়েছে।দেখেই বোঝা যাচ্ছে খুবই সুস্বাদু হয়েছে আপনার রেসিপিটি।ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি রেসিপি পোষ্ট শেয়ার করার জন্য।
এর পরের বার কাঁঠালের সিজনে এভাবে রান্না করে খেয়ে দেখবেন আপু। ভালো লাগবে আশা করি। ধন্যবাদ আপনাকে।
অনেকদিন পর কাঠালের বিচি রেসিপি দেখতে পেলা। তাও আবার মুরগির মাংস দিয়ে তৈরি করেছেন। রেসিপি দেখে সুস্বাদু মনে হচ্ছে।
ধন্যবাদ ভাইয়া আমার রেসিপিটি দেখে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
বাহ আপু আপনি বেশ ইউনিক একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন তো। কাঁঠালের বিচি দিয়ে কখনো মুরগির মাংস রান্না করে খাওয়া হয়নি। তবে আপনি বেশ লোভনীয়ভাবে রেসিপিটি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন ।দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। আপনার জন্য শুভকামনা রইল
কাঁঠালের বিচি দিয়ে যেহেতু মুরগির মাংস রান্না করে খাওয়া হয়নি তাহলে একবার রান্না করে খেয়ে দেখবেন ভাইয়া। ভালো লাগবে আশা করি। ধন্যবাদ আপনাকে।
কাঁঠালের বিচি দিয়ে মুরগির মাংসের একটি দারুন রেসিপি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু।এরকম রেসিপি গুলো দেখতে যেমন লোভনীয় দেখায় তেমনি খেতেও অসাধারণ লাগে।আর বাচ্চারা তো যখন যেই খাবার একবার ভালো লাগে শুধু সেটাই চায় বার বার।3 কেজি সাইজের মুরগি দিয়ে তাহলেতো ভালই একটি রেসিপি বানিয়েছেন আপু।আর আপনার রেসিপি বানানোর প্রক্রিয়াটির ধাপ গুলি খুবই সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন আপু।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া এরকম রেসিপি গুলো দেখতে যেমন লোভনীয় লাগে খেতেও তেমন সুস্বাদু হয়। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।