লাচুং ইয়ামথ্যাং ভ্যালির সৌন্দর্য্য

in আমার বাংলা ব্লগ7 months ago

আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।



আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।


আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম ভারতের সিকিম রাজ্য ভ্রমণ নিয়ে। গত দিন আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করেছিলাম ইয়ামথ্যাং ভ্যালি যাওয়া পর্যন্ত।লাচুং থেকে ইয়ামথ্যাং ভ্যালি দূরত্ব প্রায় ২৩ কিলোমিটার।লাচুং এর উচ্চতা ৯৬০০ ফিট।আর ইয়ামথ্যাং ভ্যালির উচ্চতা ১১৮০০ ফিট। শুনেছি অনেকেরই এখানে গেলে নিঃশ্বাসের সমস্যা হয়। কারণ এত উচ্চতায় আমরা তো গিয়ে অভ্যস্ত নই। তাছাড়া বাচ্চারা সাথে ছিল একটু ভয়ে ছিলাম। সেজন্য সাথে কর্পূর নিয়ে নিয়েছিলাম। নিঃশ্বাসের সমস্যা হলে নাকে কর্পূর ধরলে ঠিক হয়ে যায়। লাচুং যাওয়ার আগে একজন আমাদেরকে পরামর্শ দিয়েছিল আমরা যেন গাড়ির জানালা খোলা রাখি যাতে উচ্চতায় উঠতে উঠতে অনেকটা এডজাস্ট হয়ে যায়।


IMG_5875.jpeg


শীতকালে এই জায়গা একেবারে বরফের ঢাকা থাকে। অল্প শীতে এখানে একদম ফুল দিয়ে ভর্তি থাকে। বিভিন্ন কালারের অসম্ভব সুন্দর ফুল।আর গ্রীষ্মকালে সবুজ কার্পেট মোড়ানো। তাছাড়া এই জায়গায় সব থেকে আকর্ষণীয় হলো চারপাশে পাহাড় এবং মাঝখান দিয়ে নদী বয়ে গিয়েছে।


IMG_5860.jpeg


IMG_5865.jpeg


গাড়ি থেকে নামার পর ইয়ামথ্যাং ভ্যালি দেখে মনে হল যে কোন সমতল জায়গায় মাঠের সামনে দাঁড়িয়ে আছি। পাহাড়ের উপরে এত বড় সমতল জায়গা এবং পাশ দিয়ে অসম্ভব সুন্দর একটি নদী বয়ে যাচ্ছে। একই জায়গায় দাঁড়িয়ে পাহাড়ে বিভিন্ন ধরনের সৌন্দর্য দেখা যায়। মাঝেমধ্যে সাদা সাদা মেঘ দেখা যায়, আবার মাঝে মাঝে রোদে চকচক করে এবং মাঝে মাঝে দেখা যায় একদম মেঘে চারপাশ ঢেকে গিয়েছে।


IMG_5866.jpeg


IMG_5870.jpeg


নামার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের গাইড বলে দিল আমরা যেন দৌড়াদৌড়ি না করি। কারণ এতে নিঃশ্বাসের সমস্যা হতে পারে। নামার পর প্রচন্ড রকম ঠান্ডা লাগছিল এবং নিঃশ্বাসও কেমন ভারী হয়ে আসছিল। এজন্য আমরা শুরুতে একটি জায়গায় বসে সকালের নাস্তা করে নিলাম। হোটেল থেকে আমাদের নাস্তা প্যাক করে দিয়েছিল।


IMG_5919.jpeg


IMG_5923.jpeg


নাস্তা শেষ করে আমরা ধীরে ধীরে নদীর কাছে গেলাম। নদী রাস্তা থেকে অনেকটা নিচে। উঠা নামা করতে বেশ কষ্ট হয়।এ জন্য রাস্তার পাশ দিয়ে অনেক বেঞ্চ ছিল বসার জন্য।


IMG_5928.jpeg


IMG_5921.jpeg


নদীর পাড়ের অংশ ভেঙ্গে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। নদীর পাড়ের বেঞ্চগুলো মনে হয় ভেঙ্গে হারিয়ে গেছে। অল্প কয়েকটি বেঞ্চ নদীর পাড়ে ছিল। সকালবেলা অনেক পর্যটক দেখতে পেলাম। বেশ কয়েকজন বাংলাদেশী পর্যটকদের সঙ্গেও দেখা হয়েছিল।


IMG_5951.jpeg

IMG_5936.jpeg

IMG_5939.jpeg

IMG_5890.jpeg


২-৩ ঘন্টা থাকার পর আমরা গ্যাংটকের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। যদিও মন চাচ্ছিল আরো কিছুক্ষণ থাকতে, কিন্তু তাতে গ্যাংটক ফিরতে রাত হয়ে যেত।
আজ এ পর্যন্তই। পরবর্তীতে আপনাদের সঙ্গে দেখা হবে গ্যাংটকের নতুন কোন জায়গা নিয়ে। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।


ধন্যবাদ

@tania

Photographer@tania
Phonei phone11
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি।

animasi-bergerak-terima-kasih-0078.gif

IMG_20220106_113311.png

7258xSVeJbKkzXhyseBP4PYz11eBDT8sW2oR1a4vfVFS6JTrGU8e1FPUaNdHG5vjXyg2xthV78bDEmEVvKCQpyzX1kq8gAVzGsPp9GqJVRWxb6T9y35PZmQehnLjELdKKmnhdxQjDuny4.png


VOTE @bangla.witness as witness witness_proxy_vote.png OR SET @rme as your proxy

witness_vote.png

Posted using SteemPro Mobile

Sort:  
 7 months ago 

আপনার শেয়ার করা লাচং ইয়ামথ্যাং ভ্যালির সৌন্দর্য উপভোগ করলাম আপু। অনেক সুন্দর একটি জায়গা লাচুং ইয়ামথ্যাং ভ্যালি। মনে হচ্ছে যে আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আমি সেখানে উপস্থিত হয়ে গেছি। সত্যি এত সুন্দর একটি জায়গা আসলে উপভোগ করার মত। অনেক সুন্দর পাহাড় সেখানে খুব সুন্দর বরফে ঢাকা। তাছাড়া নদীতে দেখে অনেক ভালো লাগলো। নিশ্চয়ই অনেক আনন্দ উপভোগ করেছিলেন। আমাদের সাথে শেয়ার করে দেখার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।

 7 months ago 

জায়গাটা অসম্ভব সুন্দর। ছবিতে তো কিছুই বোঝা যাচ্ছে না। যাই হোক ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

 7 months ago 

আপু,আপনার ভ্রমন কাহিনী পড়ে এবং সুন্দর ফটোগ্রাফি দেখে ভালো লাগলো।আসলেই নিঃশ্বাসে সমস্যা যাদের পাহাড়ের উচ্চতায় উঠলে তাদের খুবই কষ্ট হয়।মনে হচ্ছে মেঘগুলো হাত দিয়ে ধরা যাবে এমনভাবে ভেসে বেড়াচ্ছে।ধন্যবাদ আপনাকে।

 7 months ago 

বাচ্চাদের নিয়ে একটু ভয়ে ছিলাম। কিন্তু ওদের কোনো সমস্যা হয় নি। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

 7 months ago 

স্থানের নামটা মনে রাখা বেশ কঠিন ছিল। খাঁটি বাঙালি হওয়ায় স্থানের নামটা মুখ দিয়ে বার করাটাও বেশ কঠিন। তবে স্থানের দৃশ্য কিন্তু চমৎকার। অনেক সুন্দর ভাবি ক্যামেরাবন্দি করেছেন দেখে বেশ খুশি হলাম। এ সমস্ত জায়গা গুলো যদি ঘুরে আসতে পারতাম কতই না ভালো লাগতো। চমৎকারভাবে উপস্থাপন করেছেন ফটোগ্রাফির পাশাপাশি অজানা অনেক কিছু জানার সুযোগ করে দিয়েছেন পোস্টের মাঝে। অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর এই ব্লগটা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 7 months ago 

ওখানকার স্থানগুলোর নাম এমন কঠিন। কিন্তু জায়গা গুলো খুব সুন্দর। ধন্যবাদ আপনাকে।

 7 months ago 

আপু জায়গাটা যেমন সুন্দর নামটা তেমন কঠিন। লাচুং ইয়ামথ্যাং ভ্যালি। আমি তো নামই পড়তে পারছি না,হে হে হে। তবে সুন্দর্য দেখে আমি মুগ্ধ। স্বপ্নের মত লাগছে। ধন্যবাদ আপু।

 7 months ago 

আমিও বেশ কয়েকবার শোনার পর মনে রাখতে পেরেছি। ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.14
JST 0.029
BTC 57893.29
ETH 3130.56
USDT 1.00
SBD 2.44