টমেটো দিয়ে কাঁচকি মাছের ভাজির রেসিপি (১০% বেনিফিশিয়ারী shy fox এর জন্য)
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে। আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজ আমি আপনাদের সামনে একটি মজাদার এবং পুষ্টিকর রেসিপি নিয়ে এসেছি। সেটি হল কাঁচকি মাছের ভাজি । কাঁচকি মাছের অসম্পৃক্ত চর্বি যা শরীরকে রক্ষা করতে পারে। তাই প্রতিদিন আমাদের ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ ছোট মাছ খাওয়া উচিত। ছোট মাছের মধ্যে এই কাঁচকি মাছটি খুবই সুস্বাদু হয়। আর যদি এভাবে বেশি পেঁয়াজ দিয়ে রান্না করা যায় তাহলে তো আর স্বাদ আরো কয়েকগুণ বেড়ে যায়। তাহলে আমি কাচকি মাছের ভাজি কিভাবে তৈরি করেছি তা নিচে আপনাদের ধাপে ধাপে দেখিয়ে দিচ্ছি। তাহলে শুরু করি।
প্রয়োজনীয় উপকরণ
কাচকি মাছ | ১ কাপ |
---|---|
পেঁয়াজ কুচি | ৫টি |
মরিচ কুচি | ৬টি |
ধনেপাতা কুচি | পরিমাণমত |
লবণ | পরিমাণমতো |
তেল | পরিমাণমতো |
হলুদের গুড়া | ১চা চামচ |
মরিচের গুঁড়ো | ১চা চামচ |
ধনিয়া গুড়া | ১চা চামচ |
টমেটো | ১টি |
প্রথমে একটি কড়াইতে পরিমান মত তেল দিয়ে দিয়েছি।
তেল গরম হলে তার ভিতর পেঁয়াজ এবং মরিচ কুচি গুলো দিয়ে দিয়েছি।
পেঁয়াজ মরিচ কুচি গুলো একটু ভেজে নিয়েছি।
এখন পেঁয়াজ, মরিচগুলো ভাজা হয়ে গেলে তার মধ্যে টমেটো কুচি দিয়ে দিয়েছি।
এখন টমেটোকুচি গুলো দিয়ে আরও একটু ভেজে নিচ্ছি।
পেঁয়াজ, মরিচ টমেটো ভালোমতো ভাজা হলে তার ভিতরে গুঁড়ো মশলা গুলো সব দিয়ে দিয়েছি।
মসলাগুলো কষানো হলে তার ভিতর মাছ দিয়ে দিয়েছি।
মাছগুলো দিয়ে মসলার সঙ্গে ভাল মত মাখিয়ে নিয়েছি( এই মাছগুলো অনেক নরম থাকে তাই বেশি নাড়াচাড়া করা যাবে না)।
এ পর্যায়ে সামান্য একটু পানি দিয়ে দিয়েছি।
এখন জাল দিয়ে একটু পানি শুকিয়ে নিচ্ছি।
পানি কমে আসলে এ পর্যায়ে একটু ধনিয়া পাতা কুচি দিয়ে দিয়েছে।
তারপর আরেকটু রান্না হলে নামিয়ে নিয়েছি
এখন একটি বাটিতে পরিবেশনের জন্য উঠিয়ে নিয়েছে।
এভাবেই তৈরি হয়ে গেল আমার মজাদার এবং পুষ্টিকর কাচকি মাছের ভাজি। আশা করি আপনাদের সকলের কাছে আমার আজকের রেসিপিটি ভালো লেগেছে। এটি আমাদের সকলের জন্য বেশ উপকারী। বাসায় একবার এভাবে বানিয়ে খেয়ে দেখবেন খুবই মজাদার লাগবে। ধন্যবাদ সবাইকে আমার পোস্টটি পড়ার জন্য। সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
ধন্যবাদ
@tania
Photography | @tania |
---|---|
Phone | oppo reno5 |
আমি তানিয়া।। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত । আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি।
কাচকি মাছ খুব নতুন লাগলো নামটা যাইহোক দেখে তো লোভ লেগে গেলো আপু।খুব সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন ধাপ গুলোও খুব গুছিয়ে করেছেন।শুভ কামনা।
ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আপনি খুব সুন্দর রান্না করেছেন আপু, টমেটো আর কাচকি মাছের এই সুন্দর রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু। আসলেই কিন্ত সুন্দর ছিলো আপু রেসিপি টা ,আমার খুব পছন্দের একটা খাবার এটি।
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
এটা সুস্বাদু মনে হচ্ছে. এই প্রথম আমি এই থালা, টমেটো দিয়ে মাছ ভাজি খেয়েছি। এমন একটি পুঙ্খানুপুঙ্খ রেসিপি দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। শুভ কামনা
আপনার জন্যও শুভকামনা রইল ভাইয়া। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
টমেটো দিয়ে কেঁচকি মাছের রেসিপিটা খুবই সুন্দরভাবে তৈরি করেছেন। দেখে অনেক সুস্বাদু মনে হচ্ছে। তাই বারবার খেতে ইচ্ছা করছে। এই মাছ আসলেই অনেক সুস্বাদু মাছ। আপনার উপস্থাপনা আমার অনেক ভালো লেগেছে। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
ধন্যবাদ ভাইয়া আমার পোস্টটি পড়ে এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আপু মাছটি দেখে চেনা চেনা লাগছে।তবে যদি এটি নদীর মাছ হয় তাহলে এটিকে আমরা আমুদি মাছ বলি।দারুণ স্বাদের খেতে।আপনার রেসিপিটা দেখেই বোঝা যাচ্ছে এই মাছটি কতটা স্বাদের।সুন্দর ও লোভনীয় হয়েছে রেসিপিটা।ধন্যবাদ আপু।
আপু অত কিছু জানিনা। বাজার থেকে এনে কাঁচকি মাছ বলেছে, তাই আমি ও কাঁচকি মাছই লিখলাম। আমি আবার মাছ টাছ কম চিনি। নদীর মাছই মনে হয়। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
যাইহোক আপু,রান্নাটি কিন্তু দারুণ হয়েছে।
এই মাছটিকে আমাদের এখানে মলা মাছ বলা হয়! মাছটি আমার অনেক প্রিয়। আপনি খুব সুন্দর ভাবে আজকের রেসিপিটি উপস্থাপন করেছেন। আপনার উপস্থাপনা একদম পারফেক্ট ছিলো।
আপনার জন্য দোয়া ও ভালোবাসা রইলো।
আপনার রেসিপিটি খুবই সুন্দর ছিল আপু। টমেটো আর কাচকি মাছ এই রেসিপি টি আমার নিত্যদিনের খাবার হিহিহি। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভ কামনা রইলো আপু, আশা রাখি আপনি পরবর্তীতে এমন আরও মজার মজার কিছু নিয়ে আসবেন, এই অপেক্ষায় রইলাম।
আপনি এখানে আমাদের সাথে খুব ভাল রান্না দেখান।
এবং আপনি এটি কিভাবে তৈরি করবেন তাও শেয়ার করুন।
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে।
কাচকি মাছ আমার অনেক পছন্দের একটি মাছ। সাথে টমেটো হলে তো কোন কথাই নেই।মনে হচ্ছে যে খেতেও যেমন মজার দেখতেও তেমন অসাধারণ হয়েছে। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর ভাবে উপস্থাপনের মাধ্যমে আমার এত প্রিয় মাছের রেসিপি শেয়ার করার জন্য। অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আপনার প্রিয় মাছের রেসিপি শেয়ার করেছি শুনে ভালো লাগলো। আপনার জন্যও শুভকামনা রইল আপু।