গল্প -"অপূর্ণ ভালোবাসা" পর্ব-২
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম "অপূর্ণ ভালোবাসা" গল্পটির দ্বিতীয় পর্ব নিয়ে। গত পর্বে বিপু নতুন একটি মেয়ে শ্রাবণীকে পছন্দ করে। ইরা শ্রাবণীকে বিপুর সঙ্গে একটি ভালো সম্পর্ক তৈরি করার জন্য নতুন একটি কৌশল বানায়। দেখা যাক পরবর্তীতে কি হয়েছিলো। আশা করি আজকের পর্বটি আপনাদের ভালো লাগবে।
অপূর্ণ ভালোবাসা
এবার ইরা কিছুটা কৌশলে আগায়। প্রথমে মেয়েটির সঙ্গে খুব ভালো সম্পর্ক তৈরি করে। তারপর আস্তে আস্তে বিপুর বিভিন্ন গল্প মেয়েটির সঙ্গে করতে থাকে। তারপর একদিন মেয়েটিকে বিপুর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়। তারপর ধীরে ধীরে মেয়েটির সঙ্গে বিপুর ভালো বন্ধুত্ব হয়ে যায়। এক সময় দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়।
বিপু আস্তে আস্তে ইরার থেকে দূরে সরে যেতে থাকে। এখন বেশিরভাগ সময় শ্রাবণীকে দেয়। এজন্য ইরা মনে মনে খুব কষ্ট পায়। কিন্তু বিপুকে কিছু জানায় না। বিপু যখন শ্রাবণীর সঙ্গে ব্যস্ত তখন ইরাও তার অন্যান্য বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটায়। তারপরও ইরার মন বারবার বিপুর কাছেই পড়ে থাকে।
ইরাদের ক্লাসের বন্ধুদের মধ্যে একটি ছেলে ইরাকে খুব পছন্দ করে। সেই বিষয়টি শুধু বিপু জানে। ইরা বিষয়টি এখনো জানেনা। ছেলেটির নাম হৃদয়। হৃদয় এতদিন মনে মনে ভাবতো যে বিপু ইরাকে পছন্দ করে। সেজন্য সে ইরাকে কিছু জানায়নি। এখন যখন বিপুর অন্য কারো সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয়েছে এই সুযোগটা হৃদয় কাজে লাগাতে চায়। বিপুর সঙ্গে ইরার দূরত্ব বাড়াতে হৃদয় এই সুযোগটা নিতে থাকে। সে ধীরে ধীরে ইরার কাছে আসার চেষ্টা করে। বিপু বিষয়টি বেশ ভালোভাবে খেয়াল করতে থাকে।
এদিকে ইরারও শ্রাবনীকে দেখে কিছুটা জেলাস ফিল হতে থাকে। এভাবে বেশ কিছুদিন চলতে থাকার পর ইরা বুঝতে পারল শ্রাবনীকে বিপুর পাশে সে সহ্য করতে পারছে না। কেন সে শ্রাবণীকে সহ্য করতে পারছে না। সেও তো চেয়েছিল বিপুর কোন মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক হোক। সেই তো তাদের দুজনকে এক করে দিয়েছে। তাহলে কেন তার এখন এমন লাগছে। বিপুর দূরত্বকে কেন সে মেনে নিতে পারছে না। বিপু তো বন্ধুর থেকে ভালোবাসার মানুষকেই বেশি সময় দিবে। এটাই তো স্বাভাবিক। সে নিজেকে অনেক বোঝায়। কিন্তু তারপরও মন মানে না।
এভাবে বেশ কিছুদিন যাওয়ার পর শ্রাবণী বুঝতে পারে যে বিপু আসলে তার বন্ধু নয় বন্ধুর থেকে অনেক বেশি। এজন্যই সে বিপুর সাথে শ্রাবনীকে সহ্য করতে পারছে না। কিন্তু এখন ইরা কি করবে। বিপু এখন শ্রাবনীর হয়ে গিয়েছে। তাকে তো আর পাওয়া যাবে না। মনে মনে ইরা খুব কষ্ট পেতে থাকে। এদিক দিয়ে হৃদয়ও ইরাকে প্রপোজ করার প্রস্তুতি নিতে থাকে। সে বিপুকে সবটা জানায় ।
এখন ইরার কি হবে? ইরা কি বিপুকে তার ভালোবাসার কথা জানিয়েছে? নাকি হৃদয় ইরাকে প্রপোজ করেছে? তা জানতে হলে অবশ্যই পরবর্তী পর্ব পড়তে হবে। সময় নিয়ে আমার গল্পটি পড়ার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। খুব শীঘ্রই তৃতীয় পর্ব নিয়ে হাজির হব।
ধন্যবাদ
@tania
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
---|
VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
অনেকটাই সিনেমার কাহিনীর মতো হয়ে গেল, সত্যি বলতে একটা মেয়ে যখন একটা ছেলেকে ভালোবাসে তখন তার বেস্ট ফ্রেন্ড কেন কাউকেই তার পাশে সহ্য করতে পারে না যাইহোক আবার পরবর্তী পর্ব পর্যন্ত অপেক্ষা করি।
বাস্তব কাহিনী নিয়েই তো সিনেমার কাহিনী তৈরি হয়। এজন্য হয়তো সিনেমার কাহিনীর মতো লেগেছে আপনার কাছে। যাই হোক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
যদিও আপনার গল্পের আগের পর্ব আমার পড়া হয়নি। আসলে ভালোবাসা এমনি জিনিস ভালোবাসার মানুষের পাশে কেউ কাউকে সর্হ্য করতে পারে না। ইরা কি ভাবে বিপুকে শ্রাবণীর পাশে মেনে নেবে।আর এদিকে বিপু তো শ্রাবণীর হয়ে গেছে। যাইহোক দেখা যাক পরবর্তী পর্বে কি হয় ইরা হৃদয়ের প্রস্তাব মেনে নেয় কিনা।
আশা করি পরবর্তী পর্ব পড়ে মন্তব্য করে পাশে থাকবেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
এটাই চিরন্তন যে ভালোবাসার মানুষের সাথে অন্য কাউকে সহ্য করতে পারে না। যদিও যখন কাছে থাকে তখন তা বুঝতে পারে না। যখন দূরে চলে যায় তখন বুঝতে পারে । যা ইরার ক্ষেত্রেও হয়েছে। দেখা যাক শেষ পর্যন্ত কি হয়।
একদম ঠিক বলেছেন আপু। যাই হোক দেখা যাক কি হয়। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
কিছু কিছু বন্ধুত্ব আছে যখন এক বন্ধু বা বান্ধবী অন্য কারো সাথে সম্পর্ক হয়ে যায় তখন তার বন্ধুর বা বান্ধবীর কাছে খারাপ লাগে। হয়তোবা সেই স্বাভাবিকভাবে মেনে নিতে পারে না। শ্রাবন্তী এবং বিপু তাদের মধ্য এরকম সম্পর্ক। তবে আপনার গল্পের মধ্যে প্রেম নিয়ে অনেক জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। দেখি আপনার পরের পর্বে কি ঘটে সেই অপেক্ষায় রইলাম। অনেক অনেক ধন্যবাদ গল্পটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আসলেই ভাইয়া বন্ধু থাকা অবস্থায় বুঝতে পারে না। অন্য কারো সঙ্গে সম্পর্ক হয়ে গেলে তখন বোঝা যায়। ধন্যবাদ আপনার গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য।
অনেক সময় প্রিয় বন্ধুত্ব থেকেও ভালোবাসা হয়ে যায়। আর অনেকে প্রিয় মানুষের সাথে অন্য কেউ চলাফেরা কথা বলোক এটি পছন্দ করে না। তবে আপনার গল্পটি পড়ে অনেক জটিল লাগলো। শ্রাবন্তী বুঝতে পারে বিপু বন্ধুর চেয়ে অনেক কিছু। তবে গল্পের মধ্যে অনেক রহস্য আছে। দেখি পরের পর্বে কি হয় সেই অপেক্ষায় রইলাম। আশা করি গল্পটি আপু তাড়াতাড়ি আমাদের মাঝে শেয়ার করবেন।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বন্ধুত্ব থেকে ভালোবাসা হয়ে যায়। ধন্যবাদ আপু আমার গল্পটি পড়ে উৎসাহ দেয়ার জন্য।
গত পর্ব পড়েই বুঝতে পেরেছিলাম বিপুর সাথে শ্রাবণীর সম্পর্ক হবে এবং তারপর ইরা তাদের সম্পর্ক দেখে জেলাস ফিল করবে। সেটাই হলো অবশেষে। যদি হৃদয় ইরাকে প্রপোজ করে এবং ইরা যদি বুদ্ধি করে প্রপোজাল একসেপ্ট করে, হৃদয়ের সাথে প্রেমের অভিনয় করে, তাহলে ইরা এবং হৃদয়ের সম্পর্ক থেকে বিপু জেলাস ফিল করবে। তখন শ্রাবণী এবং হৃদয় দুজনেই বাদ। তারপর বিপু এবং ইরার জনম জনমের মিলন হবে। আমার মনে হয় বিপুও ইরাকে ভালোবাসে। মোটকথা ইরার সাথে কাউকে দেখলে বিপুও জেলাস ফিল করবে আমি নিশ্চিত। দেখা যাক পরবর্তী পর্বে কি হয়। সেই অপেক্ষায় রইলাম আপু। আশা করি খুব শীঘ্রই শেয়ার করবেন আমাদের সাথে।
হা হা হা।
ভালো লাগলো ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য। দেখা যাক পরবর্তীতে কি হয়েছিল। আশা করি পরবর্তী পর্বের সঙ্গেই থাকবেন।
হ্যাঁ আপু পরবর্তী পর্ব অবশ্যই পড়বো ইনশাআল্লাহ। আশা করি খুব শীঘ্রই শেয়ার করবেন আমাদের সাথে।
অনেক সময় মনের অজান্তে বন্ধুত্ব থেকে ভালোবাসা সৃষ্টি হয়।অপূর্ণ ভালবাসার দ্বিতীয় পর্বটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো। পরবর্তীতে ইরা বিপুকে ভালোবাসার কথা জানাতে পেরেছিল কিনা সেটা জানার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করবো আপু।
ঠিক বলেছেন আপু বন্ধুত্ব থেকে কখন যে ভালবাসায় পরিণত হয় বোঝাই যায় না। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।